3 March 2017

ধর্ম পালন ব্যক্তিগত অধিকার, ভালবাসুন অন্য ধর্মকেও

ভেদাভেদের রাজনীতির বিরুদ্ধে সর্বধর্ম সমন্বয়ের ডাক জননেত্রীর

আমি মন্দিরে যাই, মসজিদে যাই, প্রার্থনা করতে যাই গির্জাতেও। গুরুদ্বারে গিয়ে প্রসাদও খেয়ে আসি। কে কোন ধর্ম পালন করবে সেটা তার সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত অধিকার।

24 February 2017

ভাঙচুর, আগুন লাগানোর রাজনীতি শেষ করবইঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

৩৪ বছর জ্বালিয়ে দাও, পুড়িয়ে দাও, ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও অনেক হয়েছে। আমায় কেউ দুর্বল ভাববেন না। এই রাজনীতি শেষ করবই। বাংলার ক্লাবগুলিকে বলব একজোট হয়ে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে, পল্লীতে গ্রামেগঞ্জে রুখে দাঁড়ান। বাংলাকে বিশ্ব বাংলায় প্রতিষ্ঠা করার শপথ নিন।

 

17 February 2017

বাম ঋণের বোঝা সত্ত্বেও কর্মযজ্ঞ

নোটবন্দি করে গোটা দেশকে বিপর্যয়ের মুখে ফেলে দিয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। বাংলায় প্রভূত ক্ষতি হয়েছে। তবু তারপরও সারা দেশে নজির তৈরি করে মানবিকতার উজ্জ্বল নিদর্শন রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নোটবন্দিতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের স্বার্থে তহবিলের ঘোষণা করা হল রাজ্য বাজেটে।

 

10 February 2017

মানুষের জন্যই বিল

মানুষের সম্পত্তি প্রটেক্ট করবে এই বিল। যতদিন বাঁচব মানুষের অধিকারের জন্য লড়াই করব। মানুষের গায়ে হাত দিলে সেই হাত কিভাবে সরিয়ে দিতে হয়, জানি। মানবিকতার সঙ্গেই লড়াই করি। এই বিল হামলা-হাঙ্গামাকারীদের স্তব্ধ করবে, তাই ওদের রাগ। এই বিল আগামিদিনে মানুষের অধিকার, জনগণের সম্পত্তি রক্ষা করবে। চিরকালের জন্য পথপ্রদর্শক হবে।

20 January 2017

মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে বঙ্গ বাণিজ্যে বসতি লক্ষ্মী

শুরু হয়ে গেল বিশ্ব বঙ্গ সম্মেলন। এবারের সম্মেলনে উদ্বোধক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। বরাবরই এই সম্মেলন কে সামনে রেখে রাজ্য তথা দেশে প্রবল আগ্রহের সঞ্চার হয়। বাংলায় ক্ষমতার পরিবর্তন হওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যে উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে রাজ্য তাঁর সাফল্যের ছোঁয়া দেখা যায় এই সম্মেলনে।

13 January 2016

প্রতিহিংসার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড়

দেশে তুঘলকি শাসন চলছে। একনায়কতন্ত্র। জরুরি অবস্থার চেয়েও ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। মানুষ মরছে। দশ কোটি বেকার। অর্থনীতির সর্বনাশ। চাষ বন্ধ। দেশে দুর্ভিক্ষ হতে পারে। এই সময় আমি মানুষের পাশে দাঁড়াব, নাকি ধান-দূর্বা দিয়ে মোদী বাবুর পুজো করব। প্রতিবাদ করছি বলেই তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে বিজেপি। চিটফান্ড তৈরি করেছে সিপিএম। তাদের লালন পালন করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন নেতারা। তাদের ধরার নাম নেই।

30 December 2016

মানুষের সাথে মানুষের পাশে

মানুষের স্বার্থে লড়ছি। কোনও অবস্থাতেই আমরা মানুষের পাশ থেকে সরব না। ওরা যতই প্রতিহিংসার রাজনীতি করুক।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

 

18 November 2016

আর্থিক বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতির কাছে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী

মমতার প্রতিবাদে উত্তাল দিল্লি

কেন্দ্র সরকারের নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে জননেত্রী মমতা বন্দ্যপাধ্যায়ের আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠল দেশ। দিল্লি গিয়ে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। রাষ্ট্রপতিকে জানান সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কথা।

 

 

