অগাস্ট ৬, ২০১৮
টাইগার হিলে রাত্রিবাস, চায়ের সঙ্গে কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শন

ডেস্টিনেশন টাইগার হিল। নয়া সাজে সাজছে প্রায় তিন হাজার মিটার উঁচু নৈসর্গিক সৌন্দর্যে ঘেরা শৈলরানি। ফলে এবার থেকে গাড়িতে করে এসে নয়, এখানেই রাত্রিবাস করে ভোরে উঠে ধোঁয়া ওঠা চা বা কফি সহযোগে উপভোগ করা যাবে কাঞ্চনজঙ্ঘার বুক চিরে সূর্যোদয়।
পর্যটন দপ্তরের উদ্যোগে দশটি কটেজ তৈরী করে দ্রুত পর্যটকের থাকবার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একান্ত ইচ্ছে ও উদ্যোগে টাইগার হিলকে পর্যটন সার্কিটে নিয়ে আসার কাজ শুরু হয়েছে বেশ কিছুদিন ধরে। জিটিএ ও পর্যটন দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এবার সেই কটেজগুলিকে গাছ ও ঘাস দিয়ে সাজিয়ে তুলতে কোটি টাকা বরাদ্দ করল বন দপ্তর।
মূলত কটেজগুলির পাশাপাশি সবুজায়নের পাশাপাশি প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্নভাবে সাজানো হবে। দশটি কটেজের পাশাপাশি বেশ কিছু তাঁবুও রাখা হচ্ছে। যারা একটু বেশী অ্যাডভেঞ্চার প্রিয়, তাঁদের জন্য এই তাঁবুর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। জোর কদমে চলছে কাজ। আগামী মরশুম থেকেই টাইগার হিলে পর্যটক যাতে থাকতে পারে সে জন্য ঝড়ের গতিতে কাজ চলছে। তদারকির দায়িত্বে রয়েছেন পর্যটনমন্ত্রী ও জিটিএ বোর্ডের চেয়ারম্যান।
তবে টাইগার হিল এলাকায় প্রাকৃতিক সম্পদ যাতে নষ্ট না হয় সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। নিজস্ব মূল বৈশিষ্ট্য বজায় রেখে অযথা কংক্রিটের জঙ্গলে পরিণত করা হবে না বলে জানানো হয়েছে। সীমিত সংখ্যার বাইরে কটেজ তৈরী করা হবে না বলেও পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। চাহিদা বেশী থাকলেও পর্যটকদের অপেক্ষা করতে হবে পরবর্তী বুকিঙের জন্য। টাইগার হিলের পর্যটন সমাগম নিয়ে আশাবাদী উত্তরের পর্যটন ব্যাবসায়ীরা।
এমনিতেই দার্জিলিং পাহাড়ের একটা আলাদা সৌন্দর্য রয়েছে। যারা ঘুরতে আসেন, ডুয়ার্সের পাশাপাশি দার্জিলিং, গ্যাংটক, নেপাল, ভুটান ঘুরতে যান। কিন্তু, টাইগার হিলে সীমিত সংখ্যক পর্যটক ছাড়া তেমন কেউ যেতেন না। সরকারিভাবে সেখানে পর্যটন শুরু হলে এখানকার আদিম সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন পর্যটকরা। অর্থনৈতিক উন্নতি তো হবেই ব্র্যান্ড দার্জিলিংকে আরও খানিকটা এগিয়ে দেবে ডেস্টিনেশন টাইগার হিল।