Biswa Bangla Sharod Samman adds colour to Duga Puja

Like past years, the Bengal Government will be honouring the Best Durga Pujas with Biswa Bangla Sharaod Samman. This is the fourth year of the awards. Durga Puja committees participating from other states and foreign countries will also be honoured.

The winners of different categories are –

 

For Kolkata:

Sherar Shera – Suruchi Sangha, Abosar, Bosepukur Talbagan, Samaj Sebi, 41 Pally, Barisa Club, 66 Pally, Bhawanipur 75 Pally, Ahiritola Sarbojanin, Shreebhoomi, Hindustan Park, Mudiali, Kashi Bose lane Sarbojonin, Santoshpur Avenue South Pally Mangal, Chetla Agrani

Shera Protima – Tridhara, 95 Pally, Behala Natun Dal, Badamtala Ashar Sangha

Shera Mondop – Naktala Udayan, Dumdum Park Tarun dal, AK Block Salt Lake

Shera Bhabna – Dokhhin Kolkata Sarbojonin Durga Puja, Ajeya Sanghati, Ballygunge Cultural, Khidirpur 25 Pally, Falguni Sangha, Rajdanga Naba Uday Sangha, Netaji Colony Lowland Durgotsav Committee

Shera Alok Shojja – Kalighat Milan Sangha, Ekdalia Evergreen, Babubagan Dahkuriya, Shibmandir, Jodhpur Park

Shera Poribesh Bandhab – Ultadanga Pally Shree , Kumartuli Sarbojonin , Sikdar Bagan , Kakurgachi Jubak Brinda , Ultadanga Jubok Brinda , Jubo Maitry , Priyonath Mullick Lane , Alipore Sarbojanin, Batam Club, Purbachal Shakti Sangha

Shera Abishkar – Behala Natun Sangha, Tala Park Prottoy

Shera Theme Song/Shera Aboho – Suruchi Sangha

Shera Shilpi – Behala Friends, 64 Pally Durgotsab Committee, Aalapi

Shera Dhakeshri – Tala Barowari, College Square, 21 Pally

Shera Biswa Bangla Branding – Swadhin Sangha, Haridebpur Vivekananda Park Atheletic Club, Sanghashree, Selimpur Pally, Kolahal Goshthi, Garia Sarbojonin Dugotsab Committee Nabadurga

 

Here is the list of winners of Biswa Bangla Sharad Samman-2016

 

দুর্গা পুজোকে আরও রঙিন করে তুলল বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান

প্রতি বছরের ন্যায় এবারেও বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান প্রদান করবে রাজ্য সরকারএটি তৃতীয় বর্ষ। কলকাতা ছাড়াও দেশের ও বিদেশের নানা পুজোর সেরাগুলিকে সম্মাননা প্রদান করা হবে এবছর।

এবছরের পুরস্কারের নানা বিভাগ আছে, যেমন প্রতিমা, মূল ভাবনা, আলোকসজ্জা, পরিবেশবান্ধব পুজো, বছরের সেরা আবিষ্কার,ঢাকিশ্রী, বিশ্ব বাংলা ব্র্যান্ডিং, সেরার সেরা। 

বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান প্রদান করা হবে নভেম্বরে।  বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে সপ্তমীতে।

 

বিভিন্ন বিভাগে বিজয়ী যারা:

সেরার সেরা – সুরুচি সংঘ, অবসর, বোসপুকুর তালবাগান, সমাজসেবী, ৪১ পল্লী, বড়িশা ক্লাব, ৬৬ পল্লী, ভবানীপুর ৭৫ পল্লী, আহিরীটোলা, শ্রীভূমি, হিন্দুস্তান পার্ক, মুদিয়ালী, কাশীবোস লেন সর্বজনীন দুর্গোৎসব, সন্তোষপুর এভিনিউ সাউথ পল্লীমঙ্গল, চেতলা অগ্রণী

সেরা মণ্ডপ – নাকতলা উদয়ন, দমদম পার্ক তরুণদল, এ.কে.ব্লক, সল্টলেক

সেরা আলোক সজ্জা – কালীঘাট মিলন সংঘ, একডালিয়া এভারগ্রিন, বাবুবাগান ঢাকুরিয়া, শিবমন্দির, যোধপুর পার্ক,

সেরা আবিষ্কার – বেহালা নতুন সংঘ, টালা পার্ক প্রত্যয়

সেরা শিল্পী – বেহালা ফ্রেণ্ডস, ৬৪ পল্লী দুর্গোৎসব কমিটি, আলাপী

সেরা বিশ্ব বাংলা ব্র্যান্ডিং – স্বাধীন সংঘ, হরিদেবপুর বিবেকানন্দ পার্ক অ্যাথলেটিক ক্লাব, সংঘশ্রী, সেলিমপুর পল্লী, কোলাহলগোষ্ঠী, গড়িয়া সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি (নবদুর্গা)

সেরা প্রতিমা – ত্রিধারা, ৯৫ পল্লী যোধপুর পার্ক, বেহালা নতুনদল, বাদামতলা আষাঢ় সংঘ

সেরা ভাবনা – দক্ষিণ কলকাতা সর্বজনীন দুর্গাপূজা, অজেয় সংহতি, বালিগঞ্জ কালচারাল, খিদিরপুর ২৫ পল্লী, ফাল্গুনী সংঘ, রাজডাঙা নবউদয় সংঘ, নেতাজী কলোনি লো-ল্যান্ড দুর্গোৎসব কমিটি

সেরা পরিবেশবান্ধব – উল্টোডাঙা পল্লীশ্রী, কুমোরটুলি সর্বজনীন, শিকদারবাগান, কাঁকুড়গাছি যুবকবৃন্দ, যুবমৈত্রী, প্রিয়নাথ মল্লিক লেন, আলিপুর সর্বজনীন, বাটাম ক্লাব, পূর্বাচল শক্তি সংঘ

সেরা থিম সং/ সেরা আবহ – সুরুচি সংঘ

সেরা ঢাকিশ্রী – টালা বারোয়াড়ি, কলেজ স্কোয়ার, ২১ পল্লী

 

বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মানে বিজয়ীদের তালিকা

 

A slice of Bengal at Durga Puja Bisarjan carnival on Red Road

A special procession of about 39 Durga Puja committees who have won Biswa Bangla Sharad Samman was organised today on Red Road on the way to the bisarjan, or immersion.

This bisarjan carnival, initiated by Bengal Chief Minister Mamata Banerjee, was an unique show that gave an opportunity to all to see the best pratimas at one place.

From the graceful, minimalist moves of Manipuri dancers to the energetic, exaggerated leaps of Chhau dancers; from the rhythmic beats of dhaks to the soul-stirring sounds of dhamsas and madals; from frames that captured Kolkata’s built heritage of a bygone era to the memories of the past – the inaugural edition of the bisarjan carnival on Red Road was a riot for the senses.

Puja organisers pulled out all stops to make the Mamata Banerjee-inspired event a show-stopper.

The programme was streamed live on Mamata Banerjee’s Facebook page too. You can watch the whole event here.

 

রেড রোডে দুর্গা বিসর্জনের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা

আজ কলকাতার রাজপথে বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান পুরস্কার জয়ী ৩৯টি দুর্গাপ্রতিমা বিসর্জনের এক বিরাট শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরঅনুপ্রেরণায় এই অভূতপূর্ব শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে যেখানে একই জায়গায় মানুষ এবারের সবকটি উত্কৃষ্ট প্রতিমা দেখার সুযোগ পেলেন ও কার্নিভালের আমেজ উপভোগ করলেন।

এখানে মনিপুরী নাচের সঙ্গে ছিল ছৌ নৃত্য, ঢাকের তালের সঙ্গে ছিল ধামসামাদল, কলকাতার আভিজাত্যের সঙ্গে ছিল অতীতের স্মৃতি , সব মিলিয়ে এই শোভাযাত্রাটি প্রানোচ্ছল হয়ে উঠেছিল।

সমগ্র অনুষ্ঠানটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেসবুক পেজেও লাইভ দেখানো হয়েছিল

Post immersion, civic officials gear up clean-up process

Kolkata Municipal Corporation officials along with officials of other civic bodies are taking all measures to keep the environment clean post-immersion of the Durga idols.

As soon as civic workers immersed the idol into the Hooghly, a crane moved into action. Before the colourful countenance could disappear under water, the machine retrieved and moved it to an isolated corner. As the crane retreated, a large vehicle picked it up and loaded it onto a lorry.

The same sequence played out several hundred times throughout Thursday at Baje Kadamtala Ghat on Strand Road, where the immersions were on. The elaborate logistical arrangements that included a proper plan, several heavy vehicles, police deployment and co-operation from organizers ensured that the immersion of idols did not pollute the river.

Since morning, even before the immersions started, close to 50 KMC lorries lined up along Strand Road. A barge-mounted crane was stationed close to the ghat to chip in during emergencies. Eight cranes and six payloaders worked round the clock, picking up idols from the river and putting them on the lorries. Close to 200 civic workers were also present.

A MMIC who visited the ghats in the morning said the civic body has made adequate arrangements to expedite the immersion process without causing any pollution to the river. The idols are being retrieved as soon as they are immersed. Civic workers and divers are keeping an eye on them so that idols do not drift away, he said.

The civic body enforced rules strictly this time. Whenever a vehicle stopped at the road leading to Baje Kadamtala Ghat, a group of men rushed to the dismounted the idol. It was taken to a spot where leaves, flowers, garlands, earthenware and other accessories were dumped in an isolated area away from the river.

