Latest News

October 10, 2016

মানুষের দাবিতেই সিলেবাসে সিঙ্গুর – পার্থ চট্টোপাধ্যায়

মানুষের দাবিতেই সিলেবাসে সিঙ্গুর – পার্থ চট্টোপাধ্যায়

একজন মানুষ স্বপ্ন দেখেন বাংলার প্রতিটি মায়ের আঁচল শিউলি ফুলের সুগন্ধে ভরিয়ে দিতে। একজন মানুষ প্রতিনিয়ত স্বপ্ন দেখেন মাটির সঙ্গে নিবিড় সাহচর্যে যাঁদের জীবন, তাঁদের প্রতি হওয়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করে লড়াইয়ের মাঠে দাঁড়িয়ে মাটির অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার।

তিনি এমন একজন হৃদয়বান মানুষ যিনি বাংলার সর্বস্তরের নাগরিকের জীবনে-সংসারে সুস্থিতি চান, সমৃধ্ধি চান, চান রাজ্যবাসী গোটা বিশ্বের কাছে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে বলুক, ‘জগ९সভায় বাংলা শ্রেষ্ঠ আসন পাবে’।

বাংলার ন’কোটি মানুষের সমস্ত স্বপ্ন পূরণের সেই কারিগর এবং বিশ্ববাংলা গড়ার একমবাদিত্যম মানুষ, আমাদের প্রিয় জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সিঙ্গুর বিজয় দিবসে মঞ্চ থেকে সেদিন নেত্রী ঘোষণা করলেন, চাষি ও কৃষকদের অধিকার নিয়ে তিনি বই লিখতে শুরু করছেন। সেই বই আগামীদিনে দেশ-বিদেশের মানুষের কাছে এক ঐতিহাসিক দলিল হয়ে থাকবে ঠিকই। বাংলা তথা গোটা দেশে ভূমির অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে নেত্রীর সিঙ্গুর আন্দোলনই যে একমাত্র জনগণতান্ত্রিক স্বীকৃতি পেয়েছে তাও ইতিহাস। সুপ্রিম কোর্ট জমি ফেরত দেওয়ার দাবিতে সিলমোহর দেওয়ার পর দেশের অন্যান্য রাজ্য এবং প্রদেশেও ‘মমতা-মডেল’ অনুসরণ করা হচ্ছে। যে প্রদীপ জ্বালিয়েছিলেন সিঙ্গুরের ধূসর প্রান্তরে, সেখানে আজ কৃষকদের প্রাণের সমারোহ। সেই উ९সবে শামিল হয়েছে ভারতবাসীও। তিনি হয়ে উঠেছেন সারা বিশ্বের ভূমি অধিকার আন্দোলনের মূল পথপ্রদর্শক। বস্তুত, শীর্ষ আদালত সিঙ্গুরের আন্দোলনের দাবি মেনে নেওয়ায় গোটা দেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই আমজনতার সর্বজনগ্রাহ্য জাতীয় নেত্রী হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ও পাচ্ছেন।

আগামীদিনে সিঙ্গুর আন্দোলন নিয়ে দেশ-বিদেশে অনেকে গবেষণা করবেন, পিএইচডিও করবেন। যাঁরা গবেষণা করবেন তাঁদের জন্য নেত্রীর বইটি অবশ্যই প্রয়োজনীয় হয়ে উঠবে। কিন্তু নবপ্রজন্মের কাছে সহজে সিঙ্গুর আন্দোলনের ইতিহাস জানাতে বাংলার আমজনতা চাইছে বিষয়টিকে সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করা হোক। বিদ্বজ্জনেরা চাইছেন ভূমির অধিকার নিয়ে গোটা দেশের কাছে যে নয়া দিশা দেখিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা অবশ্যই পাঠ্যবইয়ে রাখা হোক। কারণ, সেদিন বহু বামপন্থী বিদ্বজ্জনও নেত্রীর সঙ্গে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের আন্দোলনে পা মিলিয়েছিলেন। রাজ্যের সিলেবাস কমিটিও সেই সুপারিশই করেছে।তাই আমরা রাজ্য সরকারের তরফে শিক্ষা দফতরের তরফে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে নবম ও দশম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।গরিব মানুষের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর অন্য অনেক প্রকল্প ঘোষণাকে সমর্থনের মতোই সিলেবাসে সিঙ্গুর রাখার সিদ্ধান্তকে পাহাড় থেকে সাগর, সবাই স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন করেছেন। আর এটাই আমাদের মা-মাটি-মানুষ সরকারের অন্যতম সাফল্য।

