অগাস্ট ১৪, ২০১৯
আমি চাই কন্যাশ্রীরা অনেক বড় হোকঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজকের দিনটি রাজ্য সরকার কন্যাশ্রী দিবস হিসেবে পালন করে। এই বিশ্ববন্দিত প্রকল্পটির সূচনা হয় ২০১৩ সালের ১লা অক্টোবর।
ইতিমধ্যেই ৭০০০ হাজার কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে ৬০ লক্ষেরও বেশি মেয়ের ক্ষমতায়ন করেছে এই প্রকল্প ।
এই প্রকল্পের প্রাথমিক উদ্দেশ্যে ছটি- বৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষায় উৎসাহ দেওয়া, স্কুলছুটের হার কমানো, নাবালিকা বিবাহ বন্ধ করে বিয়ের বয়স বাড়িয়ে শিশুমৃত্যুর হার ও প্রসবকালীন মৃত্যুর হার কমানো, প্রথম শিশুর জন্মের সময় মায়ের বয়স বাড়ানো, শিশুকন্যাদের অপুষ্টি কমানো এবং নারীপাচার ও শোষণ রোধ করা।
এই প্রকল্পে ছাত্রীদের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণও দেওয়া হয় যার মাধ্যমে পড়াশোনা শেষ হলে তাঁরা স্বনির্ভর হয়ে কোনও কাজ করতে পারে।
আজকের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখলেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃতী ছাত্রীদের হাতে পুরষ্কারও তুলে দিলেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের কিছু বিষয়ঃ
কন্যাশ্রী দিবসে সকলকে অভিনন্দন জানাই। কন্যাশ্রী দিবস আজ ৬ বছরে পদার্পন করল।১৪ই আগষ্ট আমরা কন্যাশ্রী দিবস পালন করি, এই দিনটা মেয়েদের জন্য উৎসর্গ করা হয়।
সম্মিলিত জাতিপুঞ্জে কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য আমরা প্রথম পুরস্কার পাই।
সমাজের সমস্ত জড়তা কাটিয়ে মেয়েরা আজকে সারা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে আছে।কন্যাশ্রীর মেয়েদের জন্য আমার অনেক আশা। আমি চাই ডিটারমিনেশন, ডেডিকেশন, ডিভোশন, এডুকেশন, কালচার, হিউম্যানিজম সবকিছু নিয়ে তারা অনেক বড় হোক।
জেলায় কন্যাশ্রী কলেজ তৈরী করবো।
কন্যাশ্রীর স্কলারশিপ এখন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েরা পায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীরা উচ্চশিক্ষা লাভ করার জন্য স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশীপ রাজ্য সরকার দেয়।
বাংলার মানুষ হয়ে সব ভাষা শিখতে হবে কিন্তু মাতৃভাষাকে ভুলে গেলে চলবে না। বাংলা ভাষা আমাদের গর্বের ভাষা। বাংলা ভাষার মতো এতো সুন্দর ভাষা পৃথিবীর কোথাও পাওয়া যাবে না।
আমি চাই কন্যাশ্রীদের জয়-জয়কার হোক, পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে কন্যাশ্রীর মেয়েরা গর্ব করে বলুক- “আমি কন্যাশ্রী।”
রাষ্ট্রসংঘে ‘উৎকর্ষ বাংলা’ প্রথম পুরস্কার পেয়েছে।