March 24, 2021
Santanu Sen speaks on The Finance Bill, 2021

FULL TRANSCRIPT
আমি বাংলায় বলার আগে, I would like to quote a World Bank statement given on October 7, 2020: “India’s economic situation is much worse than ever seen before.” I would also like to quote the IMF, that is, the International Monetary Fund statement given on October 13, 2020: “Indian economy is likely to fare worse than some global and South Asian peers and isa better one than India”
স্যার, প্রবলেমটা হচ্ছে চা বিক্রি করতে করতে যখন ভারতবর্ষের মতো এত বড় দেশ বিক্রি করার সুযোগ পেয়ে গেলাম তখন রেলওয়ে থেকে, এয়ারপোর্ট থেকে, কোল থেকে, সেল থেকে, ভেল (BHEL) থেকে, সব কিছু বিক্রি করতে করতে ভারতবর্ষকে আমি এমন একটা জায়গায় নিয়ে চলে গেলাম যে আত্মনির্ভর ভারতের নামে সারা ভারত বর্ষ টাকে রসাতলে পৌঁছে দিয়ে শুধুমাত্র আমার দুই বন্ধু আমি খেয়াল করলাম।
Definitely I am not here to embarrass my Honorable Minister by asking a question. How is the income of the son of one of our learned Ministers inflated so much? কিন্তু আমি নিশ্চয়ই জানতে চাইবো যে আমাদের বম্বের এক বন্ধু, যার বাড়ির ওপর হেলিপ্যাড আছে, তিনি এশিয়ার এবং বিশ্বের চতুর্থ ধনীতম কি করে হয়ে গেলেন এবং তার ৭৩ পারসেন্ত ইনকাম কি করে বেড়ে গেল? আমি নিশ্চয়ই জানতে চাইবো যে নরেন্দ্র মোদি মহোদযয়ের গুজরাটে একজন ভদ্রলোক থাকেন, বিগত এক বছরে সারা বিশ্বের মধ্যে যার ইনকাম সবথেকে বেশী কি করে বেড়ে গেল? আসলে সমস্যাটা হচ্ছে আমার কোন এ্যালাই নেই সিবিআই আর ইডি ছাড়া আর আমার কোনো বন্ধু নেই ওই দুজন ছাড়া। আমাদের দেশটা কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে, স্যার?
If we go through the Global Hunger Index (GHI), ১০৭টা দেশের মধ্যে India’s rank is 94th. If we go through the multidimensional Human Poverty Index (HPI), out of 107 countries, India stands at the 62nd position. যদি আমরা গ্লোবাল ইকোনমিক ফ্রিডম ইনডেক্স দেখি, India stands at 105. In the Multidimensional Poverty Index (MPI), India is ranked 62nd among 107 countries.
স্যার দুঃখের বিষয় গত ৪৫ বছরে সবথেকে বেশি বেকারত্ব আজকে এই ভারতবর্ষে এবং কোভিড প্যানডেমিকের সময় ১ কোটি আমাদের জব লস হয়েছে। অন্যদিকে আমরা কি দেখছি, পেট্রোল-ডিজেলের দাম আমার মাননীয় কলিগ কিছুক্ষণ আগে বলছিলেন। তিনি এখানে নেই। তাকে আমি সংশোধন করে দিতে চাই। তিনি স্টেট ট্যাক্সের কথা বলছিলেন। আপনি যদি ওয়েস্ট বেঙ্গলের সঙ্গে কম্পেয়ার করেন, ওয়েস্ট বেঙ্গলে পেট্রোলে স্টেট ট্যাক্স বেড়েছে ৬ পারসেন্ত কিন্তু সেন্ট্রাল ট্যাক্স বেড়েছে ২৬ পারসেন্ত। ওয়েস্ট বেঙ্গল এর পার্সপেক্টিভে ডিজেলের স্টেট ট্যাক্স বেড়েছে ৩ পারসেন্ত আর সেন্ট্রাল ট্যাক্স বেড়েছে ৩৬ পারসেন্ত। অলটুগেদার ওয়েস্ট বেঙ্গলে পেট্রোলের সেন্ট্রাল ট্যাক্স স্টেট ট্যাক্স-এর ওপরে ৭০ পারসেন্ত বেশী এবং ডিজেলে ১৯৩ পারসেন্ত বেশি।
