Land in Singur to be returned to farmers on Oct 20, Bengal CM to be present

Chief Minister Mamata Banerjee today announced that the process of giving physical possession of land in Singur will begin on October 20 and will be completed in 15-20 days. The CM will be present in Singur on October 20, 2016 to launch the process.

She chaired a meeting in Nabanna earlier in the day to decide the date from when the process of giving “physical possession” of land to farmers can begin. She was briefed on the progress of work in Singur.

The State Government has left no stone unturned to abide by the order of the Supreme Court Division Bench. Terming the acquisition of 997 acres of land for the Tata’s Nano car project in Singur unjustified, the Division Bench had directed the present State Government on August 30 to return the land in cultivable form within 12 weeks.

 

মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ২০শে অক্টোবর সিঙ্গুরে শুরু হবে জমি ফেরতের প্রক্রিয়া

প্রস্তুত সিঙ্গুর! ৮০ শতাংশ জমি চাষযোগ্য করার কাজ শেষ৷ ৯০ শতাংশ মানুষকে জমির চেক ও পরচা দেওয়া হয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আগামী ২০শে অক্টোবর জমি ফেরতের প্রক্রিয়া শুরু হবে।

আজ সিঙ্গুরে জমি চাষযোগ্য করে তোলার কাজের অগ্রগতি জানতে একটি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের জানান সিঙ্গুরে ৮০% জমিই চাষযোগ্য করে তোলা হয়েছে।

জমি হস্তান্ততের প্রক্রিয়ার সূচনা করতে ২০শে অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রী নিজে সিঙ্গুরে উপস্থিত থাকবেন।

 

মানুষের দাবিতেই সিলেবাসে সিঙ্গুর – পার্থ চট্টোপাধ্যায়

একজন মানুষ স্বপ্ন দেখেন বাংলার প্রতিটি মায়ের আঁচল শিউলি ফুলের সুগন্ধে ভরিয়ে দিতে। একজন মানুষ প্রতিনিয়ত স্বপ্ন দেখেন মাটির সঙ্গে নিবিড় সাহচর্যে যাঁদের জীবন, তাঁদের প্রতি হওয়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করে লড়াইয়ের মাঠে দাঁড়িয়ে মাটির অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার।

তিনি এমন একজন হৃদয়বান মানুষ যিনি বাংলার সর্বস্তরের নাগরিকের জীবনে-সংসারে সুস্থিতি চান, সমৃধ্ধি চান, চান রাজ্যবাসী গোটা বিশ্বের কাছে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে বলুক, ‘জগ९সভায় বাংলা শ্রেষ্ঠ আসন পাবে’।

বাংলার ন’কোটি মানুষের সমস্ত স্বপ্ন পূরণের সেই কারিগর এবং বিশ্ববাংলা গড়ার একমবাদিত্যম মানুষ, আমাদের প্রিয় জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সিঙ্গুর বিজয় দিবসে মঞ্চ থেকে সেদিন নেত্রী ঘোষণা করলেন, চাষি ও কৃষকদের অধিকার নিয়ে তিনি বই লিখতে শুরু করছেন। সেই বই আগামীদিনে দেশ-বিদেশের মানুষের কাছে এক ঐতিহাসিক দলিল হয়ে থাকবে ঠিকই। বাংলা তথা গোটা দেশে ভূমির অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে নেত্রীর সিঙ্গুর আন্দোলনই যে একমাত্র জনগণতান্ত্রিক স্বীকৃতি পেয়েছে তাও ইতিহাস। সুপ্রিম কোর্ট জমি ফেরত দেওয়ার দাবিতে সিলমোহর দেওয়ার পর দেশের অন্যান্য রাজ্য এবং প্রদেশেও ‘মমতা-মডেল’ অনুসরণ করা হচ্ছে। যে প্রদীপ জ্বালিয়েছিলেন সিঙ্গুরের ধূসর প্রান্তরে, সেখানে আজ কৃষকদের প্রাণের সমারোহ। সেই উ९সবে শামিল হয়েছে ভারতবাসীও। তিনি হয়ে উঠেছেন সারা বিশ্বের ভূমি অধিকার আন্দোলনের মূল পথপ্রদর্শক। বস্তুত, শীর্ষ আদালত সিঙ্গুরের আন্দোলনের দাবি মেনে নেওয়ায় গোটা দেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই আমজনতার সর্বজনগ্রাহ্য জাতীয় নেত্রী হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ও পাচ্ছেন।

