নভেম্বর ২৫, ২০১৯
'বুলবুল' পীড়িত মানুষের স্বার্থে ত্রাণ সামগ্রীর যাত্রার সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী

আজ নবান্ন থেকে ‘বুলবুল’ পীড়িত মানুষের স্বার্থে ত্রাণ সামগ্রীর যাত্রার সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত ৬ লক্ষ পরিবারকে রাজ্য সরকারের তরফে দেওয়া হবে এই ‘ডিগনিটি কিট’ বা ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট কিট।
কী থাকছে এই কিটে? ত্রিপল, ২টো শাড়ি, লুঙ্গি, ধুতি, বাচ্চাদের পোশাক, চাদর, শুকনো খাবার, স্টোভ বাসন-সহ দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার্য নানা জিনিস। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশমতো এই বিশেষ কিট পৌঁছে যাবে দুর্গতদের কাছে।
এছাড়া, এই বুলবুলের তাণ্ডবে মৃতদের পরিবারকে দু’ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের কিছু অংশ:
বুলবুলের জন্য যা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাতে সাহায্যের ক্ষেত্রে কোন কার্পণ্য করেনি রাজ্য সরকার। নিজেদের ভাঁড়ার খালি করে হলেও যাতে সব জিনিস তাড়াতাড়ি পৌঁছে দেওয়া যায় তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই ৫ লক্ষ ত্রিপল পাঠানো হয়েছে। এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে সেখানে ৪৫০০০ লন্ঠন অর্থাৎ হ্যারিকেন পাঠানো হয়েছে, পাশাপাশি পরিবার পিছু ৫ লিটার কেরোসিন তেল পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত জি আর এর চাল দেওয়া হবে
ইতিমধ্যেই ৪৭০০০ কিটস পৌঁছে গেছে। আরও ৬ লক্ষ কিট তৈরি হচ্ছে, যা প্রতিদিন ১০০০০ করে দেওয়া হবে। এই কিটে প্রয়োজনীয় স্টোভ, ত্রিপল, শাড়ি, চাদর, চাল, ডাল, হাতা, খুন্তি, বেবি ফুড সহ অন্যান্য জিনিস রাখা হচ্ছে
অনেক জমির ধান নষ্ট এবং অনেক জমিতে জল জমে আছে, কৃষি দপ্তর এর একটা সমীক্ষা করছে। সেই অনুযায়ী আমরা সাহায্য করতে পারব
শস্যবীমা ৬০% লোকের আছে, এখন থেকে ১০০% লোককে শস্যবীমার অধীনে আমরা নিয়ে আসব। এই টাকাটা সম্পূর্ণ দেয় রাজ্য সরকার
‘বাংলা আবাস’ যোজনায় ক্ষতিগ্রস্থদের বাড়ি বানিয়ে দেওয়া হবে। বাড়ি ও কৃষিজমি নষ্ট হওয়ার ক্ষতিপূরণের টাকা যার যার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হবে
যেহেতু এখানে পর্যাপ্ত শাড়ি ত্রিপল স্টোভ পাওয়া যাচ্ছে না তাই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এখন থেকেই সব তাঁতশিল্পীদের (তন্তুজ, মঞ্জুশ্রী) সঙ্গে কথা বলে তিন বছরের অর্ডার আগে দিয়ে দেওয়া হবে যাতে কোনও বিপর্যয় ঘটলে সরকার প্রস্তুত থাকতে পারে
বিপজ্জনক স্টোভের থেকে বাঁচার জন্য কয়লার গুলে রান্না করা চালু করতে হবে এবং এর ফলে পরিবেশ রক্ষা পাবে। কয়লার গুল যাতে সাপ্লাই করা যায় সেটার জন্য গুলের কারখানা করতে হবে
সবুজ সাথী প্রকল্পে সরকার ১ কোটির উপরে সাইকেল দিয়েছি। প্রতিবছর এই সাইকেল দেওয়া হয়, তাই বাংলায় সাইকেল তৈরির এবং রিপিয়ারিং এর কারখানা করা হবে। এর পাশাপাশি সাইকেল রিপেয়ারিং করার জন্য স্কিল ডিপার্টমেন্ট ট্রেনিং দেবে। এর ফলে অনেক কর্মসংস্থান হবে
শাড়ি, ত্রিপল সহ নানা জিনিস যাতে বাংলাতেই তৈরি হয়, আর বাংলার মানুষ যাতে ব্যবহার করতে পারে সেদিকে নজর দেওয়া হবে