কৃষি থেকে শিল্প – বাংলাকে বিশ্বে প্রতিষ্ঠা দেওয়ার কাজ শুরু জননেত্রীর: সুব্রত বক্সী

গণতন্ত্র রক্ষা ও তাকে মর্যাদা দেওয়ার একমাত্র শর্ত নিয়ে ১৯৯৮ সালে তৈরী হল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই থেকে লড়াই শুরু। বাংলার বেকার যুবক-যুবতীদের চাকরি, ভোটাধিকার-সহ মানুষের গণতান্ত্রিক ন্যূনতম অধিকার নিয়ে লড়াই শুরু করলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। আর যেহেতু গণতন্ত্রের জন্য লড়াই, সেজন্যই তা সবচেয়ে কঠিন।

একদিকে বামফ্রন্ট, আর অন্যদিকে কংগ্রেস তখন বাংলার মা-মাটি-মানুষের স্বার্থ পদদলিত করছে। লড়াই-আত্মত্যাগের বিনিময়ে মানুষের মর্যাদা ফিরিয়ে আনতে লড়াই শুরু করলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। অন্যদিকে, ঘটে চলেছে রাজনৈতিক খুন। রাজনীতির নামে খুন হচ্ছে সাধারণ মানুষ।পাহাড় জ্বলছে।অশান্ত জঙ্গলমহল।দরিদ্র মানুষের মুখে সামান্য অন্ন তুলে দেওয়ার নামে চলছে নোংরা রাজনীতি। লড়াই আরও কঠিন হল। দায়িত্ব একার কাঁধে তুলে নিলেন জননেত্রী। চলতে থাকলো সংগ্রাম।

এই অবস্থা থেকে এল ২০০৬ সাল। বাংলায় সপ্তম বামফ্রন্ট সরকার গড়ার সঙ্গে সঙ্গে কৃষকের স্বার্থ নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন উঠে গেল। রক্তাক্ত হলো সিঙ্গুরের মাটি। নিজের জীবন বাজি রেখে কৃষকের স্বার্থ রক্ষার জন্য অনশনে বসলেন জননেত্রী। তার পর ২০০৭-এ নন্দীগ্রাম। মমতার লড়াইকে সামনে রেখে রুখে দাঁড়াল নন্দীগ্রামের মানুষ। পরের বছর ২০০৮-এ ঘটে গেলো রিজওয়ানুর রহমান খুনের মতো ঘটনা। একটি সম্পর্ককে স্রেফ শ্রেনির বিচারে মর্যাদা না দিতে চেয়ে বাম-ঘনিষ্ট শক্তি খুন করল এক তরতাজা প্রতিভাবান মুসলিম যুবককে। দক্ষিন কলকাতা লাগোয়া তপসিয়ার ঘুপচি গলিতে তাঁর পরিবারের পাশে, তাঁর মায়ের পাশে ছুটে গেলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। বাংলায় পরিবর্তনের বাতাবরণ তৈরী হতে শুরু করল।

২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে সেই পরিবর্তনের শুরু। মানুষ যে জনস্বার্থ-বিরোধী সিপিএম ও কুচক্রী কংগ্রেসকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে তা স্পষ্ট হতে থাকল। পঞ্চায়েতের ৫১ হাজার আসনের মধ্যে মানুষের সমর্থন নিয়ে ৩৯ হাজার আসনে প্রার্থী দিল তৃণমূল কংগ্রেস। জয় এলো ২৯ হাজার আসনে। শুরু হল তৃণমূলের জয়যাত্রা। এর পর ২০০৯-এ লোকসভা আসনে নিজেদের পদক্ষেপ আরও স্পষ্ট করে রাজ্যে ভিত শক্ত করতে শুরু করলো তৃণমূল কংগ্রেস। তার পরের বছরই পুর-নির্বাচন। কলকাতা পুরসভা-সহ ৮৭টি পুরসভার নির্বাচনে বাংলায় পরিবর্তনের সূচনা হল। তারপর ২০১১ সাল। মানুষের অধিকার রক্ষার অঙ্গীকার নিয়ে গণতন্ত্রের জয় হল। মানুষ আশীর্বাদ করে বাংলার ক্ষমতা তুলে দিল মমতা বন্দোপাধ্যায়ের হাতে। মানুষের কাছে যে অঙ্গীকার নিয়ে ক্ষমতায় এলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়, শুরু হলো সেই প্রতিশ্রুতি, সেই অঙ্গীকার রক্ষার কাজ। মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই সিঙ্গুরের কৃষিজমি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আইন প্রণয়নের প্রক্রিয়া শুরু হল। বিল আনলেন জননেত্রী। কিছু আইনি প্রক্রিয়ায় সেই বিল আটকে গেল হাই কোর্টে। মামলা গেল সুপ্রিম কোর্টে।

