সেপ্টেম্বর ২, ২০১৯
বাজেট হাসপাতাল গড়ার প্রক্রিয়া শুরু করল রাজ্য সরকার

কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গিয়ে রাজ্যজুড়ে প্রাইভেট নার্সিংহোমের ধাঁচে বাজেট হাসপাতাল করার ঘোষণা করেন। এই ঘোষণার পরেই মধ্যবিত্তদের জন্য বাজেট হাসপাতাল গড়ার জন্য জেলাশাসকদের জমি খুঁজতে নির্দেশ দিল স্বাস্থ্য দপ্তর। রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব (স্বাস্থ্য) জেলাশাসকদের সাতদিনের মধ্যে এই জমি খুঁজে তাঁকে বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে বলেছেন। শুধু জেলাশাসকদেরই নয়, রাজ্যের প্রতিটি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদেরও বাজেট হাসপাতাল করার জন্য প্রয়োজনীয় জমি বা হাসপাতালের মধ্যে সুনির্দিষ্ট ব্লক খুঁজে বের করতে বলেছেন স্বাস্থ্য দপ্তরের শীর্ষ আধিকারিকরা।
তিনটি মডেলে হবে এই বাজেট হাসপাতাল। এক, যেসব হাসপাতালে ইতিমধ্যেই কেবিন আছে, সেগুলিকে পিজি হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডের কেবিনগুলির ধাঁচে আধুনিক করা হবে। দুই, যেসব সরকারি হাসপাতালে কেবিন নেই, কিন্তু, হাসপাতালের মধ্যে পৃথক বাজেট ওয়ার্ড বা ব্লক করার মতো জায়গা রয়েছে, সেখানে পিজি’র উডবার্ন ব্লকের মতোই একটি আধুনিক ব্লক করা হবে।
তিন, যেখানে কেবিনও নেই, আবার আলাদাভাবে বাজেট ওয়ার্ড করার মতো জায়গাও নেই, সেইসব হাসপাতালের কাছাকাছি জায়গায় জমি খুঁজে বের করতে হবে জেলা প্রশাসনকে। এই তৃতীয় ক্ষেত্রে সরকার পূর্ণাঙ্গ বাজেট হাসপাতাল তৈরী করবে। যত দ্রুত সম্ভব এই প্রকল্পের কাজে হাত দিতে চলেছে সরকার।
প্রস্তাবিত হাসপাতালের আয়ের ৭৫ শতাংশ টাকা যাবে সরকারি হাসপাতালের উন্নয়নকল্পে। আর ২৫ শতাংশ টাকা সেখানে কর্মরত সরকারি ডাক্তারদের ইনসেনটিভ হিসেবে দেওয়া হবে। এই মডেলটি আরও সুচারুভাবে রূপায়িত করার চেষ্টা চালাচ্ছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সিটিভিএস বিভাগও।
বাজেট হাসপাতালের ক্ষেত্রে খরচ আরও কিছু কম হবে।
স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে প্রতি বছর রাজ্যকে ৯২৫ কোটি টাকা দিতে হয়। সমাজের অনেকেই চিকিৎসার খরচ কিছুটা হলেও বহন করতে সক্ষম। অনেকে প্রাইভেট নার্সিংহোমে চিকিৎসা করান। যদি অনেক কম খরচে প্রাইভেট নার্সিংহোমের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরী হয়, তাতে তারও খরচ উঠবে, প্রচুর মানুষ উপকৃতও হবেন।
সৌজন্যেঃ বর্তমান