April 15, 2024
বিজেপি সবচেয়ে বড় ডাকাত : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ কোচবিহারের রাসমেলার মাঠে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনসভা করেন। ওই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বসুনিয়া সমর্থনে প্রচার করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য :
আগামী দিনে সারা পৃথিবীর ইতিহাসে কোচবিহারের নাম জ্বলজ্বল করবে। বিজেপি দেখবে, জ্বলবে আর লুচির মতো ফুলবে।
মোদী আগের দিন এখানে এলেন। জলপাইগুড়িতে ঝড়ে বিধ্বস্ত মানুষগুলোর কথা বললেন না। তৃণমূল নাকি দুর্নীতিগ্রস্তদের পার্টি! আগে আয়নায় নিজের মুখ দেখুন। বিজেপি সবচেয়ে বড় ডাকাত।
ক্ষমতা থাকলে ঘোষণা করুন শ্বেতপত্র। বাংলায় কোথায় কটা দুর্নীতি হয়েছে, কমিশনের রিপোর্ট ঘোষণা করুন। সেই সঙ্গে উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত, মহারাষ্ট্রের কথাও ঘোষণা করুন। বাংলা চোর নয়। চ্যালেঞ্জ করছি।
ইস্তাহারে দেখলেন তো, আমি যা বলেছিলাম তাই হল। আমি আগে বলি, পরে সবাই সেটা বলে। ইউনিফর্ম সিভিল কোড ইস্তাহারে রেখেছে। দেশ তো বেচে দিচ্ছে। তফসিলিদের কোনও পরিচয় থাকবে না। আদিবাসীদের অধিকার থাকবে না।
ওঁরা বলছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর লোন বাড়াবেন। টাকাই তো দেন না। লোন বাড়াবেন কী করে? আমাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সংখ্যা ৯০ লাখ। স্কুলের পোশাক তারাই তৈরি করে। এই গোষ্ঠীর জন্য আগামী দিনে বড় বাজার তৈরি করে দেব। ওরা নিজে রোজগার করবে।
এখানকার বিজেপি প্রার্থী গুন্ডাদের মাফিয়া। আগের বারের শীতলখুচির মতো আবার গুলি চালিয়ে দেবে। ১৭ তারিখ ওদের হিংসা করার দিন। সকলকে বলছি, গালাগালি দিলেও মাথা ঠান্ডা করে আল্লাকে ডাকবেন। প্ররোচনায় পা দেবেন না। ওরা হিংসা চায়। ভোট চায় না।
আয়ুষ্মান ভারত’ কেন করব? ওই প্রকল্পে কেউ চাকরি করলে, স্কুটার চালালে টাকা পাবেন না। কাটছাঁট করে মাত্র এক কোটি লোক পেতেন। বাকি ১০ কোটি পেতেন না। আমরা দেখি না কার সাইকেল আছে , কার মোটর আছে।
অভিষেকের একটা বৈঠক ছিল। ওর কপ্টারে আয়কর চলে গিয়েছে। সেখানে নাকি সোনা আর টাকা আছে। আমরা ও সব নিয়ে ঘুরি না। ওটা বিজেপি করে। আমাদের কিছু প্রয়োজন হলে মায়ের কাছে আঁচল পেতে দাঁড়াব।