বছরটি বাঘা যতীনের আত্মবলিদানের শতবর্ষ: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

শতাব্দীর পর শতাব্দী পার হয়ে যায়, বয়ে চলে মানুষের অনন্ত প্রবাহ। সেখানে কত সাহিত্যিক, কবি, বিজ্ঞানী , শিল্পী ও দেশপ্রেমিকের আবির্ভাব ও তিরোভাব ঘটে সেই অনন্ত প্রবাহের মধ্যে। কিছু নাম সর্বকালের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকে। বর্তমান বছরটি বিপ্লবী বাঘা যতীনের আত্মবলিদানের শতবর্ষ।

আজ থেকে ঠিক ১০০ বছর আগে ১৯১৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ওড়িশার বালেশ্বর জেলায় কাপ্তিপদায় ব্রিটিশ পুলিশের সঙ্গে এক অসম লড়াইয়ে গুলিবিদ্ধ হন এবং পর দিবসে ভোরে বীরের মত মৃত্যু হয়।

পিতা উমেশচন্দ্র এবং শর९শশী। তাঁর জন্ম হয়েছিল মাতুলালয়ে ১৮৭৯ সালের ৮ ডিসেম্বর। পৈর্তৃক নিবাস ছিল যশোর জেলার ঝিলাইদহ মহকুমায় রিশখালী গ্রামে। পাঁচ বছর বয়সে যতীনের পিতৃবিয়োগ ঘটে, ফলে লেখাপড়া শুরু হয় মাতুলালয়ে। কৃষ্ণনগরের এ.ভি. স্কুল থেকে ১৮৯৮ সালে এন্ট্রান্স পাস করার পর এফএ পড়তে কলকাতা এলেন, ভর্তি হলেন উত্তর কলকাতার সেন্ট্রাল কলেজে, যা বর্তমানে ক্ষুদিরাম বসু কলেজ নাম পরিচিত। যৌবনে নিজের জন্মভূমি কয়া গ্রামে একটি ধারালো ছুরি দিয়ে বাঘ শিকারের জন্য বাঙালি স্মৃতিতে তিনি বাঘা যতীন নাম চিরজীবী হয়ে রইলেন। চাকরিজীবনে খুব দ্রুত সাফল্য অর্জন করেছিলেন তিনি। খাস ছোটলাটের অফিসের কর্মচারী ছিলেন। যতীন্দ্রনাথের গোপন নির্দেশে বীরেন্দ্রনাথ দত্তগুপ্ত ১৯১০ সালের ২৪ জানুয়ারী কলকাতা হাই কোর্টের ভিতরে এক গোয়েন্দা কর্তাকে খুন করেন। এই ঘটনার তিন দিন পরে ২৭৫ আপার চি९পুর রোডের বাস স্থান থেকে পুলিস গ্রেফতার করে যতীন্দ্রনাথকে। তখন তিনি তিনটি নাবালক সন্তানের পিতা। যতীন্দ্রনাথ আসলে এই দেশে বিপ্লব যজ্ঞ পরিচালনার প্রধান পুরোহিত। কয়েকবার স্বামীজির সঙ্গেও তাঁর সাক্ষাত হয়েছিল। শ্রীঅরবিন্দ বাঘাযতীন সম্পর্কে বলেন, “অদ্ভূত লোক, সমগ্র মানবজাতির মধ্যে একেবারে প্রথম শ্রেণীর পুরুষ, সৌন্দর্য্য আর তেজের এমন সমন্বয় আমি দেখিনি…।” স্বামীজির জ্বলন্ত দেশপ্রেম ‘শিবজ্ঞানে জীবসেবার আদর্শ, আত্ম९সর্গের মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ করার বাণী; দুর্গত মানুষের সেবায় ঝাঁপিয়ে পরার আহ্বান’ এসবই তো স্বামীজির নতুন ভারত গঠনের জন্য যুব সমাজের প্রতি আবেদন।

আজ আমাদের যুবসমাজের প্রথম শিক্ষা হওয়া উচিত শৃঙ্খলাবোধ, তাই রবীন্দ্রনাথ বলেছিল, “সৈন্যদল দ্বারা যুদ্ধ সম্ভব, কেবল জনতার দ্বারা নহে। ” এটা যুবকদের বুঝতে হবে প্রকৃতির রাজত্বে অনিয়মের অস্তিত্ব নেই, বিশ্ব সৃষ্টির সব কিছুই নিয়মে চলে, সৈন্যদলের শৃঙ্খলাই যুদ্ধ বিজয়ের সর্ব শ্রেষ্ঠ উপকরণ। তাই প্রবাদ আছে The battle of Waterloo was won at the playground of Eton. বিশ্বত্রাস নেপোলিয়নকে ডিউক অব ওয়েলিংটন তার ইটন স্কুলে ছাত্রজীবনে শেখা শৃঙ্খলাবোধের শিক্ষায়।

