Like Mahatma Gandhi, Mother Teresa – now Saint Teresa – was deeply religious and yet beyond religion: Derek O’Brien

Of the hundreds of Catholic orders across the world, only one has an office in the Vatican itself: the Missionaries of Charity, founded by Mother Teresa in Kolkata. Of the thousands of saints recognised by the Catholic church, a formal induction ceremony, as part of the canonisation process, has been reserved for only about 800. On September 4 Mother Teresa joined them. She will became the 10th St Teresa, St Teresa of Calcutta/Kolkata, and like the others distinguished by the city she is most identified with.

This background is important to understand why the canonisation of Mother Teresa is a special event even within the narrow space of the Catholic church’s conferring of sainthood on its most revered. Some have been so honoured centuries after death. Joan of Arc was murdered in the early 15th century and canonised in the early 20th century.
Mother Teresa is being canonised merely 20 years after her passing. She is recognised as special, both within the Catholic church and outside. She is recognised as somebody who always introduced herself as an Indian, and yet rose above national boundaries to become a global icon.

This is reflected in how her canonization became a truly a truly event. From Bengal we were lead by our Didi. There were other delegations too from across the world (including one lead by the External Affairs Minister and another by the Chief Minister of Delhi ) but it must be said the warmth and love showered on Mamata Di by the Missionaries of Charity was very, very special. In an unprecedented gesture, Sr Prema walked down 150 meters from the main altar, took Didi gently by the hand and walked up the aisle as pilgrims applauded spontaneously. What a moment! Throughout the two and a half hour service, the Chief Minister of Bengal was seated between Sr Prema, the successor to Mother Teresa and another senior sister from the Missionaries of Charity.

Mamata Banerjee first met Mother Teresa in the early 1990s in the context of disquieting religious violence in Kolkata. A few months ago – shortly after the assembly election results in Bengal – Sister Prema, worldwide head of the Missionaries of Charity, visited the chief minister and invited her to the ceremony. The offer was gratefully accepted. I was fortunate enough to be asked to accompany Mamata Banerjee. In my 13 years with Trinamool, it was one of the most emotional journeys I have made with Didi.

Others made the journey to the Vatican as well. Some 150 pilgrims from Kolkata, and 15 inmates (i prefer the word “residents”) of the homes for the poor that the Missionaries of Charity run in the city, and several others touched by Mother’s life and by the 5,000 nuns and brothers of her order, across 130 countries, either came to Rome or watched on television.

Not all of them are Catholic or even Christian. Like Gandhi, Mother Teresa was deeply religious – and yet beyond religion. When she picked up the sick and the indigent, literally off the street, cleaned and tended to them with her own hands and took them “home”, she didn’t stop to first ask for the religious identity of the person. “Yes, I convert,” Mother once said, “I convert Hindus to become good Hindus, I convert Muslims to become good Muslims, I convert Christians to become good Christians.” While remaining true to the tenets of her faith, she was enlightened enough to appreciate the pluralism of our society.

My association with Mother Teresa began in the early 1970s, in class VIII. Father Bouche, a Belgian priest who taught us in school, encouraged us boys to make paper packets (thongas, as we call them in Kolkata) for use at Shishu Bhawan, the children’s home the Missionaries of Charity ran.

Those of us not adept at making packets (like me) were asked to collect newspapers at home and from neighbours. The experience left an impression on us; we felt we were being useful. In college and as a working person, i volunteered at Shishu Bhawan and was lucky to meet Mother often. Those are fulfilling memories i still cherish.
We can all disagree with some aspect or the other of Mother’s life. She would not be happy with my views on abortion or divorce. The criticism that the Missionaries of Charity did not consider psychological issues of the sick and the infirm or provide for palliative care – a specialised area now – for the terminally ill has been addressed only in recent years.

Nevertheless, when we assess her life, the good she did far, far outweighs the minor quibbles. Let’s not get engrossed in those quibbles. Let’s celebrate our Mother and her moment.

 

Kolkata brightens up for Durga Puja

West Bengal Government and Kolkata Municipal Corporation is taking huge initiative to transform Kolkata into City of Lights during the ensuing festive season. Important landmarks and crossings in the city have been illuminated.

Important crossing including Shyambazar, Dalhousie, Dorina Crossing, Park Street, Ellot Park, Rabindra Sadan, National Library, Hazra Crossing, Rashbehari Avenue, Gariahat flyover and the river front will be illuminated during the Pujas.

Important and heritage buildings will also be decorated with light chains.

 

দুর্গা পুজো উপলক্ষে সেজে উঠেছে কলকাতা

রাজ্য সরকার এবং কলকাতা পৌরসংস্থার যৌথ উদ্যোগে দুর্গা পুজো উপলক্ষে সেজে উঠেছে শহর কলকাতা।

শহরের উল্লেখযোগ্য বিল্ডিংগুলি এবং রোড ক্রসিংগুলোও আলোর মাধ্যমে সুসজ্জিত করা হয়েছে।

গুরুত্বপূর্ণ রোড ক্রসিংগুলি যেমন-  শ্যামবাজার, ডালহৌসী ডোরিনা ক্রসিং, পার্ক স্ট্রিট, এলিয়ট পার্ক, রবীন্দ্র সদন, জাতীয় গ্রন্থাগার, হাজরা, রাসবিহারী অ্যাভিনিউ এছাড়া গড়িয়াহাট ফ্লাইওভার, গঙ্গার পাড় সকিছুই সাজানো হয়েছে আলোর মালায়।

উ९সবের এই কদিন সব গুরুত্বপূর্ণ ল্যান্ডমার্ক বিল্ডিং গুলি চেন লাইট দিয়ে সাজনো হবে। এছাড়া সরকারি ভবনগুলি এবং হেরিটেজ বিল্ডিং গুলোও আলো দিয়ে সাজানো হবে।

 

সংগ্রামই জীবন: অভিষেক বন্ধোপাধ্যায়

যত মত তত পথ, যত্র জীব তত্র শিব, যতদিন বাঁচি ততদিন শিখি, উক্তিগুলি ভগবান শ্রীরামকৃষ্ণের। সভ্যতার শ্রেষ্ঠ অবদান মানবজীবন এবং তাঁর বাণী। প্রাচীন সভ্যতার তীর্থ ভারতে দূর অতীতের শ্রীমদভাগবতগীতাতে আছে ভগবান যুগে যুগে ধর্মের গ্লানি বিমোচন, দুর্বৃত্তের বিনাশ ও সত্য ধর্মকে প্রতিষ্ঠা এবং সুরক্ষার জন্য আবির্ভূত হন অবতার হয়ে।