 

ভাসানের পর গঙ্গাকে দূষণমুক্ত করতে সক্রিয় পুরসভা

কলকাতা পৌরসভা ও অন্যান্য পৌরসভার অধিকর্তারা সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছে যাতে দূর্গা প্রতিমা বিসর্জনের জন্য পরিবেশ কোনো ভাবে দূষিত না হয়।

নাগরিক সমিতি হুগলি নদীতে প্রতিমা বিসর্জনের সঙ্গে সঙ্গে একটি বিশাল ক্রেন ওই মূর্তিটিকে তুলে একটি কোনে রাখবে যাতে কোনো ভাবেই প্রতিমার গায়ের রঙ জলে না মিশে যায়, ওই কোন থেকে পেলোয়াডর্স-এর মাধ্যমে প্রতিমাটিকে তুলে লরিতে বোঝাই করা হবে।
বাজে কদমতলা ঘাটে গতকাল কয়েকশো বার এই পুরো প্রক্রিয়াটি করা হয়েছে কারণ কাল ওই ঘাটে বিসর্জন হয়েছে বহু প্রতিমা।
এই সুবিশাল পরিকল্পনাটি নিশ্চিত করেছে যে এই বিসর্জন থেকে কোনো ভাবেই পরিবেশ দূষণ হবে না।

সকালে বিসর্জনের বহু আগে থেকে কর্পোরেশনের ৫০টি লরি স্ট্র্যান্ড রোডে মজুদ ছিল। আপত্কালীন ব্যবস্থা হিসেবে আরেকটি ক্রেন রাখা হয়েছে যেটি একটি বড় বজরাতে লাগানো থাকবে। আটটি ক্রেন, ছয়টি পেলোয়াডর্স ও ২০০জন পুরকর্মী ওখানে সর্বক্ষণ প্রস্তুত থাকবে।

একজন এমএমআইসি যিনি সকালবেলা ঘাট পরিদর্শন করেন তিনি জানান নাগরিক সমিতির এবারের যা প্রস্তুতি তাতে কোনো ভাবেই বিসর্জনের ফলে কোনো পরিবেশ দূষণ হবে না।

এবারে পৌরসভা খুব সক্রিয়, যে মুহূর্তে কোনো গাড়ি ঘাটে এসে দাঁড়াচ্ছে, পূরকর্মীরা ওখানে গিয়ে সঙ্গে সঙ্গে প্রতিমা নামিয়ে নিচ্ছে ও ফুল, পাতা ও অন্যান্য সামগ্রী যা বিসর্জন করা হয়ে থাকে, সেগুলোকে গঙ্গা থেকে একটু দূরে একটা জায়গায় জমা করা হচ্ছে।

Second edition of Ahare Bangla to promote Bengal heritage food items in a grand scale

Buoyed by the success of the previous year, the ‘Ahare Bangla – A Unique Food Festival celebrating Bengal’ showcasing the popular and gourmet cuisine of the state shall be inaugurated on 21st October, 2016 at 6 P.M. at Milan Mela Ground (Opposite Science City) Kolkata. Going by the response of the last year’s festival, this year it shall be held in a larger area having a one time sitting capacity of about 2500 people. The entry of the festival is free and it will remain open from 12 Noon to 9 P.M. for further four days starting from 22nd October, 2016 to 25th October, 2016.

This five days long food carnival is going to be organized by the Animal Resources Development Department of Government of West Bengal in association with other concerned departments of the Government, namely, Micro, Small & Medium Enterprises & Textiles, Information and Cultural Affairs, Food Processing Industries & Horticulture, Fisheries and Agricultural Marketing.

Sufal Bangla, West Bengal State Export Promotion Society, West Bengal Livestock Development Corporation Limited, West Bengal State Fisheries Development Corporation Ltd, Benfish, West Bengal State Food Processing & Horticulture Development Corporation Limited and Mother Dairy Calcutta have partnered to showcase their conventional as well as innovative products in the festival.

The principal objective of this unique Food Carnival is to promote the Food and Food Processing Industries in the State. This Fair shall provide a platform where the producers and the consumers can interact under one roof and which in turn shall directly benefit the larger farming community of the State.

West Bengal has many unique varieties of rice namely, black aromatic rice popularly known as Kalabhat, short grained aromatic rice Kalonunia, Gobindabhog, Tulaipanji, Kataribhog etc. similarly, pulses such as Sonamug, Bhajakalai dal etc. and some exotic vegetables are found only in this part of the country which will be displayed in the fair.

The Animal Recourses Development Department shall promote various non-conventional meat and meat products of Quail, Turkey, Rabbit, Emu, Pork (including special Ghunghroo variety), Black Bengal goat, Bonopala lamb, Garole lamb. The Fisheries Department will exhibit new varieties of fish with high productivity and taste such as Vennami, Pungus, Vietnam Koi etc. All the items mentioned here, be it a aromatic rice varieties or precious pulses or various conventional or non-conventional meat and meat products or the latest products or Mother Diary Calcutta or the delicacies of rare and exotic fish, shall be available for both exhibition and retail sale at the fair.

Further, renowned restaurants and caterers of the city will partner with the Government to bring their diversified cuisine in a unique interactive setting where anyone can see, eat and buy.

A special zone in the form of “Theme Food” will feature innovative and separate themes each day and a kid zone will be set up which would be an added attraction of this year’s carnival.

 

আয়োজিত হতে চলেছে ‘আহারে বাংলা’-র দ্বিতীয় বর্ষ

গত বছরের অভূতপূর্ব সাফল্যের পর এই বছরেও আগামী ২১ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টায় মিলন মেলা প্রাঙ্গনে সারা বাংলার সমস্ত সমৃদ্ধ খাবারের সম্ভার নিয়ে উদ্বোধন করা হবে ‘আহারে বাংলা ২০১৬’। এই বছর এই মেলাটি আরো বড় আকারে করা হবে, যাতে ২৫০০মানুষ একত্রে বসতে পারেন। এই মেলাটিতে জনসাধারণ বিনামূল্যে প্রবেশ করতে পারবেন। মেলাটি চলবে ২২ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত দুপুর ১২টা থেকে রাত ৯টা অবধি। এই মেলাটির আয়োজক রাজ্য প্রাণী সম্পদ দফতর, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দফতর, তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতর, উদ্যানপালন দফতর, মত্স দফতর।

সুফল বাংলা, রাজ্য প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতর, বেনফিশ, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতর, মাদার ডেয়ারী সহ আরো অনেক দফতর নিজেদের তৈরী বিভিন্ন খাদ্য ভান্ডার নিয়ে ওখানে উপস্থিত থাকবে। এই মেলাটির মুখ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে খাদ্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরের উন্নয়ন।

এখানে ক্রেতা ও চাষীরা সরাসরি কথা বলতে পারবেন যার ফলে চাষীরা উপকৃত হবেন। বিভিন্ন ধরণের চাল ও ডাল ও কিছু সবজি যা দেশের মধ্যে একমাত্র বাংলাতেই পাওয়া যায়, সেই সব ধরণের সামগ্রী এই মেলাতে মজুত থাকবে।

প্রাণী সম্পদ দফতর বিভিন্ন ধরণের মাংস ও মত্স দফতর বিভিন্ন ধরণের মত্স ভান্ডারিয়ে উপস্থিত হবে এই মেলায়।এই সমস্ত ধরণের খাদ্য সামগ্রী ওখানে দেখাও যাবে ও খুচরো পরিমানে কেনাও যাবে। বিভিন্ন নামকরা রেস্টুরেন্ট ও ক্যাটারাররাও তাদের বিখ্যাত খাবার নিয়ে ওখানে উপস্থিত থাকবে।প্রতিদিন আলাদা আলাদা করে কিছু নতুন খাবারকে ‘থিম ফুড’ হিসেবে রাখা হবে। শিশুদের জন্য থাকবে ‘কিড জোন’।

 

Elaborate preparations for Durga Puja Immersion made by Bengal Govt

Elaborate security arrangements by Kolkata police as well as civic authorities were in place on various ghats of Hooghly river to ensure that the immersion of the Durga idols passed peacefully. Officers of the Kolkata Police manned the riverfront to prevent onlookers from getting too close to the river. Special vigil was being maintained from a watch tower near the ghat.

Cranes have been deployed at certain ghats to lift and extricate the remains of idols from the river to avoid pollution. Additional lights have been put up at the immersion ghats and the flowers, levers and metallic weapons were dumped in separate vats to avoid polluting the river.

Other than maintaining law and order during immersion, the teams of river police and disaster management groups patrolled the river. Closed-circuit television cameras were installed at certain ghats, a senior police officer said.

 

Immersion procession

This year the Government is also planning to highlight the immersion processions of various Durga Pujas.  The immersion procession of idols along Red Road on October 14 from 6 PM to 12 midnight will be a major attraction this year.

The Red Road show is being planned so as to allow enthusiasts to view the immersion processions safely. Moreover, those who won’t be pandal hopping on the Puja days, can view the idols at Red Road. Some cultural shows are also being planned at the venue.

 

 

শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের জন্য সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার

দুর্গা প্রতিমার বিসর্জন যাতে শান্তিপূর্ণভাবে হয় সেজন্য প্রতিবারের মত এবারও কলকাতা পুলিশ বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থার আয়োজন করেছে।

বিশেষ পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বিসর্জন দেখার জন্য প্রতিটি ঘাটে সাধারণ মানুষের জন্য একটি নির্দিষ্ট জায়গা তৈরি করা হয়েছে। বিশেষ ওয়াচ টাওয়ারও বসানো হয়েছে এর মাধ্যমে নজর রাখা হবে সমগ্র পদ্ধতির ওপর।

দূষণ প্রতিরোধের জন্য প্রতিটি ঘাটে ক্রেন রাখা হয়েছে। প্রতিমা বিসর্জনের সঙ্গে সঙ্গে মূর্তি ও অন্যান্য জিনিস জল থেকে তুলে নেওয়া হবে ক্রেনের মাধ্যমে। অতিরিক্ত আলো লাগানো হয়েছে। ফুল ও পুজোর অন্যান্য সামগ্রী ফেলার জন্য আলাদা জায়গার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বিসর্জনের সময় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখার জন্য বিশেষ পুলিশ বাহিনী চারদিকে টহল দেবে। এছাড়া প্রতিটি ঘাটে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাও বসানো হয়েছে। সবমিলিয়ে কলকাতা পুলিশ ও কলকাতা পুরসভার যৌথ উদ্যোগে

এই বছর সরকার সারা রাজ্য জুড়ে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের অনুষ্ঠান করার নতুন পরিকল্পনা নিয়েছে। প্রতিমা বিসর্জনের অনুষ্ঠান এমনভাবে আগে কখনো হয়নি।

সরকারি পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রা হবে ১৪ অক্টোবর সন্ধ্যে ৬টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত। প্রতিমা বিসর্জনের পাশাপাশি পর্যটকদের জন্য রাস্তায় ও ঘাটে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু সাংস্কৃতিক শো ও প্রদর্শিত হবে। রাজ্য পর্যটন বিভাগ পুজোর বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি রাস্তার দুপাশে গ্যালারির মাধ্যমে প্রদর্শিত হবে।

Kanyashree: Empowering girls in Bengal

On the International Day of the Girl Child, Bengal Chief Minister Mamata Banerjee sent her best wishes to all the Kanyashree girls. “Girls are our assets. They are our future,” her message said.

Mamata Banerjee led Trinamool Congress Government had launched a scheme “Kanyashree” for the upliftment of girl child in 2013. Since then August 14 has been celebrated as Kanyashree Dibas.

The scheme aims to promote higher education and secure the future of our girl child and transform them to responsible women of tomorrow. So far 22 lakh girls have been registered under the scheme.

