সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৯
ধর্ম যার যার, উৎসব সবার, উৎসবের অঙ্গনে আজ সবার আমন্ত্রণ’ - দিদির লেখা এবছরের থিম সং

বহুত্ববাদের দেশে ‘চাপিয়ে দেওয়া’ নানা বিধিনিষেধের প্রতিবাদে বারবার সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধর্মীয় সঙ্কীর্ণতা আর ভেদাভেদের বিরুদ্ধে সেই লড়াইকে এবার বাঙালির সেরা পার্বণ শারদোৎসবেও নিয়ে এলেন তিনি। জানিয়ে দিলেন, উৎসব বাংলার গর্ব, বাঙালির গর্ব। বর্ণ আর ধর্ম দিয়ে নিয়ে নয়, বাংলার মানুষ উৎসব পালন করে প্রাণের স্পন্দনে। উৎসব তোমার আমার সবার—বাংলার।
প্রতিবারের মতন এবারও নিউ আলিপুরের সুরুচি সঙ্ঘের থিম সং লিখেছেন এবং সুর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সেই লেখনীকে সুরের মূর্চ্ছনায় মুড়ে দিয়েছেন সুরকার জিৎ গাঙ্গুলি এবং শ্রেয়া ঘোষাল। শনিবার মহালয়ায় দেবীপক্ষের সূচনায় প্রকাশিত হয়েছে তাঁর লেখা সুরুচির থিম সং। থিম সংয়ের অ্যালবামের সঙ্গেই প্রকাশিত হয়েছে একটি ভিডিও। তাতে পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের মুন্সিয়ানার অংশ হয়েছেন অভিনেতা পরমব্রত আর সাংসদ-অভিনেত্রী নুসরত। এই নিয়ে পরপর পাঁচবার সুরুচির থিম সং লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন—উৎসবের অঙ্গনে আজ সবার আমন্ত্রণ/উৎসবের শুভালোকে আজ আলোকিত মন। ধর্ম, বর্ণ কিংবা বয়সের সীমানা ছাড়িয়ে আজি/প্রতি গৃহকোণ পরো সজন, নব সাজে রূপে সাজি। মেতে ওঠে দেখ ত্রিভুবন আজ, প্রাণের এই উৎসবে/অনাবিল এই আনন্দ হতে কেবা বঞ্চিত রবে/ধূপ-প্রদীপে আলোর মালা সমারোহের ঘরে/উৎসব আজ বেঁধেছে সবারে, মহামেলবন্ধনে….। শেষ কলিতে তিনি লিখেছেন—উৎসব তোমার আমার সবার/উৎসব গর্ব বাংলার।
তাঁর লেখা এই গান বর্তমান পরিস্থিতিতে অসহিষ্ণু আর বিভেদের অন্ধকার বাতাবরণের মাঝে আলোর দিশারী। বারো মাসে ১৩ পার্বণের বাংলায় উৎসব মানেই গর্ব, ঐতিহ্য আর মেলবন্ধনের সংস্কৃতি। থিম সং এর ছত্রে ছত্রে বাংলার সেই রেওয়াজকেই তুলে ধরেছেন তিনি। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার— উৎসব মানেই আনন্দে মাতোয়ারা হওয়ার পালা।