Mamata Banerjee launches BJP Bharat Chhoro Andolan from Medinipur

On the 75th anniversary of Quit India movement, Mamata Banerjee today raised the slogan “BJP Bharat Chhoro” at a public meeting in Medinipur.

Mamata Banerjee said she will go for a tour of different states to garner national support for Trinamool Congress’s “BJP Quit India” movement.

“I will go to New Delhi tomorrow. On August 27, I shall attend an anti-BJP rally at Patna. On August 30, I shall visit Jharkhand that is witnessing frequent incidences of attacks over dalits,” she said at the party rally.

She said her anti-BJP movement will continue till the current Union government is unseated in the 2019 Lok Sabha elections.

“Yesterday throughout the night we saw the battle between democracy and autocracy. I am glad that finally democracy won,” she said referring to the victory of Ahmed Patel for election to Rajya Sabha from Gujarat.

She also said that in Bengal, Trinamool Congress will organise block-level programmes in support of “BJP Quit India” movement till September 5. “We will give a break during the festive season and after that again the party will go ahead in full swing with different political programmes that will continue till 2019 Lok Sabha elections,” she said.

Mamata Banerjee also took at a dig at BJP general secretary, Amit Shah, without naming him for having lunch at the residence of a dalit in north Bengal. “On the one hand, BJP will encourage atrocities on dalits and one the other their leaders will have lunch at the residence of a dalit. These two things cannot go on together,” she remarked.

The Trinamool Congress chief also described CPI(M) as a hypocrite and alleged it is a clandestine partner of BJP. “CPI(M) is a party of hypocrites that follow double-standards. When they go to the hills they speak of division of the state and in the plains they speak differently. They have clandestine understanding with BJP,” she said.

 

মেদিনীপুরে ‘বিজেপি ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের সূচনা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে বিজেপি’র সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরুদ্ধে আজ থেকে শুরু হল ‘বিজেপি ভারত ছাড়ো’ আন্দোলন। চলবে আগামী ৫ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এই আন্দোলন হবে সারা বাংলা জুড়ে। আজ মেদিনীপুরের কলেজ মাঠে একটি জনসভা থেকে এই কর্মসূচীর সূচনা করলেন তিনি।

তাঁর বক্তব্যের কিছু অংশঃ

আমরা ভারত ভাগ হতে দেব না। যারা দিল্লিতে ক্ষমতায় আছেন তারা দেশটাকে ভাগ করতে চাইছে। কেউ কেউ রাজনৈতিক স্বার্থে আবার বাংলাও ভাগ করতে চাইছেন।

সিপিএম-বিজেপির কোন পার্থক্য নেই। সিপিএম এক এক জায়গায় এক একরকম কথা বলে। পাহাড়ে গেলে বলে বাংলা ভাগ করে নিতে, সমতলে থাকলে বলে আমরা ওয়াক আউট করলাম।

৩৪ বছর ধরে সিপিএম বাংলাকে জ্বালিয়ে শেষ করে দিয়েছে। মেদিনীপুরে এখনোও মাটির নীচে কত নরকঙ্কাল পুঁতে রেখেছে তাঁর কোন হিসেব নেই। সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম-নেতাই কোথাও বাকি নেই ওদের অত্যাচারের। কেউ কেউ সম্পত্তি আর নিজেদের রক্ষার স্বার্থে দিল্লির নেতাদের হাত ধরেছে। বিজেপির হাত ধরে সিপিএম ভারতেও বাঁচা যাবে না, বাংলাতেও বাঁচা যাবে না।

এটা রাজনৈতিক লড়াই। গণতন্ত্রের লড়াই। সংঘাত আদর্শের, দর্শনের, চিন্তনের, মননের। ব্যক্তিগতভাবে কারো সাথে আমার কোন শত্রুতা নেই।

দলিতদের পিটিয়ে মারব, আর ফাইভ স্টার হোটেলের খাবার নিয়ে দলিতদের বাড়িতে গিয়ে লোক দেখিয়ে খেয়ে ছবি তুলব, এই রাজনীতি দিয়ে দলিতদের ভালোবাসা যায় না। আদিবাসীদের জমি কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। আগামী ৩১ আগস্ট আদিবাসীদের সমর্থনে সভা করতে আমি ঝাড়খণ্ড যাব। ২৭ তারিখ বিহারে লালু প্রসাদ যাদব জি-র পাটনার সভায় যাব।

