October 3, 2019
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদ্বিশতবর্ষে । পার্থ চট্টোপাধ্যায়

জগতে এক-একজন মানুষ জন্মগ্রহণ করেন, যাঁদেরকে ভাষা দিয়ে বা বিশেষ মাপকাঠি দিয়ে সম্পূর্ণ করে প্রকাশ করা যায় না। তাদের জীবনাচরণ, কর্মদীপ্তি, চরিত্র, সাধারণ সামাজিক পরিমাপের মানদণ্ডগুলিকে ওলোট-পালট করে দেয় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সেই অকল্পনীয় পরিমাপের মানুষ। আচার্য্য রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী তার ‘চরিত-কথা’ গ্রন্থে লিখেছিলেন—“ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এত বড় ও আমরা এত ছোট, তিনি এত সোজা ও আমরা এত বাঁকা, যে, তাহার নামগ্রহণ আমাদের পক্ষে বিষম আস্পর্ধার কথা বলিয়া বিবেচিত হইতে পারে।
বাঙালি জাতির প্রাচীন ইতিহাস কেমন ছিল, ঠিক স্পষ্ট জানিবার উপায় নাই। লক্ষ্মণ সেন ঘটিত প্রাচীন কিংবদন্তী অনৈতিহাসিক বলিয়া উড়াইয়া দেওয়া যাইতে পারে;কিন্তু পলাশির লড়াই-এর কিছুদিন পূর্ব হইতে আজ পর্যন্ত বাঙালির চরিত্র ইতিহাসে যে স্থানে লাভ করিয়া আসিয়াছে, বিদ্যাসাগরের চরিত্র তাহা অপেক্ষা এত উচ্চে অবস্থিত যে, তাহাকে বাঙালি বলিয়া পরিচয় দিতেই অনেক সময় কুন্ঠিত হইতে হয়। বাগ্যত, কর্মনিষ্ঠ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ও আমাদের মতো বাকসর্বস্ব সাধারণ বাঙালি, উভয়ের মধ্যে এত ব্যবধান যে, স্বজাতীয় পরিচয়ে তাহার গুণকীর্তন দ্বারা প্রকারান্তরে আত্মগৌরব খ্যাপন করিতে গেলে, বোধ হয়, আমাদের পাপেরো মাত্রা আরও বাড়িয়া যাইতে পারে।”
To read the full article, collect your copy of ‘Jago Bangla Festive Edition 2019’ from the Jago Bangla stall at your nearest Durga Puja. The e-paper of the special edition will be available online after Bijoya Dashami.
এই প্রবন্ধের বাকি অংশটুকু পড়তে ‘জাগো বাংলা উৎসব সংখ্যা ১৪২৬’ সংগ্রহ করুন আপনার নিকটতম দুর্গাপুজো মণ্ডপের জাগো বাংলা স্টল থেকে। বিজয়া দশমীর পর অনলাইনে পাওয়া যাবে ‘জাগো বাংলা উৎসব সংখ্যা ১৪২৬’।