Earlier girls enrolled in Class VIII – XII in schools used to receive an annual scholarship of Rs 500. The scholarship amount was increased to Rs 750 from FY 2015-16. One-time grant of Rs 25000 is provided to each of the unmarried girl student on attaining 18 years of age.

UNICEF has partnered West Bengal Government after scanning the feasibility of the scheme. Department for International Development, United Kingdom and UNICEF selected the scheme for presentation at the ‘Girl Summit 2014’ held at London. West Bengal government won the Silver Medal for the “Kanyasshree Prakalpo” in the Category of “Outstanding Service in Citizen-Centric Service.”

The mission of West Bengal Government is to proactively encourage education among girl child.

 

 

আন্তর্জাতিক কন্যাদিবসে কন্যাশ্রীদের শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর

আজ আন্তর্জাতিক কন্যাদিবসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সব কন্যাশ্রীদের শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, ‘মেয়েরাই আমাদের সম্পদ, তারাই দেশের ভবিষ্যৎ’।

মমতা ব্যানার্জী নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকার ২০১৩ সালে কন্যা সন্তানদের জন্য ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্প চালু করেন। প্রতি বছর ১৪ আগস্ট ‘কন্যাশ্রী দিবস’ উদযাপন করে রাজ্য সরকার।

মেয়েদের উচ্চ শিক্ষা এবং তাদের ভবিষ্যৎ নিরাপদ ও সুনিশ্চিত করতে রাজ্য সরকারের এই প্রয়াস। এখনও পর্যন্ত ২২ লাখ কন্যা সন্তান এই প্রকল্পের আওতায় রয়েছে। আগে ক্লাস থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রীদের ৫০০ টাকা বৃত্তি প্রদান করা হত। ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে এর পরিমান বৃদ্ধি করে ৭৫০ টাকা করা হয়েছে।

১৮ বছর বয়সের পর অবিবাহিত মেয়েদের উচ্চ শিক্ষার জন্য এককালীন ২৫০০০ টাকা দেওয়া হয় এই প্রকল্পের মাধ্যমে। ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই স্বপ্নের প্রকল্প ইউনিসেফের থেকে অনেক প্রশংসিত হয়েছ।

 

Bengal Govt announces the names of Biswa Bangla Sharad Samman 2016 winners

The Bengal Government announced the name of the winners of the ‘Biswa Bangla Sharad Samman 2016’ to the best Durga Puja organisers across the globe. Along with the best pujas of Kolkata and Bengal, the overseas Puja organisers will also get the Biswa Bangla Sharad Samman-2016.

The categories – idol, pandal, theme, lighting, eco-friendly Puja, year’s invention, Puja atmosphere, artists, Dhakishree, Biswa Bangla Branding and the best of the best – are the categories from which the best competitors were chosen for the awards.

 

Here is the list of winners of Biswa Bangla Sharad Samman-2016.

বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান ২০১৬ বিজয়ীদের তালিকা ঘোষণা করল রাজ্য সরকার

রাজ্য সরকার বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান ২০১৬ -র বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেছে। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও কলকাতা ছাড়াও দেশের ও বিদেশের নানা পুজোর সেরাগুলিকে সম্মাননা প্রদান করা হবে এবছর।

এবছরের পুরস্কারের নানা বিভাগ আছে, যেমন – প্রতিমা, মূল ভাবনা, আলোকসজ্জা, পরিবেশবান্ধব পুজো, বছরের সেরা আবিষ্কার, ঢাকিশ্রী, বিশ্ব বাংলা ব্র্যান্ডিং, সেরার সেরা।

আগামী ১৪ অক্টোবর শারদ সম্মান পুরস্কার দেওয়া হবে।

বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মানে বিজয়ীদের তালিকা

 

 

কৃষি থেকে শিল্প – বাংলাকে বিশ্বে প্রতিষ্ঠা দেওয়ার কাজ শুরু জননেত্রীর: সুব্রত বক্সী

গণতন্ত্র রক্ষা ও তাকে মর্যাদা দেওয়ার একমাত্র শর্ত নিয়ে ১৯৯৮ সালে তৈরী হল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই থেকে লড়াই শুরু। বাংলার বেকার যুবক-যুবতীদের চাকরি, ভোটাধিকার-সহ মানুষের গণতান্ত্রিক ন্যূনতম অধিকার নিয়ে লড়াই শুরু করলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। আর যেহেতু গণতন্ত্রের জন্য লড়াই, সেজন্যই তা সবচেয়ে কঠিন।

একদিকে বামফ্রন্ট, আর অন্যদিকে কংগ্রেস তখন বাংলার মা-মাটি-মানুষের স্বার্থ পদদলিত করছে। লড়াই-আত্মত্যাগের বিনিময়ে মানুষের মর্যাদা ফিরিয়ে আনতে লড়াই শুরু করলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। অন্যদিকে, ঘটে চলেছে রাজনৈতিক খুন। রাজনীতির নামে খুন হচ্ছে সাধারণ মানুষ।পাহাড় জ্বলছে।অশান্ত জঙ্গলমহল।দরিদ্র মানুষের মুখে সামান্য অন্ন তুলে দেওয়ার নামে চলছে নোংরা রাজনীতি। লড়াই আরও কঠিন হল। দায়িত্ব একার কাঁধে তুলে নিলেন জননেত্রী। চলতে থাকলো সংগ্রাম।

এই অবস্থা থেকে এল ২০০৬ সাল। বাংলায় সপ্তম বামফ্রন্ট সরকার গড়ার সঙ্গে সঙ্গে কৃষকের স্বার্থ নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন উঠে গেল। রক্তাক্ত হলো সিঙ্গুরের মাটি। নিজের জীবন বাজি রেখে কৃষকের স্বার্থ রক্ষার জন্য অনশনে বসলেন জননেত্রী। তার পর ২০০৭-এ নন্দীগ্রাম। মমতার লড়াইকে সামনে রেখে রুখে দাঁড়াল নন্দীগ্রামের মানুষ। পরের বছর ২০০৮-এ ঘটে গেলো রিজওয়ানুর রহমান খুনের মতো ঘটনা। একটি সম্পর্ককে স্রেফ শ্রেনির বিচারে মর্যাদা না দিতে চেয়ে বাম-ঘনিষ্ট শক্তি খুন করল এক তরতাজা প্রতিভাবান মুসলিম যুবককে। দক্ষিন কলকাতা লাগোয়া তপসিয়ার ঘুপচি গলিতে তাঁর পরিবারের পাশে, তাঁর মায়ের পাশে ছুটে গেলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। বাংলায় পরিবর্তনের বাতাবরণ তৈরী হতে শুরু করল।

২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে সেই পরিবর্তনের শুরু। মানুষ যে জনস্বার্থ-বিরোধী সিপিএম ও কুচক্রী কংগ্রেসকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে তা স্পষ্ট হতে থাকল। পঞ্চায়েতের ৫১ হাজার আসনের মধ্যে মানুষের সমর্থন নিয়ে ৩৯ হাজার আসনে প্রার্থী দিল তৃণমূল কংগ্রেস। জয় এলো ২৯ হাজার আসনে। শুরু হল তৃণমূলের জয়যাত্রা। এর পর ২০০৯-এ লোকসভা আসনে নিজেদের পদক্ষেপ আরও স্পষ্ট করে রাজ্যে ভিত শক্ত করতে শুরু করলো তৃণমূল কংগ্রেস। তার পরের বছরই পুর-নির্বাচন। কলকাতা পুরসভা-সহ ৮৭টি পুরসভার নির্বাচনে বাংলায় পরিবর্তনের সূচনা হল। তারপর ২০১১ সাল। মানুষের অধিকার রক্ষার অঙ্গীকার নিয়ে গণতন্ত্রের জয় হল। মানুষ আশীর্বাদ করে বাংলার ক্ষমতা তুলে দিল মমতা বন্দোপাধ্যায়ের হাতে। মানুষের কাছে যে অঙ্গীকার নিয়ে ক্ষমতায় এলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়, শুরু হলো সেই প্রতিশ্রুতি, সেই অঙ্গীকার রক্ষার কাজ। মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই সিঙ্গুরের কৃষিজমি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আইন প্রণয়নের প্রক্রিয়া শুরু হল। বিল আনলেন জননেত্রী। কিছু আইনি প্রক্রিয়ায় সেই বিল আটকে গেল হাই কোর্টে। মামলা গেল সুপ্রিম কোর্টে।

তার মধ্যেই কিন্তু চলছে দলকে অনুশাসনে বাঁধার পালা। সঙ্গে সরকার চলছে বাংলার মর্যাদা ফিরিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে। একেবারে নিজের পরিশ্রমে মানুষের স্বার্থের কথা ভেবে নিজের বুধ্ধিমত্তার জোরে একের পর এক সরকারি প্রকল্প ঘোষণা। ইতিমধ্যে একদিকে জঙ্গলমহল, উল্টোদিকে পাহাড়কে শান্ত করে ফেলেছেন বাংলার নেত্রী। এর পরই শুরু হল বাংলার মানুষের জন্য একের পর এক প্রকল্প নেওয়া। মানুষ কেন জননেত্রীর ওপর ভরসা রাখবেন না? একার পরিশ্রমে, একার বুধ্ধিমত্তায় আনলেন কন্যাশ্রীর মতো প্রকল্প। যা এখন গোটা দেশ, গোটা বিশ্বের কাছে মডেল। সঙ্গে সঙ্গে কিশোরে-কিশোরীদের জন্য সবুজসাথী, যুবক-যুবতীদের জন্য এল যুবশ্রী। বেকারদের সাহায্যার্থে একাধিক প্রকল্প। সরকারি সহায়তায় ঋণ দিয়ে বেকারদের নিজের পায়ে দাঁড় করানোর পালা। মাথায় রাখতে হবে, বাংলার সরকারের ঘরে তখন আড়াই লক্ষ কোটি টাকার ঋণ। মানুষকে ঠকিয়ে বামফ্রন্ট রাজ্যের ঘাড়ে চাপিয়ে গিয়েছে সেই ঋণ। তার মধ্যে কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে বারবার দরবার করেও মিলছে না সুরাহা। এই সার্বিক পরিস্থিতিতে মানুষের কথা জাতীয় স্টোরে পৌঁছে দেওয়ার বিষয়টি মর্মে উপলব্ধি করলেন সেই মমতা বন্দোপাধ্যায়। বুঝলেন বাংলায় উন্নয়নের কাজ মসৃনভাবে চালিয়ে যেতে গেলে কেন্দ্রের ক্ষমতাকেও নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। তবেই বাংলার অধিকার রক্ষিত হবে। রক্ষিত হবে বাংলার প্রকৃত স্বার্থ।কারণ কেন্দ্র সরকার যেভাবে বাংলার প্রতি বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে, সম্পূর্ণ সাম্প্রদায়িক মনোভাব নিয়ে বাংলা-সহ বিভিন্ন রাজ্যে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে, যেভাবে একের পর এক প্রকল্পে রাজ্যের বরাদ্দ ছাঁটাই করছে, তার জন্য অবিলম্বে প্রয়োজন কেন্দ্রে ক্ষমতা বদল। সেই প্রেক্ষাপটেই দেশজুড়ে সমমনোভাবাপন্ন শক্তিগুলিকে একজোট করে ফেডারেল ফ্রন্ট গঠনের ডাক দিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়।