হাল ভাঙা, পাল ছেঁড়া নৌকা তরঙ্গ ক্ষুব্ধ সমুদ্রবক্ষে যে অবস্থা হয়, আমাদের বিশৃঙ্খল জীবনের পরিণামটিও তদনরূপ, অলস উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তির জীবন যেমন দুঃখে ভরা, তেমনি যে সমাজ ও রাষ্ট্র বিশৃঙ্খল, তা নৈরাজ্যের রাহুগ্রস্ত, তার উন্নতি, অগ্রগতি নেই, গৌরবও নেই। রণাঙ্গনে, খেলার মাঠে, সংসার জীবনে, কর্মক্ষেত্রে শৃঙ্খলাপরায়ণ না হলে জয়ের আনন্দ, সাফল্যের হাসি, ভাগ্যলক্ষ্মীর প্রসন্নতা কিংবা খ্যাতি প্রতিপত্তি কিছুই মেলেনা, সবই মরীচিকার মায়া হয়ে জীবনকে হতাশা-নিরাশার মরু জ্বালায় জর্জরিত করে।

আজকের যুব সমাজকে বুঝতে হবে শৃঙ্খলাবোধ ও নিয়মানুবর্তিতা পরস্পর পরিপূরক। প্রচলিত বিধিবিধান, অনুশাসন, রীতি-নীতির আনুগত্যের নাম শৃঙ্খলা আর সেগুলির অনুসরণে জীবনযাত্রা এবং কর্ম সমাপনকে বলে নিয়মানুবর্তিতা। যেমন বিস্ববিধানের নিয়ম আছে বলেই, দিন-রাত, ঋতু বদল ইত্যাদি ঘটে। সমাজে রাজনীতি সবাই মান্য করে, শৃঙ্খলা, নিয়মানুবর্তিতা থাকায় কোথায় অঘটন ঘটে না, সবাই হয় কর্তব্যপরায়ণ, আর তাতেই ব্যক্তি থেকে রাষ্ট্রের অগ্রগতি, উন্নতি, স্বাচ্ছন্দ্য এবং সর্বব্যাপক শান্তি ও সুস্থিতি।

যুবসমাজকে বুঝতে হবে ‘পৌরুষ’ অর্থে বীরবিক্রম নয়, বাহুশক্তির আস্ফালন নয় কিংবা গলাবাজিও নয়, দৃঢ় প্রত্যয়, দৃঢ় সংকল্প, সূক্ষ্মবিচার বুদ্ধি, অনুশীলন ও সৃজনশক্তি, কর্মনিষ্ঠ চিত্তের সুকুমার বৃত্তিগুলির পরিচর্যা ও পরিস্ফুটন, ব্যবহারের সৌজন্য, শিষ্টতা, সামাজিক বোধ এবং দায়িত্ব ও কর্তব্য সচেতনতা প্রভৃতির সম্মিলিত রূপটিই পৌরুষ ও পরিপূর্ণ মনুষ্যত্ব, যুব বয়সেই এগুলি আয়ত্তের প্রকৃষ্ট সময়।

এইকথাগুলি বইয়ে পড়েছি, বাড়িতে গুরুজনদের মুখ থেকে শুনেছি কিন্তু এই গুনগুলি যার মধ্যে চাক্ষুষ দেখেছি তিনি আর কেউ নন, সমগ্র পশ্চিমবঙ্গের নয়নমণি, মা-মাটি-মানুষের নেত্রী; বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নের লক্ষে নিবেদিতপ্রাণ-শ্রদ্ধেয়া জননেত্রী মমতা ব্যানার্জি। স্বামী বিবেকানন্দের ‘কর্মযোগে’ দীক্ষিতা হয়ে যিনি সেই ছাত্রজীবন থেকে মানুষের সেবায় অহোরাত্র পরিশ্রম করে চলেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে যদি আদর্শের লড়াই চালিয়ে যাওয়া যায় তাহলে জনগণের আশীর্বাদে একদিন অবশ্যই লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব। কোনও প্রলোভন বা ভয় দেখিয়ে আদর্শের লড়াইকে দমিয়ে রাখা সম্ভব নয়।

২০১১ সাল থেকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নয়, পশ্চিমবঙ্গবাসীর স্বপ্নের দিশারি হিসেবে সমস্ত, প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে নিদারুণ আর্থিক অনটনকে সঙ্গে নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের হৃত সম্মান পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে প্রাণপাত করে চলেছেন এবং তাঁর অদম্য জেদ, অধ্যবসায়, নিঃস্বার্থ প্রচেষ্টা, একদিন নজরুল, রবীন্দ্রনাথ, নেতাজি, স্বামীজি, বাঘাযতীন ও শত শত বাঙালি মনীষীর স্বপ্নের পশ্চিমবঙ্গকে ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অঙ্গরাজ্যে পরিণত করবে।

