Rajya Sabha

September 20, 2020

Dola Sen speaks on The Farmers’ Produce Trade and Commerce (Promotion and Facilitation) Bill, 2020 and The Farmers (Empowerment and Protection) Agreement on Price Assurance and Farm Services Bill, 2020

Dola Sen speaks on The Farmers’ Produce Trade and Commerce (Promotion and Facilitation) Bill, 2020 and The Farmers (Empowerment and Protection) Agreement on Price Assurance and Farm Services Bill, 2020

FULL TRANSCRIPT 

Chairman Sir, thank you for giving me the chance to speak on these two Bills on farmers. Sir I rise today to oppose these two Bills, which were Ordinances, being discussed in this House. I will briefly make some points today in my mother tongue Bangla on behalf of All India Trinamool Congress.

প্রথমতঃ স্বাধীন ভারতের সংবিধানের পরিপ্রেক্ষিতে বিলগুলি একটি বড় ধাক্কা যা মিথ্যা ও জালিয়াতির পর্যায়ে পড়ে। উভয় বিলই কেন্দ্রের আইনি পরিধির অপব্যবহার এবং ফেডেরালিজম এর ওপর চরম আক্রমণ। আমরা মাননীয় মন্ত্রীর কাছে জানতে চাই, যে  চাষের বিষয়ে কেন্দ্র কোন আইনি অবস্থানে রয়েছে? সারকারিয়া কমিশনের পর্যবেক্ষণে কি আমরা ভুলে গেছি নাকি?

দ্বিতীয়তঃ এই বিলগুলি কৃষকের ওপরে বড় আঘাত। এই বিলগুলির উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে যে তারা কৃষকদের সুরক্ষার ক্ষমতায়ন, কৃষক ব্যবসায়ে পছন্দের স্বাধীনতা সরবরাহ করবে। এটা নির্জলা মিথ্যে স্যার। বরং এই বিলগুলি কৃষকের হাত থেকে ক্ষমতা কেড়ে নেবে, আর সরাসরি বড় বড় কর্পোরেটের হাতে দিয়ে দেবে। তাহলে একাধারে কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকের স্বার্থ নষ্ট করছে পাশাপাশি কৃষকের সুরক্ষার জন্য রাজ্য সরকারগুলির ক্ষমতাও ছিনিয়ে নিচ্ছে। এই বিলের পর লাইসেন্স ছাড়াই  যে কেউ কৃষি পণ্যের বাণিজ্য করতে পারবে। তারা মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইসের তোয়াক্কা করবে না, কৃষকদের শোষণ করবে।

দ্বিতীয়তঃ এই বিলগুলি কৃষকের ওপরে বড় আঘাত। এই বিলগুলির উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে যে তারা কৃষকদের সুরক্ষার ক্ষমতায়ন, কৃষক ব্যবসায়ে পছন্দের স্বাধীনতা সরবরাহ করবে। এটা নির্জলা মিথ্যে স্যার। বরং এই বিলগুলি কৃষকের হাত থেকে ক্ষমতা কেড়ে নেবে, আর সরাসরি বড় বড় কর্পোরেটের হাতে দিয়ে দেবে। তাহলে একাধারে কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকের স্বার্থ নষ্ট করছে পাশাপাশি কৃষকের সুরক্ষার জন্য রাজ্য সরকারগুলির ক্ষমতাও ছিনিয়ে নিচ্ছে। এই বিলের পর লাইসেন্স ছাড়াই  যে কেউ কৃষি পণ্যের বাণিজ্য করতে পারবে। তারা মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইসের তোয়াক্কা করবে না, কৃষকদের শোষণ করবে।

এগুলি সম্পর্কে কতগুলি প্রশ্ন করা দরকার:

১) বাড়িতে মানুষের একটা বিরাট অংশ যখন কাজ হারিয়ে খাদ্যাভাবের মুখোমুখি তখন ভারতে উৎপন্ন ফসলের জন্য বাইরের বাজার খুলে দেওয়ার যুক্তি কি?