পরিস্থিতির দাবিতে শুরু হল বাংলার বাইরে পা রাখা। এ কথা না বললেই নয় যে, এই গোটা পথ এক হেঁটেছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে ত্রিপুরা, ওড়িশা, মণিপুর, অরুণাচল প্রদেশও তৃণমূলনেত্রীকে আহ্বান জানাল। সঙ্গে উত্তর ও দক্ষিন ভারতেও একইসঙ্গে বাড়ছে দলের গ্রহণযোগ্যতা। এই অবস্থায় রাজ্যে কিছু ঘটনাকে কেন্দ্র করে মানুষের মধ্যে অভিমান তৈরী হল। দলীয় কিছু নেতার বিরুদ্ধে সেই অভিমান নিয়েও ব্যবস্থা নিলেন জননেত্রী। পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, মানুষের স্বার্থে লড়াই তাঁর প্রধান শর্ত। সেই নীতি থেকে তিনি সরবেন না। ফলে মানুষ সমস্যায় পড়ে এমন কোনও ঘটনা ঘটলে তিনি বরদাস্ত করবেন না। তাই মানুষের পাশে থাকতে হবে। তাদের সঙ্গেই চলবে উন্নয়নের কাজ।

মানুষকে সঙ্গে নিয়ে দলকে অনুশাসনে বেঁধে, কি দূরদর্শিতায় জননেত্রী বাংলার ভবিষ্যতের কথা ভাবছেন, তা বোঝা যাবে নেত্রীর নিরলস প্রয়াসে। রাজ্যের কৃষকদের স্বার্থরক্ষার পাশাপাশি বেকার সমস্যা সমাধানে শিল্প যে কতটা জরুরি, মমতা তা বুঝিয়ে দিলেন।

বিশ্ববাংলা সম্মেলনের আয়োজন করলেন জননেত্রী। যেখানে আম্বানি থেকে শুরু করে দেশ-বিদেশের বহু শিল্পোদ্যোগীকে আহ্বান জানালেন। মমতা বুঝিয়ে দিলেন কৃষির ওপর ভিত্তি করেই শিল্পের দিকে নজর দিতে হবে। তবেই রাজ্যের উন্নয়ন দ্রুত সম্ভব। শুরু হল জননেত্রীর আহ্বানে রাজ্যে শিল্প সম্ভাবনা। স্কিল ডেভেলপমেন্ট থেকে ছোট ছোট সহযোগিতার মাধ্যমে রাজ্যে শিল্পের বাতাবরণ তৈরী হতে থাকল। শিল্প-সম্ভাবনা আরও জোরদার হল। শিল্পের প্রয়োজনে বিদেশের মাটিতে পা রাখলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। বাংলার শান্ত পরিবেশে শিল্পের আরও নানা দিক খুলতে লাগল। বাংলার হাত ধরতে শুরু করলো বিশ্ব। বিশ্ববাংলার রূপ পেতে শুরু করলো রাজ্য।
পাঁচ বছরের এই সার্বিক প্রচেষ্টার সুফল হাতে নিয়ে যখন মানুষের সামনে দাঁড়ানোর প্রস্তুতি শুরু করেছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়, বিরোধী দলগুলি একজোট হল। জোট বাঁধলো এক শ্রেণির সংবাদমাধ্যম। শুরু হলো লাগাতার ষড়যন্ত্র, কুত্সা, মিথ্যা প্রচার। মানুষকে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দেওয়ার চূড়ান্ত অপচেষ্টা। রাজ্যকে অশান্ত করে দেয়ার চক্রান্ত। রাজ্যে সেই রাজনৈতিক অশান্তির মধ্যে দাঁড়িয়ে জনমতের ঝড় মমতা বন্দোপাধ্যায়কে আবার পৌঁছে দিল মসনদে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি যে আদপে একেবারেই অন্তঃসারশূন্য, তার প্রমাণ দিয়ে মানুষই বুঝিয়ে দিলেন তাঁরা মমতা বন্দোপাধ্যায়েই আস্থা রেখেছেন। কোনও অলীক কল্পনা নিয়ে কোনও ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দিতে চান না মানুষ।

শুরু হল নেত্রীর দ্বিতীয় ইনিংস। আবার প্রতিষ্ঠিত হল গণতন্ত্র। দুর্নীতি, অপশাসন, মানুষের ওপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে একের পর এক লড়াই শেষ করে, মানুষের আশীর্বাদে জয় ছিনিয়ে এনে ষড়যন্ত্রের বাধা পার করে, রাজ্যের জন্য উন্নয়নের ডালি নিয়ে দলকে এক সুশাসনের মন্ত্রে বেঁধে বাংলার নতুন সূর্যোদয়ের দিকে চলেছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। সরকার ও দলকে চালানোর ক্ষেত্রে এবার তিনি আরও কঠোর। এই ধাপেই সুপ্রিম কোর্টের রায় এনে দিল নতুন জয়। জীবন বাজি রেখে সিঙ্গুরের জন্য যে লড়াই জননেত্রী লড়েছেন, জয় হয়েছে সেই লড়াইয়ে। কৃষকদের হাতে ফিরেছে জমি। সঙ্গে আরও সম্ভাবনাময় হচ্ছে শিল্প-পরিস্থিতি। যা তাঁর একার কৃতিত্ব।

 

 

মানুষের দাবিতেই সিলেবাসে সিঙ্গুর – পার্থ চট্টোপাধ্যায়

একজন মানুষ স্বপ্ন দেখেন বাংলার প্রতিটি মায়ের আঁচল শিউলি ফুলের সুগন্ধে ভরিয়ে দিতে। একজন মানুষ প্রতিনিয়ত স্বপ্ন দেখেন মাটির সঙ্গে নিবিড় সাহচর্যে যাঁদের জীবন, তাঁদের প্রতি হওয়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করে লড়াইয়ের মাঠে দাঁড়িয়ে মাটির অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার।

তিনি এমন একজন হৃদয়বান মানুষ যিনি বাংলার সর্বস্তরের নাগরিকের জীবনে-সংসারে সুস্থিতি চান, সমৃধ্ধি চান, চান রাজ্যবাসী গোটা বিশ্বের কাছে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে বলুক, ‘জগ९সভায় বাংলা শ্রেষ্ঠ আসন পাবে’।

বাংলার ন’কোটি মানুষের সমস্ত স্বপ্ন পূরণের সেই কারিগর এবং বিশ্ববাংলা গড়ার একমবাদিত্যম মানুষ, আমাদের প্রিয় জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সিঙ্গুর বিজয় দিবসে মঞ্চ থেকে সেদিন নেত্রী ঘোষণা করলেন, চাষি ও কৃষকদের অধিকার নিয়ে তিনি বই লিখতে শুরু করছেন। সেই বই আগামীদিনে দেশ-বিদেশের মানুষের কাছে এক ঐতিহাসিক দলিল হয়ে থাকবে ঠিকই। বাংলা তথা গোটা দেশে ভূমির অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে নেত্রীর সিঙ্গুর আন্দোলনই যে একমাত্র জনগণতান্ত্রিক স্বীকৃতি পেয়েছে তাও ইতিহাস। সুপ্রিম কোর্ট জমি ফেরত দেওয়ার দাবিতে সিলমোহর দেওয়ার পর দেশের অন্যান্য রাজ্য এবং প্রদেশেও ‘মমতা-মডেল’ অনুসরণ করা হচ্ছে। যে প্রদীপ জ্বালিয়েছিলেন সিঙ্গুরের ধূসর প্রান্তরে, সেখানে আজ কৃষকদের প্রাণের সমারোহ। সেই উ९সবে শামিল হয়েছে ভারতবাসীও। তিনি হয়ে উঠেছেন সারা বিশ্বের ভূমি অধিকার আন্দোলনের মূল পথপ্রদর্শক। বস্তুত, শীর্ষ আদালত সিঙ্গুরের আন্দোলনের দাবি মেনে নেওয়ায় গোটা দেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই আমজনতার সর্বজনগ্রাহ্য জাতীয় নেত্রী হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ও পাচ্ছেন।

আগামীদিনে সিঙ্গুর আন্দোলন নিয়ে দেশ-বিদেশে অনেকে গবেষণা করবেন, পিএইচডিও করবেন। যাঁরা গবেষণা করবেন তাঁদের জন্য নেত্রীর বইটি অবশ্যই প্রয়োজনীয় হয়ে উঠবে। কিন্তু নবপ্রজন্মের কাছে সহজে সিঙ্গুর আন্দোলনের ইতিহাস জানাতে বাংলার আমজনতা চাইছে বিষয়টিকে সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করা হোক। বিদ্বজ্জনেরা চাইছেন ভূমির অধিকার নিয়ে গোটা দেশের কাছে যে নয়া দিশা দেখিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা অবশ্যই পাঠ্যবইয়ে রাখা হোক। কারণ, সেদিন বহু বামপন্থী বিদ্বজ্জনও নেত্রীর সঙ্গে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের আন্দোলনে পা মিলিয়েছিলেন। রাজ্যের সিলেবাস কমিটিও সেই সুপারিশই করেছে।তাই আমরা রাজ্য সরকারের তরফে শিক্ষা দফতরের তরফে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে নবম ও দশম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।গরিব মানুষের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর অন্য অনেক প্রকল্প ঘোষণাকে সমর্থনের মতোই সিলেবাসে সিঙ্গুর রাখার সিদ্ধান্তকে পাহাড় থেকে সাগর, সবাই স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন করেছেন। আর এটাই আমাদের মা-মাটি-মানুষ সরকারের অন্যতম সাফল্য।

