Latest News

March 15, 2018

Bengal to become self-sufficient in egg production

Bengal to become self-sufficient in egg production

In a bid to become self-sufficient in the production of eggs, the State Government has decided to invest Rs 60 crore towards the construction of two layer houses for rearing poultry. If everything goes according to plan, commercial production of eggs would start from this year itself.

The Government has already taken several measures to overcome the shortfall in production. Two poultry farms of international standards are going to be constructed at Kalyani in Nadia district and at Barjora in Bankura district.

Another poultry farm is being set up in Jalpaiguri at a cost of Rs 30.98 crore. A goat slaughter house is being set up in Haringhata in Nadia district at a cost of Rs 3 crore. At each of these places, a total of 3 lakh chickens can also be reared, therefore totaling 6 crore per year.

After all these poultry farms become operational, the State Government would be in a position to produce 5.5 to 6 lakh eggs per day. The rest of the demand would be met from the eggs produced by various self-help groups (SHG) across Bengal as well as by private producers. At present, the production is 1.3 crore per day, whereas the demand is 2.5 crore per day.

The Animal Resources Development Department plans to distribute 60 chicks and ducklings among SHGs during the current financial year. A total of Rs 12 lakh would be distributed among 7 lakh SHGs for rearing chicks and ducks.

Special allowances are also being given by the Government to private producers. Anyone producing 10,000 chickens or ducks would get an amount of up to Rs 8 lakh each.

 

ডিমে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে ৬০ কোটির বিনিয়োগ রাজ্যের

ডিম ছাড়া বাঙালির রসনা যেন অতৃন্ত৷ কিন্ত্ত রাজ্যে উৎপন্ন ডিম দিয়ে চাহিদার পুরোটা পূরণ হয় না৷ বঙ্গবাসীকে তাই ভিন্ রাজ্যের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়৷ ডিমের এই ঘাটতি মেটাতে রাজ্যে এ বার প্রায় ৬০ কোটি টাকা খরচ করে দু’টি ‘লেয়ার হাউস’ বা মুরগি খামার বানানোর পরিকল্পনা করেছে রাজ্য সরকার৷ সব ঠিক থাকলে এ বছরই সেখানে ডিমের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হবে৷

নবান্ন ডিম উৎপাদনের জন্য নদীয়ার কল্যাণী এবং বাঁকুড়ার বড়জোড়ায় দু’টি আন্তর্জাতিক মানের মুরগী খামার বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য লাইভ স্টক ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন৷ তার মধ্যে কল্যাণীতে মুরগী খামার নির্মাণের কাজ ইতিমধ্যেই অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে৷ এ জন্য খরচ হবে প্রায় ২৮ কোটি৷ কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রীয় কৃষি বিমা যোজনা থেকে এই টাকা দেওয়া হবে৷
এ ছাড়া , রাজ্যে চিকেনের উৎপাদন বাড়াতে জলপাইগুড়িতে তৈরি হচ্ছে নতুন পোলট্রি ফার্ম৷ এতে খরচ হবে ৩০ কোটি ৯৮ লক্ষ টাকা৷ এই প্রকল্পে অর্থ জোগাতে নাবার্ড থেকে ঋণ নিয়েছে রাজ্য সরকার৷ মোট ৩ কোটি টাকা খরচ করে হরিণঘাটায় তৈরি হচ্ছে গোট স্লটার লাইন৷ এখান থেকে ছাগলের মাংস পাওয়া যাবে৷

লাইভস্টক ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের অধিকর্তা জানান, কল্যাণী এবং বড়জোড়া, দুই জায়গাতেই ৩ লক্ষ করে মোট ৬ লক্ষ মুরগী রাখার মতো উপযুক্ত পরিকাঠামো থাকবে৷ সেখানে গড়ে রোজ ৩ লক্ষ ডিম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে৷ ভবিষ্যতে সরকারি খামার থেকে দিনে গড়ে ৫ .৫ -৬ লক্ষ ডিম পাওয়া যাবে৷

সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এই মুহূর্তে রাজ্যে ১ কোটি ৩০ লক্ষের মতো ডিম উৎপন্ন হয়৷ সে জায়গায় দৈনিক ডিমের চাহিদা প্রায় আড়াই কোটি৷ তা মেটাতে তামিলনাড়ু , অন্ধ্রপ্রদেশের মতো দক্ষিণের রাজ্যগুলি থেকে ডিম আনতে হয়৷ সেখানে ডিমের উৎপাদন ব্যাহত হলে রাজ্যে ডিমের দাম যায় বেড়ে৷ স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে আরও প্রায় ৯০ -৯৫ লক্ষ বাড়তি ডিম উৎপাদন করতে হবে রাজ্যকে৷ সে জন্য সরকারি খামারে ডিমের বাণিজ্যিক উত্পাদন শুরু করা ছাড়াও হাঁস -মুরগি প্রতিপালনে বেসরকারি পোলট্রি ফার্ম এবং গ্রামীণ চাষিদের উত্সাহিত করতে নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী৷

তিনি জানান , ডিম উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে গ্রামের চাষি এবং স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীগুলিকে সরকার হাঁস ও মুরগির বাচ্চা বিলি করছে৷ চাষিরা যাতে সহজ শর্তে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পান , সে ব্যবস্থাও করা হয়েছে৷ চলতি আর্থিক বছরে প্রায় ৬০ লক্ষ মুরগি ও হাঁসের বাচ্চা বিলি করা পরিকল্পনা প্রাণিসম্পদ দন্তরের৷ হাঁস -মুরগি চাষ করার জন্য মোট ৭ হাজার স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীকে মোট ১২ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে৷ ডিম উৎপাদকদের সরকারি উৎসাহ ভাতা দেওয়া হচ্ছে৷ কোনও চাষি যদি ১০ হাজার মুরগি কিংবা হাঁস চাষ করেন , তা হলে তিনি সর্বোচ্চ ৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত উৎসাহ ভাতা পাবেন৷ বীরভূমের লাভপুরে তৈরি হচ্ছে হাঁসের খামার৷ ওই জেলার বরোমোল্লায় মুরগী খামার তৈরি হবে৷