তার মধ্যেই কিন্তু চলছে দলকে অনুশাসনে বাঁধার পালা। সঙ্গে সরকার চলছে বাংলার মর্যাদা ফিরিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে। একেবারে নিজের পরিশ্রমে মানুষের স্বার্থের কথা ভেবে নিজের বুধ্ধিমত্তার জোরে একের পর এক সরকারি প্রকল্প ঘোষণা। ইতিমধ্যে একদিকে জঙ্গলমহল, উল্টোদিকে পাহাড়কে শান্ত করে ফেলেছেন বাংলার নেত্রী। এর পরই শুরু হল বাংলার মানুষের জন্য একের পর এক প্রকল্প নেওয়া। মানুষ কেন জননেত্রীর ওপর ভরসা রাখবেন না? একার পরিশ্রমে, একার বুধ্ধিমত্তায় আনলেন কন্যাশ্রীর মতো প্রকল্প। যা এখন গোটা দেশ, গোটা বিশ্বের কাছে মডেল। সঙ্গে সঙ্গে কিশোরে-কিশোরীদের জন্য সবুজসাথী, যুবক-যুবতীদের জন্য এল যুবশ্রী। বেকারদের সাহায্যার্থে একাধিক প্রকল্প। সরকারি সহায়তায় ঋণ দিয়ে বেকারদের নিজের পায়ে দাঁড় করানোর পালা। মাথায় রাখতে হবে, বাংলার সরকারের ঘরে তখন আড়াই লক্ষ কোটি টাকার ঋণ। মানুষকে ঠকিয়ে বামফ্রন্ট রাজ্যের ঘাড়ে চাপিয়ে গিয়েছে সেই ঋণ। তার মধ্যে কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে বারবার দরবার করেও মিলছে না সুরাহা। এই সার্বিক পরিস্থিতিতে মানুষের কথা জাতীয় স্টোরে পৌঁছে দেওয়ার বিষয়টি মর্মে উপলব্ধি করলেন সেই মমতা বন্দোপাধ্যায়। বুঝলেন বাংলায় উন্নয়নের কাজ মসৃনভাবে চালিয়ে যেতে গেলে কেন্দ্রের ক্ষমতাকেও নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। তবেই বাংলার অধিকার রক্ষিত হবে। রক্ষিত হবে বাংলার প্রকৃত স্বার্থ।কারণ কেন্দ্র সরকার যেভাবে বাংলার প্রতি বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে, সম্পূর্ণ সাম্প্রদায়িক মনোভাব নিয়ে বাংলা-সহ বিভিন্ন রাজ্যে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে, যেভাবে একের পর এক প্রকল্পে রাজ্যের বরাদ্দ ছাঁটাই করছে, তার জন্য অবিলম্বে প্রয়োজন কেন্দ্রে ক্ষমতা বদল। সেই প্রেক্ষাপটেই দেশজুড়ে সমমনোভাবাপন্ন শক্তিগুলিকে একজোট করে ফেডারেল ফ্রন্ট গঠনের ডাক দিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়।

পরিস্থিতির দাবিতে শুরু হল বাংলার বাইরে পা রাখা। এ কথা না বললেই নয় যে, এই গোটা পথ এক হেঁটেছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে ত্রিপুরা, ওড়িশা, মণিপুর, অরুণাচল প্রদেশও তৃণমূলনেত্রীকে আহ্বান জানাল। সঙ্গে উত্তর ও দক্ষিন ভারতেও একইসঙ্গে বাড়ছে দলের গ্রহণযোগ্যতা। এই অবস্থায় রাজ্যে কিছু ঘটনাকে কেন্দ্র করে মানুষের মধ্যে অভিমান তৈরী হল। দলীয় কিছু নেতার বিরুদ্ধে সেই অভিমান নিয়েও ব্যবস্থা নিলেন জননেত্রী। পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, মানুষের স্বার্থে লড়াই তাঁর প্রধান শর্ত। সেই নীতি থেকে তিনি সরবেন না। ফলে মানুষ সমস্যায় পড়ে এমন কোনও ঘটনা ঘটলে তিনি বরদাস্ত করবেন না। তাই মানুষের পাশে থাকতে হবে। তাদের সঙ্গেই চলবে উন্নয়নের কাজ।

