সাম্প্রতিক খবর

সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৯

হেরিটেজ তালিকায় রাজ্যের ৯টি স্থাপত্য

হেরিটেজ তালিকায় রাজ্যের ৯টি স্থাপত্য

এ বার হেরিটেজ তকমা পেল কলকাতা, ব্যারাকপুর, চন্দননগর এবং হুগলির ৯টি প্রাচীন স্থাপত্য। এদের মধ্যে ব্যারাকপুরের চারটি, চন্দননগরের তিনটি নাম।

তালিকায় উল্লেখযোগ্য নাম রাজ্যের দুই মন্দির। দক্ষিণেশ্বরের আদলে তৈরী ব্যারাকপুরের শিবশক্তি অন্নপূর্ণা মন্দির। হুগলীর পোলবার মহানাদের ব্রক্ষ্মময়ী কালীমাতা মন্দির।

এর পাশাপাশি চন্দন নগরের কৃষ্ণা ভবানী নারী শিক্ষা মন্দির, প্রবর্তক সঙ্ঘের শ্রীমন্দির, নন্দলাল ভড়ের বাড়ি। ব্যারাকপুরের স্টুয়ার্ট সাহেবের কুঠি (যা নীলকুঠি হিসেবে পরিচিত), সেন্ট বার্থোলোমিউস ক্যাথিড্রাল, কমনওয়েলথ ওয়ার কবরখানা। কলেজ স্ট্রিটের দেবসাহিত্য কুটির প্রকাশনা ভবনও রয়েছে এই তালিকায়। এই প্রতিটি মন্দির ও ভবনের পিছনেই রয়েছে এক একটি ইতিহাস। দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিণী মন্দির তৈরী করেছিলেন রাণী রাসমণি। ২০ বছর বাদে তার ছোট মেয়ে জগদম্বা দেবী ১৮৭৫ সালের ১২ এপ্রিল শিবশক্তি অন্নপূর্ণা মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। দক্ষিণেশ্বরের নয় চূড়া বিশিষ্ট নবরত্ন মন্দিরের আদলের তৈরী।

এই মন্দির চত্বরেই নীলকর সাহেব স্টুয়ার্ট সাহেবের কুঠি। যা মন্দিরের জমি কেনার সময়ই কেনা হয়েছিল। এলাকায় তখন এটি নীলকুঠি হিসেবেই পরিচিত ছিল। বর্তমানে এখানে ভাড়ায় রয়েছে দমকল। রক্ষণাবেক্ষণের অভাব রয়েছে। আর ব্যারাকপুর সদরবাজারে রয়েছে ব্রিটিশ সৈনিকদের সমাধিস্থল। কাছেই সেন্ট বার্থোলোমিউস ক্যাথিড্রাল।

চন্দননগরে ১৯২৬ সালে হরিহর শেঠ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন কৃষ্ণা ভবানী নারী শিক্ষা মন্দিরের বাড়িটি। চনন্দননগরের হেরিটেজ আন্দোলনের উদ্যোক্তা কল্যাণ চক্রবর্তী বলেন, ‘এটাই জেলায় মেয়েদের প্রথম ইংরাজি মাধ্যম উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।’ আর রয়েছে চন্দন নগরের প্রাচীন শ্রীমন্দির। যা অনেকের কাছে ‘কনে বউ মন্দির’। যা এখন নিয়ন্ত্রণ করে প্রবর্তক সঙ্ঘ। অরবিন্দ ঘোষের ভাবধারায় তৈরী দেশীয় ভাবধারায় পরিচালিত সমাজসেবা কেন্দ্র। প্রতিষ্ঠাতা মতিলাল রায়। হেরিটেজ স্বীকৃতি পাচ্ছেন চন্দন নগরের নন্দলাল ভড়ের বাড়ি।

কমিশন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে, এখন থেকে এ সব মন্দির, মন্দির সংলগ্ন জমি, বাড়ি হাত বদল করা যাবে না। এর দেওয়াল বা সংলগ্ন এলাকায় হোর্ডিং পোস্টার নিষিদ্ধ। রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘রক্ষণাবেক্ষণ ও প্রমোটারি থাবা থেকে রক্ষা করতেই কমিশন এই সিলমোহর দেওয়ার সিদ্ধান্ত। যেখানে এ ধরনের হেরিটেজ সাইট রক্ষণাবেক্ষণের কেউ নেই, সেখানে সরকারকেই বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে। তা নিয়ে ভাবনা চিন্তাও শুরু হচ্ছে।’