আসুন, আগমনির আগমনে সমস্ত বাঙালি যখন আনন্দে মাতোয়ারা তখন আমরা সমস্ত শক্তি নিয়ে বন্যাদুর্গত মানুষদের পাশে দাঁড়াই, মহিষাসুরমর্দিনীর কাছে শপথ গ্রহণ করি, অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে অগ্নিকন্যার সংগ্রামে আমরা শৃঙ্খলাবদ্ধ সেনার মতো তাঁর আদেশ পালন করে যাব।

‘অরন্যে রণে দারুণ শত্রু মধ্যে অনলে সাগরে প্রান্তরে রাজগৃহে
ত্বমেকা গতির্দ্দেবি নিস্তার হেতু নমস্তে জগত্তারানি ত্রাহি দুর্গে।“

বাংলাই ডেস্টিনি এই সত্য আজ আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

এবারে পশ্চিমবাংলার একটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক প্রতিনিধি দলকে নিয়ে আমরা ব্রিটিশ সরকারের আমন্ত্রণে ইউকে-তে বাংলার কোন ব্যবসায় কীভাবে বিনিয়োগ হতে পারে তার জন্য তিনদিনের সফরে লন্ডন গিয়েছিলাম। আমাদের প্রতিনিধি দলে সরকারী অফিসাররাও ছিলেন। অনেক চেম্বার্সের খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাও ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন অনেক গুরুত্বপূর্ণ সাংবাদিকও।

আমরা সবাই একটাই পরিবার, মানে পশ্চিমবাংলার এক একান্নবর্তী পরিবার হিসেবে সেখানে গিয়েছিলাম। আর সেখানে গিয়েও সবার সঙ্গে সবার যোগাযোগ এমন একটা আন্তরিক সম্পর্ক তইরি করেছিল যে নিজেরা সবাই তার জন্য গর্ববোধ করতাম।

রবিবার সকালে কলকাতা থেকে ফ্লাইট ধরে দিল্লি, ওখান থেকে লন্ডন, আমাদের ভারতীয় ঘড়ি অনুযায়ী যখন হোটেলে পৌঁছালাম তখন প্রায় রাত ১২-৩০, যার যার লাগেজ নিয়ে ঘরে। পরের দিন সকাল থেকে সব মিটিং শুরু, অনেকগুলো মিটিং ছিল আবার সরকারী আধিকারিকদের ও বাণিজ্যিক প্রতিনিধিদের।

সেইসব মিটিং করবার আগে সকালবেলায় পথ পরিক্রমা করতে শুরু করলাম অনেকে মিলে। প্রায় ১ ঘণ্টা পথ চলে সবাই মিলে গেলাম একটা কাফে শপ-এ। বাইরে দোকানে বসে একসঙ্গে চা-কফি, বিস্কুট বা অন্যান্য টুকিটাকি খেতে কিন্তু বেশ মজাই লাগছিল। তখন কিন্তু আর কোনটায় কত ক্যালোরি সেটা প্রায় কেউই আর ভাবছিল না। তবে একজনকে লক্ষ করেছি তিনি কফি খেলেও অত মোটা কুকিগুলো থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছিলেন। তিনি একজন বিজনেসম্যান। বাদবাকি আমি সঙ্গে অমিতদা, অনির্বাণ, কিংশুক, বিশ্ব, সাহেব সেজে দেবাশিস ভট্ট ও পার্থ, উ९সব, রুদ্র অশোক, মায়াঙ্করা। মন দিয়েই আমরা রাস্তার ধারে দোকানে আড্ডা মারতে মারতে কফি খাচ্ছিলাম। আর দোকানটা ছিল একবারে আমাদের উল্টোদিকে। তাই একসঙ্গে বসে রাস্তার ধারের দোকানে কখন যে সময় অত দ্রুত কেটে গেছিল, তা প্রায় বুঝে উঠতেই পারিনি। যদিও সময় আমাদের তাড়া করে যাচ্ছিল যে আমাদের মিটিং আছে।

তাই ইচ্ছে না থাকলেও তখনকার মতো আড্ডা ভেঙ্গে চলে গেলাম স্নান করতে।

চটপট স্নান সেরেই আবার পরের মিটিংয়ে বসে পড়লাম। লাঞ্চ? না, ওটা আমার জীবন থেকে অনেকদিন আগেই বিদায় নিয়েছে। তাই দিনের ভেতর ২/৩ বার চা, বিস্কুট খেলেই লাঞ্চ-এর কাজ চলে যায়।

আর লন্দনে যে আড়াই দিন এযাত্রায় ছিলাম, তাতে দিন/রাত মিলিয়ে আহার বলতে স্যান্ডউইচ জুটেছে, খুব খিদে পেলে রাতে চিকেন স্যান্ডউইচ।

