সাম্প্রতিক খবর

অক্টোবর ১৪, ২০১৯

দূষণবিহীন পরিবহণ ব্যবস্থার জন্য আন্তর্জাতিক সি ফর্টি পুরস্কার পেল কলকাতা

দূষণবিহীন পরিবহণ ব্যবস্থার জন্য আন্তর্জাতিক সি ফর্টি পুরস্কার পেল কলকাতা

কলকাতার খুব গর্বের মুহূর্ত যখন কলকাতার মহানাগরিক তথা নগরোন্নয়ন ও পুর বিষয়ক মন্ত্রী ১০ই অক্টোবর ডেনমার্কের কোপেনহেগেন শহরে গ্রীন মবিলিটি বিভাগে সিফর্টি সিটিস ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস পুরস্কার পায় লো কার্বন কমিউট ট্রাঞ্জিশন প্রকল্পের জন্য। একমাত্র কলকাতা সারা দেশের মধ্যে এই পুরস্কার পায়।

পশ্চিম বঙ্গ পরিবহণ নিগম শহর ব্যাপী এই প্রকল্পের দায়িত্বে আছে। এই প্রকল্পে আছে ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০০০ ইলেকট্রিক বাস এবং ফেরির সম্পূর্ণ ইলেকট্রিকিকরণ। কলকাতা দেশের মধ্যে প্রথম শহর হবে যে শহরের বাস অ ফেরি সম্পূর্ণ ইলেকট্রিক চালিত হবে।

প্রকল্পটি শেষ হলে জন পরিবহণ ব্যবস্থার মাধ্যমে বার্ষিক ৭.৮৩ লক্ষ টন কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন কম্বে। ২০১৯ সালে ৮০টি ইলেকট্রিক বাস চালু করা হয়েছে এবং ২০২০ সালে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে আরও ১০০টি বাস চালু করার। এই ১৮০টি ইলেকট্রিক বাস বছরে ১৪০৮৬ টন কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন কমাবে।

১০ বছরের নিরিখে এই পরিকল্পনা অর্থনৈতিক দিক থেকেও সাশ্রয়ী। ১২৫ ও ১৮০ কিলোআওয়ারের বাস চালানো একটি ডিজেল বাস চালানোর খরচের তুলনায় এক তৃতীয়াংশ।

এই পুরস্কার যদিও সিফর্টি থেকে পাওয়া প্রথম পদক নয়। ২০১৬ সালে কলকাতা কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন প্রকল্প কঠিন বর্জ্য বিভাগে পুরস্কৃত হয়েছিল। এখন পর্যন্ত কলকাতা একমাত্র শহর যারা সিফর্টি পুরস্কার পেয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর তৃণমূল কংগ্রেস দল সবসময় বাংলাকে পরিবেশ বান্ধব করার লক্ষ্যে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। ইতিমধ্যেই নিউটাউন গ্রীন সিটির জাতীয় মডেল হিসেবে মান্যতা পেয়েছে। এর আগে নিউ টাউনে ও আসানসোল দুর্গাপুরের মধ্যে ইলেক্ট্রিক বাস চালু করা হয়েছে। বায়োগ্যাস চালিত বাস নিয়েও পরীক্ষা চলছে।

২০১৫ সালে কলকাতা দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম শহর নিসেবে এই সিফর্টি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয় যাদের কাজের উদ্দেশ্য যৌথভাবে শহরের বিভিন্ন দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়ন করা।