Mamata Bala Thakur asks a Question on Swadhar Greh Scheme

FULL TRANSCRIPT

How many educational benefits have children been given and what is the policy that has been adopted to make children more educated to help save them from child labour? How many congeries have been organised?

The national women’s helpline number, 18181, does not work/function properly. The Various States have their own helpline numbers, most of which do not function properly as well. It is due to this, that rural women are facing a lot of trouble and confusion.

My question is that whether this Government has taken any practical, concerted efforts via helplines to assist women and what are the various schemes available and for how long will one helpline number be applicable?

Thank you.

 

Mamata Bala Thakur speaks on the issue of safety of female passengers on the Bonga-Sealdah railway route

আপনাকে ধন্যবাদ এবং আমাদের মা-মাটি-মানুষের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাই। বনগাঁ-শিয়ালদা ভারতবর্ষের ব্যস্ততম রেল পথের মধ্যে একটি অন্যতম। এখানে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ লোক জীবিকা অর্জন এবং বিভিন্ন কারণে আসা যাওয়া করেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় উক্ত রুটে কম সংখ্যক ট্রেন থাকার দরুন এবং তা সময়মতো না থাকার জন্য যাত্রীদের প্রতিদিন নাজেহাল হতে হচ্ছে। ট্রেনে এত ভিড় হয় যে ওঠানামার সময় যেকোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। উল্লেখ্য গত বছর মাতৃভুমি ট্রেনের কথা বলা যেতে পারে।

স্পিকার মহোদয় আপনার দ্বারা মাননীয় রেল মন্ত্রীর কাছে মহিলাদের সুরক্ষার জন্য অনুরোধ করছি।

মহোদয়, বনগাঁ-ঠাকুরনগর ভারতবর্ষের মধ্যে ফুলের অন্যতম মার্কেট হওয়ায় এখানে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ লোক জীবিকা অর্জন করার জন্য আসেন। যার মধ্যে মহিলাদের সংখ্যা বেশি।

এনারা ভোর ৩ টের সময় উঠে ব্যবসার জন্য লেগে পরেন কিন্তু দুঃখের বিষয় ভোর ৩টে থেকে ভোর ৪ টের মধ্যে মাত্র একটি ট্রেন থাকায় অসম্ভব ভিড় ও চাপের মুখে পরে মহিলাদের কষ্ট করে যাতায়াত করতে হয়।

অতএব মাননীয় রেল মন্ত্রীর কাছে আমার একান্ত অনুরোধ যে যদি ওই সময় আর একটি ১২ বগির অতিরিক্ত ট্রেন চালু করা যায় তাহলে ভালো হয়। এছাড়া যারা অফিসের কাজে সকাল ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে যাতায়াত করেন এবং বিকেলে ফেরত আসেন, তাদের জন্য বিশেষ লক্ষ রাখতে অনুরোধ জানাব।

 

ধন্যবাদ।

Mamata Bala Thakur speaks on the river bank erosion of Ichhamati river

ধন্যবাদ। আমি পশ্চিম বাংলার সীমান্ত এলাকা বনগাঁর জনপ্রতিনিধি। কিংবদন্তি ধর্মস্থানের জন্য বনগাঁ বিখ্যাত একটি তীর্থ ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। কয়েক দশক আগেই মতুয়াদের ঠাকুরনগরকে কেন্দ্র করে যে ধর্মযাত্রা চলেছে অসংখ্য ভক্তদের পাশাপাশি রয়েছেন স্বয়ং দেশের প্রধানমন্ত্রীও। আপনারা অনেকেই জানেন এই এলাকার জীবনরেখা হল ইছামতী নদী।

ভাগীরথী নদীর পূর্ব দিকে একমাত্র বড় জলস্রোত হিসেবে ইছামতী নদী group of rivers এর মাঝে যোগসূত্র হিসেবে কাজ করেছে। যে group of rivers এর মধ্যে রয়েছে মাথাভাঙা, চুর্নী আর জলঙ্গি নদী।

বাস্তবে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় যে মূল জীবনরেখা তার অন্যতম অংশীদার ইছামতী আজ নিজেই তার বিস্তীর্ণ এলাকায় ভূ-খণ্ড দ্বার মানব জীবনের জন্য একটি অতি বিপজ্জনক আর্থ-সামাজিক এবং পরিবেশগত সংকট তৈরি করে ফেলেছে। আর এই ভয়াবহ সমস্যার সমাধান করা শুধুমাত্র রাজ্য স্তরের পক্ষে কখনোই সম্ভব নয়।

বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের real sensing and GIS বিভাগের remote scholar এর উদ্যোগে চালু একটি geo-morphological গবেষনায় ধরা পড়েছে যে প্রতি বছর ইছামতী নদীর পাড় ভাঙছে প্রায় ৩ মিটার হারে। পরিণামে অববাহিকা বিস্তীর্ণ এলাকা জলের তলায় তার অস্তিত্ব হারাচ্ছে। অন্যদিকে ইছামতী নদীর প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকায় নদীগর্ভে প্রায় ব্যাপক পলি জমেছে দীর্ঘদিন ধরে। যার কারণে ২০১৩ সাল থেকে এই নদী প্রায় ১৫ মিটার গতিপথ পরিবর্তন করে ফেলেছে। দীর্ঘদিন কোন সংস্কার না হওয়ার ফলে ইছামতী নদীর জমা পলির জন্য প্রতি বছর গঙ্গা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকা  ভয়াবহ বন্যার স্বীকার হচ্ছে।

বর্তমানে নির্দিষ্ট কয়েকটি নদী সংস্কার ও উন্নয়নের বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের আওতাধীন ন্যাশনাল রিভারস কনভারসেশন ডাইরেক্টর। কিন্তু ইছামতী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণে আর পাড়ের ভাঙন বন্ধ করার জন্য কেন কোন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।

কৃষি জমি, বাস্তু জমি, গবাধি পশু আর লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন রক্ষায় কেন্দ্র কি কোন দায়িত্ব নেবে না? বনগাঁ আর ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় নদী সংস্কার কি অবহেলিতই থেকে যাবে? স্বাধীনতার এত বছর পর কেন বঞ্চিত আর অবহেলিত থেকে যাবে বনগাঁ আর সীমান্ত জেলাগুলি।

Water Resource and Development of Ganga Rejuvenation মন্ত্রকের প্রিয় মন্ত্রীর কাছে আমার আবেদন ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইছামতী নদীর সংস্কার করে মানুষের জীবন জীবিকা রক্ষার জন্য মন্ত্রক কি কোন ব্যবস্থা নিতে আদৌ আগ্রহী? যদি মন্ত্রক কোন পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা ইতিমধ্যে নিয়ে থাকে তবে তার রূপরেখা কি? কি পরিমাণে অর্থ বরাদ্দ করা হচ্ছে প্রকল্পের জন্য। এছাড়া মন্ত্রকের হাতে প্রকল্প বহির্ভূত খাতে অর্থ বরাদ্দ করার কোন ক্ষমতা কি রয়েছে যাতে ইছামতীর ভাঙন ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

আমার আর একটি দাবি এই যে ইছামতীকে ন্যাশনাল রিভারস কনভারসেশনের ডাইরেক্টরের আওতাধীন করা হোক অবিলম্বে।
ধন্যবাদ।