যাইহোক, প্রথম দিনের সভা মানে অফিসিয়াল সভা শেষ করতে করতেই আমাদের বাকিংহাম প্যালেসে যাবার জন্য আমন্ত্রণ এসে গেল। ছোটবেলা থেকেই এই রাজপ্রাসাদের কাহিনি বারবার শুনতে শুনতে আর ঐতিহাসিক একটা হেরিটেজের সাক্ষী হয়ে থাকার জন্য ভেতরে যাওয়ার ইচ্ছা তো একটাই ছিলই, তারপরে আবার যুবরাজ অ্যান্ডরুর আমন্ত্রণ। আমি আমার চিফ সেক্রেটারি, দেব আর সঙ্গে গৌতমদা ও উজ্জ্বলও ছিল। যুবরাজ আমাদের আভ্যর্থনা জানালেন। আমি তো প্রথমে যুবরাজকে বুঝতেই পারিনি, কারণ এত সহজভাবে একেবারে সাধারণভাবে তিনি দরজার সামনে থেকে আমাদের ভেতরে ডেকে নিয়ে গেলেন যে প্রথমে হয়তো রাজবাড়ির কোনও অফিসার ভেবে ভুল করেই ফেলেছিলাম। পড়ে যখন আমাদের বসতে বলা হল, তখন বসা দেখে বুঝলাম তিনিই যুবরাজ। এরপর শুরু হল আলাপচারিতা। যুবরাজ আমাদের কাছ থেকে বাংলায় ইনভেস্টমেন্ট করার কোথায় কোথায় সুযোগ আছে তার সবটাই জেনে নিলেন। তাঁদের অনেক প্রশ্ন, প্রশ্নের মধ্যেও আবার অনেক বাস্তব প্রশ্নও, যে আপনাদের যে এত সামাজিক স্কিম চলে সাধারণ মানুষের জন্য ‘কন্যাশ্রী’ থেকে ‘শিক্ষাশ্রী’, ‘যুবশ্রী’ থেকে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য যে কাজ সে কাজগুলোর জন্য অর্থ আসে কোথা থেকে? এসব কাজের টাকা তো রাজকোষ থেকেই আসে। তবে তাতে তো আপনাদের ব্যবসার ক্ষেত্রে, শিল্পের ক্ষেত্রে টাকা আসবে কোথা থেকে, এর জন্য কি আলাদা কোন তহবিল জনগণের থেকে বর্ধিত কর নিয়ে করেন কিনা? এসব নানারকম প্রশ্নের উত্তর যেমন তিনি জানতে চেয়েছিলেন, তেমনি কী করে জনগণের স্কিম-এর টাকা আর ইনভেস্ট দুটো একসঙ্গে করা যায়।

সব প্রশ্ন শুনে আমি ‘যুবরাজ’কে বললাম যে, দেখুন ৩৪ বছর একটানা বাম সরকার থাকার ফলে আর অর্থনৈতিক একটা দেনাগ্রস্ত, অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে যাওয়া প্রায় একটা সরকারের দায়িত্ব নিয়ে অতি দ্রুততার সঙ্গে, কাজের গতি এনে ও বিভিন্নভাবে অর্থনৈতিক সংস্কার করে আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টার মধ্য দিয়ে অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবন থেকে শুরু করে বাংলার একটা উন্নয়ন প্রক্রিয়া চালাতে শুরু করেছি, এক রাজ্য যা অর্থ পায় সরকার চালানোর জন্য, তা যদি আমাদের সরকারের রাজকোষে থাকত, তবে তো অনেক ভাল কাজ আমরা আরও, আরও করতে পারতাম।

কিন্তু অর্থভাণ্ডার শূন্য থাকায় এবং দেনার টাকা শোধ করতে করতে আমাদের প্রায় প্রতিনিয়ত সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হয়, কিন্তু তা সত্ত্বেও কোনও কাজ বন্ধ তো হয়নি, উপরন্তু, এই চার বছরে অনেক পরিকাঠামো আমাদের সরকার তৈরি করেছে। যার ফলে প্রচুর কর্মসংস্থান হয়েছে ও হচ্ছে। এই চার বছরে শুধু উচ্চশিক্ষায় তিন লক্ষ আসন বেড়েছে, ১৩ টা নতুন বিশ্ববিদ্যালয়, ৪৫ টা কলেজ, ৪১টা মাল্টিসুপার হসপিটাল, ৩০০টা এস এন এস ইউ ইউনিট, শিশু চিকি९সায় এক বহুমুখী চিকি९সার ব্যবস্থা, বিনা পয়সায় গ্রামে, জেলাতে চিকি९সার ব্যবস্থা, ন্যায্যমূল্যের ডায়াগনস্টিক সেন্টার-সহ ৩০০০ জন ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত বিনা পয়সায় হার্ট-এর বিভিন্ন অপারেশন করা-সহ, কন্যাশ্রী, শিক্ষাশ্রী, যুবশ্রী, বিশ্ববাংলা-সহ অনেক অনেক কর্মসূচি আমরা গ্রহণ করেছি। অনেক পরিকাঠামো, হাসপাতাল থেকে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেডিক্যাল কলেজ প্রায় ২০০-র মতো কিষান বাজার, পলিটেকনিক কলেজ থেকে আই টি আই সর্বস্তরে তৈরি করার প্রচেষ্টায় অনেক নতুন পরিকাঠামো যেমন বেড়েছে, তেমনই কর্মসংস্থানের সুযোগ এসেছে।