আগামীদিনে সিঙ্গুর আন্দোলন নিয়ে দেশ-বিদেশে অনেকে গবেষণা করবেন, পিএইচডিও করবেন। যাঁরা গবেষণা করবেন তাঁদের জন্য নেত্রীর বইটি অবশ্যই প্রয়োজনীয় হয়ে উঠবে। কিন্তু নবপ্রজন্মের কাছে সহজে সিঙ্গুর আন্দোলনের ইতিহাস জানাতে বাংলার আমজনতা চাইছে বিষয়টিকে সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করা হোক। বিদ্বজ্জনেরা চাইছেন ভূমির অধিকার নিয়ে গোটা দেশের কাছে যে নয়া দিশা দেখিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা অবশ্যই পাঠ্যবইয়ে রাখা হোক। কারণ, সেদিন বহু বামপন্থী বিদ্বজ্জনও নেত্রীর সঙ্গে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের আন্দোলনে পা মিলিয়েছিলেন। রাজ্যের সিলেবাস কমিটিও সেই সুপারিশই করেছে।তাই আমরা রাজ্য সরকারের তরফে শিক্ষা দফতরের তরফে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে নবম ও দশম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।গরিব মানুষের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর অন্য অনেক প্রকল্প ঘোষণাকে সমর্থনের মতোই সিলেবাসে সিঙ্গুর রাখার সিদ্ধান্তকে পাহাড় থেকে সাগর, সবাই স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন করেছেন। আর এটাই আমাদের মা-মাটি-মানুষ সরকারের অন্যতম সাফল্য।

বিজয় দিবসের মঞ্চে সেদিন যখন সিঙ্গুরের ‘মাতঙ্গিনী’ সরস্বতী দাসকে জড়িয়ে ধরে আবেগরুদ্ধ হয়ে পড়লেন নেত্রী তখন মনে পড়ছিল দশ বছর আগের টুকরো টুকরো স্মৃতি। দশটা বছর কেটে গেলেও একটুও বিবর্ণ হয়নি সেই জমি নিয়ে উদয়াস্ত লড়াইয়ের নানা ঘটনা। শানাপাড়া, বেড়াবাড়ি, জয়মোল্লায় দিনের পর দিন আন্দোলনকারী চাষীদের সঙ্গে ঘুরেছি। প্রতিটি ঘটনাই আজও টাটকা, তাপসীর মৃত্যুর মতো বেশ কিছু ঘটনা তো যন্ত্রণাক্লিষ্ট। সেদিনও মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের জন্য মরণপণ ঐকান্তিক লড়াই করেছিলেন জননেত্রী। তিনি ছিলেন ভূমি নিয়ে মানুষের স্বপ্নপূরণের লড়াইয়ের সাধিকা। একইভাবে তিনিই নন্দীগ্রামের মানুষদের ভূমি হারানোর যন্ত্রণার প্রতিবাদ করেছিলেন। রাস্তার পাশে মঞ্চ বেঁধে সিঙ্গুরে টানা ১৪ দিন ধর্না দিয়েছেন নেত্রী। আমরা সবাই সঙ্গী। রাতের অন্ধকারে চেষ্টা হয়েছিল, লরি চাপা দিয়ে ধর্নায় অংশ নেওয়া রাস্তায় শুয়ে থাকা ঘুমন্ত কর্মীদের পিষে দেওয়ার। কিন্তু নেত্রীর সজাগদৃষ্টিতে রাতপাহারা থাকায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছিল সবাই। তবে সিপিএমের ভয়াবহ চক্রান্ত এবং হিংস্রতার হাত থেকে শত চেষ্টা করেও তাপসী মালিক বা রাজকুমার বহুলদের আমরা বাঁচাতে পারিনি। বাঁচাতে পারিনি আরও ১২জন কৃষককে।