মানুষকে সঙ্গে নিয়ে দলকে অনুশাসনে বেঁধে, কি দূরদর্শিতায় জননেত্রী বাংলার ভবিষ্যতের কথা ভাবছেন, তা বোঝা যাবে নেত্রীর নিরলস প্রয়াসে। রাজ্যের কৃষকদের স্বার্থরক্ষার পাশাপাশি বেকার সমস্যা সমাধানে শিল্প যে কতটা জরুরি, মমতা তা বুঝিয়ে দিলেন।

বিশ্ববাংলা সম্মেলনের আয়োজন করলেন জননেত্রী। যেখানে আম্বানি থেকে শুরু করে দেশ-বিদেশের বহু শিল্পোদ্যোগীকে আহ্বান জানালেন। মমতা বুঝিয়ে দিলেন কৃষির ওপর ভিত্তি করেই শিল্পের দিকে নজর দিতে হবে। তবেই রাজ্যের উন্নয়ন দ্রুত সম্ভব। শুরু হল জননেত্রীর আহ্বানে রাজ্যে শিল্প সম্ভাবনা। স্কিল ডেভেলপমেন্ট থেকে ছোট ছোট সহযোগিতার মাধ্যমে রাজ্যে শিল্পের বাতাবরণ তৈরী হতে থাকল। শিল্প-সম্ভাবনা আরও জোরদার হল। শিল্পের প্রয়োজনে বিদেশের মাটিতে পা রাখলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। বাংলার শান্ত পরিবেশে শিল্পের আরও নানা দিক খুলতে লাগল। বাংলার হাত ধরতে শুরু করলো বিশ্ব। বিশ্ববাংলার রূপ পেতে শুরু করলো রাজ্য।
পাঁচ বছরের এই সার্বিক প্রচেষ্টার সুফল হাতে নিয়ে যখন মানুষের সামনে দাঁড়ানোর প্রস্তুতি শুরু করেছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়, বিরোধী দলগুলি একজোট হল। জোট বাঁধলো এক শ্রেণির সংবাদমাধ্যম। শুরু হলো লাগাতার ষড়যন্ত্র, কুত্সা, মিথ্যা প্রচার। মানুষকে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দেওয়ার চূড়ান্ত অপচেষ্টা। রাজ্যকে অশান্ত করে দেয়ার চক্রান্ত। রাজ্যে সেই রাজনৈতিক অশান্তির মধ্যে দাঁড়িয়ে জনমতের ঝড় মমতা বন্দোপাধ্যায়কে আবার পৌঁছে দিল মসনদে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি যে আদপে একেবারেই অন্তঃসারশূন্য, তার প্রমাণ দিয়ে মানুষই বুঝিয়ে দিলেন তাঁরা মমতা বন্দোপাধ্যায়েই আস্থা রেখেছেন। কোনও অলীক কল্পনা নিয়ে কোনও ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দিতে চান না মানুষ।

শুরু হল নেত্রীর দ্বিতীয় ইনিংস। আবার প্রতিষ্ঠিত হল গণতন্ত্র। দুর্নীতি, অপশাসন, মানুষের ওপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে একের পর এক লড়াই শেষ করে, মানুষের আশীর্বাদে জয় ছিনিয়ে এনে ষড়যন্ত্রের বাধা পার করে, রাজ্যের জন্য উন্নয়নের ডালি নিয়ে দলকে এক সুশাসনের মন্ত্রে বেঁধে বাংলার নতুন সূর্যোদয়ের দিকে চলেছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। সরকার ও দলকে চালানোর ক্ষেত্রে এবার তিনি আরও কঠোর। এই ধাপেই সুপ্রিম কোর্টের রায় এনে দিল নতুন জয়। জীবন বাজি রেখে সিঙ্গুরের জন্য যে লড়াই জননেত্রী লড়েছেন, জয় হয়েছে সেই লড়াইয়ে। কৃষকদের হাতে ফিরেছে জমি। সঙ্গে আরও সম্ভাবনাময় হচ্ছে শিল্প-পরিস্থিতি। যা তাঁর একার কৃতিত্ব।

 

 

