জুন ১৭, ২০১৯
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমাধান সূত্রে অবসান হল জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের

আজ নবান্নে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৈঠকে সরকারি হাসপাতালে চিকিত্সকদের নিরাপত্তা বাড়াতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে তাই নিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনা হয়। আন্দোলনকারীরা একে একে তাদের দাবি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিস্তারিতভাবে জানান, মুখ্যমন্ত্রী বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেন তাঁর সংশ্লিষ্ট আধিকারীকদের।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবিত বিষয়গুলিঃ
সব শহর ও জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের বাইরে বসানো হবে কোলাপসেবল গেট।
হাসপাতালের এমার্জেন্সি বিভাগে প্রতি রোগীর সঙ্গে দু জনের বেশী ঢুকতে পারবেন না।
রোগীর পরিজনদের সঙ্গে কথা বলার জন্য ৩ শিফটে জনসংযোগ অফিসার থাকবেন।
এবার শহরের হাসপাতালগুলির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন কলকাতা পুলিশের ডিসি পদমর্যাদার একজন আইপিএস কর্তা।এর জন্য ডিসিস্তরে নতুন পদ তৈরি করা হবে। নোডাল অফিসার হিসাবে ওই আইপিএস কর্তা স্বাস্থ্য দপ্তর, চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখে নিরাপত্তার দিকগুলি দেখভাল করবেন।
থানায় আল্যার্ম সিস্টেম করা হবে।
মেডিকেল-ডেন্টাল সহ সব কলেজ ও হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে
হাসপাতালের সর্বত্র সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে। হাসপাতালের এই সিসিটিভির লিংক থাকবে আউটপোস্ট ও সংশ্লিষ্ট থানাগুলিতে।
রোগীর আত্মীয়দের জন্য হাসপাতালের অভিযোগ কেন্দ্র আরও সক্রিয় করা হবে।
ভবিষ্যতে হামলা হলে সঙ্গে সঙ্গে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আপৎকালীন টোল ফ্রি নম্বর ও ই-মেল আইডি চালু হবে। সেই সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবস্থাও করা হবে
ডেন্টাল হাসপাতালেও অ্যাম্বুলেন্স রাখা হবে।
হাসপাতালগুলির আউটপোস্টগুলির দায়িত্ব থাকতেন ওসিরা। এবার ওসিদের পরিবর্তে আউটপোস্টের দায়িত্বে থাকবেন অতিরিক্ত কমিশনার পদমর্যাদার অফিসাররা।
রোগী কল্যাণ সমিতিতে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিরাও থাকবেন।