Latest News

April 21, 2024

আজ পর্যন্ত সাংবাদিক বৈঠক করতে দেখিনি : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ পর্যন্ত সাংবাদিক বৈঠক করতে দেখিনি : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

দ্বিতীয় দফার ভোটের প্রচারে উত্তরবঙ্গে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বালুরঘাটে তৃণমূলের প্রার্থী বিপ্লব মিত্রের প্রচারে অংশগ্রহণ করলেন তিনি। বালুরঘাটে ওনার বক্তব্যের কিছু অংশ :

সময় কম, রোদ, ধুলোর ঝড়, এই অবস্থায় আমারও গলা ভেঙে যাচ্ছে। আপনারা কী ভাবে কষ্ট করে দাঁড়িয়ে রয়েছেন! অনেক ধন্যবাদ।

এটা বংলার নির্বাচন নয়। দিল্লির নির্বাচন। জবাব চাই জবাব দাও। যখন পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন আসে, হাজার বার কৈফিয়ত দেব। জবাব দাও গদ্দাররা।

একটা কাজ করেছ? কী করেছ? আবাস যোজনা, ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করেছ। সারা দেশ বিক্রি করেছ। ইতিহাস, ভুগোল বিক্রি করেছ। সময় থাকলে বিস্তারিত বলতে পারতাম।

বলে বোমা ফাটাব। একটা কালিপটকা ফাটিয়ে দেখো। বোমা তোমাদের বিরুদ্ধে ফাটাব। কালো টাকা কোথায় গেল? গদ্দা জবাব দাও। সকলকে ১৫ লক্ষ টাকা দেবে বলেছিল। কেউ টাকা পেয়েছেন? কোভিডের ইনজেকশন দিল। তাতেও প্রধানমন্ত্রীর ছবি।

দূরদর্শন দেখেছেন? মন কি বাত, তিনি নিজেই বলেন। নিজেই শোনেন। কাউকে বলতে দেন না। আজ পর্যন্ত প্রেস মিট করতে দেখিনি ওঁকে। নিজেরাই সাজিয়ে গুছিয়ে সমাজমাধ্যমে বসিয়ে দাও।

দূরদর্শনের রং গেরুয়া হচ্ছে কী ভাবে? রেল স্টেশনের রং কী ভাবে হচ্ছে? আমাদের গর্ব সেনাবাহিনীর বাড়ির রং গেরুয়া হচ্ছে। যাঁরা সাধু হচ্ছেন, তাঁদের অপমান নয়? কাশিতে পুলিশকেও গেরুয়া পরিয়েছেন। কবে বলবে দেখবেন, সকালে গেরুয়া শরবত খেতে হবে। কে কী পরবেন, রং পছন্দ করবেন নিজের বিষয়।

ওরা বলে, আমি এনআরসি করতে না দেওয়ার কে? কোন হরিদাসপাল। আমি বলেছি করতে দেব না। অসমে করেছিল। সেখানে প্রতিবাদ করেছিল একমাত্র তৃণমূল।

টাকা বাঁচাতে তৃণমূলের সব খেয়েদেয়ে এখন বিজেপিতে গেছিস। কার বিরুদ্ধে বোমা? মনে রাখবে উপরের দিকে থুতু ফেললে থুতু নিজের দিকে লাগে। বোমা ফাটালে জবাব হবে কালিপটকা দিয়ে।

সব থেকে বড় ডাকাত বিজেপি। বলে আমরা আবাস করতে দিইনি। ৪২ লক্ষ আবাস করেছি। সত্যি হলে কান মুলে ক্ষমা চাইবেন। সত্যি না হলে মিথ্যে বলবেন। সব পঞ্চায়েত আমাদের নয়। তা সত্ত্বেও সব দেখে ৪২ লক্ষ বাড়ি আগে করেছিয় আরও ১১ লক্ষ বাড়ি করব। কেন্দ্র এই টাকা একা দেয় না। মাছের তেলে মাছ ভাজে। বলে আমরা টাকা খেয়েছি। ৪২ লক্ষ বাড়ি ওরা একা করেছে।

জিজ্ঞেস করুন, হরিদাস গদ্দার। কী ছিলে, কী হয়েছ? আঙুল ফুলে কলাগাছ। কেন বিজেপিতে গেলে? টাকা বাঁচাতে, পরিবার বাঁচাতে। বিজেপি কাল থাকবে না, তোমাদের মতো গদ্দারদের জায়গা দেব না।

ভুলেও এনআরসির আবেদন করবেন না। করলেই বিদেশি করে দেবে।

বিজেপি দেশ বিক্রি করে দিয়েছে। সংবিধান ভেঙে দিয়েছে। আমাদের লোকেরা বুক চিতিয়ে সংসদে লড়াই করে। আপনাদের সাংসদ ঠান্ডা ঘরে ঘুমায়। কোনও কথা বলে না। বলে বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা দিয়ো না। যে লোক বলে বাংলাকে বঞ্চিত করো, টাকা দিয়ো না, তাঁদের আপনারা ভোট দেবেন? এঁরা বার বার প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে বলেছে বাংলাকে টাকা দেবেন না।

মানুষের আর কোনও ক্ষমতা থাকবে না। স্বাধীনতা থাকবে না এরা ক্ষমতায় এলে। এই নির্বাচনকে গুরুত্ব দিন। জলপাইগুড়িতে সিপিএম বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলেছে, ভোট বিজেপিকে দাও। ফরওয়ার্ড ব্লককে নয়। কংগ্রেস ভোট ভাগ করার জন্য দেখে দেখে দাঁড়িয়েছে। একটা বিজেপির আসন কমলে দিল্লিতে বিজেপির চলে যাওয়া।

কেন্দ্রীয় বাহিনী এনে পথ আটকালে খবর দেবেন পার্টি অফিসে। আমাদের লোক এসে আপনাদের পৌঁছে দেবে। এই জিনিস কোচবিহারেও হয়েছিল।