জুলাই ২১, ২০২০
বাংলার মানুষই বাংলা চালাবে, বহিরাগতরা নয়ঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

২১ শে জুলাই শহিদ স্মরণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য
উপস্থিত সকল কর্মীদের আমার অনেক ধন্যবাদ। সব ধর্ম বর্ণ সম্প্রদায়ের সকল মানুষ, মা মাটি মানুষকে আমার ধন্যবাদ ও অভিনন্দন, এই ২১ শে জুলাই গণতন্ত্রের ইতিহাসে চিরকাল থাকবে
আজ আমরা ব্যথিত, মানসিকভাবে আহত. যখন কোন প্রলয়, তান্ডব, দুরারোগ্য ব্যাধি মানুষকে আতংকিত, মর্মাহত, শোকাহত করে তখন মানুষই আমাদের কাছে প্রাধান্য পাবে
আগামী ২১ এর নির্বাচনের ফলাফলের পর সব চক্রান্ত, সব রোগকে দূরে সরিয়ে দিয়ে আগামী বছর ২১ শে জুলাই সবচেয়ে বড় ঐতিহাসিক সভা হবে
লক্ষ লক্ষ মানুষ বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই সভায় আসে, কিন্তু এবার আমরা পারলাম না, কিন্তু আজ আমরা পৌঁছেছি বুথে বুথে। প্রায় ৬২,৬০০ বুথে তৃণমূলের জোড়া ফুল পৌঁছে গেছে। তারা লড়াইয়ের জন্য জোট বাঁধছেন
২১ শে জুলাই সেদিন যারা প্রাণ দিয়ে আমাদের গণতান্ত্রিক লড়াইয়ে সাহায্য করেছিলেন তাদের সকলকে আমি সম্মান জানাই, প্রায় ১০০ জন কর্মী আহত হয়েছিলেন। এবছর তাদের আনতে পারিনি তাই, আমরা সকলের বাড়িতে চিঠি পৌঁছে দিয়েছি।
সিপিএমের আমলে নন্দীগ্রাম, নেতাই, সাইবাড়ি, চমকাইতলা, কেশিয়ারি, পিংলা, সবং সহ সব জেলায় আমাদের হাজার হাজার কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। সবাইকে আমার শ্রদ্ধা। সারা দেশে যত মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে তাদের সকলকে, সাংবাদিক, পুলিশের এনকাউন্টার এর জন্য যত মানুষ শহীদ হয়েছেন তাদের আমরা শ্রদ্ধা জানাই, কয়েকদিন আগে চীন সীমান্তে যে জওয়ানরা প্রাণ দিয়েছেন তাদের প্রতিও আমি শ্রদ্ধা জানাই
প্রাণ কাঁদলেও ভয়ে কথা বলছেন না কেউ, প্রাণ কাঁপলেও মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, দেশ জুড়ে তান্ডব চলছে
আজ আমাদের একটা রোগের সাথে লড়াই করতে হচ্ছে, সেই লড়াইয়ে অনেকে প্রাণ দিয়েছেন আমি শোকাহত, অনেক পুলিশ, ডাক্তার মারা গেছেন তাদের জন্য আমরা শোকাহত, তারা সকলে সামাজিক যোদ্ধা, তাদের শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাই
আমপানের ভয়াবহ ঝড়ে অনেকে মারা গিয়েছেন, অনেক মানুষ ঘর ছাড়া, দোকান, পানের বরজ, কৃষিজমি নষ্ট হয়ে গেছে। সেদিন প্রশাসনের সহায়তায় আমরা কয়েক কোটি লোককে উদ্ধার করতে পেরেছিলাম। জীবন বাঁচাতে পেরেছি কিন্তু জীবিকা বাঁচাতে পারিনি
ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্তদের ৬৫০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে, বাকি টাকাটা আরো কয়েকদিনের মধ্যে পৌঁছে যাবে, যারা সত্যি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের চিন্তার কোন কারণ নেই, তাদের জন্য সরকার আছে
