সাম্প্রতিক খবর

এপ্রিল ২৫, ২০২২

শুরু হলো ২৭ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব

শুরু হলো ২৭ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব

আজ নজরুল মঞ্চে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবছরের সহযোগী দেশ ফিনল্যান্ড। দেখানো হবে ৪০ টি দেশের ১৬৩ টি ছবি। এবার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা।

প্রয়াত লতা মঙ্গেশকর, দিলীপ কুমার, বাপ্পি লাহিড়ি, সন্ধ্য়া মুখোপাধ্যায়দের স্মৃতিচারণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলে, আমি বঙ্গবিভূষণ দিতে চেয়েছিলাম লতাজিকে মুম্বইতে গিয়ে। কিন্তু সেই সুযোগ হল না। সন্ধ্যাদি এত ভালো শিল্পী হয়ে আমার কাছে গান শুনতে চাইতেন… বাপ্পিদার মনটা অনেক বড় ছিল। খুব দু:খ পাই, যখন তাঁদের কথা মনে পড়ে। কিছুদিন আগে অভিষেক চলে গেল।

তাঁর কথায়, সিনেমা মানে শুধু অভিনয় নয়। গান দরকার, মাটি দরকার, টান দরকার, সভ্যতা দরকার। সভ্যতা গড়ে মানবিকতা। টেলিফিল্ম যেভাবে অর্থনীতিকে এগিয়ে দিচ্ছে, নানারকম সাংসারিক কাহিনি দেখে মানুষ খুশি হচ্ছেন। বাংলার সিনেমা পৃথিবীর সেরা। বাংলা সারা পৃথিবীর সবচেয়ে গভীর শিকড়ের টান। বলিউডের টাকা রয়েছে, অনেকে লগ্নি করতে পারেন। বাংলায় সেটা নেই। খুব কম। তা সত্ত্বেও ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে কাজ পান, ভবিষ্যৎ তৈরি করে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের ইকনকিম ওয়ার্লডের মধ্য়ে যুক্ত করতে হবে। শত্রুঘ্ন জিকে অনুরোধ করব, আপনি বলিউডে কথা বলতে পারেন। সেখানে অনেকে লগ্নি করতে পারেন সিনেমার জন্য। এখানে প্রতিভা রয়েছে।

রাজ্যের সিনেমা শুটিংয়ের অনুকূল পরিবেশ সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বারুইপুরে টেলি অ্য়াকাডেমি হয়েছে, সেখানে সব রকম আধুনিক পরিকাঠামো রয়েছে। টালিগঞ্জের রাধা স্টুডিও সংস্কার করা হয়েছে। পাশেই বাংলা সিনেমার ইতিহাস সংরক্ষণের জন্য সিনে মিউজিয়াম গড়ে তুলছি। সেখানে পুরনো ছবির রিল সংরক্ষণের উদ্দেশে, দুষ্প্রাপ্য রিলের কাজ চলছে। চলচ্চিত্র শতবর্ষ ভবনে এবার থেকে রেগুলার ছবি দেখানো হবে। বাংলা সিনেমা, রিজিওনাল সিনেমা প্রায়োরিটি দেওয়ার জন্য সরকার সবরকম ব্যবস্থা নিয়েছে। ৫ বছর টেকনিশিয়ান স্টুডিওর ফ্লোরের কোনও ভাড়া বাড়ানো হয়নি।

তাঁর কথায়, সংস্কৃতি আমাদের পথ দেখায়। বাংলার চলচ্চিত্রকে আরও গুরুত্ব দিয়ে পার্টনারশিপ প্রোগ্রাম করা যায় সারা বছর। বিজিবিএসে এবার থেকে সিনেমার জগৎকে ডাকা হবে। আমার স্বপ্ন সেরা বংলা, বিশ্ববাংলা। হৃদয়কে মুক্ত করে, পল্লবিত করে, কুসমিত করে, আলোকিত করে আমরা যেন আগামী দিনে এগিয়ে যেতে পারি। এটাই আমাদের মোটো। যাঁরা হারিয়ে গিয়েছেন, তাঁদের খুঁজে পাব না। তাঁদের সব কাজ আমরা যেন মনে রাখি।