আধুনিক বিশ্ব পরিস্থিতি ও ভারতীয় সভ্যতার মহিমাময় আদর্শের অবক্ষয় ও অপমৃত্যুর সংকট মুহূর্তে পরমপুরুষ শ্রী রামকৃষ্ণের আবির্ভাব এমন একটি বাস্তৱ ঘটনা।

জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় যৌবন। যৌবন জীবনের একটি সন্ধিক্ষণ, বৃহত্তর জীবনে প্রবেশের সময় এটা। যুবকরা শুধু সমাজের নয়, সমগ্র জাতির বলিষ্ঠতম অংশ বিশেষ।তাই যুবকদের সামাজিক দায়িত্ব পালন করতে হয় যথেষ্ট নিষ্ঠার সঙ্গে। আমাদের সমাজ সুপ্রাচীন ঐতিহ্যের অধিকারী।তবু বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে এর চতুর্দিকে কুসংস্কার, জাতিভেদ, অশিক্ষা-কুশিক্ষা, দারিদ্র ও নিপীড়ন। এসবের মধ্যেই মাঝে মাঝে নেমে আসে প্রকৃতির অভিশাপ ক্ষরা, বন্যা, ভূমিকম্প ইত্যাদি। ফলস্বরূপ দেখা যায় কত মানুষের গৃহহীন দুরবস্থার চিত্র। এই অবস্থায় সেবাদর্শের অনুভব নিয়ে জাতির বলিষ্ঠতম অংশ অর্থাৎ যুব সমাজ যদি এগিয়ে না আসে তাহলে আর কে আসবে।

স্বামী বিবেকানন্দের মতে, ত্যাগ বৈরাগ্যই ভারতের সনাতন আদর্শ। সাহস, আত্মবিশ্বাস নিয়ে সমাজসেবাই মুক্তির পথ। স্বামীজীর উদাত্ত ঘোষণা “মানুষের জন্ম প্রকৃতিকে জয় করার জন্য, তাকে অনুসরণ করার জন্য নয়। শিবজ্ঞানে জীব সেবা।” আমরা যুবকরা দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ। মানব জীবন ফুলের পাপড়ি বিছানো পথে চলে না, সংগ্রামই জীবন। বর্তমানে জীবন দারুন প্রতিযোগিতাপূর্ণ।

বর্তমানে নিজের ঘর নিজেকেই বাঁধতে হয় তাই পৌরুষই যুবকের শ্রেষ্ঠ মূলধন। পৌরুষ অর্জিত হয় গভীর মনোযোগে, নিরন্তন অভ্যাসে, নিরলস কর্মে, সময়নিষ্ঠায়, এবং বিনম্র আনুগত্যে।বলা বাহুল্য এগুলোই শৃঙ্খলাবোধ ও নিয়মানুবর্তিতারই স্বর্ণ ফসল। পৌরুষ অর্থে বীর সংকল্প, সুক্ষ বিচার বুদ্ধি, অনুশীলন ও সৃজন শক্তি, কর্মনিষ্ঠা, চিত্তের সুকুমার বৃত্তিগুলির পরিচর্যা ও পরিস্ফুটন, লোক ব্যবহারে সৌজন্য, শিষ্টতা ও সামাজিক বোধ, এবং দায়িত্ব ও কর্তব্যে সচেতনতা প্রভৃতির সম্মিলিত রূপটি পৌরুষ বা পরিপূর্ণ মনুষ্যত্ব। যৌবনেই এগুলো আয়ত্তের প্রকৃষ্ট সময়। আর তা শৃঙ্খলাবোধ বা নিয়মানুবর্তীতারই আশীর্বাদ। দায়িত্বচেতন ও কর্তব্যনিষ্ঠ যুবক দেশ ও জাতির গৌরব। যৌবন তারুণ্যের প্রাণশক্তিতে ভরপুর। শক্তি ও উদ্দীপনার মিলিত প্রয়াসে যুবকদের সর্বশক্তি নিয়োগ করে দেশ ও সমাজের কল্যানে আত্মনিয়োগ করতে হবে। আমরা যুবকরাই ভবিষ্যৎ ভারতবর্ষের স্রষ্টা। বর্তমানে দেশের নাগরিক। আমাদেরই সমৃদ্ধ ভারত গঠন করতে হবে।

আমাদের যুবকদের বুঝতে হবে রাজনীতিতে কি? জীবনে খ্যাতি ও প্রতিষ্ঠা অর্জনে আর দশটা বৃত্তির মতো রাজনীতিও যেন একটা পেশা মাত্র, এ পেশায় আদর্শ ও অনুভূতির চেয়ে কূটনৈতিক পারদর্শিতায় বেশি প্রয়োজন, সাধারণ মানুষের কাছে রাজনীতি ক্রমশ এই তাৎপর্যই লাভ করতে শুরু করেছে। আজ তাই রাজনীতি বা রাজনীতিকদের প্রতি সাধারণ মানুষের অর্থাৎ জনসাধারণের তেমন শ্রদ্ধার ভাব নেই। যুবকদের এটাও বুঝতে হবে রাজনীতি কোনো পেশা নয়। স্বদেশসেবার পরম আদর্শ রাজনীতি সম্মান দেবে, সমাজে বিত্ত ও প্রতিষ্ঠা লাভের সুযোগ করবে, এই পেশাদারি মোহ থাকলে চলবে না।