মানুষের দাবিতেই সিলেবাসে সিঙ্গুর – পার্থ চট্টোপাধ্যায়

একজন মানুষ স্বপ্ন দেখেন বাংলার প্রতিটি মায়ের আঁচল শিউলি ফুলের সুগন্ধে ভরিয়ে দিতে। একজন মানুষ প্রতিনিয়ত স্বপ্ন দেখেন মাটির সঙ্গে নিবিড় সাহচর্যে যাঁদের জীবন, তাঁদের প্রতি হওয়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করে লড়াইয়ের মাঠে দাঁড়িয়ে মাটির অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার।

তিনি এমন একজন হৃদয়বান মানুষ যিনি বাংলার সর্বস্তরের নাগরিকের জীবনে-সংসারে সুস্থিতি চান, সমৃধ্ধি চান, চান রাজ্যবাসী গোটা বিশ্বের কাছে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে বলুক, ‘জগ९সভায় বাংলা শ্রেষ্ঠ আসন পাবে’।

বাংলার ন’কোটি মানুষের সমস্ত স্বপ্ন পূরণের সেই কারিগর এবং বিশ্ববাংলা গড়ার একমবাদিত্যম মানুষ, আমাদের প্রিয় জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সিঙ্গুর বিজয় দিবসে মঞ্চ থেকে সেদিন নেত্রী ঘোষণা করলেন, চাষি ও কৃষকদের অধিকার নিয়ে তিনি বই লিখতে শুরু করছেন। সেই বই আগামীদিনে দেশ-বিদেশের মানুষের কাছে এক ঐতিহাসিক দলিল হয়ে থাকবে ঠিকই। বাংলা তথা গোটা দেশে ভূমির অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে নেত্রীর সিঙ্গুর আন্দোলনই যে একমাত্র জনগণতান্ত্রিক স্বীকৃতি পেয়েছে তাও ইতিহাস। সুপ্রিম কোর্ট জমি ফেরত দেওয়ার দাবিতে সিলমোহর দেওয়ার পর দেশের অন্যান্য রাজ্য এবং প্রদেশেও ‘মমতা-মডেল’ অনুসরণ করা হচ্ছে। যে প্রদীপ জ্বালিয়েছিলেন সিঙ্গুরের ধূসর প্রান্তরে, সেখানে আজ কৃষকদের প্রাণের সমারোহ। সেই উ९সবে শামিল হয়েছে ভারতবাসীও। তিনি হয়ে উঠেছেন সারা বিশ্বের ভূমি অধিকার আন্দোলনের মূল পথপ্রদর্শক। বস্তুত, শীর্ষ আদালত সিঙ্গুরের আন্দোলনের দাবি মেনে নেওয়ায় গোটা দেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই আমজনতার সর্বজনগ্রাহ্য জাতীয় নেত্রী হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ও পাচ্ছেন।

আগামীদিনে সিঙ্গুর আন্দোলন নিয়ে দেশ-বিদেশে অনেকে গবেষণা করবেন, পিএইচডিও করবেন। যাঁরা গবেষণা করবেন তাঁদের জন্য নেত্রীর বইটি অবশ্যই প্রয়োজনীয় হয়ে উঠবে। কিন্তু নবপ্রজন্মের কাছে সহজে সিঙ্গুর আন্দোলনের ইতিহাস জানাতে বাংলার আমজনতা চাইছে বিষয়টিকে সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করা হোক। বিদ্বজ্জনেরা চাইছেন ভূমির অধিকার নিয়ে গোটা দেশের কাছে যে নয়া দিশা দেখিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা অবশ্যই পাঠ্যবইয়ে রাখা হোক। কারণ, সেদিন বহু বামপন্থী বিদ্বজ্জনও নেত্রীর সঙ্গে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের আন্দোলনে পা মিলিয়েছিলেন। রাজ্যের সিলেবাস কমিটিও সেই সুপারিশই করেছে।তাই আমরা রাজ্য সরকারের তরফে শিক্ষা দফতরের তরফে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে নবম ও দশম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।গরিব মানুষের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর অন্য অনেক প্রকল্প ঘোষণাকে সমর্থনের মতোই সিলেবাসে সিঙ্গুর রাখার সিদ্ধান্তকে পাহাড় থেকে সাগর, সবাই স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন করেছেন। আর এটাই আমাদের মা-মাটি-মানুষ সরকারের অন্যতম সাফল্য।