সিলেবাসে আমরা রাখতে চাই, জীবন বিপন্ন করে মা-মাটি-মানুষের নেত্রীর টানা ২৬ দিনের অনশন-লড়াইয়ের কথা। ধর্মতলার সেই অনশনে নেত্রীর পাশে ছুটে এসেছিলেন দেশের তাবড় নেতৃত্ব। ছিলেন হাজার চুরাশির মা প্রয়াত মহাশ্বেতাদেবী। এখনো ভাবলে শিউরে উঠি। কারণ, একদিকে সিপিএম ও পুলিশ প্রশাসনের অত্যাচার অন্যদিকে টানা অনশনের ধাক্কায় নেত্রীর প্রাণ সংশয় হওয়ার উপক্রম। দু’য়ে মিলে তখন আমরা সবাই তটস্থ, শঙ্কিত। দলে দলে সবাই এসে তখন ধর্মতলায় নেত্রীর মঞ্চের পাশে উদগ্রীব হয়ে থাকতাম। সঙ্গে হাজার হাজার মানুষ। কিন্তু রাজ্যপালের উপস্থিতিতে হওয়া চুক্তিও মানেননি সেদিনের সিপিএমের দাম্ভিক মুখ্যমন্ত্রী। দম্ভ, অহংকার শেষ কথা বলে না, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় জনগণ। তাই শুধু সিঙ্গুর নয়, এবারেও বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধী ভোট এক করার মরিয়া ব্যর্থ চেষ্টা করেও জনগণের ফু९কারে উড়ে গিয়েছে কু९সাকারী-অপপ্রচারকারীরা।

১০বছর আগের আন্দোলনের সেই ইতিহাস। সিঙ্গুরের ঐতিহাসিক মঞ্চ থেকে যখন এই ঘোষণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছিলেন, তখন কোথায় যেন তাঁর গলাটা ধরে আসছে। মনে পড়ছিলো একটার পর একটা দিনের কথা। সুপ্রিম কোর্টের রায় শুনে বলেছিলেন, এবার আমি শান্তিতে মরতেও পারি। আসলে এই আন্দোলন করতে গিয়ে তাঁর যে মৃত্যুও হতে পারত, সেকথা সেদিন আবার বলে দিয়েছিলেন। ইতিহাসকে স্মরণ রাখতে এখন থেকে প্রতি ১৪ সেপ্টেম্বর সিঙ্গুর দিবস পালন হবে। নন্দীগ্রামের মতো সিঙ্গুরেও তৈরী হবে স্মারক। এটাই হবে কৃষিজমি আন্দোলনের প্রতীক।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষি, শিল্প, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গ্রামীণ উন্নয়ন ও নগরোন্নয়ন-সহ বাংলার সমস্ত ক্ষেত্রের প্রগতির সফল কারিগর। বিশেষ করে শিক্ষাক্ষেত্রে তিনি নিয়ে এসেছেন আমূল বিপ্লব। জগতের আনন্দ থেকে সাধারণ মানুষের খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থান ও পড়ুয়াদের শিক্ষার অধিকার দিয়েছেন তিনি। লক্ষ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রীকে সবুজ সাথী প্রকল্পে সাইকেল বিলি যে তাঁর গভীর ভাবনা চিন্তার ফসল তা এখন স্বীকার করছেন সবাই। একটি সাইকেল শুধুমাত্র একটি ছাত্রীর পড়াশোনাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে না, সামগ্রিকভাবে পারিবারিক সমন্বয়ে সাহায্য করছে মুখ্যমন্ত্রীর এই উপহার।

সরকারি স্কুলে ১০০ শতাংশ মিড্ ডে মিল চালু থেকে শুরু করে প্রাথমিকের সমস্ত ছাত্রদের জুতো বিতরণ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শীতকালে সোয়েটার ও স্কুল ব্যাগ দেওয়ার বিবেচনা করা হচ্ছে। পরিবর্তনের পর থেকে প্রাথমিকে পোশাক দেওয়া শুরু হয়েছে। দুঃস্থ ও পিছিয়ে পড়া ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তির পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকে দেওয়া হয় যাবতীয় বইপত্র, খাতা। মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকে পোশাক পরিচ্ছদ ও সাইকেল তুলে দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের হাতে। বিশেষ করে সমস্ত প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সমস্ত স্কুলে ‘Ramp’ চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগে প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সময় চেয়ে আবেদন করতে হত। কিন্তু মা-মাটি-মানুষ সরকার আসার পর সমস্ত প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্যই সরকারই অতিরিক্ত ৪৫ মিনিট সময় বরাদ্দ করে দিয়েছে। অর্থা९ আর আগের মতো আবেদন করার কোনো দরকার নেই।