মহাত্মা গান্ধী যেমন রাজনীতিকে বলেছেন, ‘ধর্ম’, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুও তেমনই রাজনীতির সংজ্ঞা দিয়েছেন, ‘সম্মিলিত সাধনা’ তথা ‘Collective Sadhana’ নামে। ধর্ম বা সাধনার আবেদন পেশাদারিতে নয়-আদর্শানুরাগের নিষ্ঠা ও হৃদয়ের অনুভূতিতে। যুবকদের মনে রাখতে হবে রাজনীতি পেশা নয়-আদর্শ ব্রত। মানুষের উপকারে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করতে হবে। রাজনীতিকদের মন যখন আদর্শানুরাগের অনুভূমিততে পূর্ণ হয়ে ওঠে, তখন মান যশ প্রতিস্ঠার কোনোও আকাঙ্খা তাকে প্রলুব্ধ করতে পারে না। আদর্শানুরাগ, জানসেবাব্রতীর জীবনকে যখন সুরভিত করে তোলে তার জীবন তখন দুর্জয় প্রচেষ্টায় দুঃসাহসিক অভিযান হয়ে ওঠে নিঃশঙ্ক ও নির্ভীক। জেনে রাখবে আদর্শের মৃত্যু নেই, আদর্শ-মৃত্যুঞ্জয়ী।

আমাদের দেশে শত শত মহাপুরুষ জন্মেছেন অথচ তাঁদের আবির্ভাব সত্ত্বেও আজ দেশ কি শোচনীয় অবস্থায় পরে আছে। জাতিকে বাদ দিয়ে ব্যক্তিদের কোনো স্বার্থকতা নেই-একথা আজ আমাদের সকলকে বুঝতে হবে আর এজন্যই আজ চাই ‘সম্মিলিত সাধনা-Collective Sadhana’।

আমরা যদি পৃথিবীর ইতিহাসের দিকে তাকাই তাহলে দেখব বিভিন্ন দেশে ও কালে কালে বহু উন্নত জাতি ও সভ্ভতার সৃষ্টি হয়েছে কিন্তু আজ সেসব দেশের ভূগোল বেঁচে আছে বটে, কিন্তু ইতিহাস স্থানলাভ করেছে প্রত্নতত্ত্বের জীর্ণ পাতায়। যেমন মিশর দেশটি আছে, পিরামিডও আছে কিন্তু অতীতের মিশরের প্রানধারা বেঁচে নেই ; ব্যাবিলনের ঝুলন্ত উদ্যান আছে কিন্তু ব্যাবিলনীয় সভ্যতা নেই ; তেমনি গ্রিস আছে গ্রিসের স্থাপত্য আছে কিন্তু গ্রিক সভ্যতার আত্মা আজ বেঁচে নেই। কিন্তু শত বিপর্যয়ের মধ্যেও ভারতবর্ষের জীবনস্রোত অবিচ্ছিন্ন রয়েছে। হাজার হাজার বছর আগেকার অর্থাৎ অতীতকাল থেকে আজকের দিনেও ভারতবাসীর জীবনে ইতিহাস ও সংস্কৃতির ধারা অবিচ্ছিন্ন রয়েছে।

যৌবন শক্তি চির অশান্ত, চির অবুঝ। অকারণে ঔদ্ধত্য, অপ্রয়োজনে দুর্বার বিদ্রোহ, চির-চাঞ্চল্যের উদ্দাম প্রানধারার ঊর্মিমুখর অপরিমিত উচ্ছাস-ইটা যৌবনের ধর্ম। যৌবন ভাঙতে পারে আবার গড়তেও পারে, আত্মবিলোপ করতে পারে, আবার আত্মবিকাশও করতে পারে। যৌবনের এই ধর্মকে স্মরণ রেখেই যুব আন্দোলনের মূল আহ্বান হওয়া উচিত বন্ধন থেকে মুক্তি, সংস্কার ও চিরাচরিত প্রথার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, মানবতা বিরোধী স্বেচ্ছাচারের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান।

স্বামীজীর ভাবাদর্শে একাগ্র চিত্রে স্মরণ মনন করে আজ বাংলা তথা ভারতবর্ষের একমাত্র অবিসংবাদী নেত্রী মমতা বন্ধোপাধ্যায়। আর আমি ব্যক্তিগতভাবে তাঁর আদর্শ ও অনুপ্রেরণা সর্বোপরি মানবসেবায় দিদির পথই আমার পথ।

 

Kolkata Police gears up for smooth traffic management during Durga Puja

Crowd and traffic control during Durga Puja in the added areas of Kolkata – where there’s been a phenomenal rise in number of mega-budget pujas – is turning into a bigger challenge every year for Kolkata Police but they have been doing the job with great dedication and professionalism.

Deployment of forces

The Kolkata Police have decided to deploy the additional policemen to control the crowd and ensure smooth traffic movement from Chaturthi onward. All senior police officers will be on duty. Around 4,500 special forces, 2000 volunteers of National Cadet Corps and 500 home guards will be deployed to ensure that no untoward incidents take place in the city during Puja. Traffic will be barred on many roads from 3 PM to 1 AM on Panchami and up to 3 AM till Navami. Kolkata Police has also drawn up specific traffic regulations on 133 streets.
There will be around 5,000 policemen on Chaturthi and the number will go up to 12,000 from Panchami. There will be 21 quick response teams and 25 heavy radio flying squads (HRFS). Around 76 additional surveillance cameras will be installed and there will be 46 watch towers all around the city.  The Rashbehari and Gariahat area has been divided into four zones for better policing. Necessary legal steps would be taken against bikers without helmets or riding bikes with two persons on the pillion.

A few hundred constables and over hundreds of trainee traffic sergeants will be the additional forces on the road on all Puja days. Most of the divisions and the traffic wing have increased their staff strength. This extra force will be deployed in the added areas where road space is restricted. In addition, help will be taken of the numerous of CCTV cameras to cover all the major crossings of the added areas. Based on real time inputs, necessary deployments will be made.

Newly-added areas under Kolkata Police

The added areas spread over 104 sq km and include 13 police stations. Unlike other years, this time the full police bandobast will begin on Panchami itself.

There are at least 28 big pujas in this new area and over 1,000 medium-scale pujas. Additional manpower has been sought from the state police but top officers have been asked to prepare their plan with existing resources.

Other arrangements

NCC cadets, scouts, students and several NGOs has sought for support for managing crowds at pandals,. Like last year, information regarding traffic, the situation at pandals and those lost in crowd will be transmitted on the AIR FM channel.

Both the state police and Kolkata Police held a series of meetings and chalked out elaborate plans to avoid any sort of untoward incidents during Durga Puja.

Bengal Chief Minister Mamata Banerjee recently held a meeting with various Durga Puja committees at Netaji Indoor Stadium in Kolkata, where she spoke about all forms of cooperation between the administration and the Puja committees.

