সাম্প্রতিক খবর

অক্টোবর ২২, ২০১৯

উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠকে জনসচেতনতায় জোর মুখ্যমন্ত্রীর

উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠকে জনসচেতনতায় জোর মুখ্যমন্ত্রীর

উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল শিলিগুড়ি পুলিশ লাইনে বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এরপর আজ উত্তরকন্যায় তিনি কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলার প্রশাসনিক বৈঠক করেন। তিনি বারবার প্রশাসনকে নির্দেশ দেন বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার সঞ্চার করতে।

বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রধানতম বিষয়গুলি:

১) সংবাদমাধ্যমকে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে হবে

২) সাধারণ মানুষ ১০০ দিনের জব কার্ড পাচ্ছেন কিনা,শস্য বীমার টাকা ক্ষতিগ্রস্ত চাষীরা পাচ্ছেন কিনা, স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড সবাই পাচ্ছেন কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে প্রশাসনকে

৩) ভোটার লিস্ট ভালো করে চেক করতে হবে। কারোর প্রয়োজনীয় নথি নষ্ট হয়ে গেলে থানায় ডায়রি করতে হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্স, আধার কার্ড প্যান কার্ড, স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড প্রভৃতি যেকোনও প্রমানপত্র থাকলেই ভোটার তালিকায় নাম তোলা যাবে। এ বিষয়ে বিডিও, বিএলআরও, এসডিও, ডিএমদেরকে স্পষ্ট নির্দেশিকা জারি করে প্রয়োজনীয় সাহায্য করতে হবে।

৪) জনগননার ক্ষেত্রে অনেকের নাম বাদ চলে যায়। যারা বাংলায় থাকে তাদের নাম যেন বাদ না হয়। ডবল নাম থাকলে তা খতিয়ে দেখতে হবে।

৫) বাংলায় কোনও এনআরসি হবে না, মনে রাখবেন পলিসি ইমপ্লিমেন্ট করে রাজ্য সরকার। ডিটেনশন ক্যাম্প করার কোনও প্রশ্নই আসেনা এখানে।

৬) রেশন কার্ডটা একটা আইডেন্টিটি, কিছু ভুল থাকলে সংশোধন করে নিন। এর সাথে এনআরসির কোনও যোগাযোগ নেই।

৭) এখনও পর্যন্ত আড়াই হাজার কোটি টাকা বিপর্যয় খাতে ব্যয় করা হয়েছে। ৫ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর ক্যাম্প করে ভোটার লিস্টে নাম তোলা হবে।

৮) শস্যবীমার টাকা দেওয়া হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। ১লা নভেম্বর থেকে বাংলা শস্য বীমা যোজনার কাজ শুরু হবে। সারা বাংলায় কৃষক বন্ধু যোজনা খাতে ৪০ লক্ষ কৃষক পরিবারকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

৯) তপশিলি জাতি, উপজাতি, আদিবাসী, ওবিসি প্রার্থীদের শংসাপত্র নিয়ে কোনও হয়রানির শিকার না হতে হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।

১০) স্বাস্থ্যস্বাথী প্রকল্পে ৪ লক্ষ ৮৯ নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। ২৫ হাজার মানুষ উপকৃত হয়েছেন। ১৩ কোটি টাকা ডিসবার্স করা হয়েছে। স্বাস্থ্যস্বাথী কার্ডের ব্যাপারে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে যে অঞ্চলে যে ভাষায় মানুষ কথা বলেন সেই ভাষায় সেইখানে প্রচার করতে হবে।

১১) ১০০ দিনের কাজে ৫ লক্ষের মধ্যে জব কার্ডের মাধ্যমে ২ লক্ষ মানুষকে কাজ দেওয়া হয়েছে।

১২) চায়ের দোকান, পেট্রোল পাম্প, ধাবার কর্মচারীদের ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে যাতে কেউ পথদুর্ঘটনার শিকার হলে এরা পুলিশ আর অ্যাম্বুলেন্সকে ডাকবে। তার জন্য তাদের একটা ফোন দেওয়া হবে। তাদের পথসাথীর স্বীকৃতি দেওয়া হবে।

১৩) ‘মধুর স্নেহ’ এবং ‘কর্ড ব্লাড ব্যাঙ্ক’ প্রকল্প সম্পর্কে মানুষকে জানাতে হবে।

১৪) “বাংলা হাট” এমএ্রসএমই প্রকল্পে বেশ কিছু মেয়েরা কাজ করেন। বিশ্ববাংলার সাথে এটার সংযোগ করতে হবে

১৫) পুজোতে ১৫ হাজার কোটি টাকা রেভিনিউ ইনকাম হয়েছে। বিভিন্ন মানুষের রুটি-রুজির ব্যবস্থা হয় পুজো ও মেলার মাধ্যমে।

১৬) বেঙ্গল লেদার ইণ্ডাস্ট্রিতে কর্মদীগন্তের মাধ্যমে ৫ লক্ষ ছেলেদের চাকরি হয়েছে।

১৭) ‘ভোরের আলো’ ফ্লাইওভার হওয়ার পর শিলিগুড়ি আধ ঘন্টায় চলে যাওয়া যাবে।

১৮) দার্জিলিং-এর চা বাগান শিল্প ভাল করে করতে হবে। চেম্বার অফ কমার্সের মেম্বারদের ভালো করে কাজ করতে হবে। এখানে হর্টিকালচার করে দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় জমির ব্যবস্থা রাজ্য সরকার করে দেবে।

১৯) এখানে সিলিকন ভ্যালি না করা গেলেও সুইসভ্যালি তৈরী করা হবে।

২০) সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের ইন্টার্নশীপ করার জন্য যুব প্রজন্মকে আহ্বান জানাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে এটা খুব শ্রীঘ্রই চালু হবে।