সাম্প্রতিক খবর

সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৯

বাংলার হস্তশিল্পের চাহিদা বাড়ছে বিদেশে

বাংলার হস্তশিল্পের চাহিদা বাড়ছে বিদেশে

বাংলার কারুশিল্পীদের হাতের কাজ দেশ-বিদেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিদেশী পর্যটকেরা এ রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে তাঁদের তৈরী সামগ্রী কিনছেন। রাজ্যের অর্থ ও শিল্পমন্ত্রী ড. অমিত মিত্র এক আলোচনাচক্রে একথা জানিয়েছেন। ‘কালচার আ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’,’কালচারাল হাব’ ও রাজ্যের গ্রামীণ শিল্প নিয়ে এই আলোচনায় অংশ নেন বিশিষ্টরা।

তিনি বলেন, মহিলা শিল্পোদ্যোগীদের সংখ্যাও এ রাজ্যে বাড়ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাদ্ধ্যায় এই শিল্পীদের মাসে ১হাজার টাকা করে ভাতা দিচ্ছেন। বাউল শিল্পীরা ২টাকা কিলো দরে চাল পাচ্ছেন।

এই আলোচনায় অংশ নেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্র ও শিল্প দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব, বিশ্ব ব্যাঙ্কের পক্ষে আহমেদ এউইডা এবং ইউনেস্কোর এরিক ফল্ট, ইতালি, ইংল্যান্ড -সহ কলকাতার বিভিন্ন দূতাবাসের কনস্যুল জেনারেল। ছিলেন বাউল, ভাওয়াইয়া ও কারুশিল্পীরা।

বাংলার ডোকরা, পটচিত্র, মাদুর, কাঠের মুখোশ, টেরাকোটা, ছৌ মুখোশ জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন পেয়েছে। কাঁথা শিল্প, কাঠ ও মাটির পুতুল, শীতলপাটি জিআই স্বীকৃতির অপেক্ষায় রয়েছে, জানিয়েছেন রাজ্যের অর্থ ও শিল্পমন্ত্রী । তিনি বলেন,“১৫টি জেলায় হাব করা হয়েছে। ১ লক্ষ ২০ হাজার পর্যটক এসব জায়গায় ঘুরে নানা জিনিস কিনেছেন। বাংলার কৃষ্টি ও সংস্কৃতি তাঁদের উদ্বুদ্ধ করেছে। এখন ২৫ হাজার শিল্পী কাজ করেন। ভবিষ্যতে ১ লক্ষ শিল্পী এই কাজের সঙ্গে যুক্ত হবেন। এখন শিল্পীদের জীবনধারাও বদলে গেছে । আগে তাঁদের গড় মাসিক আয় ছিল ৫০০ টাকা । এখন সেটা ১৫ গুণ বেড়ে ৭হাজার ৫০০ টাকা হয়েছে। বছরে শিল্পীদের টার্নওভার ১০০ কোটি টাকা। ইউনেস্কো সবধরনের সহযোগিতা করছে। বিশ্ব ব্যাঙ্কও এগিয়ে এসেছে। বাংলার বালুচরি শাড়ি ও মসলিন বিশ্বের নজর কেড়েছে । এ রাজ্যে ৫০৮টি ক্লাস্টার করা হয়েছে। নতুন ধরনের নকশা তুলছেন শিল্পীরা । তাঁদের কম্পিউটারের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। নতুন বাউল শিল্পীদের গান সাড়া ফেলে দিয়েছে। শাঁখ শিল্পে বিদেশী পর্যটকদের আগ্রহ বাড়ছে। নতুন নতুন কারুশিল্পীদের আমরা খুঁজে বের করছি।’

মন্ত্রী বলেন, তন্তুজ এবছর ১৪ কোটি টাকা লাভ করেছে। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও বিশ্ববাংলার স্টলে বিক্রী বাড়ছে।