July 8, 2024
আমাদের না জানিয়ে ফরাক্কা চুক্তি রিনিউ করা হচ্ছে : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ওনার বক্তব্যের কিছু অংশ
উত্তরবঙ্গে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে, আমি রিপোর্ট থেকে দেখেছি। দরকারে যোগাযোগের জন্য নম্বর দেওয়া হল। ভূমিক্ষয়ের সমস্যাও রয়েছে।
গঙ্গার ভাঙন কেন্দ্রের দেখার কথা। ১০-১২ বছর ধরে দেখছে না। ফরাক্কার ড্রেজিং করেনি। বাংলাদেশের সঙ্গে যখন চুক্তি হয়, তখন কথা ছিল, বাংলাদেশে যে জল যাচ্ছে, আমাদের যাতে সমস্যা না হয়, ড্রেজিং করা হবে। ভাঙনে অনেক বাড়ি তলিয়ে গেছে। ৭০০ কোটি টাকার প্যাকেজ তৈরি হয়। আমি এমপি ছিলাম, জানতাম। আজ পর্যন্ত দেয়নি।
আমাদের না জানিয়ে ফরাক্কা চুক্তি রিনিউ করা হচ্ছে। বাংলায় বর্ষা বেশি। নদীমাতৃক দেশ। এখানে নদী, সমুদ্র, পুকুর বেশি। অনেক পুকুর কেটেছি। জল ধরি, ভরি। উপকূলীয় অঞ্চলও রয়েছে। উত্তরবঙ্গ বন্যায় ভাসছে। সিকিমে বৃষ্টি। ধস নেমেছে। পর্যটক আটক। তাঁরা যাতে ফিরে আসতে পারেন, দেখো।বর্ষায় পাহাড়ে অ্যাডভেঞ্চার না করাই ভাল। গরমে যান।
গঙ্গার ভাঙনে যে বাড়ি তলিয়ে গেছে, সেগুলি করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিল। ৭০০ কোটি টাকা আজ পর্যন্ত দেয়নি। ফরাক্কা চুক্তি রিনিউ হলে বিহারও ভাসবে। মূল পক্ষ আমরা। আমাদের জানানো হল না। বলছে তিস্তার জল দেবে (বাংলাদশকে)। জল রয়েছে যে দেবে? উত্তরবঙ্গে কেউ পানীয় জল পাবেন না।
সিকিম যখন জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র করল, কেন্দ্রের দেখা উচিত ছিল। সে জন্য আজ মানুষকে ভুগতে হচ্ছে। জলপাইগুড়ির মানুষ জানেন, আগে করোলা নদী ভাসত। আমরা ২০ কোটি টাকা খরচ করে ব্যবস্থা করেছি। ভুটানের জল এসে আলিপুরদুয়ার ভাসে। জলপাইগুড়ি ভাসে।
কোটি কোটি টাকা খরচ করেও কিছু করতে পারছি না। উত্তরবঙ্গে ধস নামলে সেনার উচিত খেয়াল রাখা। সেখান দিয়ে তাঁরাই যাতায়াত করেন। জলপাইগুড়ি, মাল ক্ষতিগ্রস্ত। ৯টি ত্রাণকেন্দ্র তৈরি হয়েছে। ৫০০ জন রয়েছে। আগে জল জমত। আত্রাই নদীতে বাঁধ দেওয়ার সময়ও জানানো হয়নি। জলসঙ্কট তৈরি হয়েছে। আগে ইন্দো-বাংলাদেশ বৈঠকে যখন ডাকত, আমি বলেছি, কাজ হয়নি।
দুই দিনাজপুরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। এখন থেকে জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা করতে হবে। হয়তো ডিভিসি যখন-তখন জল ছাড়ে। এখন বলে দিয়েছি, না বলে ছাড়া যাবে না। আমাদের খানাকুল, আরামবাগ, গোঘাট, মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, ভাসে। মুকুটমণিপুর থেকে জল ছাড়লে বাঁকুড়া ভাসে। দুর্গাপুর ভাসে। ডিভিসি কতটা জল ছাড়বে, আমায় রোজ রিপোর্ট দিতে হবে। একবারে ১০০ ভাগ ছাড়া যাবে না। যখন দেখছে ৭৫ শতাংশ ভর্তি, তখন থেকে অল্প করে ছাড়লে সমস্যা হয় না। ওরা ড্রেজিং করে না।
ডিভিসির জলাধারে ২ লক্ষ মেট্রিক টন কিউসেক জল থাকতে পারে জলাধারে। কিন্তু ওরা ড্রেজিং করছে না। মাইথন পড়ে রয়েছে। মালদহেও সমস্যা হয় ভাঙনের। ২৫-৩০টি পরিবারকে সরানো হয়েছে।
জল জমলে রেলকে ব্যবস্থা নিতে হবে। এখান থেকে কম টাকা পান না তারা। ব্যবস্থা করতে হবে। জল জমলে ডেঙ্গির আশঙ্কা।