ভারত ভাগ করার খেলা আমরা করতে দেব না। ভারতবর্ষ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। কিন্তু এটা কি হচ্ছে – যারা ক্ষমতায় থাকবে শুধু তারাই থাকবে, আর বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে হবে, মুখ বন্ধ করে দিতে হবে? আজ শাসকদলের under এ ভারতবর্ষ বিপন্ন। ভারতবর্ষের গণতন্ত্র , মানুষের স্বাধীনতা বিপন্ন, মানুষের ব্যক্তিগত অধিকার বিপন্ন।

তাই আমাদের স্লোগান – বিজেপি ভারত ছাড়ো, সাম্প্রদায়িকতা ভারত ছাড়ো, অসহিষ্ণুতা ভারত ছাড়ো। আমাদের এই লড়াই চলছে, চলবে। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব ব্লক, বুথে মিটিং-মিছিল চলবে।

কাল সারা রাত ধরে গুজরাত নিয়ে গণতন্ত্র বনাম একনায়ক তন্ত্রের খেলা হয়েছে। অবশেষে গণতন্ত্রের জয় হয়েছে; এটাই ভারতবর্ষের সহিষ্ণুতা, ভারতবর্ষের শক্তি।

জোর করে নোট বাতিল, নোট বন্দি থেকে জনগণ বন্দি, GST র নামে জনগণকে কারাগারে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। কখনো বলে এসব গরিব লোকেদের স্বার্থে করেছে। গরিব মানুষ কারা? তাদের চিনি, কেরোসিন তেল বন্ধ করে দিয়েছে, ICDS এর টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। আধার কার্ড না হলে মিড ডে মিল পাবে না, ডেথ সার্টিফিকেট পাওয়া যাবে না, জিনিসপত্র কেনা যাবে না – কোন আঁধারে আমরা রয়েছি? মানুষকে জোর করে বাধ্য করছে।

কেন নোট বন্দির জন্য ভারতবর্ষের ১০০ জন প্রাণ দিয়েছে। কার দোষে এতগুলো নিরীহ মানুষকে প্রাণ দিতে হল?

আমি একটা কথা বলি বিজেপি সরকারকে, কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে নোট বন্দির নামে প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকা জমা হয়েছিল, সেই টাকাগুলো আজও সেইভাবে পড়ে আছে কেন? সদুত্তোর চাই। টাকাটা যদি জনগণের হয়, তাহলে জনগণের টাকায় কি করবেন সরকার? জানান। আর যদি জনগণের না হয়, সেটাও কি করবেন সরকার জানান। ৪৫ হাজার কোটি টাকার মুল্য তো কম নয়, একটা স্টেটের বাজেট হয়ে যায়, এটা মাথায় রাখতে হবে।

নোট বন্দির নামে বেকারি বেড়েছে, যারা বাইরে কাজ করত, ফিরে এসছে, কৃষকরা জমিতে ফসল করতে পারে নি, ১০০র ওপর লোক মারা গিয়েছে।

এই জিএসটি আমরা চাই না। আমরা বাধ্য হয়েছি আইন করতে কারণ আমাদের স্টেটের ট্রেসারির ট্রানজাকশন বন্ধ করে দিচ্ছিল।

মিষ্টির দোকানে যান, দই খেলে ২৮% ট্যাক্স, আর লস্যি খেলে ট্যাক্স নেই। বাংলার ঘিয়ে ১৪% ট্যাক্স, গুজরাতে ঘিয়ে তিন% ট্যাক্স। আমরা কারোর বিরুদ্ধে নই। কিন্তু, এটা কেন হবে?

আমরা বারবার বলেছিলাম জিএসটি নিয়ে তাড়াহুড়ো করে করতে যেও না, মানুষকে সময় দাও, বুঝতে দাও, জানতে দাও। তা না, সব বন্ধ, খুচরো বাজার বন্ধ, টেক্সটাইল বাজার বন্ধ, সমস্ত কিছু বন্ধ হয়ে গেছে আজকে প্রায়।

ওরা মানুষের মধ্যে ভাগাভাগি করে দিচ্ছে। আমরা চিরকাল সব ধর্ম সকলে একসাথে বসবাস করেছি।

একতাই সম্প্রীতি এটাই আমাদের বাংলার সংহতি। ভারতবর্ষের বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যই ভারতবর্ষের বড় কথা।

দিল্লি থেকে এল নকল রাম, সাথে জুটল সিপিএমের বাম। বাবুরা শিখিয়ে দিচ্ছেন তরোয়াল নিয়ে রাস্তায় নামতে।

দাঙ্গার থেকে বড় শত্রু আমাদের জীবনে আর কিছু নয়।