For Singur, Durga Puja 2017 would be special indeed

For the residents of Singur, the 2017 Durga Puja would be special. After a long struggle, they have at last got back their land, taken away forcibly in 2006 for setting up industry by the Left Front Government.

Chief Minister Mamata Banerjee has been instrumental in the successful culmination of the Singur Movement. A few months back, after the Supreme Court’s final verdict, Mamata Banerjee had herself felicitated the people involved in the struggle and family members of those killed and affected during the violence unleashed on Singur. She had also sown the first seeds for the new crops with her own hand.

And now, Singur is going to witness its first Durga Puja festival after a momentous victory. A long and hard-fought struggle, laced with the blood and tears of hundreds of people, has come to an end. It’s time for celebration now. And celebrate they will.

Potato, onion, maize, paddy and other crops have been harvested. With the money earned from selling the crops, the people are making preparations for grand festivities – buying clothes and fire-crackers, building colourful pandals, creating idols decked up in finery, and so much more.

The good times have returned. And with the people of Singur too in spirit is the whole of Bengal, celebrating the revival of a people’s hopes and aspirations.

ফিরে পাওয়া জমির প্রথম ফসল দিয়ে ফের পুজোয় মেতে উঠেছে সিঙ্গুরবাসী

 

গ্রামের মানুষের ত্যাগ আর প্রার্থনায় সাড়া দিয়েছেন মা। টানা দশ বছর ধরে অবস্থান, ধর্না, অনশন ও আদালতে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে ঘরের লক্ষ্মী অর্থাৎ জমি ফিরে পেয়েছেন অনিচ্ছুকসহ সমস্ত চাষিরা। হারানো জমির পাশাপাশি পেয়েছেন ক্ষতিপূরণের টাকাও। আদালতের রায়ের পর কেড়ে নেওয়া জমি হাতে পেয়ে আগের মতোই সোনার ফসল ঘরে তুলেছেন চাষিরা। এবছর প্রথম উৎপাদিত সেই ফসল দিয়ে মাতৃ আরাধনার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন সিঙ্গুরের বেড়াবেড়ি গ্রামের মানুষ। ইতিমধ্যেই গ্রামের শীতলামাতা শক্তি সংঘের উদ্যোগে একটি কাল্পনিক মন্দিরের আদলে মণ্ডপ গড়ে তোলার কাজ চলছে। টাটাদের কারখানার জন্য জমি দখলের আগের দিনগুলোর মতোই পুজোর কটা দিন নতুন পোশাকে নিজেদের সাজিয়ে আনন্দোৎসবে মেতে ওঠার প্রস্তুতি নিচ্ছে সিঙ্গুর।

বেড়াবেড়ি গ্রামে প্রায় ২৬০টি পরিবারের বসবাস। জমি অধিগ্রহণের আগে ধুমধাম করে এখানে থিমের দুর্গাপুজো হত। ২০০৬ সালে পুজোর আগেই সিঙ্গুরে টাটাদের জন্য জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়। পুজোর আগেই আন্দোলনের সময়ে ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে বিডিও অফিসে আলো নিভিয়ে দিয়ে নির্বিচারে লাঠিপেটা করে পুলিশ। পুজোর আগে জমি হাতছাড়া হওয়ায় গ্রামের মানুষের সব অভিমান গিয়ে পড়েছিল মা দুর্গার উপরে। তাই জমি ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত পুজো করবেন না বলে শপথ নিয়েছিলেন সিঙ্গুরের বেড়াবেড়ি গ্রামের অনিচ্ছুক চাষিরা। সেই শপথ বজায় রেখে পুজোর সময়ে নতুন পোশাক, ঢাকের কাঠি, আলোর রোশনাই ও আতসবাজি থেকে নিজেদের সরিয়ে রেখেছিলেন গ্রামের মানুষ।

বেড়াবেড়ি দুর্গাপুজো কমিটির অন্যতম সদস্য তথা জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ মানিক দাস বলেন, জমি জোর করে নেওয়ার পর প্রথমে অভিমানে পুজো বন্ধ করে দিয়েছিলাম। কিন্তু, পরে দু’বছর ধরে অনাড়ম্বরভাবে পুজো করে মায়ের কাছে জমি ফেরত পাওয়ার আবেদন করেছি। গ্রামের মানুষের সেই আবেদনে মা সাড়া দিয়েছেন। জমি ফেরত পাওয়ার পর আলু, সরষে, ধান, পিয়াজসহ বিভিন্ন ধরনের ফসল আমরা ঘরে তুলেছি। তাই এবার আমরা ফিরে পাওয়া জমিতে ফলানো সোনার ফসল দিয়েই মায়ের পুজোর প্রস্তুতি নিচ্ছি। পুজো কমিটির সভাপতি সহদেব দাস বলেন, আন্দোলনের আগে আমরা যেভাবে পুজো করতাম, এবার গ্রামে উৎসবের সেই মেজাজ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। গ্রামের বাসিন্দা পারমিতা দাস বলেন, মা আমাদের কাতর মিনতিতে সাড়া দিয়েছেন বলেই আমরা জমির পাশাপাশি ক্ষতিপূরণের টাকাও পেয়েছি। তাই ফিরে পাওয়া জমির প্রথম ফসল দিয়ে পুজো দেওয়ার জন্য টাকা তুলে রেখেছি।