বিজয় দিবসের মঞ্চে সেদিন যখন সিঙ্গুরের ‘মাতঙ্গিনী’ সরস্বতী দাসকে জড়িয়ে ধরে আবেগরুদ্ধ হয়ে পড়লেন নেত্রী তখন মনে পড়ছিল দশ বছর আগের টুকরো টুকরো স্মৃতি। দশটা বছর কেটে গেলেও একটুও বিবর্ণ হয়নি সেই জমি নিয়ে উদয়াস্ত লড়াইয়ের নানা ঘটনা। শানাপাড়া, বেড়াবাড়ি, জয়মোল্লায় দিনের পর দিন আন্দোলনকারী চাষীদের সঙ্গে ঘুরেছি। প্রতিটি ঘটনাই আজও টাটকা, তাপসীর মৃত্যুর মতো বেশ কিছু ঘটনা তো যন্ত্রণাক্লিষ্ট। সেদিনও মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের জন্য মরণপণ ঐকান্তিক লড়াই করেছিলেন জননেত্রী। তিনি ছিলেন ভূমি নিয়ে মানুষের স্বপ্নপূরণের লড়াইয়ের সাধিকা। একইভাবে তিনিই নন্দীগ্রামের মানুষদের ভূমি হারানোর যন্ত্রণার প্রতিবাদ করেছিলেন। রাস্তার পাশে মঞ্চ বেঁধে সিঙ্গুরে টানা ১৪ দিন ধর্না দিয়েছেন নেত্রী। আমরা সবাই সঙ্গী। রাতের অন্ধকারে চেষ্টা হয়েছিল, লরি চাপা দিয়ে ধর্নায় অংশ নেওয়া রাস্তায় শুয়ে থাকা ঘুমন্ত কর্মীদের পিষে দেওয়ার। কিন্তু নেত্রীর সজাগদৃষ্টিতে রাতপাহারা থাকায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছিল সবাই। তবে সিপিএমের ভয়াবহ চক্রান্ত এবং হিংস্রতার হাত থেকে শত চেষ্টা করেও তাপসী মালিক বা রাজকুমার বহুলদের আমরা বাঁচাতে পারিনি। বাঁচাতে পারিনি আরও ১২জন কৃষককে।

সিলেবাসে আমরা রাখতে চাই, জীবন বিপন্ন করে মা-মাটি-মানুষের নেত্রীর টানা ২৬ দিনের অনশন-লড়াইয়ের কথা। ধর্মতলার সেই অনশনে নেত্রীর পাশে ছুটে এসেছিলেন দেশের তাবড় নেতৃত্ব। ছিলেন হাজার চুরাশির মা প্রয়াত মহাশ্বেতাদেবী। এখনো ভাবলে শিউরে উঠি। কারণ, একদিকে সিপিএম ও পুলিশ প্রশাসনের অত্যাচার অন্যদিকে টানা অনশনের ধাক্কায় নেত্রীর প্রাণ সংশয় হওয়ার উপক্রম। দু’য়ে মিলে তখন আমরা সবাই তটস্থ, শঙ্কিত। দলে দলে সবাই এসে তখন ধর্মতলায় নেত্রীর মঞ্চের পাশে উদগ্রীব হয়ে থাকতাম। সঙ্গে হাজার হাজার মানুষ। কিন্তু রাজ্যপালের উপস্থিতিতে হওয়া চুক্তিও মানেননি সেদিনের সিপিএমের দাম্ভিক মুখ্যমন্ত্রী। দম্ভ, অহংকার শেষ কথা বলে না, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় জনগণ। তাই শুধু সিঙ্গুর নয়, এবারেও বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধী ভোট এক করার মরিয়া ব্যর্থ চেষ্টা করেও জনগণের ফু९কারে উড়ে গিয়েছে কু९সাকারী-অপপ্রচারকারীরা।

