March 12, 2020
Abu Taher Khan speaks on Demands for Grants under the control of Ministry of Railways for 2020-21

Thank you Sir. স্যার, বাংলায় বলার জন্য আপনার কাছে আবেদন রাখছি। রেলমন্ত্রী এখানে আছেন, স্যার আমার রাজ্য বাংলায় যে সমস্ত স্কীমগুলো তদানীন্তন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাজেটে অনুমোদন করেছিলেন, দুঃখের বিষয় সেগুলো ইগ্নোর করা হচ্ছে। বেশীর ভাগ স্কীমেই খুব সামান্য অর্থ বরাদ্দ হয়েছে এবং সেগুলোর অগ্রগতি অত্যন্ত বাজে অবস্থায় চলছে এবং সেগুলোর অগ্রগতি নেই বললেই চলে।
বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ জেলার একটা নতুন রেল ব্রিজ তৈরী হয়েছিল, দীর্ঘ দশ বছর হল সেই ব্রিজটি তৈরী হয়েছে কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের সেই ব্রিজ আজও চালু হয়নি। মুর্শিদাবাদ জেলার নসিপুর রেল ব্রিজ, এই নসিপুর রেল ব্রিজ চালু হলে নর্থ বেঙ্গলে যাতায়াতের জন্য সেই এলাকার মানুষের বিশেষ সুবিধা হবে।
সেইসঙ্গে লালগোলা থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত যে রেল লাইন আছে, সেই রেল লাইনের আধুনিকীকরণের কাজ হয়েছে কিন্তু বেশীরভাগ জায়গায় আন্ডারপাস বা ওভারব্রিজের কাজ সেগুলো একদমই হয়নি। যেহেতু ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক বেশীরভাগ সময় সেখানে রেল আটকে থাকে এবং যাতায়াতের সাংঘাতিক অসুবিধা হয়। শিয়ালদহ ষ্টেশন পশ্চিম বাংলার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ষ্টেশন এবং সেইসঙ্গে হাওড়া ষ্টেশন। দুটো সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ষ্টেশন। সেই হাওড়া ষ্টেশনে আজকে যাতায়ারের জন্য প্রায় এক কিলোমিটার একজন মানুষকে যেতে হয়। যাদের বয়স ষাটের বেশী, যারা বয়স্ক মানুষ, যারা হ্যান্ডিক্যাপড মানুষ তাদের যাতায়াতের জন্য কোনও ব্যবস্থা নেই।
সুতরাং ট্রেন ধরার ক্ষেত্রে এবং যাতায়াতের ক্ষেত্রে এই হাওড়া ষ্টেশন এবং শিয়ালদহ ষ্টেশন যেটা ভারতবর্ষের সবথেকে বেশী মানুষ যাতায়াত করে, সেখানে আধুনিকীকরণের সেই ধরনের ব্যবস্থা আজও তৈরী হয়নি। তাই আপনার কাছে আবেদন করছি। সেইসঙ্গে আমার নির্বাচনী ক্ষেত্র মুর্শিদাবাদ, সেই মুর্শিদাবাদে লালগোলা পর্যন্ত কোনও ট্রেন নেই। রাত্রে যাতায়াতের জন্য কোনও আধুনিক ট্রেন নেই। আপনার কাছে আমরা দাবী করছি যে শিয়ালদহ থেকে লালগোলা পর্যন্ত রাত্রে যাতায়াতের জন্য একটা এসি ট্রেন দেওয়ার জন্য।
সেইসঙ্গে কলকাতা ষ্টেশন এবং ফুরফুরা শরীফ, মুসলিম মাইনোরিটি কমিউনিটির একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গা, দীর্ঘদিন আগে সেটা এনকোয়ারি হয়েছে, স্কীম তৈরী হয়েছে কিন্তু আজ পর্যন্ত যে নতুন রেল লাইন তৈরী হওয়ার কথা, যেটা ডানকুনি থেকে ফুরফুরা শরীফ যাবে সেই রেল লাইনটা আজও তৈরী হচ্ছে না।
আপনার কাছে মুর্শিদাবাদ জেলা এবং সেই সঙ্গে এই পিছিয়ে পড়া যে সমস্ত এলাকা রেললাইন গুলো যে গুলো মুর্শিদাবাদ জেলায় আছে সেগুলি আধুনিকীকরণ এবং সেই সঙ্গে কলকাতা, হাওড়া এই যে দুটো গুরুত্বপূর্ণ ষ্টেশন, এই ষ্টেশনে যাতায়াতের জন্য মানুষের ভীষণ অসুবিধা হচ্ছে।
সেইসঙ্গে আরেকটি বিশেষ আবেদন করছি যে রেলের যে খাবার সেটা উন্নতমানের নয়। বিশেষ করে ডায়াবেটিস পেসেন্টদের জন্য রেলে কোনও প্যানট্রি কার বা খাবারের ব্যবস্থা নেই। কয়েকজন সদস্য ইতিমধ্যেই বলেছেন সুতরাং সেই সমস্ত ডায়াবেটিক পেসেন্টদের জন্য রেলে ভালো উপযুক্ত মানের খাবার সাপ্লাই হয় তাঁর জন্য আপনার কাছে দাবী রাখছি।
ধন্যবাদ স্যার।