২) যে দেশে ৯০% চাষির জমির পরিমাণ ২ হেক্টরের ও কম, সেখানে কি করে তারা রপ্তানিকারী ব্যবসা থেকে ভালো দাম আদায় করতে পারবে?

আমি কৃষি উৎপাদন বিপণন আইনি প্রয়োগের বিষয় কিছু প্রমাণ দিতে চাই. রাজ্যগুলির বিভিন্ন সংস্কার প্রচেষ্টায় এই ইতিবাচক ফল দেখেছি। আমার রাজ্য বাংলার কিছু উদাহরণ দিই

সরকারিভাবে কিষান ক্রেডিট কার্ড যাতে মহাজনের কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা ধার নিতে না হয়

প্রতি ব্লকে সরকারি উদ্যোগে কিষান মান্ডি ও কোল্ড স্টোরেজ যাতে কৃষক ন্যায্য দাম পায় ও তার ফসল রক্ষা পায়

সরকারি সাহায্যে শস্য বীমা যাতে বন্যা, ক্ষরায় ফসল নষ্ট হলেও সমস্যা না হয়

প্রতি একর চাষের জন্য প্রতি বছর ২ কিস্তিতে আড়াই হাজার টাকা করে মোট ৫০০০ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ব্যবস্থা

কৃষকের মৃত্যতে ২ লক্ষ টাকা সরকারি ক্ষতিপূরনের ব্যবস্থা

৬০ বছর বয়স হলে ১০০০ টাকা করে পেনশন চালু করা কৃষক ক্ষেত চাষি, ভাগ চাষি ও বর্গাদারদের জন্য

সরকারের পক্ষ থেকে চালু হয় সরকারি সুফল বাংলা সরাসরি কৃষকের থেকে কৃষিপণ্য কিনে গ্রাহকের কাছে বিক্রি করে

বাংলায় এসব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্তরিক উদ্যোগে হচ্ছে।

কল অফ ডি টাইড। আমাদের কৃষক বন্ধুদের সুরক্ষা জোরদার করা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। রাষ্ট্রের পক্ষে, কৃষি ও কৃষকের পক্ষের এই আইনগুলিকে আক্রমণ করে তা প্ৰত্যাহার করা উচিত নয়।

এই অধ্যাদেশ আনা সংবিধান স্বীকৃত আইনি প্রক্রিয়ার প্রতি এক চরম পরিহাস। কেন্দ্র, কৃষক জনসাধারণ ও স্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ শুনছে না। সংসদীয় কমিটির সাজেশন মানছে না. রাজ্যগুলির কথা তো শুনছেই না। আমি মাননীয় মন্ত্রীর কাছে অধ্যাদেশ প্রত্যাহারের আবেদন জানাতে চাই. আমাদের মতন দেশে এই অধ্যাদেশের কোন জায়গা নেই।

যেখানে অর্ধেকের বেশি কর্মশক্তি তাদের জীবিকার জন্য কৃষির ওপর নির্ভর করে।

কেন্দ্রের সরকার এই কৃষিনীতির পরিবর্তন চাইছেন। এর ফল ও সাংঘাতিক। ভারত অন্য দেশে রপ্তানি করবে কিন্তু নিজেও কৃষি বাজারকে চড়া শুল্কের আড়ালে রাখবে  তা কি করে হয়? দেশের ৬০% মানুষ যেখানে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কৃষির ওপর নির্ভরশীল, তাদের জীবিকার সুরক্ষার কি হবে? সেটা তো সরকারকেই ভাবতে হবে, সেই সঙ্গে কেন্দ্রের সরকারকে খাদ্য নিরাপত্তার কথাও ভাবতে হবে. রেল থেকে ভেল, সেল থেকে বি এস যেন এল সব জাতীয় সম্পদ এইভাবে কেন্দ্রীয় সরকার বিক্রি করে দিচ্ছে। একইভাবে এই ধরণের বিল অর্ডিন্যান্স আনছে কৃষি ক্ষেত্রে যা মানুষ বিরোধী, শিল্পের বিরোধী,  শ্রমিকের বিরোধী, তাই আমরা এসব মানি না. আমরা ধিক্কার জানাই। তাই একে আলোচনার জন্য সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানো হোক।  ধন্যবাদ।