১০বছর আগের আন্দোলনের সেই ইতিহাস। সিঙ্গুরের ঐতিহাসিক মঞ্চ থেকে যখন এই ঘোষণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছিলেন, তখন কোথায় যেন তাঁর গলাটা ধরে আসছে। মনে পড়ছিলো একটার পর একটা দিনের কথা। সুপ্রিম কোর্টের রায় শুনে বলেছিলেন, এবার আমি শান্তিতে মরতেও পারি। আসলে এই আন্দোলন করতে গিয়ে তাঁর যে মৃত্যুও হতে পারত, সেকথা সেদিন আবার বলে দিয়েছিলেন। ইতিহাসকে স্মরণ রাখতে এখন থেকে প্রতি ১৪ সেপ্টেম্বর সিঙ্গুর দিবস পালন হবে। নন্দীগ্রামের মতো সিঙ্গুরেও তৈরী হবে স্মারক। এটাই হবে কৃষিজমি আন্দোলনের প্রতীক।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষি, শিল্প, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গ্রামীণ উন্নয়ন ও নগরোন্নয়ন-সহ বাংলার সমস্ত ক্ষেত্রের প্রগতির সফল কারিগর। বিশেষ করে শিক্ষাক্ষেত্রে তিনি নিয়ে এসেছেন আমূল বিপ্লব। জগতের আনন্দ থেকে সাধারণ মানুষের খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থান ও পড়ুয়াদের শিক্ষার অধিকার দিয়েছেন তিনি। লক্ষ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রীকে সবুজ সাথী প্রকল্পে সাইকেল বিলি যে তাঁর গভীর ভাবনা চিন্তার ফসল তা এখন স্বীকার করছেন সবাই। একটি সাইকেল শুধুমাত্র একটি ছাত্রীর পড়াশোনাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে না, সামগ্রিকভাবে পারিবারিক সমন্বয়ে সাহায্য করছে মুখ্যমন্ত্রীর এই উপহার।

সরকারি স্কুলে ১০০ শতাংশ মিড্ ডে মিল চালু থেকে শুরু করে প্রাথমিকের সমস্ত ছাত্রদের জুতো বিতরণ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শীতকালে সোয়েটার ও স্কুল ব্যাগ দেওয়ার বিবেচনা করা হচ্ছে। পরিবর্তনের পর থেকে প্রাথমিকে পোশাক দেওয়া শুরু হয়েছে। দুঃস্থ ও পিছিয়ে পড়া ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তির পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকে দেওয়া হয় যাবতীয় বইপত্র, খাতা। মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকে পোশাক পরিচ্ছদ ও সাইকেল তুলে দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের হাতে। বিশেষ করে সমস্ত প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সমস্ত স্কুলে ‘Ramp’ চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগে প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সময় চেয়ে আবেদন করতে হত। কিন্তু মা-মাটি-মানুষ সরকার আসার পর সমস্ত প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্যই সরকারই অতিরিক্ত ৪৫ মিনিট সময় বরাদ্দ করে দিয়েছে। অর্থা९ আর আগের মতো আবেদন করার কোনো দরকার নেই।

শিক্ষাক্ষেত্রে ‘কন্যাশ্রী’-নারীশিক্ষায় ও সামাজিক প্রগতিতে বৈপ্লবিক পদক্ষেপ নিয়েছেন মা-মাটি-মানুষের নেত্রী আমাদের প্রিয় মুখ্যমন্ত্রী। কন্যাশ্রী আমাদের রাজ্যের নারী শিক্ষার দিকবদল, শিক্ষায় যুগান্তরের সংকেত। রাজ্য ও দেশ ছাড়িয়ে বিশ্বে আমাদের নেত্রীর এই প্রকল্প শুধু প্রশংসিত হয়নি, বহু রাজ্য তথা দেশে মডেল হয়েছে। বাম শাসনে বহু বছর ধরে পিছিয়ে থাকা এই রাজ্যের নারী শিক্ষা দ্রুত ছুঁয়েছে শীর্ষস্থান। এটাও মা-মাটি-মানুষের শিক্ষায় সাফল্য।

বাম আমলে বাংলায় সংখ্যালঘু সমাজ চরম অবহেলিত হয়েছিল। আমাদের সরকার আসতেই মুসলিম সমাজের অগ্রগতির দ্বার খুলে দিয়েছে। মুসলিম ছাত্রীছাত্রীদের শিক্ষাপ্রসারে বিপুল স্কলারশিপের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চাকরি প্রার্থীদের জন্য ‘বিশেষ সুযোগ’ দেওয়া হয়েছে আমাদের সময়েই। বস্তুত এই কারণেই আজ স্বতঃস্ফূর্তভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্নেহের ছায়ায় আশ্রয় নিয়েছে সংখ্যালঘু ছাত্র-ছাত্রীরা। শিক্ষাক্ষেত্রে তফসিলি জাতি-উপজাতির ছাত্রছাত্রীদের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এবার থেকে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল মিলিয়ে প্রতিবছর অত্যাধুনিক পরিকাঠামোযুক্ত এক হাজার Virtual Classroom তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমাদের সরকার। গ্রামীণ স্কুলগুলির পরিকাঠামো বৃদ্ধিতে বরাদ্দ একলাফে প্রায় আটগুণ বৃদ্ধি হয়েছে এবারের বাজেটে। রাজ্যে মা-মাটি-মানুষ সরকার ক্ষমতায় আসার পর দু’-দুবার বহু সংখ্যক কলেজে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। বহু কলেজে স্থায়ী অধ্যক্ষ দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় অধ্যক্ষ নিয়োগের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। উচ্চশিক্ষার জন্য কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় এই রাজ্য দেশের মধ্যে আনুপাতিক হারে শীর্ষস্থানে পৌঁছেছে। উত্তরবঙ্গের প্রকৃতির স্নিগ্ধ ছায়ায় কিংবা পুরুলিয়ার রুক্ষ প্রান্তরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। আবার সুদূর দক্ষিনে ডায়মন্ডহারবারে সাত একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রথম মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়। মানুষ কল্পনাও করতে পারেন না শিক্ষায় এই সমৃধ্ধি।

