May 11, 2024
আমাকে রাজভবনে ডাকলে আর যাব না : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ সপ্তগ্রামে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে জনসভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ওনার বক্তব্যের কিছু অংশ
মাননীয় রাজ্যপাল, আমার কী দোষ আপনি বলুন? আমি তো জানিই না ঘটনা পুরো। আমাকে বলছেন, দিদিগিরি চলবে না। আপনি ইস্তফাটা কবে দেবেন? এক জন মহিলার উপর অত্যাচার করার আপনি কে?
ভয় পাবেন না, কপিটা আমার কাছে আছে। আমি রেখেছি। যেটা এডিট করেছেন সেটাও আমার কাছে আছে। এখনও তো সব বেরোয়নি। আর একটা পেন ড্রাইভ আমি পেলাম।আমাকে রাজভবনে ডাকলে আর যাব না। রাস্তায় ডাকবে, রাস্তায় গিয়ে দেখা করে আসব। যা কীর্তি শুনছি, আপনার পাশে বসাও পাপ
ফোন করে আমাদের নেতাকে বলেছে, যদি বসে না যাস তা হলে ভোটের পর দেখে নেব। তৃণমূল কাউকে ভয় পায় না। ৩৪ বছর লড়াই করে সিপিএমকে যদি ছুড়ে ফেলতে পারি, তা হলে আপনাকেও ভারতবর্ষ থেকে ছুড়ে ফেলে দেব, এটা মাথায় রাখবেন।
রচনা ভোটে দাঁড়াতে চাইছিল না। আমাকে বলেছিল, দিদি আমি কোনও দিন রাজনীতি করিনি। আমি ওকে বলি, আমরা কেউই বুঝতাম না। মানুষের কাজ করাই হল আসল কথা। আর এখানে দাঁড়ালে তোমার সুবিধাই হবে। দিদি নম্বর ওয়ানে আরও অনেক কিছু করতে পারবে। রচনাকে রাজি যখন করালাম, আপনারা কি ওকে ভোটটা দেবেন না?’
তৃতীয় দফার পর তো চোখ ফেটে জল বেরিয়ে এসেছে। আরও দেখতে থাকুন।
সন্দেশখালিতে কী হয়েছিল, আপনারা সবাই দেখেছেন ওখানে জঘন্য অপরাধ হয়েছে। একটা মেয়ের আত্মসম্মান চলে গেলে আর ফিরে আসে না। সে জানেও না, তাকে দিয়ে লিখিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এটা আগেকার দিনে হত। বেচারা জানতেই পারত না।
বলছে, লক্ষ্মীর ভান্ডার তুলে দেব। আমি বলি, হাতটা দিয়ে দেখো, তার পর কী করি… সারা জীবন আমি কম মার খাইনি। কিন্তু আমাকে ধমকে, চমকে কাজ হবে না। আপনি যদি চমকে বলেন, এটা করতে হবে, ঠাসিয়ে দুটো চড় মারব। আমি ঘরেও শাসন করি, বাইরেও করতে পারি।