Rajya Sabha

August 1, 2019

Abir Ranjan Biswas makes Zero Hour mention on the problems farmers in border areas in Bengal having land beyond the zero point face

Abir Ranjan Biswas makes Zero Hour mention on the problems farmers in border areas in Bengal having land beyond the zero point face

FULL TRANSCRIPT

Thank you Sir, for allowing me to speak. Sir, I will be speaking in Bengali. 

মাননীয় সভাপতি মহোদয়, বর্ডারের সমস্যার ব্যাপারে বলতে দেওয়ার জন্যে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। স্যার, ভারত-বাংলাদেশ বর্ডার সংলগ্ন জায়গায় বসবাসকারী বহু মানুষ, বহু সমস্যায় জর্জরিত। এর মধ্যে কয়েকটি প্রচন্ড যন্ত্রণাদায়ক সমস্যার কথা তুলে ধরছি আপনার কাছে।৪,১৫৬ কি মি দীর্ঘ বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম এই ভারত-বাংলাদেশ বর্ডার, যার প্রায় ২,২১৭ ক মি পশ্চিম বাংলার অন্তর্গত এবং প্রায় অর্ধেক জেলাকে ছুঁয়ে রয়েছে। ১৯৭৫ সালের চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিরক্ষামূলক কোনও পরিকাঠামোই এই সীমানার ‘জিরো’ পয়েন্টের ১৫০ গজের মধ্যে করা যাবে না বলে উল্লেখিত, যদিও এই বিষয়ে ভারতের কিছু আপত্তি আছে। 

যাই হোক একে মান্যতা দিয়ে ভারতের অংশের কাঁটাতারের বেড়া প্রায়শই আন্তর্জাতিক এই সীমানার প্রায় সর্বত্রই নুন্যতম ২০০ মিটার দূর দিয়ে নির্মিত হয়েছে এবং বহু জায়গায় এক কি মি থেকে প্রায় পোনে-দু কি মি পর্যন্ত দূরে অবস্থিত। এই কারণে একটি জটিল সমস্যার উদ্ভুত হয়েছে স্যার। লাখ লাখ মানুষের লাখ লাখ হেক্টর কৃষিজমি কাঁটাতারের বাইরে পড়েছে স্যার। বহু জায়গায় বহু গ্রাম ও মানুষের বাস্তুজমিও কাঁটাতারের অপর পাড়ে। সেই সব মানুষ প্রবল কষ্ট ও যন্ত্রণা ভোগ করছে এবং নিজ ভূমে পরবাসীর জীবন যাপণ করছে। আমি আজকে তাদেরই সেই যন্ত্রণার কথা তুলে ধরছি আপনার সামনে।

 মাননীয় মহোদয়, পশ্চিমবঙ্গে কাঁটাতারের বেড়া পার করে ভারতীয় ভুখন্ডের মধ্যে অবস্থিত কৃষিজমি বা অবস্থিত গ্রামে যাওয়ার উপায় এই বেড়ার মধ্যে অবস্থিত গেট পার করা। রাজ্যে এই গেটের গড় দূরত্ব প্রায় সাড়ে-চার কি মি। অর্থাৎ মূল ভুখন্ড ও বেড়ার ওপারের ভুখন্ডের মধ্যে নিজ গ্রামে যাওয়ার জন্যে বা কৃষিজমিতে যাওয়ার প্রচেষ্টা পরিশ্রমের বিষয়। 

কিন্তু সমস্যাটা আরও গভীর অন্য জায়গায়। এই গেট-গুলি কয়েক বছর আগেও সকাল ছটা সন্ধ্যে ছটা অবধি খোলা থাকত। কিন্তু এখন তা খোলা থাকছে মাত্র তিন দফায়। সকাল ছটা থেকে ন’টা, দুপুর এগারোটা থেকে একটা এবং বিকেল তিনটে থেকে পাঁচটা। কিন্তু এই সময়ের বাইরে অর্থাৎ অন্য সময়ে যদি কোনও বিপদ ঘটে যেমন কৃষকদের যদি সাপে কামড়ায় বা গ্রামের মানুষ যদি কেউ আক্রান্ত হয়, বা কেউ যদি অগ্নিদগ্ধ হয়, বা প্রসূতীদের ক্ষেত্রেও বলছি, এরকম সমস্যা দেখা দিলে গেট খোলার ক্ষেত্রে বহু বিলম্ব হয়, চরম যন্ত্রণাদায়ক পরিস্থিতি ভোগ করতে হয় এবং ক্ষতিগ্রস্থ হতে হয়। এই বিষয়ে নজর দেওয়ার জন্যে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

 গ্রাম বাংলায় কৃষিক্ষেত্রে এখন ক্ষেত মজুরের অভাব দেখা দিয়েছে, এই অবস্থায় বহু প্রৌড় কৃষকদের নিজের জমিতে নিজেকেই চাষ করতে হচ্ছে। কিন্তু এখন নিয়ম করে সকল কৃষককে সকাল ছ’টায় গেট পার হওয়ার আগে অন্তত দেড় ঘন্টা ঝোপ-ঝাড় পরিষ্কার করতে হয়।