বিজয় দিবসের মঞ্চে সেদিন যখন সিঙ্গুরের ‘মাতঙ্গিনী’ সরস্বতী দাসকে জড়িয়ে ধরে আবেগরুদ্ধ হয়ে পড়লেন নেত্রী তখন মনে পড়ছিল দশ বছর আগের টুকরো টুকরো স্মৃতি। দশটা বছর কেটে গেলেও একটুও বিবর্ণ হয়নি সেই জমি নিয়ে উদয়াস্ত লড়াইয়ের নানা ঘটনা। শানাপাড়া, বেড়াবাড়ি, জয়মোল্লায় দিনের পর দিন আন্দোলনকারী চাষীদের সঙ্গে ঘুরেছি। প্রতিটি ঘটনাই আজও টাটকা, তাপসীর মৃত্যুর মতো বেশ কিছু ঘটনা তো যন্ত্রণাক্লিষ্ট। সেদিনও মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের জন্য মরণপণ ঐকান্তিক লড়াই করেছিলেন জননেত্রী। তিনি ছিলেন ভূমি নিয়ে মানুষের স্বপ্নপূরণের লড়াইয়ের সাধিকা। একইভাবে তিনিই নন্দীগ্রামের মানুষদের ভূমি হারানোর যন্ত্রণার প্রতিবাদ করেছিলেন। রাস্তার পাশে মঞ্চ বেঁধে সিঙ্গুরে টানা ১৪ দিন ধর্না দিয়েছেন নেত্রী। আমরা সবাই সঙ্গী। রাতের অন্ধকারে চেষ্টা হয়েছিল, লরি চাপা দিয়ে ধর্নায় অংশ নেওয়া রাস্তায় শুয়ে থাকা ঘুমন্ত কর্মীদের পিষে দেওয়ার। কিন্তু নেত্রীর সজাগদৃষ্টিতে রাতপাহারা থাকায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছিল সবাই। তবে সিপিএমের ভয়াবহ চক্রান্ত এবং হিংস্রতার হাত থেকে শত চেষ্টা করেও তাপসী মালিক বা রাজকুমার বহুলদের আমরা বাঁচাতে পারিনি। বাঁচাতে পারিনি আরও ১২জন কৃষককে।

সিলেবাসে আমরা রাখতে চাই, জীবন বিপন্ন করে মা-মাটি-মানুষের নেত্রীর টানা ২৬ দিনের অনশন-লড়াইয়ের কথা। ধর্মতলার সেই অনশনে নেত্রীর পাশে ছুটে এসেছিলেন দেশের তাবড় নেতৃত্ব। ছিলেন হাজার চুরাশির মা প্রয়াত মহাশ্বেতাদেবী। এখনো ভাবলে শিউরে উঠি। কারণ, একদিকে সিপিএম ও পুলিশ প্রশাসনের অত্যাচার অন্যদিকে টানা অনশনের ধাক্কায় নেত্রীর প্রাণ সংশয় হওয়ার উপক্রম। দু’য়ে মিলে তখন আমরা সবাই তটস্থ, শঙ্কিত। দলে দলে সবাই এসে তখন ধর্মতলায় নেত্রীর মঞ্চের পাশে উদগ্রীব হয়ে থাকতাম। সঙ্গে হাজার হাজার মানুষ। কিন্তু রাজ্যপালের উপস্থিতিতে হওয়া চুক্তিও মানেননি সেদিনের সিপিএমের দাম্ভিক মুখ্যমন্ত্রী। দম্ভ, অহংকার শেষ কথা বলে না, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় জনগণ। তাই শুধু সিঙ্গুর নয়, এবারেও বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধী ভোট এক করার মরিয়া ব্যর্থ চেষ্টা করেও জনগণের ফু९কারে উড়ে গিয়েছে কু९সাকারী-অপপ্রচারকারীরা।

১০বছর আগের আন্দোলনের সেই ইতিহাস। সিঙ্গুরের ঐতিহাসিক মঞ্চ থেকে যখন এই ঘোষণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছিলেন, তখন কোথায় যেন তাঁর গলাটা ধরে আসছে। মনে পড়ছিলো একটার পর একটা দিনের কথা। সুপ্রিম কোর্টের রায় শুনে বলেছিলেন, এবার আমি শান্তিতে মরতেও পারি। আসলে এই আন্দোলন করতে গিয়ে তাঁর যে মৃত্যুও হতে পারত, সেকথা সেদিন আবার বলে দিয়েছিলেন। ইতিহাসকে স্মরণ রাখতে এখন থেকে প্রতি ১৪ সেপ্টেম্বর সিঙ্গুর দিবস পালন হবে। নন্দীগ্রামের মতো সিঙ্গুরেও তৈরী হবে স্মারক। এটাই হবে কৃষিজমি আন্দোলনের প্রতীক।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষি, শিল্প, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গ্রামীণ উন্নয়ন ও নগরোন্নয়ন-সহ বাংলার সমস্ত ক্ষেত্রের প্রগতির সফল কারিগর। বিশেষ করে শিক্ষাক্ষেত্রে তিনি নিয়ে এসেছেন আমূল বিপ্লব। জগতের আনন্দ থেকে সাধারণ মানুষের খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থান ও পড়ুয়াদের শিক্ষার অধিকার দিয়েছেন তিনি। লক্ষ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রীকে সবুজ সাথী প্রকল্পে সাইকেল বিলি যে তাঁর গভীর ভাবনা চিন্তার ফসল তা এখন স্বীকার করছেন সবাই। একটি সাইকেল শুধুমাত্র একটি ছাত্রীর পড়াশোনাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে না, সামগ্রিকভাবে পারিবারিক সমন্বয়ে সাহায্য করছে মুখ্যমন্ত্রীর এই উপহার।

সরকারি স্কুলে ১০০ শতাংশ মিড্ ডে মিল চালু থেকে শুরু করে প্রাথমিকের সমস্ত ছাত্রদের জুতো বিতরণ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শীতকালে সোয়েটার ও স্কুল ব্যাগ দেওয়ার বিবেচনা করা হচ্ছে। পরিবর্তনের পর থেকে প্রাথমিকে পোশাক দেওয়া শুরু হয়েছে। দুঃস্থ ও পিছিয়ে পড়া ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তির পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকে দেওয়া হয় যাবতীয় বইপত্র, খাতা। মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকে পোশাক পরিচ্ছদ ও সাইকেল তুলে দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের হাতে। বিশেষ করে সমস্ত প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সমস্ত স্কুলে ‘Ramp’ চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগে প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সময় চেয়ে আবেদন করতে হত। কিন্তু মা-মাটি-মানুষ সরকার আসার পর সমস্ত প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্যই সরকারই অতিরিক্ত ৪৫ মিনিট সময় বরাদ্দ করে দিয়েছে। অর্থা९ আর আগের মতো আবেদন করার কোনো দরকার নেই।

শিক্ষাক্ষেত্রে ‘কন্যাশ্রী’-নারীশিক্ষায় ও সামাজিক প্রগতিতে বৈপ্লবিক পদক্ষেপ নিয়েছেন মা-মাটি-মানুষের নেত্রী আমাদের প্রিয় মুখ্যমন্ত্রী। কন্যাশ্রী আমাদের রাজ্যের নারী শিক্ষার দিকবদল, শিক্ষায় যুগান্তরের সংকেত। রাজ্য ও দেশ ছাড়িয়ে বিশ্বে আমাদের নেত্রীর এই প্রকল্প শুধু প্রশংসিত হয়নি, বহু রাজ্য তথা দেশে মডেল হয়েছে। বাম শাসনে বহু বছর ধরে পিছিয়ে থাকা এই রাজ্যের নারী শিক্ষা দ্রুত ছুঁয়েছে শীর্ষস্থান। এটাও মা-মাটি-মানুষের শিক্ষায় সাফল্য।

বাম আমলে বাংলায় সংখ্যালঘু সমাজ চরম অবহেলিত হয়েছিল। আমাদের সরকার আসতেই মুসলিম সমাজের অগ্রগতির দ্বার খুলে দিয়েছে। মুসলিম ছাত্রীছাত্রীদের শিক্ষাপ্রসারে বিপুল স্কলারশিপের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চাকরি প্রার্থীদের জন্য ‘বিশেষ সুযোগ’ দেওয়া হয়েছে আমাদের সময়েই। বস্তুত এই কারণেই আজ স্বতঃস্ফূর্তভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্নেহের ছায়ায় আশ্রয় নিয়েছে সংখ্যালঘু ছাত্র-ছাত্রীরা। শিক্ষাক্ষেত্রে তফসিলি জাতি-উপজাতির ছাত্রছাত্রীদের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এবার থেকে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল মিলিয়ে প্রতিবছর অত্যাধুনিক পরিকাঠামোযুক্ত এক হাজার Virtual Classroom তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমাদের সরকার। গ্রামীণ স্কুলগুলির পরিকাঠামো বৃদ্ধিতে বরাদ্দ একলাফে প্রায় আটগুণ বৃদ্ধি হয়েছে এবারের বাজেটে। রাজ্যে মা-মাটি-মানুষ সরকার ক্ষমতায় আসার পর দু’-দুবার বহু সংখ্যক কলেজে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। বহু কলেজে স্থায়ী অধ্যক্ষ দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় অধ্যক্ষ নিয়োগের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। উচ্চশিক্ষার জন্য কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় এই রাজ্য দেশের মধ্যে আনুপাতিক হারে শীর্ষস্থানে পৌঁছেছে। উত্তরবঙ্গের প্রকৃতির স্নিগ্ধ ছায়ায় কিংবা পুরুলিয়ার রুক্ষ প্রান্তরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। আবার সুদূর দক্ষিনে ডায়মন্ডহারবারে সাত একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রথম মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়। মানুষ কল্পনাও করতে পারেন না শিক্ষায় এই সমৃধ্ধি।

স্কুল শিক্ষক নিয়োগে বহুদিন বঞ্চিত হয়েছেন চাকরি প্রার্থী শিক্ষার্থীরা। তার অন্যতম কারণ সুগভীর চক্রান্ত। ষড়যন্ত্র করে মামলার মাধ্যমে টেট-এর নিয়োগ প্রক্রিয়াকে শ্লথ করে দেওয়া হয়েছিল। এইজন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। মুখ্যমন্ত্রী আগেই ঘোষণা করেছিলেন, আদালতের নির্দেশ পেলে সঙ্গে সঙ্গেই শিক্ষক নিয়োগের কাজ শুরু হবে। নেত্রীর সেই ঘোষণা আমাদের শিক্ষা দফতর অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছে। আদালত রায় দেওয়ার এক ঘন্টার মধ্যেই টেট পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে দেওয়া হয়েছে।