দুর্গা পুজোর সময় যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে কলকাতা পুলিশের বিশেষ উদ্যোগ

কলকাতা ও তার সঙ্গে যুক্ত হওয়া নতুন অঞ্চল গুলোয় বিগ বাজেট পুজোর সংখ্যা যত বাড়ছে, ততই  কলকাতা পুলিশের পক্ষে প্রতি বছর পুজোর দিনগুলোতে একদিকে মানুষ ও অন্যদিকে যানবাহনের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা ততটাই চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠছে।

কর্মী বিন্যাস

এবার ৪০০০ জন পুলিশ কর্মী রাস্তায় থাকবেন, সঙ্গে থাকবেন হোমগার্ড। পঞ্চমী অবধি দুপুর ৩টে থেকে রাত ১টা ও ষষ্ঠী থেকে নবমী অবধি দুপুর ৩টে থেকে রাত ৩টে অবধি বহু রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ রাখা হবে। কলকাতা পুলিশ ১৩৩টি রাস্তায় যানবাহন চলাচলের জন্য একটি বিশেষ নির্দেশিকাও জারি করেছে।

অতিরিক্ত ব্যবস্থা হিসেবে চতুর্থীতে রাস্তায় প্রায় ৫০০০ পুলিশ কর্মী এবং পঞ্চমীতে প্রায় ১২০০০ পুলিশ কর্মী রাস্তায় থাকবে। এছাড়া ২১টি কুইক রেসপন্স টিম এবং ২৫টি রেডিও ফ্লায়িং স্কোয়াড থাকবে। এছাড়া সমগ্র শহর জুড়ে ৭৬টি সিসিটিভি ক্যামেরা এবং ৪৬টি ওয়াচ টাওয়ার বসানো হয়েছে।

রাসবিহারী ও গড়িয়াহাট এলাকাকে ৪টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। হেলমেট না পরে বাইক চালালে তাদের জন্য প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুজোর দিনগুলিতে ১০০ জনের বেশি কনস্টেবল, ১০০ জন ট্রাফিক সার্জেন্ট সহ অতিরক্ত পুলিশ বাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি থানা ও ট্রাফিক বিভাগ তাদের কর্মী সংখ্যা বাড়িয়েছে। যেসব রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হবে, সেসব জায়গায় এই অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনীকে মজুদ রাখা হবে। সব রাস্তার সংযোগস্থলগুলি ও গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলির ওপর থাকবে সিসিটিভির নজরদারি যাতে যেকোনো পরিস্থিতিতে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

কলকাতা পুলিশের আওতায় আসা নতুন অঞ্চল

১৩টি থানা ও তার সঙ্গে ১০৪ বঃ কিঃমিঃ অঞ্চল কলকাতা পুলিশের আওতায় নথিভুক্ত হয়েছে। এই নতুন অঞ্চল গুলির মধ্যে অন্তত ২৮টি  বিগ বাজেট পুজো ও ১০০০এর বেশি মাঝারি পুজো হয়ে থাকে।

অতিরিক্ত ব্যবস্থা

সূত্রের পাওয়া খবর অনুযায়ী, এনসিসি ক্যাডেট, স্কাউট, স্কুল পড়ুয়ারা ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা প্যান্ডেলে মোতায়েন থাকবে। বিভিন্ন রাস্তায় যানবাহনের গতিবিধি, প্যান্ডেলের অবস্থা ও কেউ হারিয়ে গেলে তা সরাসরি এয়ার এফএম চ্যানেলে ঘোষণা করা হবে।

দুর্গা পুজোর সময় কিভাবে যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত হবে, কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তা নিয়ে বেশ কয়েক দফা বৈঠক করেছে রাজ্য ও কলকাতা পুলিশ।

কয়েকদিন আগেই নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে পুজো উদ্যোক্তাদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেখানে তিনি বলেন পুজো কমিটিগুলিকে সব রকম সহযোগিতা করবে প্রশাসন।

 

নির্বাচন ২০১৬: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

কু९সার ঝড় পেরিয়ে একটা বড় রাজনৈতিক সুনামি সামলে এলাম আমাদের জাতীয় উ९সব বাংলার দুর্গাপুজোর তিন মাস আগে। পুজো এসে গেলেই ‘জাগো বাংলা’র পুজো সংখ্যার জন্য একটা লেখার অনুরোধ আসে। সময়ের অভাবে যখনই কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গের দিকে যাই অখন ওই ৪০/৪৫ মিনিট সময় যাতায়াতের রাস্তায় হাতে থাকে। আর যা থাকে, লেখার কাজ, তখন মেঘ-রৌদ্রে সেরে নিই আর কী!

এবারেও তার ব্যতিক্রম কোথায়? ২০১১ সালের ঐতিহাসিক পরিবর্তনের পর বেসামাল আর্থিক ধস সামলেও পাঁচ বছর যে কাজ আমাদের সরকার মা-মাটি-মানুষের আশীর্বাদে করেছে তা এককথায় সাধ্যমতো চেষ্টায় অনবদ্য। যার ফলশ্রুতি ও বিশ্বাসে সাধারণ মানুষ তৈরি ছিলেন মনে মনে আশীর্বাদে ভালোবাসায় ও দোয়ায় আমাদের সমর্থন করতে।

কিন্তু হঠা९ করে নয়। বেশ পরিকল্পনা করে একেবারে দিল্লি থেকে কলকাতা! কিন্তু এবারের ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে ষড়যন্ত্র তৈরি হয়েছিল প্রতিদিন, তা সত্যি সত্যিই চাক্ষুষ করলেন সাধারন মানুষ।