অনেক সময় মিথ্যে অপপ্রচার হচ্ছে। বাংলার কোন রেশনে দোকানে কেউ কোন গন্ডগোল করলে সরকার সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে, আর সিপিএম বিজেপি কংগ্রেস সারা বাংলাকে লণ্ডভণ্ড করে বেড়াচ্ছে
এমন কোন রাজ্য আছে যেখানে লোকডাউন ঘোষণার আগেই ফ্রি রেশন দেওয়া হবে বলেছে? খাদ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় ফ্রি রেশন দেওয়া হচ্ছিলো, লকডাউনের পর যাদের কার্ড নেই তাদের কুপন দিয়ে ফ্রি রেশন দেওয়া হচ্ছে, সব মিলিয়ে বাংলায় প্রায় ১০ কোটি মানুষ ফ্রি তে রেশন পাচ্ছেন , আগামী ২১ জুন পর্যন্ত ফ্রিতে রেশন দেওয়া হবে বাংলায়
আমাদের সরকার থাকলে সারা জীবন ফ্রি তে রেশন, চিকিৎসা, পড়াশোনার সুযোগ পাবেন
যারা অসহায়, বঞ্চিত, অবহেলিত, নিপীড়িত তাদের আমরা সাহায্য করছি
আমফান কোভিড সত্ত্বেও উন্নয়ন থেমে নেই, বাংলাকে চিরকাল অপমান, অসম্মান করছে, এর বদলা আমরা বদলা দিয়ে নয় মানবিকতাকে দিয়ে জয় করে নেবো
বাংলার মানুষ গর্ব করে বলবে বহিরাগতরা বাংলা চালাবে না, বাংলার লোকেরা যারা বাংলাকে যারা ভালোবাসে তারাই বাংলাকে চালাবে, তৃণমূল কংগ্রেসকে দুর্বল ভাবার কোন কারণ নেই
কিছু লোক আছে যাদের আগে কখনো দেখা যায়নি, রাজনীতি কাকে বলে জানে না। না আছে দর্শন, না আছে চেতনা, না আছে বিবেক, না আছে সুবুদ্ধি, কিছুই নেই। কোন ভালো কথা বেরোয় না মুখ থেকে। খালি বলছে, মেরে দাও, পুড়িয়ে দাও, দাঙ্গা করে দাও, এনকাউন্টার করে দাও। কোথা থেকে এসেছেন? আপনাদের রাজনৈতিক জন্ম কোথায়? আমরা তো জন্ম থেকে বাংলায় আছি, কোনদিন তো আপনাদের নাম শুনিনি, কোনদিন শুনিনি মানুষকে সাহায্য করেছেন। কেন্দ্রে ক্ষমতায় আছেন বলে গায়ের জোর দেখাচ্ছেন?কখনো শিল্পীদের, প্রশাসন, ভিসি, কখনো সাংবাদিকদের আক্রমণ করছে
আমরা দিল্লিতে এনপিআর, এনআরসি র লড়াই ভুলে যায়নি, মানুষকে প্রতিবাদ করতে দেন না. ভাববেন না কোভিড চলছে বলে এনপিআর , এনআরসি আমরা ভুলে যাবো
আমরা সবাই নাগরিক। নাগরিকত্ব আপনি দেওয়ার কে? ওপার থেকে আগত সবাইকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। কোচবিহারে ছিটমহলবাসীদের অধিকার আমরা ফিরিয়ে দিয়েছি
মিথ্যে কথা বলে মানুষের মধ্যে লড়াই লাগিয়ে দিচ্ছে, কক্ষনো উদ্বাস্তুদের সাথে বাঙালিদের, কখনো হিন্দু মুসলমানের মধ্যে, কখনো উপজাতিদের মধ্যে লড়াই লাগিয়ে দিচ্ছে, কেন? আমরা সবাই এক। আমরা ছোটবেলা থেকে সব ধর্মের মানুষকে একসাথে নিয়ে চলতে শিখেছি
আমপান হল, বিজেপির কী নাচানাচি! প্রধানমন্ত্রী এলেন এক ঘণ্টার জন্য দয়া করে। এক হাজার কোটি টাকা দিলেন, আমরা সঙ্গে সঙ্গে সে টাকা খরচ করে দিয়েছি। কিন্তু বাংলা কি তার প্রাপ্য পেয়েছে?