বিজয় দিবসের মঞ্চে সেদিন যখন সিঙ্গুরের ‘মাতঙ্গিনী’ সরস্বতী দাসকে জড়িয়ে ধরে আবেগরুদ্ধ হয়ে পড়লেন নেত্রী তখন মনে পড়ছিল দশ বছর আগের টুকরো টুকরো স্মৃতি। দশটা বছর কেটে গেলেও একটুও বিবর্ণ হয়নি সেই জমি নিয়ে উদয়াস্ত লড়াইয়ের নানা ঘটনা। শানাপাড়া, বেড়াবাড়ি, জয়মোল্লায় দিনের পর দিন আন্দোলনকারী চাষীদের সঙ্গে ঘুরেছি। প্রতিটি ঘটনাই আজও টাটকা, তাপসীর মৃত্যুর মতো বেশ কিছু ঘটনা তো যন্ত্রণাক্লিষ্ট। সেদিনও মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের জন্য মরণপণ ঐকান্তিক লড়াই করেছিলেন জননেত্রী। তিনি ছিলেন ভূমি নিয়ে মানুষের স্বপ্নপূরণের লড়াইয়ের সাধিকা। একইভাবে তিনিই নন্দীগ্রামের মানুষদের ভূমি হারানোর যন্ত্রণার প্রতিবাদ করেছিলেন। রাস্তার পাশে মঞ্চ বেঁধে সিঙ্গুরে টানা ১৪ দিন ধর্না দিয়েছেন নেত্রী। আমরা সবাই সঙ্গী। রাতের অন্ধকারে চেষ্টা হয়েছিল, লরি চাপা দিয়ে ধর্নায় অংশ নেওয়া রাস্তায় শুয়ে থাকা ঘুমন্ত কর্মীদের পিষে দেওয়ার। কিন্তু নেত্রীর সজাগদৃষ্টিতে রাতপাহারা থাকায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছিল সবাই। তবে সিপিএমের ভয়াবহ চক্রান্ত এবং হিংস্রতার হাত থেকে শত চেষ্টা করেও তাপসী মালিক বা রাজকুমার বহুলদের আমরা বাঁচাতে পারিনি। বাঁচাতে পারিনি আরও ১২জন কৃষককে।

সিলেবাসে আমরা রাখতে চাই, জীবন বিপন্ন করে মা-মাটি-মানুষের নেত্রীর টানা ২৬ দিনের অনশন-লড়াইয়ের কথা। ধর্মতলার সেই অনশনে নেত্রীর পাশে ছুটে এসেছিলেন দেশের তাবড় নেতৃত্ব। ছিলেন হাজার চুরাশির মা প্রয়াত মহাশ্বেতাদেবী। এখনো ভাবলে শিউরে উঠি। কারণ, একদিকে সিপিএম ও পুলিশ প্রশাসনের অত্যাচার অন্যদিকে টানা অনশনের ধাক্কায় নেত্রীর প্রাণ সংশয় হওয়ার উপক্রম। দু’য়ে মিলে তখন আমরা সবাই তটস্থ, শঙ্কিত। দলে দলে সবাই এসে তখন ধর্মতলায় নেত্রীর মঞ্চের পাশে উদগ্রীব হয়ে থাকতাম। সঙ্গে হাজার হাজার মানুষ। কিন্তু রাজ্যপালের উপস্থিতিতে হওয়া চুক্তিও মানেননি সেদিনের সিপিএমের দাম্ভিক মুখ্যমন্ত্রী। দম্ভ, অহংকার শেষ কথা বলে না, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় জনগণ। তাই শুধু সিঙ্গুর নয়, এবারেও বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধী ভোট এক করার মরিয়া ব্যর্থ চেষ্টা করেও জনগণের ফু९কারে উড়ে গিয়েছে কু९সাকারী-অপপ্রচারকারীরা।