উপলব্ধির গভীরে চক্রান্তর শিকড় এতটাই নিমজ্জিত ছিল যে কখনও কখনও কু९সা কথার জ্বালায় প্রখর দেবতাও প্রায় দগ্ধ হয়ে যেতে বসেছিল। আর আমার কান সবতা এলেও আমার knowledge  -এ সবটা থাকলেও, আমি আমার মতো  মার্চ-এপ্রিল মাস, মে মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত প্রখর রৌদ্র দহনের দারুন অগ্নিবাণে আর শুষ্ক ধুলোর, গ্রীষ্ম ধুলায় কিঞ্চি९ জ্বলনে, দহনে দগ্ধ হচ্ছিলাম। তাই সব কিছু দেখেও মানুষের প্রতি বিশ্বাসের জোরে মানব বৃক্ষের ছাতার তলে আশ্রয় নেওয়ার ফলে মনের বিশ্বাস-এর রাস্তাটা আমার কাছে এতটাই অক্ষত ছিল যে আমি আমি নিজেকে কখনওই দুর্বল মনে করিনি। শুধু ভাবতাম এত গরমের দিনে টানা আড়াই-তিন মাস প্রতিদিন প্রচার চালিয়ে সম্পূর্ণ নির্বাচন প্রচারটা শেষ করতে পারব তো? এক জেলা থেকে আর এক জেলা কখনও বা দিনে দুটো তিনটে জেলা কভার করতে হত।

আর তার মধ্যেই আসত নানারকম চক্রান্ত ও অভিসন্ধিমূলক খবরের খবর। দিল্লি থেকে কলকাতা যেভাবে আমাদের হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য নির্বাচনের সময়েও সমস্ত নীতি বিসর্জন করে এক রাজনৈতিক অভীলিপ্সা যেভাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে লাঞ্ছনা করার কাজে ব্যবহৃত হয়েছিল তা ভাবলে শিহরিত হতে হয়। আমাদে দলের কর্মীরা বহু কঠিন পরিস্থিতি ও আন্দোলন থেকে উঠে আসা বলেই এত বড় একটা অসম লড়াই করেও মানুষের আশীর্বাদে ও শুভেচ্ছায় জিতে এসেছে।

আমরা জিতিনি, জিতেছে মানুষ। এ লড়াই থেকে অনেক শিক্ষা নেওয়া হয়েছে।

Big Money power কীভাবে রাতারাতি জোট সরকার তৈরি করে ফেলেছিল, জোট সরকারের হোতাবাবুরা – কীভাবে সংবাদমাধ্যমের এক বড় অংশ, দিল্লির প্রভাবশালী চক্রব্যূহ সব একসঙ্গে একজোট হয়ে অনৈতিক নির্বাচনের সুযোগে ভেঙে গুড়িয়ে দিতে চেয়েছিল আমাদের, যা সব সীমাকে ছাড়িয়ে এক সীমাহীন সন্ত্রাসের সন্ত্রাসী বিস্ফোরণ।

এমন কোন জায়গা ছিল না বাকি এমনকি প্রশাসনকেও স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া হয়নি, সর্বত্রই খবরদারি করার, সর্বোচ্চ পরিকল্পনা অনুযায়ী পরিকল্পিত হয়েছিল। এমনকি সব সৌজন্যকে বিসর্জন দিয়ে, আমি যেখানে থাকি, সেখানে আমাকেও হারানোর জন্য ভোটের আগের দিন আমাদের পাড়ার প্রতিষ্ঠিত ক্লাবগুলোতেও বিরোধী দলগুলোর মাতব্বরদের কথায় তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আগে শুধু ভোটকেন্দ্রের সামনে ১৪৪ ধারা ঘোষণা করা হত, আর এবার একেবারে এক অঘোষিত কারফিউ জারি করে সাধারণ মানুষকে গণতন্ত্রের উ९সব থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য সবরকম চক্রান্ত করা হয়েছিল। একসঙ্গে চার-পাঁচ জনকে এমনকি ভোট কেন্দ্রে যেতে দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকারের ভোট পুলিশ। এলাকায় এলাকায় নির্বাচন কমিশনের পদ্ধতি মেনে অনুমতি নিয়েও বুথ ক্যাম্প করতে দেওয়া হয়নি।

অনেক কাছ থেকে অনেক ঘটনা জেনেছি নির্বাচনের দিনগুলোকে কেন্দ্র করে। আমাদের দীর্ঘদিনের সাথী শোভনদা, মানে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জিনি সারা জীবন রাজনৈতিক শ্রমিক আন্দোলন অথবা বিভিন্ন খেলাধুলার সঙ্গে যুক্ত, আমাকে বললেন, “জানিস তো মমতা, আমি রাসবিহারীর প্রার্থী হিসেবে যোধপুর পার্কের একটা ভোট কেন্দ্রে আইন অনুযায়ী ভোট কেমন চলছে দেখতে গেছি, আমাকে কয়েক জন ভোট পুলিশ (CRPF) ধাক্কা দিয়ে বের করে দিল। আমি বললাম, ভাই আমি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী। আমার অনুমতি আছে ভিতরে যাওয়ার। ওই ভোট পুলিশগুলো বলল, “আপ তৃণমূল কংগ্রেস কা হ্যায়। আপলোগ কি খিলাপমে action করনা হামারা দিল্লিকা instruction হ্যায়। বলে ধাক্কা দিয়ে আমাকে বের করে দিল”। শোভনদা বলেছিলেন, “জানিস তো লজ্জায় আর অপমানে আমার মাথায় আগুন চেপে গিয়েছিল। কিন্তু মানুষের যাতে ভোটে কোনও অসুবিধা না হয় তাই সব সহ্য করেছি। এই ঔদ্ধত্য? বহিরাগতদের! যা চিরকাল মনে থাকবে।

শোভনদা আমাকে আরও জানান, “জানিস তো তোর সুপ্রিয়া বৌদি (মানে শোভনদার স্ত্রী) দীর্ঘদিন কিডনির অসুখে শয্যাশায়ী। থাকেন ভবানীপুরে”। তাঁকে immediate  হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। Ambulance কে ফোন করলাম, জানতে পারলাম ভোট পুলিশরা Ambulance যেখানে থাকে সেখানে তালা দিয়ে চলে গিয়েছে”।

মেডিসিনের দোকান থেকে খাবারের দোকান সব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। নকুরের মিষ্টির দোকানে, তাদের মারধর করা হয়েছিল। এ-ঘটনাটা তো সবার জানা।