আমরা ৬.৫ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক কে ১০০০ টাকা করে দিয়েছি, তাছাড়াও এই দুঃসময়ে তাদের ট্রেনের খরচ দিয়েছি তাদের থাকা খাওয়ার জন্য ২৫০ কোটি টাকা খরচ করেছি, ট্যুরিস্ট ছাত্রছাত্রীদের আমরা নিয়ে এসেছি
এতো দুর্যোগের মধ্যেও ৪৬ লক্ষ কৃষককে কৃষক বন্ধু প্রকল্পে প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া হয়েছে
১১ লক্ষ কৃষককে কিষান ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হবে। একমাত্র বাংলা শস্য বীমার সম্পূর্ণ টাকা দেয়, বাংলায় কৃষিজমির মিউটেশন ফি নেওয়া হয় না
আগে আদিবাসীদের জমি কেড়ে নেওয়া হতো, তাই তাদের জন্য বাংলার সরকার এখন আইন করেছে, যে তাদের জমি নেওয়া যাবে না, এটা তাদের অধিকার
এবছর বাংলা আবাস যোজনায় প্রায় ৯.৫ লক্ষ লোককে সাহায্য করছি, ইতিমধ্যে টাকা দেওয়া শুরু হয়েছে
বাংলায় একমাত্র মাটি তীর্থ আর মাটি দিবস হয়েছিল, পরে রাষ্ট্রপুঞ্জ এই প্রোগ্রাম করেছিল
আমরা ‘মাটি সৃষ্টি’ প্রকল্প শুরু করেছি, যে মাটি কাজে লাগে না তাকে কিভাবে চাষের উপযোগী করে তোলা যায়, এজন্য প্রায় ৫০ হাজার একর জমিতে ২.৫ লক্ষ লোকের কর্মসংস্থান হবে
এছাড়া, ২০,৯০৬ কোটি টাকা রাস্তাঘাট সহ বিভিন্ন উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে
দিল্লি একটা ছোট্ট জায়গা। কলকাতার মতো। গুজরাত, ওড়িশা বাংলার অর্ধেক। অন্য রাজ্যের সঙ্গে বাংলার তুলনা হয় না। উত্তরপ্রদেশ বড় রাজ্য, তার পরেই কিন্তু বাংলা। মনে রাখবেন।পপুলেশনের দিক থেকে বাংলায় প্রায় ১০ কোটি লোক আছে ,অন্য রাজ্যের সাথে এর তুলনা হয় না। চারপাশের বর্ডার এলাকা থেকে অনেক লোক বাংলায় আসে চিকিৎসার জন্য, লোকের সাথে রোগও আসে
কোভিড সংক্রমণ বেড়েছে, এতে ভয় পাবেন না, আমরা টেস্টের সংখ্যা বাড়াচ্ছি। টেস্টিং আর ট্রেসিং যদি ভালো করে করতে পারি, আশা করি এই রোগ ভালো হতে পারে, আশা করি ভ্যাকসিন বেরিয়ে যাবে ট্রায়াল চলছে
বাংলায় কোভিড এর জন্য ১৮০০০ বেড খালি রয়েছে ১১০০০ হাসপাতালে ৭০০০ সেফ হোম, এই সংখ্যাটা ২৩,৫০০ হয়ে যাবে আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে
আমরা প্রতিদিন ১৩০০০ টেস্ট করছি, ১৫ই আগস্টের মধ্যে এই সংখ্যাটা বাড়িয়ে ২৫০০০ করার চেষ্টা করছি
বাংলায় মৃত্যুর হার ২.৫৬%, যা রোগী আছে তাদের মধ্যে ৮৭% রুগী হলেন কম উপসর্গ যুক্ত, ৮% মডারেট, ৫% কেস সিরিয়াস। বাংলায় ছাড়া পাওয়ার হার প্রায় ৬০%
উন্নয়নের কথা কেউ বলে না, সবসময় সর্বনাশ, বিনাশ, বুদ্ধিনাশের কথা বলে সবাই
মাত্র ৮ বছর ক্ষমতায় আছি আমরা। আর একটা দল ২০১৯ এ কয়েকটা সিট পেয়ে যেন সারা পৃথিবী জয় করে নিয়েছে। ওদের কাজ গুন্ডামি, দাঙ্গা, অপপ্রচার, মারামারি, আগুন লাগানো আর চক্রান্ত করা , যা ইচ্ছে তাই করছে।
দিল্লির সরকার, চক্রান্তের জোরদার। দিল্লির সরকার, চক্রান্তের অংশীদার
রোজ নাকি অভিযোগ পাঠাচ্ছে বাংলায় আইন শৃঙ্খলা নেই, বাংলায় নেই তো কোথায় আছে? সারা বাংলার সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে দেখো
লজ্জা করে না? আমার তো মনে হয় চ্যারিটি বিগিনস এট হোম। নিজেদের দিকে তাকান, আয়নায় মুখ দেখুন
কি চলছে উত্তরপ্রদেশে? জঙ্গলরাজ বললেও ভুল হবে। মানুষকে দাস করে রেখে দিয়েছে, থানায় গিয়ে ডায়েরি করবেন? তার আগেই খুন করে দেবে।পুলিশকেই খুন করে দিচ্ছে এনকাউন্টারের নাম করে। সবাইকে খুন করে দিলো যাতে কোন ডকুমেন্ট না থাকে, কোন সরকার চলছে?