শিক্ষাক্ষেত্রে ‘কন্যাশ্রী’-নারীশিক্ষায় ও সামাজিক প্রগতিতে বৈপ্লবিক পদক্ষেপ নিয়েছেন মা-মাটি-মানুষের নেত্রী আমাদের প্রিয় মুখ্যমন্ত্রী। কন্যাশ্রী আমাদের রাজ্যের নারী শিক্ষার দিকবদল, শিক্ষায় যুগান্তরের সংকেত। রাজ্য ও দেশ ছাড়িয়ে বিশ্বে আমাদের নেত্রীর এই প্রকল্প শুধু প্রশংসিত হয়নি, বহু রাজ্য তথা দেশে মডেল হয়েছে। বাম শাসনে বহু বছর ধরে পিছিয়ে থাকা এই রাজ্যের নারী শিক্ষা দ্রুত ছুঁয়েছে শীর্ষস্থান। এটাও মা-মাটি-মানুষের শিক্ষায় সাফল্য।

বাম আমলে বাংলায় সংখ্যালঘু সমাজ চরম অবহেলিত হয়েছিল। আমাদের সরকার আসতেই মুসলিম সমাজের অগ্রগতির দ্বার খুলে দিয়েছে। মুসলিম ছাত্রীছাত্রীদের শিক্ষাপ্রসারে বিপুল স্কলারশিপের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চাকরি প্রার্থীদের জন্য ‘বিশেষ সুযোগ’ দেওয়া হয়েছে আমাদের সময়েই। বস্তুত এই কারণেই আজ স্বতঃস্ফূর্তভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্নেহের ছায়ায় আশ্রয় নিয়েছে সংখ্যালঘু ছাত্র-ছাত্রীরা। শিক্ষাক্ষেত্রে তফসিলি জাতি-উপজাতির ছাত্রছাত্রীদের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এবার থেকে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল মিলিয়ে প্রতিবছর অত্যাধুনিক পরিকাঠামোযুক্ত এক হাজার Virtual Classroom তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমাদের সরকার। গ্রামীণ স্কুলগুলির পরিকাঠামো বৃদ্ধিতে বরাদ্দ একলাফে প্রায় আটগুণ বৃদ্ধি হয়েছে এবারের বাজেটে। রাজ্যে মা-মাটি-মানুষ সরকার ক্ষমতায় আসার পর দু’-দুবার বহু সংখ্যক কলেজে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। বহু কলেজে স্থায়ী অধ্যক্ষ দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় অধ্যক্ষ নিয়োগের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। উচ্চশিক্ষার জন্য কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় এই রাজ্য দেশের মধ্যে আনুপাতিক হারে শীর্ষস্থানে পৌঁছেছে। উত্তরবঙ্গের প্রকৃতির স্নিগ্ধ ছায়ায় কিংবা পুরুলিয়ার রুক্ষ প্রান্তরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। আবার সুদূর দক্ষিনে ডায়মন্ডহারবারে সাত একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রথম মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়। মানুষ কল্পনাও করতে পারেন না শিক্ষায় এই সমৃধ্ধি।

স্কুল শিক্ষক নিয়োগে বহুদিন বঞ্চিত হয়েছেন চাকরি প্রার্থী শিক্ষার্থীরা। তার অন্যতম কারণ সুগভীর চক্রান্ত। ষড়যন্ত্র করে মামলার মাধ্যমে টেট-এর নিয়োগ প্রক্রিয়াকে শ্লথ করে দেওয়া হয়েছিল। এইজন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। মুখ্যমন্ত্রী আগেই ঘোষণা করেছিলেন, আদালতের নির্দেশ পেলে সঙ্গে সঙ্গেই শিক্ষক নিয়োগের কাজ শুরু হবে। নেত্রীর সেই ঘোষণা আমাদের শিক্ষা দফতর অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছে। আদালত রায় দেওয়ার এক ঘন্টার মধ্যেই টেট পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে দেওয়া হয়েছে।