অন্যদিকে আপনি কার সাথে স্টেপমাদারলি অ্যাটিটিউড করছেন? আপনি বলছেন আমি সোনার বাংলা গড়ব এবং সোনার বাংলা গড়ার জন্য স্বাধীনতার পর থেকে যেটা কোনদিন হয়নি, ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী এত এত মন্ত্রী-সাংসদরা ভারতবর্ষের মানুষের টাকায় ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করছেন, পশ্চিমবঙ্গে যাচ্ছেন। তিনি নাকি সোনার বাংলা করবেন। আর সোনার বাংলার প্রতি বঞ্চনার কিছু উদাহরণ আমার পূর্ববর্তি বক্তারা দিয়েছেন। আমি কয়েকটা বলি।
দীর্ঘদিন ধরে এ্যাপিল করে আসছি যে আমাদের নামটা ওয়েস্ট বেঙ্গল থেকে বেঙ্গল করা হোক। সমস্ত রীতিনীতি মেনে বারবার আমরা ফাইল পাঠিয়েছি। কোনো এক অজ্ঞাত কারণে বাংলা করা হলোনা আমাদের নামটা। ২০১৯-২০-র বাজেটে ট্যাক্স ডিভলিউশনে ১১ হাজার ২০০ কোটি টাকা আমরা এখনো পাইনি। ২০১৯-২০’র বাজেটে যে গ্রান্ট বা অনুদান ৩৭ হাজার ৯৭৩ কোটি টাকা বাংলা এখনো পাইনি সেই বাজেটে জিএসটি কম্পেন্সেশন ১৩ হাজার কোটি টাকা আমরা এখনো পাইনি। সব মিলিয়ে ৯০ হাজার কোটি টাকা বাংলাকে দেওয়া হয়নি। সর্বশিক্ষা অভিযানের ফাইল করা হয়েছে। আইসিডিএস এর ফাইল করা হয়েছে। আমরা দেখেছি আমফানের মত ন্যাশনাল ডিজাস্টার যখন হল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে করে বেরিয়ে এক হাজার কোটি টাকার একটা ললিপপ ধরিয়ে চলে গেলেন। তারপর আমরা কোন টাকা পেলাম না।
আমরা কোভিড প্যান্ডেমিকে দেখলাম গতকাল আমাদের এক বছর কমপ্লিট হয়েছে লকডাউনের। আমরা আজকে দুঃখের সাথে স্মরণ করি ২৩ এবং ২৪ শে ফেব্রুয়ারি গুজরাটের গরীব মানুষগুলোকে ইটের পাঁচিল দিয়ে ঘিরা নমস্তে ট্রাম্প করার জন্য এবং মধ্যপ্রদেশের সরকার গড়ার জন্য যদি সেই সময় এত রিলাকটেন্ট অ্যাটিটিউড না দেখাতাম তাহলে আজকে আমাদের কোভিডে এই করুণ পরিণতি হতো না। তা সত্ত্বেও আমাদের বাংলায় জুলাই মাসের পর থেকে কোভিড ট্রিটমেন্টের জন্য কোনো সহযোগিতা কেন্দ্রীয় সরকার করেনি। শুধু তাই নয়, আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বলছেন আমি পয়সা দিয়ে কভিড ভ্যাকসিন তোমার থেকে কিনব; আমি আমার বাংলার ১০ কোটি মানুষকে যারা এলিজেবল তাদেরকে বিনা পয়সায় কোভিড ভ্যাকসিন দিতে চাই। তুমি আড়াইশো টাকায় বিক্রি করো, আমি বিনা পয়সায় রাজ্য একমাত্র পশ্চিমবঙ্গ যেখানে সমস্ত স্বাস্থ্যপরিসেবা বিনা পয়সায়, আমি বিনা পয়সায় দেব। কেন্দ্র সেই কোভিড ভ্যাকসিনটা পর্যন্ত দিতে পারছে না।
পিএম কেয়ার ফান্ডের কথাতো ইতিমধ্যে বলা হয়েছে। আমি বক্তব্য দীর্ঘায়িত করবো না। আমার পরে আরেকজন বলবেন। আমি তাই শুধু একটা কথা বলব যে মন খারাপ করার কোন কারণ নেই। ২রা মে-র পর মন খারাপ করবেন না। বাংলায় আসুন, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপনাকে বলে দেবে যেভাবে ৩৪ বছরের পর ১০ বছরে বাংলার হাল ফিরিয়ে দিয়েছেন সেই ভাবে আপনি কিভাবে দেশটাকে গুছিয়ে কাজ করতে পারবেন দেখিয়ে দেবেন।
আর একটা কথা বলে শেষ করব। আমরা খুব ভয় পাচ্ছি দেশটাকে আমি বেচে দিয়েছি, বাংলায় যাচ্ছি ডেলি প্যাসেঞ্জারি করতে। বাচ্চা বাচ্চা ছেলেরা বলছে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড-এর মত অত বড় মাঠ দেখছে, সেটা আবার বেচে দেবে না তো!
২০২১ এর আজ ২৪শে মার্চ। আর তিন দিন পর থেকে বাংলায় উন্নয়নের খেলা শুরু হবে এবং সেটা সেমিফাইনালে জেতার পর, ২০২৪ এ দিল্লির বুকে ফাইনাল খেলা হবে। জয় বাংলা, জয় হিন্দ।