১০বছর আগের আন্দোলনের সেই ইতিহাস। সিঙ্গুরের ঐতিহাসিক মঞ্চ থেকে যখন এই ঘোষণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছিলেন, তখন কোথায় যেন তাঁর গলাটা ধরে আসছে। মনে পড়ছিলো একটার পর একটা দিনের কথা। সুপ্রিম কোর্টের রায় শুনে বলেছিলেন, এবার আমি শান্তিতে মরতেও পারি। আসলে এই আন্দোলন করতে গিয়ে তাঁর যে মৃত্যুও হতে পারত, সেকথা সেদিন আবার বলে দিয়েছিলেন। ইতিহাসকে স্মরণ রাখতে এখন থেকে প্রতি ১৪ সেপ্টেম্বর সিঙ্গুর দিবস পালন হবে। নন্দীগ্রামের মতো সিঙ্গুরেও তৈরী হবে স্মারক। এটাই হবে কৃষিজমি আন্দোলনের প্রতীক।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষি, শিল্প, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গ্রামীণ উন্নয়ন ও নগরোন্নয়ন-সহ বাংলার সমস্ত ক্ষেত্রের প্রগতির সফল কারিগর। বিশেষ করে শিক্ষাক্ষেত্রে তিনি নিয়ে এসেছেন আমূল বিপ্লব। জগতের আনন্দ থেকে সাধারণ মানুষের খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থান ও পড়ুয়াদের শিক্ষার অধিকার দিয়েছেন তিনি। লক্ষ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রীকে সবুজ সাথী প্রকল্পে সাইকেল বিলি যে তাঁর গভীর ভাবনা চিন্তার ফসল তা এখন স্বীকার করছেন সবাই। একটি সাইকেল শুধুমাত্র একটি ছাত্রীর পড়াশোনাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে না, সামগ্রিকভাবে পারিবারিক সমন্বয়ে সাহায্য করছে মুখ্যমন্ত্রীর এই উপহার।

সরকারি স্কুলে ১০০ শতাংশ মিড্ ডে মিল চালু থেকে শুরু করে প্রাথমিকের সমস্ত ছাত্রদের জুতো বিতরণ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শীতকালে সোয়েটার ও স্কুল ব্যাগ দেওয়ার বিবেচনা করা হচ্ছে। পরিবর্তনের পর থেকে প্রাথমিকে পোশাক দেওয়া শুরু হয়েছে। দুঃস্থ ও পিছিয়ে পড়া ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তির পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকে দেওয়া হয় যাবতীয় বইপত্র, খাতা। মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকে পোশাক পরিচ্ছদ ও সাইকেল তুলে দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের হাতে। বিশেষ করে সমস্ত প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সমস্ত স্কুলে ‘Ramp’ চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগে প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সময় চেয়ে আবেদন করতে হত। কিন্তু মা-মাটি-মানুষ সরকার আসার পর সমস্ত প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্যই সরকারই অতিরিক্ত ৪৫ মিনিট সময় বরাদ্দ করে দিয়েছে। অর্থা९ আর আগের মতো আবেদন করার কোনো দরকার নেই।

শিক্ষাক্ষেত্রে ‘কন্যাশ্রী’-নারীশিক্ষায় ও সামাজিক প্রগতিতে বৈপ্লবিক পদক্ষেপ নিয়েছেন মা-মাটি-মানুষের নেত্রী আমাদের প্রিয় মুখ্যমন্ত্রী। কন্যাশ্রী আমাদের রাজ্যের নারী শিক্ষার দিকবদল, শিক্ষায় যুগান্তরের সংকেত। রাজ্য ও দেশ ছাড়িয়ে বিশ্বে আমাদের নেত্রীর এই প্রকল্প শুধু প্রশংসিত হয়নি, বহু রাজ্য তথা দেশে মডেল হয়েছে। বাম শাসনে বহু বছর ধরে পিছিয়ে থাকা এই রাজ্যের নারী শিক্ষা দ্রুত ছুঁয়েছে শীর্ষস্থান। এটাও মা-মাটি-মানুষের শিক্ষায় সাফল্য।

বাম আমলে বাংলায় সংখ্যালঘু সমাজ চরম অবহেলিত হয়েছিল। আমাদের সরকার আসতেই মুসলিম সমাজের অগ্রগতির দ্বার খুলে দিয়েছে। মুসলিম ছাত্রীছাত্রীদের শিক্ষাপ্রসারে বিপুল স্কলারশিপের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চাকরি প্রার্থীদের জন্য ‘বিশেষ সুযোগ’ দেওয়া হয়েছে আমাদের সময়েই। বস্তুত এই কারণেই আজ স্বতঃস্ফূর্তভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্নেহের ছায়ায় আশ্রয় নিয়েছে সংখ্যালঘু ছাত্র-ছাত্রীরা। শিক্ষাক্ষেত্রে তফসিলি জাতি-উপজাতির ছাত্রছাত্রীদের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এবার থেকে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল মিলিয়ে প্রতিবছর অত্যাধুনিক পরিকাঠামোযুক্ত এক হাজার Virtual Classroom তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমাদের সরকার। গ্রামীণ স্কুলগুলির পরিকাঠামো বৃদ্ধিতে বরাদ্দ একলাফে প্রায় আটগুণ বৃদ্ধি হয়েছে এবারের বাজেটে। রাজ্যে মা-মাটি-মানুষ সরকার ক্ষমতায় আসার পর দু’-দুবার বহু সংখ্যক কলেজে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। বহু কলেজে স্থায়ী অধ্যক্ষ দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় অধ্যক্ষ নিয়োগের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। উচ্চশিক্ষার জন্য কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় এই রাজ্য দেশের মধ্যে আনুপাতিক হারে শীর্ষস্থানে পৌঁছেছে। উত্তরবঙ্গের প্রকৃতির স্নিগ্ধ ছায়ায় কিংবা পুরুলিয়ার রুক্ষ প্রান্তরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। আবার সুদূর দক্ষিনে ডায়মন্ডহারবারে সাত একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রথম মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়। মানুষ কল্পনাও করতে পারেন না শিক্ষায় এই সমৃধ্ধি।

