The Bengal Government is planning to go big with exporting fish, and it is setting up the infrastructure to go with that. In Digha, the government is setting up an industrial-standard fish processing unit and a cold storage, where up to 40 tonnes processed fish can be stored for months together.
The West Bengal Fisheries Development Corporation Ltd. (WBFC) would be responsible for setting up the export processing infrastructure. With this in place, Bengal would be able to compete on an equal footing with the other major fish-exporting states.
Rs 5 crore will be spent to construct the export centre. It which would take about one year to come up, the construction of which would begin in late November or early December. This would be the first such large-capacity unit of the Bengal Government.
In many countries, the consumption of pre-packed processed fish is on the rise. Europe, USA and the Gulf countries are the primary destinations for the exporting of processed fish. Bengal has already taken big steps in sending its pisciculture products to other parts of the country; and now it is gearing up to capture the export market in a major way.
ভিনরাজ্যে মাছ বিক্রি করতে দীঘায় তৈরি হচ্ছে বড় হিমঘর
মাছে বিপ্লব ঘটাতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ। শুধু রাজ্যবাসীকে মাছে-ভাতে রাখাই নয়, একইসঙ্গে ভিনরাজ্য ও পরবর্তীকালে সাত-সমুদ্র তেরো নদীর ওপারের বাজার ধরার লক্ষ্য নিয়েই জাল ছড়াচ্ছে রাজ্য সরকার। এই বিশাল কর্মযজ্ঞের জন্য যে পরিকাঠামো দরকার, তা এতদিন এখানে ছিল না। দীঘায় প্রায় পাঁচ কোটি টাকা খরচ করে এবার রাজ্য আন্তর্জাতিক মানের সেই প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট গড়তে চলেছে, যেখানে একসঙ্গে মাসের পর মাস ৪০ টন প্রক্রিয়াজাত মাছ রাখা যাবে। এতে মুনাফার মুখও দেখতে পাবে রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন নিগম। কারণ গোটা পরিকল্পনাটাই রূপায়িত হবে তাদের হাত ধরে।
দেশে বিশেষ করে উপকূলবর্তী রাজ্যগুলি মূলত মাছ উৎপাদনে এগিয়ে। সেই তালিকায় রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, তামিলনাড়ু, গুজরাত প্রভৃতি। পশ্চিমবঙ্গেও ভালো পরিমাণ মাছ উৎপাদন হয়, তবে তাদের মতো লরি ভরে ভিনরাজ্যে পাঠানো বা তাকে প্রক্রিয়াজাত করে বিদেশে রপ্তানি করার অত্যাধুনিক পরিকাঠামো এতদিন এরাজ্যে ছিল না। সেই লক্ষ্য পূরণে দীঘায় রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন নিগমের হাত ধরে সরকার একটি ‘ফিস প্রসেসিং ইউনিট’ গড়ে তুলতে চলেছে।
দীঘায় প্রায় পাঁচ কোটি টাকায় এমন ইউনিট গড়ে তোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর জন্য স্টেট কো-অপারেটিভ ব্যাংক ঋণ দিতে সম্মত হয়েছে। এখন ডিপিআর তৈরির কাজ চলছে। নভেম্বরের শেষ অথবা ডিসেম্বরের গোড়ায় কাজ শুরু হয়ে যাবে। হিমঘরসহ গোটা প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট গড়তে এক বছর সময় লাগবে। সেক্ষেত্রে ২০১৯ সালের প্রথম থেকেই সেই মাছকে বাজারজাত করতে পারবে নিগম। প্রসঙ্গত, কলকাতায় বেসরকারিভাবে শুধুমাত্র চিংড়ির ক্ষেত্রে এরকম দুটি ছোট প্রসেসিং ইউনিট আছে। কিন্তু সরকারি উদ্যোগে ৪০ টন প্রক্রিয়াজাত মাছ রাখার এতবড় ইউনিট এই প্রথম তৈরি করা হচ্ছে।
বিদেশে প্যাকেটজাত প্রসেসড মাছ খাওয়ার প্রবণতা দিন কে দিন বাড়ছে। ইউরোপ, আরব দুনিয়া এমনকী মার্কিন মুলুকে মাছ রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে বাংলাদেশ, থাইল্যান্ডের মতো দেশগুলি। দেশের বাজার ধরার পর ভবিষ্যতে একই পথের পথিক হতে চায় পশ্চিমবঙ্গ। আসল লক্ষ্য, মাছ খাইয়ে মুনাফা অর্জন।
Source: Bartaman