প্রাথমিক ও উচ্চপ্রাথমিকে যত দ্রুত সম্ভব ৬০,০০০ শিক্ষক নিয়োগ করা যায় তার ব্যবস্থা করছে আমাদের দফতর। প্রতিটি বিষয় ও প্রক্রিয়া যে স্বচ্ছতার মাধ্যমে করা হচ্ছে তা আমরা কাজের মাধ্যমে প্রমান করে দিয়েছি। সর্বোপরি যে সমস্ত শিক্ষিকা বাড়ি থেকে দূরে চাকরি করেন তাঁদের কাছাকাছি নিয়ে আসতে ইতিমধ্যে বদলি প্রক্রিয়া চালু করেছে আমাদের সরকার। বহু শিক্ষিকা ইতিমধ্যে বাড়ির কাছের স্কুলে বদলি হয়ে এসে পঠন-পাঠন কোর্সে অংশ নিতে শুরু করে দিয়েছেন। শিক্ষাসংক্রান্ত সমস্ত কর্মসূচিতে আমাদের

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শিক্ষকরা সমাজের গর্ব, তাঁদের সম্মান দিলে তবেই সমাজ-সভ্যতা তথা বাংলা এগিয়ে যাবে। তাই তো রাজ্যে সরকার পরিবর্তনের পর শিক্ষকদের সম্মান দিয়ে প্রতিবছর ‘শিক্ষারত্ন’ সম্মাননা চালু করে শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের স্বীকৃতি দেওয়া শুরু হয়েছে।

আমাদের সরকার শহরের সঙ্গে গ্রাম এক লহমায় জুড়ে দিয়েছে রাস্তাঘাটের সুপরিমিত সংস্কার ও অজস্র নতুন রাস্তা তৈরী করে। শুধু কলকাতা নয়, গোটা রাজ্যই মা-মাটি-মানুষ সরকারের নানা প্রকল্প ও পরিকাঠামো চালু হওয়ায় আজ কল্লোলিনী, তিলোত্তমা। গঙ্গার দুই তীরও সৌন্দর্যের সৌরভে সুরভিত। কথা দিচ্ছি, শিক্ষাঙ্গনের সর্বোস্তরকে পরিপূর্ণভাবে মেধার সম্মান ও সীকৃতি দিয়ে আরো উজ্জ্বল এবং আলোকময় করা হবে। আলোয় ভোরে উঠবে জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের রাজ্য-বাংলা। সত্যি সত্যি মেধা ও শিক্ষা সংস্কৃতিতে আরো এগিয়ে শীঘ্রই হয়ে উঠবে পরিপূর্ণ বিশ্ববাংলা।

 

রোম -জার্মানির রেডারে বাংলা – মুখ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়

২ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ সেপ্টেম্বর সকাল। আটটি দিন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সর্বক্ষণের সফরসঙ্গী হিসেবে আমার থাকার সুযোগ ঘটেছিল। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে এমিরেটসের বিমানে কলকাতা-দুবাই প্রথমে পৌঁছনো হয়। সেখানে আমরা একত্রে ছিলাম। মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়, সস্ত্রীক মুখ্যমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি গৌতম সান্যাল, রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন। সঙ্গে ছিল একদল সাংবাদিক বারো সংখ্যায়।

আমরা দুবাই বিমানবন্দরে অবতরণ করার পর হাই কমিশনের পক্ষ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্বাগত জানানো হয়। তাঁকে আলাদা করে সেরিমনিয়াল লাউঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়। রাষ্ট্রদূত স্বয়ং উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী সমস্ত প্রতিনিধিকে একত্রিত করে একটি বাসে করে আমরা উপস্থিত হই। কিছুক্ষনের মধ্যেই খবর আসে ভারতবর্ষের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ খুব নিকটে সেরিমোনিয়াল লাউঞ্জে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষা९ করতে চান। তারপর সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংলগ্ন একটি বিরাট কক্ষে যেখানে সুষমা স্বরাজ নয় সদস্যের এক প্রতিনিধি দলকে নিয়ে রোমের উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছিলেন। দিল্লি থেকে এসে তাঁরাও একই সঙ্গে অপেক্ষা করছিলেন। আমাদের যাত্রা ছিল ৪ সেপ্টেম্বর রোমের ভ্যাটিকান শহরে মাদার টেরিজার সন্তায়ন আখ্যায় আখ্যায়িত করার অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া। সুষমা স্বরাজ এবং তাঁর সঙ্গে আরও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের যে সাংসদরা প্রতিনিধি হিসাবে ছিলেন তাঁরা সকলে মুখ্যমন্ত্রীকে পেয়ে উচ্ছসিত হন। দীর্ঘ ৪৫ মিনিট কথোপকথন। আলাপ-চারিতা হয়। প্রতিনিধি দলে জনৈক সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিও ছিলেন। সেখান থেকে একই বিমানে আমরা সকলে মিলে রোমের উদ্দেশ্যে রওনা হই।

ইউরোপের বুকে ভারতের এক বড় প্রতিনিধি দল পৌঁছেছে। আরও ভেবে আশ্চর্য হচ্ছি কলকাতা শহর রোমে উঠে আসছে। ২ তারিখে সময়সূচিতে রাত্রি হয়ে যাওয়ায় সকলে যে যাঁর মতো নৈশভোজ সেরে ঘরে চলে যায়। ৩ তারিখ সকালে যখন আমরা সকলে প্রাতরাশের ঘরে আলোচনা করছি, নিজেরা একবার ভ্যাটিকান সিটিতে গিয়ে পরিবেশটা একবার দেখে আসা যায় কখন। তখন দেখি হোটেল থেকে দু’কিলোমিটার দূরে ভ্যাটিকান সিটি চার্চ পরিভ্রমণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফিরে আসছেন। তাঁর এই ততপরতায় আমরা যুগপ९ বিস্মিত হয়ে পড়েছি। এর আগেইতালিও দূতাবাসের ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের দফতর থেকে পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী-সহ অন্যান্য প্রতিনিধিদের ঘর বরাদ্দ নিয়ে এক অন্যায় এবং অস্বস্তিকর অবস্থার সৃষ্টি করা হয়। কিন্তু বিদেশের মাটিতে দেশের রাষ্ট্রদূতভবনের এই অন্যায় কার্যকলাপ মেনে নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী প্রচুর ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়ে বরাদ্দকৃত ঘরেই অবস্থান করেন। যে ঘরে তাঁকে স্থান দেওয়া হয়েছিল তা দেখে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল যিনি ওই হোটেলে ছিলেন, তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, আমার ঘরের থেকে এই ঘর ছোট শুধু তাই নয়, একই ঘরের সঙ্গে যেখানে শোয়া এবং বাথরুম যেভাবে মুখোমুখি সংলগ্ন।

এমনকী , যেভাবে ঘরে বসার অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেই তা দেখে আমি বিস্মিত।কিন্তু যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী এসব বিষয়ে খুব একটা মাথা ঘামান না তাঁর নিজের জীবন নির্বাহের মধ্যে দিয়ে বারবার প্রমান করেছেন। তাই তিনি ঝাঁপিয়ে পড়লেন চার তারিখের কর্মসূচীতে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থানকে সারা বিশ্বব্যাপী মানুষের সামনে কীভাবে তুলে ধরবেন।

ওই দিনই বিকেলে হোটেলের লনে আমরা গোল হয়ে বসলাম। মুখ্যমন্ত্রী প্রস্তাব দিলেন হোটেল থেকে ভ্যাটিকান সিটি উ९সবস্থল পর্যন্ত আমরা একত্রে গান গাইতে গাইতে যাব। প্রথমে বিষয়টি শুনে অনেকে ভ্রুকুঞ্চন করেছিল। ইটা কি আদৌ বাস্তবে সম্ভব। শুরু হলো গান বাছাইয়ের পর্ব। একটি, দুটি করে চারটি গান বাছা হল। শুরু হল রিহার্সাল। নেতৃত্বে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাঁরা কখনো গান গাননি তাঁদেরও দেখা গেল ঠোঁট নাড়তে। গানের নির্বাচন প্রক্রিয়ার পরেই রিহার্সাল শুরু হয়। ততক্ষনে হোটেলে আসা অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিরা অধীর আগ্রহে আমাদের দেখতে জমা হতে শুরু করেছিলেন। প্রায় ৯০ মিনিট চলে গানের রিহার্সাল। গাঙ্গুলিকে লিখে প্রত্যেকের হাতে একটি করে অনুলিপি তুলে দেওয়া হল। যাঁরা গাইতে না পারবেন, তাঁরা যেন অন্তত সুর মেলাতে পারেন। গলায় একটা স্বেচ্ছাসেবকের মতো একটা করে বিশেষ ব্যাজ ঝুলিয়ে নেওয়া হল। যাতে লেখা হল ‘We are from the city of mother, Kolkata’। তার উপরে লেখা ছিল ’BENGAL’ । খুব সুসজ্জিত ছিল ব্যাজগুলি। প্রস্তুতি সম্পন্ন। চূড়ান্তভাবে যখন রিহার্সাল পর্ব সম্পন্ন হচ্ছে তখন মুখ্যমন্ত্রী সন্তুষ্ট হলেন। নির্দেশ দিলেন, পরের দিন চার তারিখ সকাল সাড়ে আটটার মধ্যে যেন প্রস্তুত হয়ে তাঁর নেতৃত্বে রওনা হই।

৪ তারিখ সকাল। সাড়ে আটটাতেই যাত্রা শুরু হলো মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে। গান করে রোমের শহর ভ্যাটিকানের দিকে আমাদের যাওয়া। ততক্ষনে ভ্যাটিকানে চার্চের সামনে লক্ষাধিক মানুষের সমাবেশ ঘটে গিয়েছে। ততক্ষনে সারা বিশ্ব থেকে ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের মানুষে এসে উপস্থিত হয়েছেন। সারা পৃথিবী থেকে ১৮৫ জন বিশপ উপস্থিত। সারা শহরে একটা আলাদা মাধুর্য। আর তার মধ্যে দিয়ে রোমের রাস্তায় নেমেছে এসেছে কলকাতা, নেমেছে এসেছে বাংলা। নেমে এসেছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি অত্যন্ত রুচিবান, সংস্কৃতিবোধসম্পন্ন প্রতিনিধি দল। যাঁরা গান করতে করতে যত এগিয়েছে, রাস্তার দু’পাশের মানুষ অপার বিস্ময়ে লক্ষ করেছে। ‘মঙ্গলদ্বীপ জ্বেলে।..’ গানটি যখন গাওয়া চলছে তখন আমরা ভ্যাটিকান সিটির মুখে পৌঁছে গিয়েছি। কানায় কানায় পরিপূর্ণ পরিবেশ। দূর থেকে দেখা যাচ্ছে চার্চের মাথার উপর ঝুলছে মাদার টেরিজার হাতজোড় করা মিষ্টি হাসির নিদারুন সুন্দর প্রতিকৃতি।সুসজ্জিত মঞ্চ।

