সাম্প্রতিক খবর

অগাস্ট ১৩, ২০১৯

শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর মতাদর্শে বাংলা যুগ-যুগ ধরে শান্তির বার্তা দিয়ে আসছে-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর মতাদর্শে বাংলা যুগ-যুগ ধরে শান্তির বার্তা দিয়ে আসছে-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ বিশ্বের সর্বপ্রথম শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু মিউজিয়ামের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ষোড়শ শতকের সন্ত এবং বৈষ্ণব প্রথার প্রতিষ্ঠাতা চৈতন্যদেবের ওপর নির্মিত এই সংগ্রহশালা।

বাগবাজার সার্বজনীন দুর্গাপুজা প্রাঙ্গণে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হল। সর্বসাধারণের জন্য ১৪ই আগস্ট এই সংগ্রহশালা খুলে দেওয়া হবে।
চৈতন্যদেবের শান্তি ও ভালোবাসার বার্তা ছড়াতেই এই সংগ্রহশালা। এই সংগ্রহশালাটি ত্রিস্তরীয়। ১৩৫০ বর্গ মিটার এই সংগ্রহশালার ১০০০ বর্গ মিটার গ্যালারি। এই অনুষ্ঠানের আয়োজক গৌড়ীয় মিশন, বাগবাজার।

মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের কিছু অংশঃ

এখানে উপস্থিত সকল মহারাজ, ভক্তদের ও বাগবাজার পুজো কমিটিকে শুভেচ্ছা।

বাগবাজার পুজো প্রাঙ্গণ সারা ভারতের সংস্কৃতি, রাজনীতির, সমাজনীতির সেতুবন্ধনের জায়গা। এখানকার পুজোয় অনেক মনীষীরা এসেছেন।
আমি গর্বিত শ্রী চৈতন্য সংগ্রহশালা সারা ভারতে তথা বিশ্বে প্রথম বাংলায় তৈরী হল। আপনাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।

কয়েকশো বছর ধরে শ্রী চৈতন্যদেব আমাদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। তিনি পাঁচশো বছর আগেও ভেদাভেদহীনতার কথা বলেছিলেন। সর্বধর্ম সমন্বয়ের কথা বলে গেছেন। সকল মনীষীরা যুগে যুগে একই বার্তা দিয়েছেন।

আমাদের জগত চলমান। পার্থিব মানুষ চলে যাবে কিন্তু তাঁর চিন্তন থেকে যাবে।
যে সকলকে বড় ভাবে, সেই বড় হয়। যে বড় হয়, তাকে অনেক অত্যাচার সহ্য করতে হয়।

আমাদের গুরুজন, শিক্ষকরা সকল মানুষের সঙ্গে থাকার শিক্ষা আমাদের দিয়েছিলেন।

রাজা রামমোহন রায় যখন সতীদাহপ্রথা বন্ধ করতে গেছিলেন, তাঁকেও অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছিল।

বাংলার, মেধা, সংস্কৃতি, মানবিকতা নিয়ে অনেকের হিংসা আছে। ভারতের অন্য কোনও প্রদেশকে বাংলা হিংসা করেনা, এটা বাংলার শিক্ষা, এটা বাংলার সভ্যতা, এটা বাংলার সংস্কৃতি।

বাংলাকে হিংসা করো না, বাংলাকে ভয় দেখিওনা। দেশ স্বাধীন হওয়ার সময় গান্ধীজী কলকাতায় ছিলেন। বাংলা যুগে যুগে শান্তির ধারা বহন করছে।
যারা দিল্লীতে বসে বলে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গাপুজো করতে দেয়না, তাদের বলি আমার আমলে বাংলায় লক্ষ দুর্গাপুজো হয়, ঘরে ঘরে লক্ষ্মীপুজো হয়, গণেশ পুজো হয়, ছট পুজো হয়, চৈতন্য মহাপ্রভুর পুজা হয়।

নবদ্বীপে আমরা সংস্কৃত টোল করছি, সংস্কৃত কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা দেওয়া হবে।

নবদ্বীপে ৭০০ একর জমির ক্লিয়ারেন্স দিয়ে দিয়েছি, এই জমির উপর নবদ্বীপে ইস্কন মন্দির তৈরী করা হবে।

মিউজিয়ামের জন্য সরকার থেকে ৫০ লাখ টাকা দেওয়া হবে এছাড়া সাংসদ তাঁর এমপি ল্যাড থেকে আরোও ৫০ লাখ টাকা দেবেন। মিউজিয়ামের জন্য বাড়ির ব্যবস্থা করে দেবে সরকার।

বাগজারের জন্য কলকাতা কর্পোরেশন থেকে একটা গেট তৈরী করে দেবে।

বাগবাজারে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর ধর্মীয় ট্যুরিজম হাব করবে। সরকার হিন্দুদের ধর্মস্থান, তীর্থস্থানের জন্য অনেক কিছু করেছে।

আমরা মানবিকতায় বিশ্বাস করি, যা চৈতন্য মহাপ্রভু বিশ্বাস করতেন।

মানবিকতার কোনও জাত ধর্ম নেই। এটা সবাইকে ভালোবাসতে শেখায়। সবাইকে নিয়ে চলতে শেখায়, যাতে শান্তি পাওয়া যায়।

মাতৃতান্ত্রিক দেশ ভারতবর্ষ। তাই মা-বোনেদের সম্মান না করলে মানবিক হওয়া যায় না।

আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি আজ কলকাতা কর্পোরেশন হেরিটেজ ঘোষনা করেছে।