আমার পরিচিত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একজন উচ্চপদস্থ অফিসার আমাকে জানালেন, “ম্যাডাম আমি ভোট দিতে যাচ্ছিলাম, কয়েকজন ভোট পুলিশ ভোটকেন্দ্রের বাইরে আমাকে নানাভাবে আটকানোর চেষ্টা করছিল। যাতে আমি ভোট দিতে না যাই। এবার আমি আমার পরিচয় দিলাম, তখন বলছে, ‘সব গন্ধা হ্যায়”। অর্থা९ এইভাবে, যেভাবে বিশেষ নির্দেশনায় এবার নির্বাচন করা হয়েছে, তা যেকোনও জরুরি অবস্থার থেকে ভয়াবহ বলা যেতে পারে।

প্রায় ৬৫ থেকে ৭০ জনের মতো ভালো ভালো অফিসারকে সিপিএম, বিজেপি ও কংগ্রেসের কথায় যেভাবে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, আর তাদের পছন্দমত লোকজনদের দিয়ে নির্বাচন করা হয়েছিল তাও ভবিষ্য९ ইতিহাসের অনৈতিক অনেক সাক্ষী হয়ে থাকবে।

ভোটের দুদিন আগে থেকে এলাকায় এলাকায় গিয়ে আমাদের নেতৃবৃন্দ ও সংগঠকদের উপরে যেভাবে সন্ত্রাস করা হয়েছে তা গণতান্ত্রিক ইতিহাসে চিরদিনের চিরলজ্জা হিসাবে থাকবে।

এছাড়াও নানারকম অভিযোগ, মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে অনৈতিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে অনেক তৃণমূল কংগ্রেসির বিরুদ্ধে। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে যে অভিযোগ বারবার করা হয়েছে তার কোনও একটারও বিচার হয়নি।

অভিযোগ দেখা যার দায়িত্বে ছিল, তিনি নাকি সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপিরটা দেখলেই তাঁর জিভ দিয়ে জল পড়ত। আর তৃণমূল কংগ্রেসের পত্র দেখলেই তাঁকে সরিয়ে রাখতেন। এই তো ২০১৬-র নির্বাচনী বৃত্তান্ত। জোটের কর্ণধাররা যারা অর্থ, দিল্লি সহ ভোট পুলিশ প্রশাসনের এক বড় আমলা, দিল্লির সবরকম মদত ও ইশারায় বাংলা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য একতরফা চক্রান্ত করেছিলেন তাদের সব চক্রান্ত থেকে বেরিয়ে এসে মানুষের আশীর্বাদ, শুভেচ্ছা ও দোয়ায় এ নির্বাচনী ফলাফল সত্যিই ভাবা যায় না। এ দান যে কত বড় দান সে তো চক্রান্তের নারদমুনিদের দেখলেই বোঝা যায়।

তা সত্ত্বেও শেষ হাসি মানুষের। সত্যের জয় মানুষের। বিশ্বাস ও আস্থার জয়- গণতন্ত্রের। অনেক শিক্ষা, অনেক অভিজ্ঞতা ও অনেক চক্রান্ত ও কু९সার ঝড় পেরিয়ে ২০১৬-র নির্বাচন গণতন্ত্রকে নতুন করে সমৃদ্ধ করল। যার থেকে বড় শিক্ষা। ‘মানুষের থেকে বড় কেউ নয়’।

গণতন্ত্রের প্রধান ভরসা মানুষ। চক্রান্তের ব্লুপ্রিন্ট নয়।

মা-মাটি-মানুষকে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানাই। ‘পুজো’ সকলের খুব ভালো কাটুক। সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন। সবার জন্য রইল প্রিয় দুর্গাপুজোর ‘শিউলি উ९সবে’ আমাদের প্রাণভরা শুভেচ্ছা। বড়দের প্রণাম-সালাম। ছোটদের নবীন প্রজন্মকে অনেক অভিনন্দন ও ভালবাসা।

শুভ পুজোর বাজনা বাজুক সবার ঘরে ঘরে।

 

 

Bengal’s ‘Sukanya’ girls shine bright at Kickboxing World Cup in Russia

Sukanya – Chief Minister Mamata Banerjee’s pet project to provide self-defence training to girls in the state – achieved a significant feat after five beneficiaries of the project from the city won five gold, two silver and two bronze medals at the Kickboxing WAKO World Cup 2016 held in Russia in September this year.

The five girls, from four schools and one college in the city, were part of a team of 62 players that represented India in the World Cup held from September 21 to 28.

Anushka Nath of Taki Government Girls’ High School won a gold medal in Light Contact segment and Kick Light segment each. Alisha Khan, a student of St Thomas’ Girls’ School, won a silver medal in Light Contact and a bronze medal in Kick Light segment.

Class X student Sahisnuta Sinha of Brahmo Balika Shikshalaya secured one gold medal in Kick Light and a silver medal in Light Contact segment.

Dipanita Roy of Surah Kanya Vidyalaya won a gold medal in Kick Light and a gold medal in Light Contact segment. Finally, Priya Das, a student of Behala College, won a Bronze medal in Light Contact segment.

Besides the students who received training under the Sukanya project, Pragya Sharma, who was supported by the Howrah Police Commissionerate, also won a gold medal in Kick Light segment and a silver medal in Point Fight segment.

 

রাশিয়া জয় করল বাংলার ‘সুকন্যা’ মেয়েরা

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পছন্দের প্রকল্প ‘সুকন্যা’ – এর মাধ্যমে মেয়েদের আত্মরক্ষা করার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ২০১৬ WAKO World Cup যা এই বছর সেপ্টেম্বর মাসে রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে সেখানে এই প্রকল্পের অধীনে প্রশিক্ষিত ছাত্রীরা কিকবক্সিং-এ পাঁচটি স্বর্ণ, দুটি রৌপ্য এবং দুটি ব্রোঞ্জ পদক জিতেছে।

গত ২১-২৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে ভারতের ৬২ জন খেলোয়াড় প্রতিনিধিত্ব করেছিল তাঁর মধ্যে শহরের ৪টি স্কুল ও একটি কলেজ থেকে পাঁচটি জন মেয়ে অংশগ্রহণ করেছিল।

টাকি গভর্নমেন্ট গার্লস হাইস্কুলের অনুষ্কা নাথ লাইট কনট্যাক্ট সেগমেন্ট এবং কিক লাইট সেগমেন্ট দুটিতেই স্বর্ণ  পদক পেয়েছে। আলিশা খান, সেন্ট টমাস ‘গার্লস স্কুলের ছাত্রী লাইট কনট্যাক্ট সেগমেন্টে রুপোর পদক এবং কিক লাইট সেগমেন্টে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছে।