ইন্ডাস্ট্রিও নতুন করে অনেক হচ্ছে ও হবে। আর রেলমন্ত্রী থাকাকালে প্রায় ১০/১২ টা বড় রেল-এর কোম্পানি আমি বাংলায় আগেও করেছি। সুতরাং এগুলো তো হচ্ছে- পরিকল্পনা করেই। কারণ গণতান্ত্রিক সরকারের জনগণের প্রতি অনেকগুলো দায়বদ্ধতা থাকে। যে দায়বদ্ধতা শুধুমাত্র ব্যবসায়িক নয় টা সামাজিকও। সামাজিক কর্তব্য পালন করতে না জানলে, ‘গণজন’ যারা অর্থা९ ‘জনগণ’ যারা, তাদের হয়ে কাজ কে করবে।

আর ‘উন্নয়ন’ তখনই হয় প্রকৃত অর্থে, যখন উন্নয়নটা সত্যি-সত্যিই জনগণের নিকট পৌঁছতে পারে। যারা অনেক বড় বড় রাষ্ট্র তাদের তো সোশ্যাল সিকিউরিটি আছে। তারা পৃথিবীকে নেতৃত্ব দিয়েছে নিজেদেরও তৈরি করে নিয়েছে। আর আমাদের দেশে ‘সোশ্যাল সিকিউরিটি স্কিম’ না থাকার ফলে, সামাজিক দায়বদ্ধতা আমাদের অনেক বেশি। আর গরিব মানুষ যতক্ষণ নিজে নিজ পায়ে দাঁড়াতে না পারবে ততদিন এ কাজ আমাদের করে যেতেই হবে। তবে এর জন্য শিল্প কেন থেমে থাকবে? আর ইনভেস্টমেন্ট কেন থেমে থাকবে?

কৃষি চলবে, শিল্পও চলবে। শিল্প মানে তো শুধু ইট-সিমেন্ট আর লোহার কংক্রিটের জঙ্গল নয়, শিল্পে মানে বহুমুখী শিল্পও জগতের চাহিদা ও প্রয়োজনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে হবে। বড় শিল্পও বলতে আগে শুধু বড় বড় প্ল্যান্ট বোঝাত, এখন তো ক্ষুদ্র শিল্পের বাজার বিশ্ব অর্থনীতির দখল করে নিয়েছে। সুতরাং আইটি থেকে ম্যানুফ্যাকচারিং প্রয়োজনের প্রয়োজনীয় ইনভেস্টমেন্ট করতে হবে। আর বাংলাই এর জন্য উপযুক্ত জায়গা কারণ বাংলার মেধা সারা বিশ্বের বিশ্বসেরা মেধা, বাংলার স্ট্যান্ডার্ড অফ লিভিং অন্য জায়গার তুলনায় অনেকটাই সস্তা। বাংলার ট্যুরিজম শিল্পও পাহার-নদী-সমুদ্র-জঙ্গল দিয়ে ঘেরা পৃথিবীর এক অনন্য-অনন্যা যা সারা বিশ্বকে আকর্ষণ করে।

বাংলার শিক্ষা ও সংস্কৃতি সারা বিশ্বকে পথ দেখায় এবং বাংলা হচ্ছে লুক ইস্ট পলিসির বড় গেটওয়ে। বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান-সহ নর্থ-ইস্ট ও ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার গেটওয়ে। এছাড়া অনেক এশিয়ান কান্ট্রিরও গেটওয়ে।

পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশ? একেবারে প্রতিবেশী। বিমানে আধঘণ্টা, রেল-বাসেও যুক্ত।

নেপাল ঠিক তাই।

ভুটান একেবারে পাশে। কলকাতা থেকে সিঙ্গাপুর দু-আড়াই ঘণ্টা বিমানে। ব্যাংকক- দু’ঘণ্টা। মায়ানমার সড়কপথে খুব শীঘ্রই যাওয়া যাবে।

ব্যাংকক থেকে বাংলাদেশ-নেপাল-ভুটান সড়কপথে যাতায়াত করবার জন্য এডিবির সাহায্যে অনেক রাস্তার কাজ আমরা উত্তরবঙ্গ থেকে শুরু করে দিয়েছি।

বাস শুরু হয়েছে বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটানও একই পথের পথিক।

