মার্চ ৩০, ২০১৯
শুরু হল তৃণমূলের ভিডিও সিরিজ - প্রধানমন্ত্রী হিসেব দাও

দুটি চিত্র। দু’রকমের জীবনযাপন। তৃণমূলের প্রচার ভিডিওতে উঠে এল সেই যাপনেরই ছবি। একদিকে হরিয়ানার মেয়ে প্রিয়া সিং। কেন্দ্রের ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ প্রকল্প শুরু হয়েছে। কিন্তু তার গ্রাম রেউরিতে একটিও বিদ্যালয় বানায়নি মোদী সরকার। পড়ার জন্য গ্রাম থেকে ১৪-১৫ কিলোমিটার দূরের স্কুলে যেতে হত তাকে। সে জন্যই স্কুল ছাড়তে বাধ্য হয় হরিয়ানার প্রিয়া। এখন কেন্দ্রের সরকারের কাছে জানতে চায় সে, কেন এমন হল? প্রিয়ার প্রশ্ন, শুধু এই কারণেই কত মেয়ে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছে, সেই হিসাব আপনি রেখেছেন?
অন্যদিকে বাংলার গ্রাম। হুগলীর ঝুমুর মুখার্জি খুব খুশি তৃণমূল সরকারের কাজে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই রাজ্যে প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে দেওয়া হয়েছে সাইকেল। তাই ভোর থাকতে আর পড়ুয়াকে উঠতে হয় না। স্কুল থেকে ফিরতে ফিরতেও আর ক্লান্তি আসে না। মমতার সরকার আছে বলেই মেয়েদের স্কুলে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে। কমেছে স্কুলছুটের সংখ্যাও। নাহলে বাংলার মেয়েদেরও হরিয়ানার প্রিয়ার মতো ঘরের কাজ করতে হত। তাই প্রিয়াঙ্কার উদ্দেশ্যে ঝুমুর বলেন, সারা জীবন ফাকি মেরে এখন হিসাব কষে লাভ নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো যদি দেশের সবকটি রাজ্যের সরকারই ছোট্ট স্কুল পড়ুয়াদের কথা ভাবত তাহলে দেশটা অন্যরকম হত। এরপরেই ভিডিওতে ধর্মনিরপেক্ষ প্রগতিশীল সরকার গড়ার লক্ষ্যে তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ‘সবুজসাথী’ প্রকল্পে রাজ্যের সমস্ত সরকারি ও সরকারি অনুদান প্রাপ্ত স্কুলের নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের বিনামূল্যে সাইকেল বিতরণ করা হয়। দেশের একমাত্র রাজ্য বাংলা যেখানে শিক্ষার প্রসারের জন্য এতগুলি সাইকেল বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে সরকারের তরফে। এখনও পর্যন্ত ১ কোটি সাইকেল বিতরণ করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রকল্প আন্তর্জাতিক মহলেও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। বিশ্বের সেরা ৫ টি প্রকল্পের মধ্যে একটি নির্বাচিত হয়েছে ‘সবুজ সাথী’৷ সব মিলিয়ে এই সবুজসাথী প্রকল্পের সৌজন্যে বদলে গেছে স্কুল পড়ুয়াদের জীবনযাত্রা। একটি সাইকেলই বদলে দিয়েছে রোজকার জীবন। তৃণমূলের ভিডিও-তে উঠে এসেছে সেই বদলে যাওয়া জীবনের ছবি।