বিহার, বেঙ্গালুরু, আসামের অবস্থা গিয়ে দেখে আসুন, ত্রিপুরার মানুষ ভয়ে গুটিয়ে আছে, মুখ বন্ধ, আসামে এনআরসি র নাম করে অত্যাচার করেছে। আর এখানে বড় বড় কথা বলছে
কোল ইন্ডিয়া, এয়ার ইন্ডিয়া, রেল বিক্রি করে দিচ্ছে, আর কর্মচারীদের বলছে ৫ বছরের জন্য ছুটি নিতে
কোভিডের নাম করে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে। এমপি ল্যাড বন্ধ করে দিয়েছে, বেতন কাটা হচ্ছে। অনেক রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা বেতন পাচ্ছে না, বাংলা কিন্তু বেতন কাটেনি। এখানে সবাই সময় মতো বেতন পাচ্ছেন, ২ লক্ষ কোটি টাকা ঋণের বোঝা থাকা সত্ত্বেও
গত ৯ বছরে জিএসডিপি বেড়েছে ২.৫ গুণ, রাজস্ব বেড়েছে ৩ গুণ, ক্যাপিটাল এক্সপেন্ডিচার বেড়েছে ১১ গুণ, পরিকল্পনা খাতে ব্যয় বেড়েছে ৭ গুণ, কৃষি ক্ষেত্রে ব্যয় বেড়েছে ৮ গুণ, সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যয় বেড়েছে ৬ গুণ, পরিকাঠামো খাতে ব্যয় বেড়েছে ৬ গুণ
দারিদ্র দূরীকরণ, ১০০ দিনের কাজে, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে, বাংলা আবাস তৈরিতে, রাস্তাঘাট নির্মাণে, দক্ষতা উন্নয়নে, সংখ্যালঘুদের বৃত্তি প্রদানে এক নম্বরে বাংলা
বাংলার একটা নিজস্বতা আছে। বাংলায় ১ কোটি ছাত্রছাত্রীদের বিনামূল্যে সবুজ সাথীর সাইকেল দেওয়া হয়। সাড়ে ৭ কোটি মানুষ স্বাস্থ্যসাথি প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন।
বুলবুল ও আমপানে ক্ষতিগ্রস্ত ৫২ লক্ষ পরিবারকে আমরা সাহায্য করেছি, আমরা কৃষকদের থেকে সরাসরি ধান কিনি
বাংলায় শিশু মৃত্যুর হার ৩২ থেকে কমে ২৪ হয়েছে, বাচ্চাদের জন্য অনেক হাসপাতাল তৈরি হয়েছে। ইন্সটিটিউশন ডেলিভারি ৬৮% থেকে বেড়ে ৯৯% হয়েছে
৩০ টি নতুন বিশ্ববিদ্যালয়, ৫০ টি নতুন কলেজ হয়েছে, আরো ১১ টি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে
খাদ্য সুরক্ষা দেওয়া হচ্ছে, যারা ডিজিটাল রেশন কার্ড পাননি ৬৬ লক্ষ মানুষকে কুপন দেওয়া হচ্ছে
বিনা পয়সায় স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে, অন্য রাজ্যের লোকেরা এসে চিকিৎসা করিয়ে যায়. কিডনি ডায়ালিসিস কম টাকায় করা হয় সরকারি হাসপাতালে, ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানে কত কম টাকায় ওষুধ পাওয়া যায়
একমাত্র বাংলাতেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আছে
২০ লক্ষ তপশিলিদের ৬০ বছর বয়সের পর ১০০০ টাকা করে জয় বাংলা প্রকল্পে পেনশন দেওয়া হয়
৫ম থেকে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষাশ্রী স্কলারশিপ দেয় রাজ্য, টাকাটা রাজ্য দেয় , কেন্দ্রীয় সরকার নয়। এছাড়া কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, যুবশ্রী, গতিধারা বৈতরিনী সহ আরো অনেক প্রকল্প আছে
আইসিডিএস প্রকল্পের টাকা কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছিলো, রাজ্য তাদের টাকা দেয়
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ৫২০ টি ক্লাস্টার, ৩৬ টি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরী হয়েছে , ১ কোটি ৩৬ লক্ষের কর্মসংস্থান হয়েছে
কর্মসাথি প্রকল্পে ১ লক্ষ যুবককে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে
দেশে যখন বেকারত্বের হার ৪৫% বেড়েছে, তখন বাংলা একমাত্র জায়গা যেখানে বেকারত্বের হার ৪০% কমে গেছে
সংখ্যালঘু ভাই বোনেরা সবচেয়ে বেশি স্কলারশিপ পায়, কেন্দ্র টাকা দেয় না
২.৩৮ কোটি সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের স্কলারশিপ দেওয়া হচ্ছে
১০০ দিনের কাজে ২২৭ কোটি শ্রম দিবস তৈরী হয়েছে ৫২০০০ কোটি টাকা খরচ করে. এছাড়া আনন্দধারা, জাগো প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা ও অল্প সুদে ঋণ দেওয়া হচ্ছে
লোকপ্রসার প্রকল্পে ১ লক্ষ শিল্পীকে পেনশন দিই, সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে প্রায় দেড় কোটি মানুষ আর্থিক সাহায্য পায় ৬০ বছর বয়সের পর
আমিও রক্তমাংসের মানুষ। যন্ত্র নই। আমারও হৃদয় আছে। সারাজীবন মার খেতে খেতে এই জায়গায় এসেছি
সিপিএমের আমলে মার্ খেতে খেতে আমি ক্ষত বিক্ষত হয়ে গেছি, আর বিজেপির রাজত্বে, কথায় কথায় লাঞ্চনা, অপমান, অত্যাচার, সন্ত্রাস, বঞ্চনা, কুৎসা, অপপ্রচার, চক্রান্ত। এসব আমি বরদাস্ত করবো না
৩৫ বছর পর যদি লড়াই করে যদি সিপিএম কে আপনারা হারাতে পারেন, বিজেপি তো তুচ্ছ একটা দল. ওরা শুধু টাকা লুঠ করে অন্যদের চোর বলে, নির্বাচনের সময় শুধু টাকা বিলিয়ে ভোট কিনছে, আর কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি করেছে
গুজরাট নয়, বাংলাই বাংলাকে শাসন করবে, গুজরাটে গিয়ে শাসন করুন, সব রাজ্য ওরা একা শাসন করতে চাইছে, মানে বাকি কোন রাজনৈতিক দল থাকবে না? তাহলে রাষ্ট্রপতি শাসন করে দিন, নির্বাচন কমিশন থাকার কি দরকার, এক দেশ এক রাজনৈতিক দল চালু করতে চাইছে
একটার পর একটা কালা আইন করছেন, কারোর সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন মনে করছেন না, মানুষের কোন স্বাধীনতা নেই
বাংলায় কোন ঘটনা ঘটলে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে না দিয়ে, অবরোধ করছে, সব জ্বালিয়ে দিচ্ছে, এটা কেমন রাজনীতি? গায়ের জোর চলছে
আগামী ২১শে বদলা নিয়ে, বিজেপির জামানত বাজেয়াপ্ত করে বিজেপিকে বুঝিয়ে দিতে হবে বহিরাগতরা বাংলা চালাবে না
কেন বিজেপির বিধায়ক মারা গেলেন? আমরা দুঃখিত, কিন্তু আমরা এর তদন্ত করবোই
অনেক তো টাকা তুলেছেন, এবার ১০০০০ টাকা করে অসংগঠিত শ্রমিকদের দিন
নির্বাচনের সময় মানুষকে ৪০০০ টাকা দিয়ে ৪০০০ কোটি টাকা লুঠ করে নেয়, মানুষের থেকে টাকা নিয়েই মানুষকে দিচ্ছে
টাকা দিলে দেখে নেবেন, কোথা থেকে টাকা আসছে, তবে টাকা নিয়ে ভোটটা দিয়ে দেবেন না
আমাদের বাংলা সভ্যতা ও সংস্কৃতির বাংলা, ২০১৯ এ কটা ভোট পেয়ে লম্ফঝম্প শুরু করেছে, ওদের বিশ্বাস করলে ঠকবেন
জনগণ সাবধান, এটাই নেত্রীর আহবান/ বিজেপির সাথে আছে অনেক টাকা আর গান
বাংলার শিক্ষা সংস্কৃতির, সমাজ সংস্কারের। এমন বাংলা তৈরী করে দিয়ে যাব, যেখানে সকল ধর্মের সকল মানুষ কষ্টে নয় শান্তিতে থাকবে
যারা সবাইকে নিয়ে চলে তারাই নেতা, যারা এজেন্সি পকেটে নিয়ে ঘরে তারা নেতা হতে পারে না। গান্ধীজি, স্বামী বিবেকানন্দ এরা আমাদের নেতা, এদের দেখে আমরা এগিয়ে যাই
রাখুন ভরসা রাখুন বিশ্বাস রাখুন আস্থা রাখুন ২০২১ এ তৃণমূল কংগ্রেসই জিতবে এটাই মানুষের আস্থা