ব্রাহ্ম বালিকা শিক্ষালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী সহিষ্ণুতা সিনহা কিক লাইট সেগমেন্টে একটি স্বর্ণ পদক এবং লাইট কনট্যাক্ট সেগমেন্টে একটি রৌপ্য পদক জিতেছে।

সুর কন্যা বিদ্যালয়ের দীপান্বিতা রায় কিক লাইট সেগমেন্ট এবং লাইট কনট্যাক্ট সেগমেন্ট দুটিতেই স্বর্ণ পদক জিতেছে। বেহালা কলেজের ছাত্রী প্রিয়া দাস লাইট কনট্যাক্ট সেগমেন্টে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছে।

‘সুকন্যা’ প্রকল্পের অধীনে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পাশাপাশি প্রজ্ঞা শর্মা কিক লাইট সেগমেন্টে স্বর্ণ পদক এবং পয়েন্ট ফাইট সেগমেন্টে রুপোর পদক জিতেছে।

 

Civic volunteers, welfare workers get medical benefits under Swasthya Sathi

Volunteers of the civic police and green police, and workers of the Integrated Child Development Scheme (ICDS) and accredited social health activists (ASHA) are now receiving financial benefits from the State Government up to Rs 5 lakh in case of critical ailments under Swasthya Sathi scheme introduced by the Trinamool Congress government.

The main features of the Scheme are:

(i) The scheme will have basic health cover for secondary and tertiary care upto Rs. 1.5 Lakhs per annum.

(ii) There will be no cap on the family size.

(iii) Critical illness like, Cancer, Neuro surgeries, Cardiothoracic surgeries, liver diseases, blood disorders etc. will be covered upto Rs. 5 lakh.

(iv) All pre-existing diseases will be covered.

(v) The entire premium will be borne by the State Government with no contribution from the beneficiaries

The scheme is being implemented by the Department of Health & Family Welfare, Government of West Bengal.

 

সিভিক পুলিশ ও আশার কর্মীদের জন্য এলো রাজ্যের ‘স্বাস্থ্য সাথী’ প্রকল্প

সিভিক পুলিশ, গ্রিন পুলিশ এবং আই সি ডি এস ও আশার কর্মী ও চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের জন্য স্বাস্থ্য-সাথী প্রকল্প চালু করছে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পের মাধ্যমে কর্মচারীরা ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আর্থিক বিমার কভারেজ পাবে।

প্রকল্পের মুল সুবিধা:

  • এই প্রকল্পের মাধ্যমে কর্মচারীদের বার্ষিক দেড় লক্ষ টাকা বিমা কভারেজ দেওয়া হবে।
  • এই প্রকল্পের আওতায় কর্মচারীদের পরিবার পরিজনদেরু আওতাভুক্ত হবে এবং এর সংখ্যা সীমাহীন।
  • বিভিন্ন মারণ রোগ যেমন – ক্যান্সার, নিউরো সার্জারি, কার্ডিওথোরাসিক সার্জারি, যকৃতের রোগ, রক্তের রোগ ইত্যাদির জন্য দেওয়া হবে ৫ লক্ষ টাকা।
  • সব রকম রোগের চিকিৎসাই এর মাধ্যমে করা যাবে।
  • সমস্ত প্রিমিয়াম রাজ্য সরকার বহন করবে।

রাজ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের দ্বারা এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।

 

 

Forest Dept plans two new homes for Bengal rhinos

The rhinos of Bengal will soon get two new homes in the northern part of the state. Owing to “excess“ population of the one-horned rhino in two national parks of north Bengal – Jaldapara and Gorumara – the State is planning to relocate a few animals to two new locations.

State Forest Mnister said they have identified two areas in Buxa Tiger Reserve and Cooch Behar’s Patlakhawa, which can be developed as rhino reserves. The state is waiting for a clearance from the Centre before finalizing the plan.

“We have more than 255 rhinos in Jaldapara and Gorumara. The number is more than the carrying capacity of both parks. Hence, we are planning to relocate a few rhinos,“ the minister said.

While Jaldapara is home to about 200 of these rhinos, Gorumara has more than 50 of them.

 

Image source

 

গণ্ডারদের থাকার জন্য দুটি নতুন জায়গা তৈরির পরিকল্পনা করছে বন বিভাগ

রাজ্যের উত্তর অংশে গণ্ডারদের জন্য শীঘ্রই দুটি থাকার জায়গা তৈরি করা হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের জলদাপাড়া এবং গোরুমারায় একশৃঙ্গ গণ্ডারের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণে রাজ্যের বনদপ্তর তাদের অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

রাজ্যের বন মন্ত্রী বলেন, তারা বক্সা টাইগার রিজার্ভ এবং কোচবিহারের পাতলাখাওয়ায় দুটি জায়গা চিহ্নিত করেছে, যেখানে গণ্ডার সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। রাজ্য এই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করার আগে এখন কেন্দ্রের অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করছে।

মন্ত্রী বলেন, “জলদাপাড়া এবং গোরুমারায় ২৫৫ টি গণ্ডার রয়েছে। এলাকা অনুযায়ী গণ্ডারের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। সেজন্য আমরা গণ্ডারগুলিকে স্থানান্তরিত করার পরিকল্পনা করেছি”।

জলদাপাড়ায় গণ্ডারের সংখ্যা ২০০ হলে গোরুমারার গণ্ডারের সংখ্যা আরও ৫০টি বেশি।

 

Kolkata Police introduces app for pandal-hoppers during Durga Puja

Kolkata Police has introduced the updated Android based mobile application “KOLKATA POLICE SMART PUJA GUIDE ”. Released last year, the App has been updated on September 2016.

The Commissioner of Kolkata Police on Monday unveiled the road map to guide pandal hoppers and the mobile phone app has also been introduced using which one can easily get direction to reach his or her destination. The most important part of the app is that photograph and information of a missing child can be uploaded in it. Some children go missing in the crowd during Durga Puja. Introduction of the app would help the police return the children to their parents easily.

This App will provide also Puja Pandal related information to the citizens during Pujas.

