সাম্প্রতিক খবর

অগাস্ট ১৬, ২০১৯

নবদ্বীপ ও কোচবিহারকে হেরিটেজ শহর ঘোষণা

নবদ্বীপ ও কোচবিহারকে হেরিটেজ শহর ঘোষণা

নবদ্বীপ ও কোচবিহারকে পশ্চিবঙ্গের প্রথম হেরিটেজ শহরের মর্যাদা দিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল রাজ্য হেরিটেজ কমিশন। বিজ্ঞপ্তিতে দুই শহরের ঐতিহ্যশালী স্থাপত্য, সৌধ, মন্দির, মসজিদ ও এলাকাগুলি চিহ্নিত করে তার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

হেরিটেজ চিহ্নিত এলাকার প্রাচীরের সৌন্দর্য নষ্ট হয়, এমন কোনও কাজ বা দেওয়াল লিখন নিষিদ্ধ। দেওয়া যাবে না হোর্ডিং। এই সব সম্পত্তি সংস্কার, বিক্রী, লিজ ও বন্ধক দেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। নতুন করে এ ধরনের কাজ করতে হলে সংশ্লিষ্ট পুরসভা বা জেলা পরিষেদর কাছে আবেদন করতে হবে। তারা বিচার করে উপযুক্ত মতামত দিয়ে জেলা হেরিটেজ কমিটির কাছে পেশ করবে। সেখানেই সিদ্ধান্ত হবে। প্রয়োজনে রাজ্য হেরিটেজ কমিশন সেই সিদ্ধান্ত খতিয়ে দেখবে।

হেরিটেজ কমিশন দুই শহরের ঐতিহ্যশালী সৌধ ও এলাকাগুলির একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। নবদ্বীপের ৮৬টি সৌধকে চিহ্নিত করা হয়েছে। কোচবিহারের জন্য চিহ্নিত হয়েছে ১৫৫টি। কিছু সৌধ আবার দুই পুরসভার মধ্যে অবস্থিত নয়। তার বাইরেও একাধিক সৌধ রয়েছে। তাই নতুন হেরিটেজ শহরের পরিধি বাড়বে। এ ব্যাপারে রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে।

রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের সচিব বলেন, ‘আইআইটি খড়্গপুর ও শিবপুরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি দুই এলাকার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে বিভিন্ন নথির ভিত্তিতে তালিকা তৈরী করেছে। যার ভিত্তিতেই কমিশন এই তালিকা-সহ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। কারও আপত্তি থাকলে ১৭ আগস্টের মধ্যে সংশ্লিষ্ট পুরসভা বা জেলা পরিষদে আবেদন করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষ ওই আপত্তির উপরে নিজস্ব মতামত জানিয়ে জেলা হেরিটেজ কমিটিকে জানাবে। জেলা কমিটি বিচার করে তাদের মতামত-সহ আবেদন সরাসরি রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের কাছে পাঠাবে। তার পরে প্রয়োজনমতো রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের সঙ্গে কথা বলবে কমিশন।

নবদ্বীপের তালিকায় চৈতন্যদেবের জন্মভিটে, বিষ্ণুপ্রিয়া দেবীর জন্মভিটে, নৃসিংহদেবের মন্দির, চাঁদ কাজির সমাধি, বামনপুকুর বড় মসজিদের পাশাপাশি ইসকন মন্দিরও ঠাঁই পেয়েছে। তাই হেরিটেজ শহরের পরিধি বাড়ছে।

 

 

সৌজন্যেঃ এই সময়