সাম্প্রতিক খবর

নভেম্বর ২২, ২০১৯

ব্যর্থ অর্থনীতি ও বকেয়া জিএসটি নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন অর্থমন্ত্রী

ব্যর্থ অর্থনীতি ও বকেয়া জিএসটি নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন অর্থমন্ত্রী

দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। তিনি জানান, তিন মাস হয়ে গেল, বাংলা জিএসটি-র ক্ষতিপূরণের টাকা পায়নি৷ সব মিলিয়ে প্রায় ২২০০ কোটি টাকা৷ সব রাজ্য মিলিয়ে অঙ্কটা দাঁড়াচ্ছে ৪০ হাজার কেটি টাকা৷ অমিত মিত্র বলেছেন, ‘আগে কখনও এ-রকম হয়নি৷ কখনও টাকা বাকি পড়েনি৷ এ বারই প্রথম হল৷ কেন কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না, তা তারা বলতে পারবে৷ আমি এখন অর্থমন্ত্রীকে চিঠি লিখছি প্রাপ্য অর্থ দাবি করে৷’

মন্ত্রীর মতে ‘প্রতিটি রাজ্যের নিজস্ব একটা হেডরুম থাকে৷ সেটা দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷ আর ঋণও তো ইচ্ছেমতো যত খুশি নেওয়া যায় না৷’ তাঁর দাবি, ‘বিজেপি-শাসিত তিনটি রাজ্যের অর্থমন্ত্রী আমায় ফোন করে বলেছেন, তাঁরাও টাকা পাচ্ছেন না৷ কুছ ধামাকা করনা চাহিয়ে৷’ এখন কী ধামাকা করা যেতে পারে?

প্রথমত, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে চিঠি লিখে অবিলম্বে টাকা মিটিয়ে দেওয়ার দাবি জানানো৷ সেটা ইতিমধ্যেই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অমিত-সহ বেশ কিছু রাজ্যর অর্থমন্ত্রী৷ তার পরেও কাজ না হলে তখন ভরসা প্রধানমন্ত্রী৷ তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী বা অর্থমন্ত্রীরা লিখতে পারেন৷ শেষ অস্ত্র হল, সুপ্রিম কোর্টের কাছে নালিশ৷ কারণ, জিএসটি আইনেই আছে, কেন্দ্র পাঁচ বছর রাজ্যগুলিকে ক্ষতিপূরণের টাকা দেবে৷ অমিতও স্বীকার করেছেন, অর্থনীতির বর্তমান অবস্থায় এসজিএসটি থেকে যে টাকাটা ওঠে তা কমে যাচ্ছে৷ অর্থমন্ত্রীর কথা থেকে স্পষ্ট, সব মিলিয়ে রীতিমতো ঘোরালো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে৷

অর্থমন্ত্রীর দাবি, দু’টি কারণে দেশের অর্থনীতির উপর প্রবল চাপ পড়েছে, নোটবন্দি ও জিএসটি৷ প্রতিটি দেশেই অর্থনীতির ওঠাপড়া থাকে৷ কিন্তু নোটবন্দির ফলে দেশের সাপ্লাই চেইন সিস্টেমটা নষ্ট হয়ে গিয়েছে৷ সুরাটের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, যারা অধিকাংশ পাওয়ালুম মালিকরা যন্ত্র বেচে দিয়ে অন্য কাজের সন্ধানে চলে গিয়েছেন তাঁরা তো চট করে আবার পাওয়ারলুম স্থাপন করতে পারবেন না৷ এ ভাবেই নোটবন্দি একের পর এক অসংরক্ষিত ক্ষেত্রকে নষ্ট করে দিয়েছে বলে দাবি করেছেন অর্থমন্ত্রী৷

এই পরিস্থিতির সাত মাসের মধ্যে এসেছে জিএসটি৷ অর্থমন্ত্রীর মতে, অসময়ে, অপ্রস্তুত অবস্থায়, ভুলভাল জিএসটি করা হয়েছে৷ জিএসটি-র কম্পিউটার নেটওয়ার্ক যাঁর দায়িত্বে ছিল, তিনি বলেছিলেন, তাঁরা প্রস্তুত নন৷ তা সত্ত্বেও জিএসটি চালু করা হল৷ প্রতি তিন মাসে ৩০০ কোটি ইনভয়েস আপলোড করার কথা ছিল৷ এখনও পর্যন্ত একটিও ইনভয়েস আপলোড হয়নি৷ এই সুযোগ নিয়ে প্রচুর জালিয়াতি হচ্ছে৷ জিএসটি ও নোটবন্দি করে হারাকিরি করেছে মোদী সরকার, যার জেরে অর্থনীতির এই হাল৷