প্রাথমিক ও উচ্চপ্রাথমিকে যত দ্রুত সম্ভব ৬০,০০০ শিক্ষক নিয়োগ করা যায় তার ব্যবস্থা করছে আমাদের দফতর। প্রতিটি বিষয় ও প্রক্রিয়া যে স্বচ্ছতার মাধ্যমে করা হচ্ছে তা আমরা কাজের মাধ্যমে প্রমান করে দিয়েছি। সর্বোপরি যে সমস্ত শিক্ষিকা বাড়ি থেকে দূরে চাকরি করেন তাঁদের কাছাকাছি নিয়ে আসতে ইতিমধ্যে বদলি প্রক্রিয়া চালু করেছে আমাদের সরকার। বহু শিক্ষিকা ইতিমধ্যে বাড়ির কাছের স্কুলে বদলি হয়ে এসে পঠন-পাঠন কোর্সে অংশ নিতে শুরু করে দিয়েছেন। শিক্ষাসংক্রান্ত সমস্ত কর্মসূচিতে আমাদের

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শিক্ষকরা সমাজের গর্ব, তাঁদের সম্মান দিলে তবেই সমাজ-সভ্যতা তথা বাংলা এগিয়ে যাবে। তাই তো রাজ্যে সরকার পরিবর্তনের পর শিক্ষকদের সম্মান দিয়ে প্রতিবছর ‘শিক্ষারত্ন’ সম্মাননা চালু করে শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের স্বীকৃতি দেওয়া শুরু হয়েছে।

আমাদের সরকার শহরের সঙ্গে গ্রাম এক লহমায় জুড়ে দিয়েছে রাস্তাঘাটের সুপরিমিত সংস্কার ও অজস্র নতুন রাস্তা তৈরী করে। শুধু কলকাতা নয়, গোটা রাজ্যই মা-মাটি-মানুষ সরকারের নানা প্রকল্প ও পরিকাঠামো চালু হওয়ায় আজ কল্লোলিনী, তিলোত্তমা। গঙ্গার দুই তীরও সৌন্দর্যের সৌরভে সুরভিত। কথা দিচ্ছি, শিক্ষাঙ্গনের সর্বোস্তরকে পরিপূর্ণভাবে মেধার সম্মান ও সীকৃতি দিয়ে আরো উজ্জ্বল এবং আলোকময় করা হবে। আলোয় ভোরে উঠবে জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের রাজ্য-বাংলা। সত্যি সত্যি মেধা ও শিক্ষা সংস্কৃতিতে আরো এগিয়ে শীঘ্রই হয়ে উঠবে পরিপূর্ণ বিশ্ববাংলা।

 

Mamata Banerjee releases Jago Bangla Festive Edition

Trinamool Chairperson Mamata Banerjee launched the Festive Edition (‘Pujabarshiki’) of Jago Bangla today at a colourful ceremony at Nazrul Mancha.

Like every year, the cover of the Festive Edition has been designed by Mamata Banerjee.

This year’s edition has articles by party functionaries, intellectuals and veteran columnists.

The Trinamool Chairperson has penned her thoughts on the recently concluded Assembly elections which Trinamool won with a landslide margin, negating all the smear campaigns and conspiracies.

The salient points from her speech at the launch function:

  • Today is Mahalaya. My festive greetings to all.
  • My heartfelt gratitude to all those who contribute articles to Jago Bangla.
  • The Jago Bangla 2016 Festive Edition is no less than the Sharadiya Editions of other newspapers.
  • We are lucky today to have Dwijen Da and Sandhya Di here today who have been associated with the Mahalaya radio programme.
  • There is no substitute for the Chandi Path and songs on Mahalaya.

 

জাগো বাংলার উ९সব সংখ্যা প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী

আজ নজরুল মঞ্চে জাগো বাংলার উ९সব সংস্করণের প্রকাশ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রতি বছরের মত, উ९সব সংস্করণের প্রচ্ছদটি তিনি নিজেই ডিজাইন করেছেন।

প্রত্যেকবারের মতই এবছরও উৎসব সংখ্যায় দলের নেতারা ছাড়াও লেখা দিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা।

এই বছরের সংস্করণে, সমস্ত কুৎসা ও অপপ্রচারকে নস্যাৎ করে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিপুল জয় নিয়ে কলম ধরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তাঁর বক্তব্যের কিছু অংশঃ 

  • আজ মহালয়া। সকলকে আমার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনঃ
  • যারা জাগো বাংলার জন্য নিয়মিত লেখেন তাদের সকলকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন
  • জাগো বাংলার উ९সব সংখ্যা শারদীয়া সংখ্যা বা অন্যান্য পত্রিকার থেকে কোন অংশে কম নয়
  • দ্বিজেনদা, সন্ধ্যাদি যারা মহালয়ার রেডিওর অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাদের আজ এই মঞ্চে কে পেয়ে আমরা খুব আনন্দিত
  • মহালয়ার গান, চণ্ডীপাঠের কোন বিকল্প হয় না

 

 

 

 

Preparation for Singur Diwas programme on in full swing

The preparations for celebrating the Singur Diwas on September 14 are going on in full swing.

