January 2, 2023
রাজনৈতিক প্রতিহিংসার নামে এই রাজ্যে যে কুকথা বলা হয়, তা দেশের অন্য কোথাও হয় না : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হল তৃণমূলের বিশেষ কর্মী সম্মেলন। এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন তৃমমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ আরও নেতা নেত্রীরা। এই অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর বক্তব্য :
আজকে যারা কাজ নেই কর্ম নেই, অকাজ – কুকাজ, এবং বড় বড় কথা বলে বেড়ান। তাদের আমি বলব, আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম
আমরা কিন্তু কখনও ডেসট্রাক্টিভ কিছু করিনি। কন্সট্রাক্টিভ করেছি। একটা রাজনৈতিক দল যখন তৈরি হয় তখন তার অনেক দায়বদ্ধতা থাকে। দায়বদ্ধতাকে মানতে গিয়ে কোথাও কোথাও অনেক কঠিন পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়। আমরা বিরোধী আসনে থাকাকালনীন যেমন ডেডিকেটেড ছিলাম। মানুষের ওপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে একমত হয়েছিলাম। আজও সেই সংগ্রামই করতে হচ্ছে।
বাংলায় ১০ কোটির বেশি মানুষ। উন্নয়নের কাজের দিকে নজর না দিয়ে একটা-দুটো ঘটনা নিয়ে মিডিয়া হইচই করছে। একটা-দুটো ঘটনাও কাম্য নয়।
মার্চে বছর শেষ হয়। আবাস যোজনার টাকা পাঠাচ্ছে ডিসেম্বরে। কীভাবে ওই সময়ের মধ্যে টেন্ডার ঢেকে কাজ হবে? এটা আমাদের ব্যর্থ হিসেবে দেখানোর একটা চেষ্টা। এটা অসহযোগিতা। আমার অসহযোগিতা চাই না, আমরা সহযোগিতা চাই।
কেন্দ্র ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা দিচ্ছে না। তারপরও আমাদের থেকে ২,০০০ কোটি টাকার বেশি ৪৮ লাখ কর্মদিবস তৈরি করা হয়েছে।
গ্রাম পঞ্চায়েতের টাকা আগে রাজ্য সরকারের মাধ্যমে যেত। এখন সরাসরি যায়। তাই নজরদারি রাখার কাজটা কঠিন। কিন্তু রাজ্য সরকার সেটা করছে। তাই বিডিও ও অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে ডাকা হয়। দেখে রাখতে হবে যে এখানে কী কাজ হচ্ছে না, কেন হচ্ছে না, সেটা জানতে হবে। কৈফিয়ৎ তো পঞ্চায়েতকে দিতে হবে না। মানুষের কাছে আমায় কৈয়িফৎ দিতে হবে।
আমরা মানুষের কাছে দায়বদ্ধ। আমরা যত এগোব, তত তৃণমূলের দায়বদ্ধতা বাড়বে।
দুয়ার সরকারের মতো মানুষের দরজায় পৌঁছাবে তৃণমূল কংগ্রেস। দুয়ারে সরকারের অপর একটা রূপ হল দিদির সুরক্ষাকবচ।
দিদির সুরক্ষাকবচ নামটা আমার দেওয়া নয়। তৃণমূলের তথ্যপ্রযুক্তি সেল সেই নাম দিয়েছে।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসার নামে এই রাজ্যে যে কুকথা বলা হয়, তা দেশের অন্য কোথাও হয় না।
আমরা ঐক্যবদ্ধ ভারত চাই। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো মজবুত করতে হবে। বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের পক্ষে আমরা।