মাত্র ২ ঘণ্টায় চিন দেশের অনেকাংশে পৌঁছানো যায়।

সুতরাং বাংলাতেও ইনভেস্ট করলে এশিয়ার অনেক কান্ট্রিতে সে বিজনেসের সুফল ওঠানো জেতে পারে। আর এসব প্লাস পয়েন্ট আছে বলেই ব্রিটিশ সরকারের আমন্ত্রণে আমাদের লন্ডনে আসা। আমাদের আবেদন আগেও আমরা সিঙ্গাপুরে পৌঁছেছিলাম। আর এবারে লন্ডনে।

আপনাদের সঙ্গে তো কলকাতার একটা সম্পর্ক আগে থেকেই আছে। ব্রিটেন তো একসময় ভারতবর্ষে রাজ করতে গিয়ে অনেক ইনফ্রাস্ট্রাকচার তৈরি করেছিল আর বিখ্যাত কবিতার লাইন যা আজ মনে করিয়ে দেয়, যে “বণিকের মানদণ্ড, দেখা দিল রাজদণ্ড রুপে” তা তো সবার জানা।

যদি বিজনেসে পোটেনশিয়ালিটি না থাকে, তবে কেন কল্কাতাকে সেদিন আপনারা অবিভক্ত ভারতবর্ষের রাজধানী হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন? সুতরাং আপনাদের বাংলায় আস্তে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে আপনাদের হাতে তৈরি করা ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল অথবা হাওড়া ব্রিজ।

আপনারা আসুন গঙ্গার তীর ধরে সৌন্দর্যকে উপলব্ধি করুন আর এডুকেশন, রিয়্যালিটি, ট্যুরিজম হেরিটেজ ইত্যাদি ব্যাপারে আপনারা নজর দিয়ে ও আমাদের সঙ্গে ব্যবসা করলে আমরা খুশিই হব। প্রায় ঘণ্টাখানেক আলোচনার মধ্যে দিয়ে খুব ভালো কথাবার্তা হল। আলোচনায় রাজপরিবার খুব খুশি।

এরপর যুবরাজের স্ত্রী স্যারা এলেন। ১৯১২ সালে মধ্যমগ্রামের অলকাদিদের একটা এনজিও প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রণে তাঁরা এসেছিলেন। তাই আলোচনার পর চা-তে মিলিত হলাম আরও কিছু বিশিষ্ট মানুষজনের সঙ্গে। লর্ডসের স্পিকার ‘স্যারা’ থেকে আরও অনেক ব্রিটিশ গুরুত্বপূর্ণ বন্ধুদের সঙ্গে। থ্যাঙ্কস গিভিং অনুষ্ঠানও হল।

চা খেয়ে এবার ফিরে আসার পালা।

ফিরে আসার সময়ও ব্রিটেন যুবরাজের সৌজন্য বিশেষভাবে লক্ষ করলাম। একেবারে শেষপ্রান্তে রাজবাড়ির প্রবেশদ্বার পর্যন্ত তিনি আমাদের এগিয়ে দিলেন।

আমরা যে দুদিন অখানে ছিলাম, তখন লক্ষ করতাম ওই ‘বাকিংহাম প্যালেস’-এর বাইরেটা দেখবার জন্য বিরাট এক জনসংখ্যা অপেক্ষা করেন। সর্বদা তাঁরা ওই বাইরের প্রবেশদ্বারের থেকেও যে রাস্তার ধারে প্রধান সড়ক আছে সেই সড়ক ধরে কোলাপসিবল বৃহ९ গেটের পাশে ফুটপাত সংলগ্ন অঞ্চল দেখেই রাজকথায় কথিত একেবারে বাকিংহাম প্যালেস দেখবার আনন্দে মাতোয়ারা থাকেন। আমরা যখন রাজপ্রাসাদের বাইরে বেরিয়েছিলাম তখন লক্ষ করছিলাম জনগণের অর্থা९ বিভিন্ন দেশের ভ্রমনার্থীদের কৌতূহল জাগছিল হয়তো আমাদের দেখে, কারণ তখন তাঁরা বাইরে আর আমরা ভেতরে।

ওখান থেকে বেরিয়ে আমরা চলে এলাম ব্রিটিশ সরকারের, সরকারী দফতর, সরকারী আমন্ত্রণে লোকার্নো সুইট-এ সেখানে ইন্ডিয়ার দায়িত্বে থাকা ব্রিটিশ মন্ত্রী ম্যাডাম প্যাটেল-এর সঙ্গে দেখা হল। তার পর আমরা এলাম সরকারী সৌজন্যে লোকার্নো সুইটের ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদের সভায়। সেখানে আমাদের শিল্প প্রতিনিধি দল ও ব্রিটিশ প্রতিনিধিদলের উপস্থিতিতে ব্রিটিশ সরকারের পক্ষে তাঁদের মন্ত্রী মহোদয়া ম্যাডাম প্যাটেল ও ইন্দো–ইউকে রিলেশন নিয়ে অনেকক্ষণ আলোচনাসভা ও বক্তৃতা শুনতে হয়েছিল।