স্কুল শিক্ষক নিয়োগে বহুদিন বঞ্চিত হয়েছেন চাকরি প্রার্থী শিক্ষার্থীরা। তার অন্যতম কারণ সুগভীর চক্রান্ত। ষড়যন্ত্র করে মামলার মাধ্যমে টেট-এর নিয়োগ প্রক্রিয়াকে শ্লথ করে দেওয়া হয়েছিল। এইজন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। মুখ্যমন্ত্রী আগেই ঘোষণা করেছিলেন, আদালতের নির্দেশ পেলে সঙ্গে সঙ্গেই শিক্ষক নিয়োগের কাজ শুরু হবে। নেত্রীর সেই ঘোষণা আমাদের শিক্ষা দফতর অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছে। আদালত রায় দেওয়ার এক ঘন্টার মধ্যেই টেট পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে দেওয়া হয়েছে।

প্রাথমিক ও উচ্চপ্রাথমিকে যত দ্রুত সম্ভব ৬০,০০০ শিক্ষক নিয়োগ করা যায় তার ব্যবস্থা করছে আমাদের দফতর। প্রতিটি বিষয় ও প্রক্রিয়া যে স্বচ্ছতার মাধ্যমে করা হচ্ছে তা আমরা কাজের মাধ্যমে প্রমান করে দিয়েছি। সর্বোপরি যে সমস্ত শিক্ষিকা বাড়ি থেকে দূরে চাকরি করেন তাঁদের কাছাকাছি নিয়ে আসতে ইতিমধ্যে বদলি প্রক্রিয়া চালু করেছে আমাদের সরকার। বহু শিক্ষিকা ইতিমধ্যে বাড়ির কাছের স্কুলে বদলি হয়ে এসে পঠন-পাঠন কোর্সে অংশ নিতে শুরু করে দিয়েছেন। শিক্ষাসংক্রান্ত সমস্ত কর্মসূচিতে আমাদের

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শিক্ষকরা সমাজের গর্ব, তাঁদের সম্মান দিলে তবেই সমাজ-সভ্যতা তথা বাংলা এগিয়ে যাবে। তাই তো রাজ্যে সরকার পরিবর্তনের পর শিক্ষকদের সম্মান দিয়ে প্রতিবছর ‘শিক্ষারত্ন’ সম্মাননা চালু করে শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের স্বীকৃতি দেওয়া শুরু হয়েছে।

আমাদের সরকার শহরের সঙ্গে গ্রাম এক লহমায় জুড়ে দিয়েছে রাস্তাঘাটের সুপরিমিত সংস্কার ও অজস্র নতুন রাস্তা তৈরী করে। শুধু কলকাতা নয়, গোটা রাজ্যই মা-মাটি-মানুষ সরকারের নানা প্রকল্প ও পরিকাঠামো চালু হওয়ায় আজ কল্লোলিনী, তিলোত্তমা। গঙ্গার দুই তীরও সৌন্দর্যের সৌরভে সুরভিত। কথা দিচ্ছি, শিক্ষাঙ্গনের সর্বোস্তরকে পরিপূর্ণভাবে মেধার সম্মান ও সীকৃতি দিয়ে আরো উজ্জ্বল এবং আলোকময় করা হবে। আলোয় ভোরে উঠবে জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের রাজ্য-বাংলা। সত্যি সত্যি মেধা ও শিক্ষা সংস্কৃতিতে আরো এগিয়ে শীঘ্রই হয়ে উঠবে পরিপূর্ণ বিশ্ববাংলা।