স্কুল শিক্ষক নিয়োগে বহুদিন বঞ্চিত হয়েছেন চাকরি প্রার্থী শিক্ষার্থীরা। তার অন্যতম কারণ সুগভীর চক্রান্ত। ষড়যন্ত্র করে মামলার মাধ্যমে টেট-এর নিয়োগ প্রক্রিয়াকে শ্লথ করে দেওয়া হয়েছিল। এইজন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। মুখ্যমন্ত্রী আগেই ঘোষণা করেছিলেন, আদালতের নির্দেশ পেলে সঙ্গে সঙ্গেই শিক্ষক নিয়োগের কাজ শুরু হবে। নেত্রীর সেই ঘোষণা আমাদের শিক্ষা দফতর অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছে। আদালত রায় দেওয়ার এক ঘন্টার মধ্যেই টেট পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে দেওয়া হয়েছে।

প্রাথমিক ও উচ্চপ্রাথমিকে যত দ্রুত সম্ভব ৬০,০০০ শিক্ষক নিয়োগ করা যায় তার ব্যবস্থা করছে আমাদের দফতর। প্রতিটি বিষয় ও প্রক্রিয়া যে স্বচ্ছতার মাধ্যমে করা হচ্ছে তা আমরা কাজের মাধ্যমে প্রমান করে দিয়েছি। সর্বোপরি যে সমস্ত শিক্ষিকা বাড়ি থেকে দূরে চাকরি করেন তাঁদের কাছাকাছি নিয়ে আসতে ইতিমধ্যে বদলি প্রক্রিয়া চালু করেছে আমাদের সরকার। বহু শিক্ষিকা ইতিমধ্যে বাড়ির কাছের স্কুলে বদলি হয়ে এসে পঠন-পাঠন কোর্সে অংশ নিতে শুরু করে দিয়েছেন। শিক্ষাসংক্রান্ত সমস্ত কর্মসূচিতে আমাদের

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শিক্ষকরা সমাজের গর্ব, তাঁদের সম্মান দিলে তবেই সমাজ-সভ্যতা তথা বাংলা এগিয়ে যাবে। তাই তো রাজ্যে সরকার পরিবর্তনের পর শিক্ষকদের সম্মান দিয়ে প্রতিবছর ‘শিক্ষারত্ন’ সম্মাননা চালু করে শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের স্বীকৃতি দেওয়া শুরু হয়েছে।

আমাদের সরকার শহরের সঙ্গে গ্রাম এক লহমায় জুড়ে দিয়েছে রাস্তাঘাটের সুপরিমিত সংস্কার ও অজস্র নতুন রাস্তা তৈরী করে। শুধু কলকাতা নয়, গোটা রাজ্যই মা-মাটি-মানুষ সরকারের নানা প্রকল্প ও পরিকাঠামো চালু হওয়ায় আজ কল্লোলিনী, তিলোত্তমা। গঙ্গার দুই তীরও সৌন্দর্যের সৌরভে সুরভিত। কথা দিচ্ছি, শিক্ষাঙ্গনের সর্বোস্তরকে পরিপূর্ণভাবে মেধার সম্মান ও সীকৃতি দিয়ে আরো উজ্জ্বল এবং আলোকময় করা হবে। আলোয় ভোরে উঠবে জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের রাজ্য-বাংলা। সত্যি সত্যি মেধা ও শিক্ষা সংস্কৃতিতে আরো এগিয়ে শীঘ্রই হয়ে উঠবে পরিপূর্ণ বিশ্ববাংলা।