এ সভা আয়োজন করেছিলেন ইউকেবিসি।

সভা খুব সাফল্যের সঙ্গে হওয়ার পর আমাদের কয়েকজন এবং ব্রিটিশ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কয়েকজনকে ডিনারে আমন্ত্রণ করেছিলেন ম্যাডাম প্যাস্ট্রিসিয়া। সেটাও প্রায় আলোচনার মধ্যে দিয়ে ঘণ্টা দুয়েক চলল। শেষ হল তাঁদের ঘড়ির ১১টায় অর্থা९ আমাদের ঘড়ির সময় তখন ৪/৪.৩০ বাজে।

ফিরে আসার পড়ে স্নান করে রেদি হতে হতে আমাদের ঘড়ির সময়ে ঘুম? না তার দেখাই মেলে না, একেবারে নৈব নৈব চ ।

সকাল হতেই হুজুগ সবার, টেমস নদীর পাড় ধরে লন্ডন কেমন সেজেছে চলুন দেখে আসি। ব্যস শুরু হল হাঁটা। চলতে চলতে শুরু হয়েছিল ৪০ জনকে নিয়ে আর শেষ যখন হল তখন ওই পাঁচ-সাতজন। ১০/১২ কিমি হেঁটে হোটেল থেকে একেবারে লন্ডন ব্রিজ, ওখান থেকে আবার হেঁটে পায়ে পায়ে হোটেল। প্রায় দুঘণ্টা হনটনের পর হোটেলে ফেরা। তার পরেই বেরোলাম কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও গান্ধী মূর্তিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে।

একসঙ্গে বাসে উঠে এই দুটো কাজ করে আবার পায়ে হেঁটে হোটেলে ফেরা, তার পরই ওখানে থাকাকালীন যে দুঃসংবাদ আমাদের ভীষণভাবে মর্মাহত করেছিল, যে এ পি জে আবদুল কালাম আর নেই। সেই মানুষটির স্মৃতিতে শ্রদ্ধা প্রদর্শন, তারপর আবার রাত ৮ টায় সবার এক জায়গায় মিট টুগেদার ছিল, সেখানে যাওয়া।

পরের দিন যেদিন আমরা সকালে উঠেই পেলাম প্রাকৃতিক দুর্যোগের সংবাদ, আর সঙ্গে সঙ্গে ফিরে আসার ব্যবস্থা করতে ওই রাস্তাতেই হাঁটতে হাঁটতে হাইড পার্কের পাশ ধরে প্রায় ওই দেড়-দুঘণ্টা ভাবনা-চিন্তা করে কিছু প্রোগ্রাম কাটছাঁট করার ব্যবস্থা করলাম।

আগের দিন দুপুরে হোটেলে এসেছিলেন স্বরাজ পোল। তিনি তাঁর বাড়িতে যেতে আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।

তাই হাইড পার্ক থেকে ফিরে আমরা স্বরাজ পল-এর বাড়িতে গেলাম। তাঁর অসুস্থ স্ত্রী আমাকে একবার দেখতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন শুনেছিলাম তাই তাঁকে দেখতে গেলাম আর এই সুযোগে ওখানকার কয়েকজন লর্ড ও শিল্পপতিদের সঙ্গে আমাদের আর একটা ইনভেস্টমেন্টের ব্যাপারে সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনেক সাংবাদিক বন্ধুরাও আমন্ত্রিত ছিলেন সেখানে। অখানে মিটিং শেষ করেই এয়ারপোর্টের পথে ফিরে আসার জন্য।

এমনিতেই বাইরে আসা-যাওয়া হয় না। তাঁর ওপর যদি পাঁচদিনের প্রোগ্রাম দুদিনে করতে হয়, তবে তাতে কাজের চাপ অনেক বেশি পড়ে যায় তা বলাইবাহুল্য। ঘুম আর খাওয়া? ও দুটো প্রায় চা-কফি-স্যান্ডউইচ আর নিদ্রাহীন কাজের মধ্যেই কেটে গিয়েছে বলতে পারেন।

তবে সব ভাল যার শেষ ভাল। আমাদের সবাই পশ্চিমবঙ্গ পরিবারের হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবেই সব কাজটা আমরা ওই দুদিনেই লন্ডনে করতে পেরেছি এত আন্তরিকতার সঙ্গে যে প্রতিটা মুহূর্তই কিন্তু আশার আলো মুখে হাসি ও ভবিষ্যতের ডেস্টিনি বাংলাই এটা প্রমাণ করতে আমরা ১০০/১০০ সফল হয়েছি। থ্যাঙ্ক টু আওয়ার ফুল টিম। কৃতজ্ঞতা বাংলার মা-মাটি মানুষকে।

 

16 October, 2015

ফের মমতার কাজের পক্ষে জনতার রায়

বাংলাই এখন লগ্নির সেরা গন্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসায় শিল্পমহল

“বাংলা এখন বদলে গিয়েছে। খুলেছে শিল্পের দিগন্ত। বনধ, শ্রমিক ধর্মঘট এ রাজ্যে এখন ইতিহাস। আসুন বাংলায় শিল্প গড়ুন।” এক আন্তরিকতার বার্তায় এভাবেই শিল্পপতিদের বাংলায় শিল্প গড়ার আহ্বান জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Festive edition of Jago Bangla published

Trinamool Chairperson Ms Mamata Banerjee today released the Jago Bangla Festive Edition today at 5 PM at a colourful ceremony at Nazrul Mancha.

