নভেম্বর ২৬, ২০১৯
উদ্বাস্তু কলোনি পাচ্ছে স্বীকৃতি

কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থার অধীনে থাকা এবং ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জমিতে যে–সমস্ত উদ্বাস্তু কলোনি রয়েছে, সেই সমস্ত কলোনিকে সরকার–স্বীকৃত কলোনি করার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। সোমবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকে স্থির হয়েছে, এই সমস্ত কলোনিতে যে–সব পরিবার রয়েছে, তাদের নিয়ম মেনে জমির স্বত্বঅধিকার দেওয়া হবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে ভূমি দপ্তর অনেক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এখন থেকে সব উদ্বাস্তু কলোনিকে নিয়মিতকরণ করা হবে।’
মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিন একরের চেয়ে বেশি জমিতে যদি কোনও কলোনি থাকে, সেক্ষেত্রে সমীক্ষা করে কত পরিমাণ জমি আছে, তা খতিয়ে দেখার পর স্বত্ব দেওয়ার জন্য বিধানসভায় বিল আনা হবে। ১৯৭১ সাল থেকে এই সমস্ত পরিবার এই কলোনিতে রয়েছে। টানা ১২ বছর কেউ কোনও জমিতে থাকলেই তার অধিকার জন্মায় ওই জমির ওপর। সে–ক্ষেত্রে এঁরা ৪৮ বছর ধরে রয়েছেন। তাই এঁদের নাগরিকের অধিকার দেওয়া হল। জীবিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার দেওয়া হল।’
মন্ত্রিসভায় গৃহীত সিদ্ধান্তঃ
রাজ্য সরকারের জমিতে উদ্বাস্তু কলোনিতে থাকা ১৩ হাজার ৩৫৩টি পরিবারকে আগেই জমির স্বত্ব দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার ও ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জমিতে ১ লক্ষ ২৫ হাজার পরিবার রয়েছে। এখন কেন্দ্রীয় সরকারি জমির পরিমাণ ৯৭৩.২৯৯ একর। ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জমির পরিমাণ ১১৯.৫৭২ একর। এই জমিতে ১১ হাজার ৯৮৬টি পরিবার রয়েছে। এই সমস্ত জমিতে কৃষিজমি যেমন আছে, দোকান আছে, অনেকেই নিজের ঘরে ছোট ছোট ব্যবসা চালান। মুখ্যমন্ত্রী মনে করেন, জমির স্বত্ব পেলে এই সব দোকান, ব্যবসাকে সরকার স্বীকৃতি দিতে পারবে। ব্যবসা করার জন্য লাইসেন্সও পেতে পারবেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭১ সালে এই সব উদ্বাস্তু পরিবার এখানে রয়েছেন। তারা ভোটও দেন। তা হলে তারা কেন বাকি গণতান্ত্রিক অধিকার পাবেন না? তাই এই সব কলোনিকে নিয়মিতকরণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল মন্ত্রিসভায়।’প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে একটি বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে–থাকা ৯৪টি উদ্বাস্তু কলোনিতে বাস–করা পরিবারগুলিকে জমির স্বত্ব দেওয়া হবে।
সৌজন্যেঃ আজকাল