The application, Utsav app, will provide to its uses news and updates, the nearest Durga Puja which is around the place you are in, the road and route maps of different puja pandas and the the time to drive to a paju pandal from your current location.

The application is also providing the contact number, address and theme of different puja pandals.

 

KP app

Screenshot of the Utsavapp

 

 

The app may be downloaded and installed in smartphones from Google Play Store.

Click here to download

 

পুজো প্যান্ডেল পরিদর্শনের জন্য মোবাইল অ্যাপ চালু করেছে কলকাতা পুলিশ

শারদীয়ার দিনগুলি  শান্তিপূর্ণ ভাবে উপভোগ করার জন্য কলকাতা পুলিশ গত বছর নাগরিকদের সাহায্যার্থে একটি বিশেষ মোবাইল অ্যাপলিকেশন ‘কলকাতা পুলিশ স্মার্ট পূজা গাইড’ চালু করেছে। ২০১৬-র সেপ্টেম্বর মাসে অ্যাপটি আপডেট করা হয়েছে।
সোমবার কলকাতা পুলিশের কমিশনার পূজা গাইড ম্যাপের পাশাপাশি উৎসব অ্যাপ্লিকেশনটিরও সূচনা করলেন। এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষ সহজেই তার গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন। অ্যাপ্লিকেশন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল – কেউ হারিয়ে গেলে তার ছবি সহ যাবতীয় তথ্য এই অ্যাপ্লিকেশনে আপলোড করা যাবে। পূজা ভিড়ের মধ্যে অনেক সময়ই শিশুরা হারিয়ে যায়। অ্যাপ্লিকেশনের তথ্যের মাধ্যমে সহজেই পুলিশ সেইসব হারিয়ে যাওয়া শিশুদের তাদের বাবা-মায়ের কাছে পৌঁছে দিতে পারবে।
পুজোর সময় পুজো প্যান্ডেল সংক্রান্ত সবরকম তথ্যও পাওয়া যাবে এই অ্যাপটিতে।এই  মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনটির মাধ্যমে  চারপাশের সব পূজামণ্ডপের সন্ধানের সঙ্গে সঙ্গে সেখানে যাওয়ার দিকনির্দেশ পাওয়া যাবে।বিভিন্ন পুজো মণ্ডপগুলির ঠিকানা, উদ্যোক্তাদের ফোন নম্বর ও প্যান্ডেলটি কোন থিমের ওপর করা হয়েছে সেই সংক্রান্ত সব তথ্যও পাওয়া যাবে এই অ্যাপটিতে।

যেকোনো অ্যান্ড্রোয়েড ফোনের গ্রাহক তার ফোন থেকে এটি ব্যবহার করতে পারবেন। স্মার্টফোনে গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে।

এছাড়া পুজোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে কলকাতা পুলিশ তার একমাত্র ড্রোন ওড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।পুজো উপলক্ষে বিধাননগর কমিশনারেট এলাকায় ২৮ টি সি সি টি ভি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। সেক্টর ফাইভ ও ভি আই পি রোডের দিকে পর্যাপ্ত নজরদারির জন্য পুজোর আগেই এগুলো চালু করা হবে।সব মিলিয়ে দুর্গা পুজো ও মহরম উপলক্ষে কলকাতা পুলিশ শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ৭৬ টি অস্থায়ী ক্যামেরা বসিয়েছে। পুজোর দিনগুলোতে ভিড়ের মধ্যে শিশুদের হারিয়ে যাওয়া রুখতে দুটি মিসিং পার্সনস স্কোয়াড থাকছে।

পুজোর দিনগুলোতে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মোকাবিলায় ২১ টি কুইক রেসপন্স টিম, ২৫ টি হেভি রেডিও ফ্লায়িং স্কোয়াড, ২৫ টি ডিভিশনাল মোবাইল ভ্যান ও ৮৬ টি ওয়াচ টাওয়ার থাকবে।

 

Bengal CM gives a go ahead to set up four new women’s police stations in Kolkata

Bengal Chief Minister Mamata Banerjee on Monday, during the State Cabinet meeting gave a go ahead to set up four more all-women police stations in Kolkata, taking the total count to eight. The facility will come up at Behala, Karaya, Ultadanga and Taltala. The cabinet also approved 41 posts.

At present the city has four all-women police stations at Tollygunge, Watgunge, Patuli and Amherst Street and with today’s decision the number will go up to eight. These police stations like the four others will exclusively investigate crimes against women and focus particularly on dowry and domestic violence cases, abduction and sexual offences.

It may be noted that city police stations have three female police personnel each two constables and a sub-inspector. Women personnel have also been deployed at the radio flying squad that is stationed at night to respond to any crimes against women.

The state government has set a target of setting up 65 all-women police stations across the state to tackle crimes against women.

At the meeting it was also decided that the existing Dinhata police station in Coochbehar district would be bifurcated and a new police station at Sahebganj would be set up.

 

দেবীপক্ষে ৪টি নতুন মহিলা থানা গড়ার সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রীর

মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালনায় তৃণমূল সরকার ইতিমধ্যেই গোটা রাজ্য জুড়ে বেশ কয়েকটি মহিলা থানা গঠন করেছে। দেবীপক্ষের শুরুতেই রাজ্যে আরও ৪ টি মহিলা থানা তৈরির সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার।

কলকাতার বেহালা, কড়েয়া, উল্টোডাঙা এবং তালতলাতে চারটি মহিলা থানা গঠনের সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া হয়েছিল। সোমবার মন্ত্রীসভার বৈঠকে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

৪ টি থানার জন্য ৪১ টি পদ সৃষ্টি করা হবে। এদিন মন্ত্রীসভার বৈঠকে আরও একটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোচবিহারের দিনহাটা থানাকে ভেঙে সাহেবগঞ্জ থানা গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বর্তমানে শহরে ৪ টি মহিলা থানা রয়েছে-  টালিগঞ্জ, ওয়াটগঞ্জ, পাটুলী এবং আমহাররস্ট স্ট্রিটে এবং আজকের সিদ্ধান্তের পর এই সংখ্যা বেড়ে হল আট।

নারীর বিরুদ্ধে অপরাধ মোকাবিলা করতে রাজ্য জুড়ে ৬৫ টি মহিলা পুলিশ স্টেশন স্থাপনের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে রাজ্য সরকার।