The state government has been working on the land survey work on a war footing following the order of the Chief Minister, who before undertaking her Europe tour had instructed the senior ministers to visit the place to inspect the progress in work.

During her absence, senior ministers had visited the spot and inspected the progress of land survey. They also reviewed the arrangements for the victory day celebration on September 14 when the Chief Minister is scheduled to take part in rally in Singur.

It may be mentioned here that Chief Minister Mamata Banerjee will hold a high level meeting with the senior ministers and the officials of the government at Nabanna to take a stock of the progress in the work.

 

সিঙ্গুর দিবস পালনের প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে

আগামী ১৪ তারিখ সিঙ্গুর দিবস পালনের প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে।

মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে প্রায় যুদ্ধকালীন তত্পরতায় জমি পর্যবেক্ষণের কাজ চলছে, উনি ইউরোপ যাওয়ার পূর্বেই মন্ত্রিদের নির্দেশ দিয়েছিলেন সিঙ্গুর গিয়ে কাজের গতি সরেজমিনে পরিদর্শন করতে।

গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন মন্ত্রীরা সিঙ্গুর দিবস পালনের প্রস্তুতিও তদারকি করে এসেছেন।

আজ মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে মন্ত্রী ও আধিকারিকদের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের একটি বৈঠক করবেন। সেই বৈঠকে সিঙ্গুরে জমি জরিপের কাজের অগ্রগতির খতিয়ান দেবেন আধিকারিকরা।

Bengal Govt to give away Siksha Ratna awards today

With the inspiration of Mamata Banerjee, the Hon. Chief Minister of Bengal, on the occasion of Teachers’ Day, successful teachers will be conferred with Siksha Ratna awards.

The top school will be honoured with the ‘Best School 2016’ award.

Education Minister Partha Chatterjee will be present at the event to be held at Nazrul Mancha at 1 PM.

After coming to power in 2011, Mamata Banerjee started the tradition of honouring teachers on the occasion of Teachers’ Day.

It may be mentioned that in the last five years, 46 new colleges, 15 new universities have been set up by the Bengal government. Around 3 lakh seats have been created in higher education. 2500 primary and 3500 middle schools have been set up and 1815 high schools have been developed.

 

আজ ‘শিক্ষা রত্ন’ সম্মাননা দিল রাজ্য সরকার

মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় শিক্ষক দিবস উপলক্ষে আজ কৃতি শিক্ষক শিক্ষিকাদের ‘শিক্ষা রত্ন’ সম্মাননা দেওয়া হল।

শীর্ষস্থানে থাকা স্কুলগুলিকে ‘সেরা বিদ্যালয় ২০১৬’ সম্মাননা দেওয়া হল।

আজ নজরুল মঞ্চে দুপুর ১টায় এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই শিক্ষক দিবসে শিক্ষকদের পুরস্কৃত করার প্রক্রিয়া চালু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।

উল্লেখ্য, গত পাঁচ বছরে রাজ্য সরকার ৪৬ টি নতুন কলেজ, ১৫টি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করেছে। উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে ৩ লক্ষ আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া, ২৫০০টি প্রাইমারি, ৩৫০০টি মিডিয়াম স্কুল স্থাপন করা হয়েছে এবং ১৮১৫টি উচ্চমাধ্যমিক স্কুল উন্নীত করা হয়েছে।

 

BSF training Narayani Sena in Cooch Behar: Trinamool

Accusing the central government of trying to disrupt smooth functioning of the state government, Trinamool alleged that the BSF was providing “training” to ‘Narayani Sena’, a private army of the erstwhile Maharaja of Cooch Behar.

“It is a deep-rooted conspiracy against the state government. How come BSF is giving training to Narayani Sena and other elements who are involved in smuggling?” senior TMC leader and state parliamentary affairs minister Partha Chatterjee said.

He said, “We have officially expressed our grievances and lodged a complaint with the highest quarters of the central government.” He also added that this was being done by keeping the state government in the “dark”.

