সাম্প্রতিক খবর

অক্টোবর ২৯, ২০১৯

বাংলায় সিক ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের সংখ্যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ

বাংলায় সিক ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের সংখ্যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ

সদ্যোজাতদের স্বাস্থ্য পরিষেবা ঢেলে সাজাতে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার গত আট বছরে অনেক উদ্যোগ নিয়েছে সিক ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট তৈরীতে।

মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থা ঢেলে সেজেছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী বাংলায় সিক ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের সংখ্যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।

বাংলায় সিক ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের মধ্যে আছে সিক নিউবর্ন কেয়ার ইউনিট, সিক নিউবর্ন স্টেবিলাইজেশন ইউনিট, পেডিয়াট্রিক ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিট, নিওন্যাটাল ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিট।

এসএনসিইউ, এসএনএসইউ, পিআইসিইউ, এনআইসিইউ

২০১১র আগে মাত্র ছটি সিক নিউবর্ন কেয়ার ইউনিট ছিল রাজ্যে, এই মুহূর্তে সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬৯টি। এর পাশাপাশি সদ্যোজাতদের জন্য ২২১৭টি শয্যা বাড়ানো হয়েছে। আরও একটি সিক নিউবর্ন কেয়ার ইউনিট হচ্ছে শ্রীরামপুর ওয়ালস সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে।

আনুমানিক ৩০৭টি এসএনএসইউ তৈরী করা হয়েছে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে। আনুমানিক ১৩টি পিআইসিইউ এবং ১৫টি এনআইসিইউ তৈরী করা হচ্ছে। আরও দুটি পিআইসিইউ তৈরী হচ্ছে।

অন্যান্য শিশু স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর পাশাপাশি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি ওয়ার্ড এবং চারটি ডায়ালিসিস মেশিন বসানো হয়েছে।

টীকাকরণ ও পুষ্টি

রাজ্য জুড়ে শিশু স্বাস্থের দিকে নজর রেখে জোর দেওয়া হয়েছে টীকাকরণে। রাজ্যের ১০০ শতাংশ শিশুকে টীকা দেওয়া সম্পন্ন হয়েছে।

অপুষ্ট শিশুদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা ও শিক্ষাদানের জন্য ৫১টি নিউট্রিশন রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার তৈরী করা হয়েছে বিভিন্ন জেলায়। এই সকল ব্যবস্থা নেওয়ার ফলে শিশুমৃত্যুর হার কমে হয়েছে প্রতি হাজারে ২৫ জন যেখানে জাতীয় গড় ৩৪।