April 15, 2024
বিজেপির নেতারা দিল্লি গিয়ে বলে আসেন বাংলাকে টাকা দিতে হবে না : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ আলিপুরদুয়ারের বীরপাড়ার ডিমডিমা চা-বাগানের যাত্রা ময়দানে তৃণমূল প্রার্থী প্রকাশ চিক বরাইকের সমর্থনে প্রচারে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের কিছু অংশ
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জায়গার নাম জানেন না, অথচ প্রচারে এসেছেন বাংলায়। এরা দেশের মানুষের স্বাধীনতা, ধর্ম, অধিকার সব নষ্ট করে দেবে। আপনারা কি চান যে বিজেপি সব কিছু বিক্রি করে দিক?
আমাদের খুব কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে নির্বাচন করতে হচ্ছে। তিন মাস ধরে ভোট হচ্ছে। মানুষের সুবিধা-অসুবিধার কথা কিছুই বোঝে না ওরা। বিজেপির কিসে সুবিধা হবে, শুধুমাত্র সেটাই দেখা হচ্ছে। বিরোধীদের আওয়াজ কেড়ে নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কেউ আওয়াজ করলে জেলে পুরে দেওয়া হয়। যে সব সরকারি আধিকারিকেরা ভাল কাজ করেন, তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়। অথচ সিবিআই, ইডির চোর অফিসারদের কাজে লাগানো হয়। অনেক প্রধানমন্ত্রী দেখেছি। এ রকম কোনও প্রধানমন্ত্রী দেখিনি
যারা চোর, তারা গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেয়। আমাদের মুর্শিদাবাদের ডিআইজিকে সরিয়ে দেওয়া হল বিজেপির কথায়। এখন মালদহ-মুর্শিদাবাদে যদি হিংসা হয়ে যায়, তা হলে তার দায় নির্বাচন কমিশনকে নিতে হবে। আমি জানি কারা হিংসা সামলাতে পারে। কমিশন বিজেপির কথায় রাজ্য থেকে বেছে বেছে অফিসারদের সরিয়ে নিয়েছে। একটাও হিংসার ঘটনা ঘটলে আমরা আপনাদের ধরব। আমি যদি কৃষকদের জন্য ২৬ দিন অনশন করতে পারি, তা হলে আপনাদের অফিসের সামনেও ৫২ দিন ধর্না দিতে পারি। দেখে নেব, কত জেল আর পুলিশ আছে। কত মারবেন দেখে নেব। আমি লড়তে জানি
আলিপুরদুয়ারের জমির সমস্যা মিটিয়েছি। চা-বাগানের জমির সমস্যাও মিটিয়েছি। নির্বাচনের পর ফালাকাটায় আসব
বিজেপির নেতারা দিল্লি গিয়ে বলে আসেন বাংলাকে টাকা দিতে হবে না। ওরা প্রকল্পের টাকা দেয় না। চা-বাগান বন্ধ করে দিয়েছিল। আমি সমস্যা মিটিয়ে দিয়েছি। ১০০ দিনের কাজের জন্য কেন্দ্রের ভরসায় থাকতে হবে না
দেশকে রক্ষা করতে হবে। মানুষকে এবং তাঁদের অধিকার বাঁচাতে হবে। মানুষ এই লড়াইয়ে শামিল না হলে বিজেপি দেশকে বিক্রি করে দেবে। ভবিষ্যতে কোনও ভোট হবে না দেশে