Leader of the party in Lok Sabha, Sudip Bandyopadhyay accused the Centre of interfering in the law and order of the State. He accused the BJP of trying to disturb the peace in Bengal. A delegation of Trinamool MPs met the President and apprised him of the incident.

 

কুচবিহারে নারায়ণী সেনাকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বি এস এফঃ তৃণমূল

কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজ্যের কাজে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ করল তৃণমূল কংগ্রেস। উত্তরবঙ্গে নারায়ণী সেনাকে বিএসএফের প্রশিক্ষণ দেওয়া নিয়েও সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ রাষ্ট্রপতির কাছেও বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন তারা৷

বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এটা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে এক গভীর ষড়যন্ত্র। বিএসএফ কেন্দ্রীয় সংস্থা।  বি এস এফ কিভাবে নারায়ণী সেনাদের প্রশিক্ষণ দিতে পারে। তাঁর কথায়, ‘‘রাজ্যের উন্নয়নে ব্যাঘাত ঘটাতে এবং প্রশাসনিক কাজে বিঘ্ন ঘটাতে এই চক্রান্ত চলছে।’’

“আমরা অফিসিয়ালি আমাদের প্রতিবাদ জানিয়েছি এবং কেন্দ্রীয় সরকারের হেড কোয়ার্টারে অভিযোগও জানিয়েছি”। তিনি আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য প্রশাসনকে অন্ধকারে রেখেই এসব কাজ করা হচ্ছে”।

রাজ্যের যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় হস্তক্ষেপ করার জন্য লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন কেন্দ্রকেই দায়ী করেন। বাংলার শান্তি বিঘ্নিত করার জন্য তিনি বিজেপিকেই দায়ী করেন। তৃণমূলের এক সংসদীয় প্রতিনিধি দল এদিন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে।

Schools, colleges and universities to get virtual classrooms

The state government has decided to introduce “virtual classrooms” in universities, colleges and schools. State Finance Minister Dr Amit Mitra said in the Assembly that the initiative has been taken to let students, even from the remotest part of the state, access information related to education and developments taking place in this sector across the globe.

They will be provided high speed internet connectivity capable of handling live streaming of videos. There will also be facility for projection and audio system for better viewing of the facts. The project will come up at a cost of Rs 100 crore. “This is one of the dream projects of the Chief Minister Mamata Banerjee,” said Dr Mitra.

Explaining the usefulness of the project, Dr Mitra said that a student in a village does not get the opportunity to interact with an expert in a particular subject from the city. However, with the introduction of the e-classrooms, he or she can even interact with educationists and experts from educational institutions abroad.

Partha Chatterjee, the state education minister, said that e-classrooms will be set up in 732 state-aided universities and government colleges and 2000 secondary schools in the first phase. There will be two e-classes in every institution.

 

The image is representative

Free WiFi service in Bengal colleges soon

To make the students in the State more tech-friendly, the West Bengal Higher Education department has decided to launch free WiFi service in all government colleges in the State.

In the first phase, the service would be launched in 60 government colleges, the Education Minister, Partha Chatterjee said.

The government has already allotted funds worth Rs 25 crore to the University of Calcutta for developing the required infrastructure. After Sabuj Sathi cycles, Kanyashree scholarship, free shoes in primary schools, the free WiFi service in colleges is another feather in Bengal’s cap.

Admission procedure in colleges across the State are carried out online now.

 

সব কলেজে বিনামূল্যে ওয়াইফাই পরিষেবা দেবে রাজ্য

উচ্চশিক্ষার ছাত্রছাত্রীদের তথ্যপ্রযুক্তিমুখী করার পাশাপাশি বিনামূল্যে ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়ার জন্য সমস্ত সরকারী কলেজে ফ্রি ওয়াইফাই পরিষেবা চালু করার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্যত সরকার।

শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, “প্রথমে ৬০টি কলেজে এই পরিষেবা দেওয়া হবে।

ইতিমধ্যেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে সরকারের তরফে এই পরিকাঠামো তৈরির জন্য ২৫ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে রাজ্য সরকার। সবুজ সাথী সাইকেল, কন্যাশ্রী স্কলারশিপ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিনামূল্যে জুতা প্রদানের পর কলেজে বিনামূল্যে ওয়াইফাই পরিষেবা অর্থাৎ বাংলার মুকুটে যুক্ত হল আরও একটি পালক।

সারা রাজ্যের সব কলেজে বর্তমানে অনলাইনে ভর্তির পরিষেবা চালু হয়ে গেছে।

WB CM directs Education Dept to prepare vision document for the next five to ten years

West Bengal Chief Minister Mamata Banerjee last Monday reviewed the performance of the State Higher and Primary Education Departments and asked Education Minister Partha Chatterjee to prepare a vision document for the next five to ten years. Joint secretaries of the Education Department were also present in the meeting.

