অগাস্ট ১৪, ২০১৯
১০টি উল্লেখযোগ্য তথ্য কন্যাশ্রী প্রকল্পের
প্রতি বছর ১৪ই দিবস রাজ্য সরকার কন্যাশ্রী দিবস পালন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রকল্পের সাফল্য উদযাপন করতে। মহিলা ও শিশু কল্যাণ দপ্তর এই প্রকল্পের দায়িত্বে আছে।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় কন্যাশ্রী প্রকল্পের সূচনা হয় ২০১৩ সালের ১লা অক্টোবর। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য নাবালিকা বিবাহের অবসান ঘটানো ও মেয়েদের শিক্ষার প্রসার করা।
এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক এই প্রকল্পের বিষয়ে কিছু উল্লেখযোগ্য তথ্যঃ
১. উপকৃতঃ রাজ্যের ১৭,৪০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫৮ লক্ষ ছাত্রী এখনও পর্যন্ত কন্যাশ্রীর আওতায় এসেছে।
২. বৃত্তির মূল্যঃ ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সের ছাত্রীদের কে ১ লেভেলে বছরে ১ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হয়। কে ২ স্তরে এককালীন ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয় এবং কে ৩ অর্থাৎ স্নাতকোত্তর স্তরে কলা বিভাগে প্রতি মাসে ২ হাজার ও বিজ্ঞান বিভাগে আড়াই হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।
৩. অর্থ বরাদ্দঃ প্রকল্পের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত ৭,০০০ হাজার কোটিরও বেশি টাকা বরাদ্দ হয়েছে।
৪. স্কুলছুটের হার কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবেঃ স্কুলছুটের হার কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। এর ফলে স্কুলের ছাত্রীদের ভর্তির শতাংশ বেড়েছে ৭৩ শতাংশ (৫.৬২ লক্ষ থেকে বেড়ে ৯.৭৪ লক্ষ)।
৫. কন্যাশ্রী ক্লাবঃ ২০১৬ সাল থেকে সারা রাজ্যে মেয়েদের বলিষ্ঠ করতে কন্যাশ্রী ক্লাব তৈরী করা হয়েছে। আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ, বিভিন্ন দক্ষতা প্রশিক্ষণ, ক্রীড়া প্রশিক্ষণ, সচেতনতা বৃদ্ধি, নাবালিকা বিবাহ রুখতে প্রচার এইসবই এই ক্লাবের মূল উদ্দেশ্যে।
৬. কন্যাশ্রী দিশারিঃ উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় চালু হয়েছে “কন্যাশ্রী দিশারি” প্রকল্প। কন্যাশ্রী প্রাপকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে শুরু হয়েছে এই প্রকল্প।
৭. স্বপ্নের ভোরঃ কে ২ স্তরের কন্যাশ্রী যারা ১৮ বছর বয়স অতিক্রম করেছে, তাদের কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে স্বনির্ভর হওয়ার লক্ষ্যে।
৮. কন্যাশ্রী স্বাবলম্বীঃ এই প্রকল্পের অধীনে সেলাই, নার্সিং, হস্তশিল্পে প্রশিক্ষণ দিতে প্রতি ব্লকের সদরে কন্যাশ্রী বিল্ডিং তৈরী করা হচ্ছে যেখানে বই, কম্পিউটার, ইন্টারনেট এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থাকবে।
৯. আন্তর্জাতিক পুরষ্কারঃ এই প্রকল্প ই-গভর্নেন্স বিভাগে ২০১৬ সালে United Nations WSIS 2016 পুরস্কার পায়। UN WOMEN & ITU আয়োজিত GEMTech Awards 2016 তে চূড়ান্ত পর্যায় অবধি পৌঁছেছে কন্যাশ্রী প্রকল্প। কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য রাজ্য সরকার রাষ্ট্রসঙ্ঘের জনসেবা বিভাগে প্রথম পুরষ্কার পেয়েছে ২০১৭ সালে।
১০. জাতীয় পুরষ্কারঃ ২০১৫ সালে কন্যাশ্রী প্রকল্প Skoch Award ও Order of Merit Award পায় এবং জন্য, ২০১৪-১৫ সালে CSI-Nihilent অ্যাওয়ার্ড পায় ই-গভর্নেন্সের জন্য। কেন্দ্রীয় সরকারের Department of Administrative Reforms and Public Grievances এই প্রকল্পকে ২০১৪-১৫ সালে ন্যাশানাল ই-গভর্নেন্স পুরস্কার দিয়েছে।