অতর্কিতে আমরা দেখলাম মিশনারিজ অফ চ্যারিটির প্রধান, যাঁদের আমন্ত্রণে মুখ্যমন্ত্রীর ভ্যাটিকান সিটিতে যাওয়া। তাঁদের প্রধান সিস্টার প্রেমা অন্তত একশো মিটার মঞ্চ থেকে নিচে নেমে এসে সমস্ত পুলিশ বেষ্টনীকে সরিয়ে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাত ধরে টেনে নিয়ে চলে গেলেন মূল মঞ্চের দিকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখনই সিস্টার প্রেমাকে বললেন, পুলিশদের বলে দিন আমার সঙ্গে আসা প্রতিনিধি দলের সকলেই যেন মূল মঞ্চে বসার স্থান পান। আমাদেরও সসম্মানে নিয়ে গিয়ে মূল মঞ্চের পিছনের সারিতে যা খুব বেশি হলে পঞ্চাশ মিটারের মধ্যে। আমরা সকলে প্রত্যেকে প্রত্যেকের আসন নিয়ে বসলাম। সকাল সাড়ে দশটা থেকে সাড়ে বারোটা। দু’ঘন্টার কর্মসূচি ছিল। মাঝখানে একটি অংশে বাংলাতেও প্রার্থনা করা হল। তখন মুখ্যমন্ত্রীকে ঘিরে ভারতবর্ষের আর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মানুষ যার এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠান দেখতে গিয়েছিলেন তাঁদের উচ্ছাস চোখে পড়ার মতো ছিল। সমস্ত কর্মসূচি সম্পন্ন হওয়ার পর মহামান্য পপ-সহ অন্যান্যদের নমস্কার বিনিময় করে মমতা বান্দ্যোপাধ্যায় ফিরে আসেন আমাদের কাছে। প্রখর রৌদ্রতাপ। অভাবনীয় উষ্ণতা। এর মাঝে কিছু বিদেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। জনৈক প্রৌঢ়া, তার নাম ছিল ন্যান্সি, একটি হুইল চেয়ার বসিয়ে তাঁর স্বামী তাঁকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। মূল প্রবেশদ্বারের বাইরে তাঁর নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। গলায় কাশি আটকে গিয়ে প্রায় দমবন্ধ হওয়ার উপক্রম। অসহায় অবস্থায় বৃদ্ধ ভদ্রলোক স্ত্রীর গলায় হাত দিয়ে তাঁকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী ত९ক্ষণা९ ঝাঁপিয়ে পড়লেন। সহযোগিতা করলেন। জলের ছিটে দিলেন মুখে। সেই ভদ্রলোকের সঙ্গে থাকা ওষুধ বের করে তাঁকে খাওয়াতে বললেন এবং তাঁকে অবিলম্বে অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে হাসপাতালের পাঠানোর ব্যবস্থা নিজে দাঁড়িয়ে করলেন। এর মধ্যে মনে হচ্ছিল যে রোম যেন কলকাতা হয়ে গিয়েছে।

সেখান থেকে আমরা ফিরে এলাম। সকলে নিদারুন খুশি। মুখ্যমন্ত্রী এর মধ্যেই কলকাতায় খোঁজ নিলেন মাদার হাউসে। অত্যন্ত সুন্দরভাবে কর্মসূচি পালিত হয়েছে এবং সমাধিক্ষেত্রে ১০৪টি গোলাপ ফুলের পুস্পস্তবক তাঁর তরফ থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। রোমে বসে থাকলেও বাংলার দিকে তাঁর মন সবসময় পড়ে ছিল। ইতিমধ্যে তিনি একটি ভালো সংবাদ পেয়েছেন। তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেস, সর্বভারতীয় ভিত্তিতে সর্বভারতীয় সীকৃতি পেয়েছে। নির্বাচন কমিশনের তরফে প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই কথা বলা হয়েছে। কথা প্রসঙ্গে বললেন, ১৯৯৮ সালের ১ জানুয়ারি এই নির্বাচন কমিশনের কাছে কাগজ জমা দিতে গিয়েছিলাম। কতকিছু পদক্ষেপ অতিক্রম করে আজ দল সর্বভারতীয় দলে উন্নীত হয়েছে। টুইট করলেন, উচ্ছাস প্রকাশ করলেন। চোখের মধ্যে এক নিদারুন তৃপ্তি লক্ষ করলাম। মনে হল এমনভাবে অসম্ভবকে একক শক্তিতে কেউ সম্ভব করতে পারে যা বোধহয় কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের পক্ষে স্বপ্নেও ভেবে ওঠা মুশকিল।

পরের দিক সকলেই বায়না ধরলেন, দিদি রোমে শহরটা একবার দেখতে যেতে হবে। দু’ঘন্টার ছোট পরিক্রমা। ইতিহাস বিজড়িত রোমে শহর। নেপোলিয়ান বোনাপার্ট থেকে শুরু করে যে বাড়ি থেকে মুসোলিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কথা ঘোষণা করেছিলেন। বিভিন্ন যুদ্ধে শহিদদের যে স্থান তাঁরা রক্ষা করছেন ‘ওয়াটারহাউস’ নাম দিয়ে। সে সব পরিভ্রমণ করলেন, ঘুরলেন, দেখলেন। খুব পছন্দ হল শহরে কোনও ‘হাইরাইজ’ বিল্ডিং দেখলেন না। তা নির্দিষ্ট কাঠামোর মধ্যে, উচ্চতার মধ্যে। খুব শৃঙ্খলাপরায়ণভাবে শহরের যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ। সব দেখে মন্তব্য করলেন, আমাদের দেশেও এমনটা হতে পারে। কিন্তু আমাদের দেশের জনসংখ্যা এই পরিবেশ কখনও গড়ে উঠতে দেবে না। একটা পুরো দেশ ইতালিতে যে পরিমান জনসংখ্যা, একটা রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যা তার থেকে বেশি। ভারতবর্ষের কথা তো বাদই দিলাম। রোমে সফর চার্চের অসাধারণ শিল্পের প্রতিফলন। লিওনার্দো দা ভিঞ্চির অতীতের উপস্থিতি এই রোম শহরের সঙ্গে কিভাবে জড়িয়ে রয়েছে তা প্রতি পদে পদে পরখ করে দেখা যায়।

পরের দিন, আমাদের পৌঁছতে হবে জার্মানি। মিউনিখ শহরে। আমাদের রোম থেকে চলে যাওয়া কথা ছিল অন্যত্র। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর কথায় সেই কর্মসূচি বাতিল করতে হল। সেই সফরসূচিতে জার্মান এয়ারলাইন্সের বিমান লুফতহানসায় করে এসে পৌঁছলাম মিউনিখ। সন্ধ্যাবেলা। সেখানে দেখলাম বিমানবন্দরে মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত আছেন অর্থমন্ত্রী ডঃ অমিত মিত্র এবং মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। সেখান থেকে প্রায় একশো কিলোমিটার দূরে আমাদের জন্য নির্ধারিত স্থানে আমরা যখন পৌঁছলাম তখন রাত দশটা।

পরের দিন সকাল আটটাতেই অর্থা९ ছ’তারিখ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ডঃ অমিত মিত্রর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল জার্মানির বিশ্ববিখ্যাত গাড়ির প্রধান কার্যালয় বিএমডব্লিউ-তে। ন’টায় নির্ধারিত একটি বৈঠকের কর্মসূচির খবর পান। সেখানে ডঃ মিত্রের সঙ্গে মুখ্যসচিব, অর্থসচিব, বন্ধন ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান এবং আমি। আমরা উপস্থিত হলাম। বিএমডব্লিউর সিইও-সহ ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দু’ঘন্টা ব্যাপী বৈঠক। আমি নিজে যেটুকু বুঝলাম যে, বিএমডব্লিউ কর্তৃপক্ষের কাছে এখনও যে ভারতবর্ষের কতগুলি স্থান সম্পর্কে সম্যক ধারণা আছে সেগুলি হচ্ছে তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, গুরগাওঁ। কথা প্রসঙ্গে ওঁরা এটা জানালেন যে কলকাতাকে আমরা আমাদের মানচিত্রের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করতে চাই। মানচিত্রের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে যে আলাপ-আলোচনা শুরু হয়েছে সেটা চলতে থাকবে। ইতিমধ্যে সর্বাধিক আলোড়ন সৃষ্টিকারী আদালতের যে রায় আমাদের টাটার ন্যানোকে নিয়ে ঘোষিত হয়েছিল সেকথাটিও বিএমডব্লিউ কর্তৃপক্ষকে আমাদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল। এই ভেবেই জানিয়ে দেওয়া হল, যে তাঁদের মনের মধ্যে যাতে এই ধারণা কখন না হয় সেখানে শিল্পের পরিবেশ আঘাত খেয়েছে অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রি করার জন্য। দেশের সর্বোচ্চ আদালত যেভাবে শিল্পোদ্যোগীদের নির্দেশ দিয়েছে সেই কোথায় এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শুরু থেকে বলে এসেছিলেন। কথা প্রসঙ্গে এটা উদ্ধার হল যখন আমরা তাদের বিশাল অট্টালিকার উপর থেকে বিএমডব্লিউর ফ্যাক্টরি দেখছি শুনলে আশ্চর্য হতে হয় তাঁদের ফাক্টরিটি তৈরি ১৫০ একরে। কিন্তু টাটা মোটরস এখানে এক হাজার একর জমি নিয়েছিল। বিরোধী দলে থাকাকালীন মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন ছ’শো একর পর্যন্ত করুন। সেই বিষয়টি তাঁরা অধীর মনোযোগ দিয়ে শুনলেন। কলকাতা শহরের পার্শবর্তী এলাকার যে যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিমান থেকে কলকাতা শহর আসা-যাওয়ার যে ব্যবস্থা, কলকাতা সংলগ্ন বিভিন্ন প্রান্তে রাজ্য সরকারের হাতে যে এক লক্ষ দশ হাজার একরেরও বেশি জমির যে ল্যান্ড ব্যাঙ্ক আছে। যেখান থেকে ইচ্ছা করলেই জমি নিয়ে কাজ করা যায়। সব তাঁরা অধীর আগ্রহে মনোযোগ দিয়ে শুনলেন এবং অদ্ভুতভাবে আগামী পাঁচ বছর পর দেশের পরিবহন ব্যবস্থা কোন দিকে মোড় নিতে পারে সে সম্পর্কেও তাঁরা তাদের একটি উদাহরণ দিচ্ছিলেন। আমরা দেখলাম প্রায় ন্যানোর থেকে একটু ছোট গাড়ি বিএমডব্লিউ বের করেছে। জার্মানির রাস্তায় চলছে। পিছনে দুই, সামনে এক ছোট্ট একটা গাড়ির পিছনের ছাপটা বিএমডব্লিউর। দামটা সতেরো লক্ষ টাকা। কিন্তু মানুষ গাড়িটাকে গ্রহণ করেছে। মোটরবাইক তৈরী করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রোম থেকে জার্মানির উদ্দেশ্যে বিমানবন্দরে আসছিলেন তখন তাঁর সামনে যে ‘পেট্ৰোল’ গাড়ি দেয়া হয়েছিল, তা ছিল দুটি মোটরবাইক। তা ছিল বিএমডব্লিউর। মুগ্ধ বিস্ময়ে মুখ্যমন্ত্রী তখনই বলছিলেন, কলকাতা শহরে ট্রাফিক পেট্রোলে মানে ভিআইপি পেট্রোলের জন্য যে গাড়িগুলি চলাচল করে সেগুলিকে বদলে দেওয়া হবে। এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে এবং সেই গাড়ি চালকদের প্রতি অন্যান্য গাড়ি চালকদের যে সম্মান প্রদর্শন, যেভাবে তারা গাড়ি রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, না দেখলে ভাবা যায় না। অন্য গাড়িতে তো চারজন করে বসতে হয়। এতে একজন করে লোক দু’টো করে গাড়ি নিয়ে চলে যাচ্ছে। সেই গাড়ি দেখলাম। অমিত মিত্রর সঙ্গে যখন আমরা তাঁদের শোরুম ভিজিট করতে গেলাম অফিসের নিচেই সেই বাইকের উপর তাকে চড়িয়ে বসালাম। একেবারে নতুনভাবে বেরিয়ে এসেছে যে বিএমডব্লিউতে অমিত মিত্র, আমি দুজনে বসলাম। ফটোগ্রাফার ও আমাদের সাংবাদিক বন্ধুদের ছবি তোলার সুযোগ দিতে। সাংবাদিক বন্ধুরা চতুর্দিকে ঘুরেফিরে পুঙ্খানুপুঙ্খ দেখলেন। ফিরে আসলাম এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা নিয়ে। জানতে পারলাম বিএমডব্লিউ ও মার্সিডিজ বেঞ্জের মধ্যে সারা বিশ্বজুড়ে এখন প্রচুর প্রতিযোগিতা। কিন্তু অটোমোবাইল শিল্পে জার্মানির অগ্রগতির কথা সারা পৃথিবীর মানুষ জানে। মুখ্যমন্ত্রীকে এসে জানালাম। হঠা९ করে অধিক উচ্ছাস প্রকাশ করা, কোনও কিছু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়ার আগেই প্রতিক্রিয়া বা মন্তব্য দেওয়া এসব থেকে তিনি এখন অনেক দূরে আছেন। আমি এখনও মনে করি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই বিশ্বাসই করছেন যে তিনি চেষ্টা করে যাবেন। তাঁর চেষ্টার কোনও ত্রুটি থাকবে না। শিল্পায়নের ক্ষেত্রে আরও সদর্থক উদ্যোগ, আরও সুচিন্তিত ভাবনার প্রতিফলন এবং বাস্তবের ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য সম্ভব এমন পরিকল্পনা গ্রহণ করার ক্ষেত্রে তিনি অত্যন্ত মেপে পা ফেলবেন।