Like every year, the cover of the Utsav edition has been designed by Mamata Banerjee. The backs cover feature photographs taken by the Chairperson.

This year’s edition has articles by the party general Secretary Subrata Bakshi, Secretary General Partha Chatterjee, TMYC president Abhishek Banerjee, MP Suvendu Adhikari, senior leaders and state ministers, Firhad Hakim, Aroop Biswas among others.

The Trinamool Chairperson has detailed her visit to London in her article, in this year’s edition. A photo gallery, detailing the visit is also present in the edition.

Mamata Banerjee said, “We are proud of the team that puts together Jago Bangla. There is huge demand for ‪‎Jago Bangla‬ because it is soothing, even as it is our mouthpiece it is not used to attack others.”

“The aim of Jago Bangla is to spread our movement to the grassroots, to build awareness in Bengal. Hence the name,” she added.

 

Click here to read the Jago Bangla Festive Edition online

18 September, 2015

ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রীর

নেতাজির ৬৪টি গোপন ফাইল প্রকাশ করলো রাজ্য সরকার

এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের হাতে থাকা ৬৪টি গোপন ফাইল জনসমক্ষে প্রকাশ করলো রাজ্য সরকার। এমন ‘সাহসী’ ও ‘ঐতিহাসিক’ সিদ্ধান্ত আগে কেউ গ্রহণ করেনি। করে দেখালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

11 September 2015

মর্যাদার সঙ্গে রাজ্যজুড়ে পালিত শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান

শিক্ষকরাই সভ্যতার জন্ম দেন : মুখ্যমন্ত্রী

সারা বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে বাংলার মেধা। আমেরিকায় যান, ইংল্যান্ডে যান, ইতালিতে যান। কারা সব থেকে বেশি মেধায়? বলবে বাংলা থেকে যারা এসেছে। বাংলার ছেলেমেয়েরা সারা পৃথিবীতে আছেন। তাদের কাছে আবেদন যেখানেই থাকুন বাংলাটাকে ভুল্বেন না। বাংলাটাকে ভালবাসুন।

4 September 2015

মানুষের দায়িত্বে জাগ্রত প্রশাসন বাম-বন্ধ ব্যর্থ করে দিল জনতা

৩৪ বছর বাংলায় কঙ্কালের রাজনীতি করে রাজ্যটাকে শেষ করে দিয়েছিল সিপিএম। কোনও শিক্ষা ওদের হয়নি। এখনও বছরে বারবার বন্ধ ডেকে তাণ্ডব আর গুণ্ডামি হচ্ছে। মানুষ সঙ্গে নেই বলে রাস্তায় পাথর ছুড়ছে, ভাঙচুর করছে। এই বদভ্যাস বাংলার মানুষ রুখে দেবেই।

28 August 2015

শান্তির পাহাড়ে আরও কর্মযজ্ঞ

ভারত সরকার স্বচ্ছ ভারত প্রকল্প ঘোষণা করেছে। দেশের মধ্যে প্রথম চারটি স্থানে রয়েছে আমাদের রাজ্যের তিনটি জেলা। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় আগামি দিনে এক নম্বর হবে দার্জিলিং। বিশ্বের শ্রেষ্ঠ জায়গা হবে দার্জিলিং।

21 August 2015

প্রশাসনিক বৈঠকে আরও কাজের সুযোগ

কেন্দ্রকে কঠোর বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

রাজ্যের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে তীব্র আন্দোলনের ডাক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের সাধারণ মানুষের স্বার্থে দিল্লি গিয়ে যে বৃহত্তর আন্দোলন হবে তা স্পষ্ট করেছেন তিনি।

14 August 2015

সর্বভারতীয় রাজনীতিতে কতটা গুরুত্ব বোঝালেন জননেত্রী

বাংলার জননেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মধ্যমনি করেই ফের আঞ্চলিক দলগুলি জোট বাধার উদ্যোগ নিতে শুরু করল। বাংলার জননেত্রীকেই যে গোটা দেশ বিকল্প হিসাবে দেখে তা এই ঘটনাতেই স্পষ্ট।  বাংলার জননেত্রী দিল্লীতে পা রাখামাত্র তাঁকে বৃত্তের কেন্দ্রে রেখে যেভাবে বিভিন্ন আঞ্চলিক দল হাতে হাত  ধরার প্রচেষ্টা শুরু করল চোখে আঙুল দিয়ে সেটাই দেখিয়ে দিচ্ছে।