During the review meeting, the Chief Minister asked the Department to lay stress on quality of education, use technology and improve teaching methodologies.

Later, the Education Minister said the rate of admission to graduate-level courses has increased to 17.5%. “The rate of admission was 11% earlier and now it has increased to 17.5%. The national average is 21% and we want to achieve that,” he said.

Overall there has been an increase of four lakh graduates and 36,000 engineering students in the state, the Minister said adding that both students and seats have increased both in higher education and at the Madhyamik level.

 

শিক্ষা দপ্তরকে আগামী দশ বছরের ভিশন ডকুমেন্ট তৈরির নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

রাজ্যে শিক্ষার মনোনয়ন ও পরিকাঠামো উন্নয়ন নিয়ে শিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও শিক্ষা দপ্তরের সচিবদের নির্দেশ দিয়েছেন আগামী ১০ বছরের জন্য একটি ভিশন তৈরি করার।

এই ভিশনের মধ্য দিয়ে শিক্ষা কমিশনের সুপারিশ মেনে ছাত্রছাত্রীদের পঠনপাঠনের নিয়মানুবর্তিতার ওপর আরও জোর দিতে হবে। পর্যালোচনা বৈঠক চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রী শিক্ষা দপ্তরকে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করারও নির্দেশ দেন।

পরে শিক্ষামন্ত্রী জানান, উচ্চশিক্ষায় ছাত্র ভর্তির হার চার বছর আগে যেখানে ছিল ১১ শতাংশ এখন তা বেড়ে হয়েছে ১৭.৫ শতাংশ। এখানে জাতীয় ক্ষেত্রের লক্ষ্যমাত্রাতেই পৌঁছতে চায় রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর। সেই লক্ষ্যমাত্রাটি হল ২১ শতাংশ।

তিনি আরও বলেন, “এ রাজ্যে বিগত চার বছরে উচ্চমাধ্যমিক ও প্রাথমিকে ছাত্র সংখ্যা বৃদ্ধি ও পরিকাঠামোও বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি আসন সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। স্নাতকস্তরে বিগত চার বছরে আসন সংখ্যা হয়েছে ৪ লক্ষ ও ইঞ্জিনিয়ারিঙে সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৬ হাজার।

BJP destroying culture of Bengal : Sudip Bandopadhyay

Leader of the party in Lok Sabha Sudip Bandopadhyay lashed out at the BJP during a press conference held at the Trinamool Bhavan on 24 May, 2016. He condemned the language used by the BJP State President and said that he is spreading canards, thus putting a black mark in the culture of Bengal.

He pointed out that the 46 AITC MPs in both the Houses of the Parliament are free to move at their will in the capital city and the Trinamool Congress will inform the Speakers of both the Houses about the threats made by the BJP State President. He said that the President of India will also be informed about the remarks made by the BJP State leadership.

Trinamool Secretary General Partha Chatterjee said that several BJP leaders in Bengal are trying to foment trouble in the State.

 

বাংলার সংস্কৃতি নষ্ট করছে বিজেপি: সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়

গতকাল তৃণমূল ভবনে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন লোকসভায় তৃণমূলের সংসদীয় দলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বিজেপির রাজ্য সভাপতির মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করে বলেন, “উনি যে ভাষায় কথা বলছেন তাতে বাংলার সংস্কৃতি নষ্ট হচ্ছে, বাংলার চারদিকে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে”।

লোকসভা ও রাজ্যসভা মিলিয়ে তৃণমূলের মোট ৪৬ জন সাংসদ রয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেস এই বিষয়টি লোকসভা ও রাজ্যসভার স্পিকারকে জানাবে। তিনি আরও জানান, রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় ফিরলে তাকেও বিষয়টি জানানো হবে এবং তিনি নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেবেন।

তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন বলেন বিজেপির কিছু নেতারা বাংলায় উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করছেন।