ওই দিনে বিকেলে তিনি ভারতবর্ষ থেকে যাওয়া বিভিন্ন শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে বৈঠক করলেন। সেখানে মুকেশ আম্বানির প্রতিনিধিও ছিলেন, রতন টাটার প্রতিনিধিও ছিলেন। দেশের আরও বড় বড় প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা ছিলেন। পরের দিন যে চূড়ান্ত বৈঠক মিউনিখ শহরে হবে সেখানকার বিস্তৃত কর্মসূচি নিয়ে সেখানে আলাপ আলোচনা হল। পরের দিন সেখানে পৌঁছে যাওয়া হল।

সাত তারিখ সকাল। আমাদের সেখানে পৌঁছে জার্মানির ক্যাবিনেট মন্ত্রী বৈঠকে যোগ দিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করলেন। পরবর্তীকালে বৈঠক চলার সময় পাঁচজন জার্মানির কনসার্নের প্রতিনিধি, পাঁচজন বিভিন্ন শিল্পোদ্যোগী ও আমাদের ভারতীয়দের পক্ষে পাঁচজন। মোট দশজন সেখানে বক্তব্য রাখলেন। মুখ্যমন্ত্রী পরবর্তীকালে তাঁর সাবলীল ভঙ্গিতে যে বক্তব্য রাখলেন তা এক কথায় অত্যন্ত প্রাণস্পর্শী। টাটার প্রতিনিধি যখন এসে বললেন সরকারের কাছ থেকে টাটা স্টিল প্রচুররকম সহযোগিতা পেয়ে থাকে। মুকেশ আম্বানির প্রতিনিধি যখন বললেন আগামী দিন পশ্চিবমবাংলাই হচ্ছে মূল লক্ষ পথ। এটাই আমাদের চেয়ারম্যান বিশ্বাস করেন। তখন আমরা গর্ব অনুভব করছি।এবং জার্মানিতেও বহু সংখ্যায় ভারতীয় কীভাবে শিল্পের সঙ্গে, কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আছেন তা সেখানে গিয়ে একবার নজর কাড়ল। আমার মনে হয় বাংলা থেকে যে বক্তারা সেখানে বক্তব্য রাখলেন যে উত্সাহ, যে উদ্যোগ নিয়ে তাঁরা এই কর্মসূচিতে অংশ নিলেন তাতে দেশ স্বাধীনতার পর নিজের রাজ্যের শিল্পায়নের ক্ষেত্রে এমনভাবে বাংলাকে তুলে ধরতে কখনও দেখা যায়নি। একসুরে, একটাই কথা, ‘বাংলায় বিনিয়োগ করুন, বাংলায় আসুন’। সকলের একটি নিদারুণ সহযোগিতায় একটি সফল সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, যে বাংলা আগামী দিনের সদর্থক পদক্ষেপে শিল্পায়নের দিকে এগোবে এবং ছোট মাঝারি শিল্পের সঙ্গে বড় শিল্পের স্থাপনের দিকেও তাদের নজর থাকবে। চেষ্টার কোনো ত্রুটি থাকবে না এবং জার্মানিকে তাদের মন্ত্রীর মাধ্যমে আমন্ত্রণ জানালেন যে জানুয়ারি মাসে যে বিশ্ববঙ্গ সম্মেলন আবার কলকাতায় অনুষ্ঠিত হবে তাতে যেন জার্মানির ভালো সংখ্যায় প্রতিনিধিরা যেন উপস্থিত থাকেন। বিএমডাব্লিউয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওই সম্মেলন সম্পন্ন হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করলেন। আমার যা মনে হয়েছে যতটুকু ঘটছে তাতে আপাতত সেটুকুর মধ্যে গোটা বিষয়টি সীমাবদ্ধ থাকা বাঞ্চনীয়। অতিরিক্ত আশার ফুলঝুরি দেখিয়ে পরবর্তীকালে কোনও পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হল না সেই পদ্ধতিতে যাওয়া কখনওই ঠিক নয়। অতিরিক্ত উচ্ছাস প্রদর্শন করে বাস্তবের সঙ্গে তার সাযুজ্য বা মিল রইল না এমন রাস্তাতেও হাঁটা ঠিক নয়। আর সে কারণেই মুখ্যমন্ত্রী কোন ঘটনাকে একটা অতিরিক্ত উচ্চতায় তুলতে চাইলেন না বলে তিনি একটা অসাধারণ মনোভাব নিলেন। যাতে প্রমাণিত হল তিনি তাঁর সমস্ত ইচ্ছাশক্তি দিয়ে বাংলার শিল্পায়ন চান। কিন্তু তার জন্য কোনও এমন উচ্চতায় বিনা কারণে তুলতে চান না যা পরবর্তী কালে সমালোচকদের মুখ খুলতে সহায়তা করে।

ফিরে আসার পালা। এর মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী সর্বোচ্চ পদযাত্রা একদিকে ১৬ কিলোমিটার। আসার আগের দিন আট তারিখ। এই একটি বিষয়ে তাঁর এক সহযোগীকে রোজ দেখতে পাওয়া যেত না। পালা পরিবর্তন করে হাঁটতে হত। কিন্তু তিনি থাকেন প্রতিদিনই একই রকম। তিনি চলেন, বিভিন্নভাবে মানুষ তাঁর পাশে আসেন। হাঁটতেই থাকেন। তিনি চলতেই থাকেন। জীবনের আরও একটি নাম তো চলা। আর সেই সেই চলার পথে তিনি কখনও খামতি দিতে চান না। এই কয়েকদিনের সফরে থেকে দেখলাম তাঁর মানবিকতার দিক। সকলকে নিয়ে একটি পরিবারের মতো থাকার দিক। বিশ্ব বাংলা যে একটা শুধু স্লোগান নয়, বিশ্ব বাংলা যে একটা উপলব্ধি, বোধ। বিশ্ব বাংলা রোম এবং জার্মানির মতো দু’টি স্থানে তার উপস্থিতি প্রমাণ করে সার্থকভাবে ফিরে এল এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে আরও ব্যাপকভাবে চালু থাকবে। আর সে কারণেই আগামী নভেম্বরে আবার ভারত-মালয়েশিয়া-সিঙ্গাপুর সকলে মিলে আরও বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনে বাংলার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্ব দেবেন। যা সম্পন্ন হতে চলেছে নভেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে। বিমানে ফেরা। মিউনিখ-দুবাই-কলকাতা। সেখানেও পায়ে হাঁটা। সকলকে তাঁদের দায়িত্ব সম্বন্ধে সচেতন করে দেওয়া। ফেরার সময় এমিরেটস বিমান কর্তৃপক্ষের অন্যতম কর্ণধার স্বয়ং এসে মুখ্যমন্ত্রীকে এবং সদলবলে তাঁর সমস্ত টিমের সহযাত্রীদের একসঙ্গে করে নিয়ে গেলেন। বিমানবন্দরে দুবাইয়ের মতো অনেক কড়াকড়ির ব্যবস্থা। যেখানে এই সম্মান তাঁরা সুষমা স্বরাজকেও দেননি বলে আমরা জানলাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তা দিলেন। বিমানের মধ্যে বিমান সেবিকাদের ছবি তোলার নিদারুণ আগ্রহ। মিউনিখ বিমানবন্দরেও ভারতীয়দের মধ্যে এমন এক প্রচলিত মুখ যা সত্যিই আমাদের গর্বের এবং অহংকারের।