Latest News

January 19, 2021

বিজেপি মাওবাদীদের থেকেও ভয়ানক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

বিজেপি মাওবাদীদের থেকেও ভয়ানক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ পুরুলিয়ার হুটমুড়া হাইস্কুল ফুটবল ময়দানে আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের কিছু বিষয়:

সংবাদমাধ্যমকে ভয় দেখাচ্ছে বিজেপি

লোকসভায় ভোট নিয়ে পালিয়েছে দিল্লি। ভোটের আগে মন্ডা-মিঠাই, ভোটের পর কাঁচকলা। টাকা দিতে এলে নিয়ে নেবেন, আর ভোট দেবেন না

আগামী বিধানসভায় বিজেপি ক’টা আসন পাবে? অমিত শাহের ভয়ে বিজেপি-র সংখ্যা বাড়িয়ে দেখানো হচ্ছে। সংবাদমাধ্যম যা বলবে তার থেকে চার ডবল বেশি ভোট পাবে তৃণমূল

বিজেপি ফেক ভিডিয়ো ছাড়ে। বেনামি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করে লোককে ভুল বোঝাচ্ছে

মাওবাদীরা অস্ত্র ফেলে মূলস্রোতে ফিরে আসছেন। তাঁদের চাকরি দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনছি আমরা। বিজেপি মাওবাদীদের চেয়েও ঢের বেশি ভয়ঙ্কর। বিজেপির এক ছোবলেই সব শেষ। অজগর, ময়ালের চেয়েও বিষধর

১৫ লক্ষ টাকার প্রতিশ্রুতি পালন করেছে বিজেপি? ভোটের আগে ফের বাড়ি বাড়ি যাবে

একটা মেয়ে সিনেমা করে, তাকেও ধমকাচ্ছে। স্বাধীন ভাবে কথা বলার অধিকার নেই ওর? সায়নীকে ধমকাচ্ছে ওরা। এত বড় ক্ষমতা ওদের? উত্তরপ্রদেশে ধমকাও, বিহারে ধমকাও, বাংলায় এলে মুখে প্লাস্টার করে দেব। সায়নীর গায়ে হাত দিয়ে দেখাক। টলিউডের গায়ে হাত দিয়ে দেখাক, ক্ষমতা থাকলে বাংলার সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষের গায়ে হাত দিয়ে দেখাও

পুরুলিয়া কখনও বহিরাগতদের কাছে মাথা নত করেনি। বিজেপি এলে পুরুলিয়া আর রূপসী বাংলা থাকবে না। মাওবাদীদের থেকে বিজেপি আরও ভয়ঙ্কর’

বিজেপি শিখিয়ে পড়িয়ে পাঠায় কিছু লোককে। তাঁরা আমার প্রত্যেক সভায় ঝামেলা বাঁধান। আমার মিছিলে গোলমাল পাকাতে লোক পাঠায় বিজেপি। আমিও কিন্তু এ বার বিজেপি-র মিছিলে লোক পাঠাব

আমার কাছে যতটা টাকা আছে, ততটাই করতে পারি আমি। তার বেশি পারি না। বিনা পয়সায় রেশন দিতে কত কোটি টাকা খরচ হয় জানেন? আজ রেশন, স্বাস্থ্য, পড়াশোনা, জল, ৭৫ ইউনিট পর্যন্ত বিনা পয়সায় দিচ্ছি

আমি আপনাদের পরিবারের একজনই, আমি কিছু ঘোষণা করলে তা পূরণ করি।

আমরা চাই সারনা ও সারি ধর্মকে জনগণনায় মর্যাদা দেওয়া হোক। ইতিমধ্যেই এবিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকেচিঠি পাঠানো হয়েছে রাজ্যের তরফে

পুরুলিয়ায় জলের একটা সমস্যা আছে, সেটা আমি জানি। জাপানের জাইকা এখানে কাজ করবে। ওরা দেরি করছে। জাইকাতে ১৩০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। তবে আমরা বিকল্পও ভেবে রেখেছি

লকডাউনে ভিন রাজ্যে কাজ হারিয়ে পুরুলিয়ায় ফিরে এসেছিলেন। প্রায় ১৯ হাজার পরিযায়ী শ্রমিক কাজ পেয়েছেন

জেলায় ১০০ শতাংশ বৈদ্যুতিকরণ করা হয়েছে

জেলায় ৩৫ হাজার স্বনির্ভর দল সুবিধা পেয়েছে

২৬টি কর্মতীর্থ তৈরি করা হয়েছে।

ডানকুনি-অমৃতসর প্রকল্প রঘুনাথপুর পর্যন্ত চলে আসবে। সেখানে ফ্রেড করিডরে শিল্প তৈরি হবে। প্রচুর কর্মসংস্থান হবে। এছাড়াও জয়পুরের আঘরপুর মৌজায় ২২ একর জমিতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাব তৈরি করা হচ্ছে

পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুরে ডোম এবং কালিন্দি সম্প্রদায়ের মানুষ আছেন, যাঁরা লোকসঙ্গীতের সঙ্গে যুক্ত। তাঁদেরও আগামী দিনে লোকপ্রসার প্রকল্পের আওতায় এনে ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে

৩১৬ জন সাঁওতালি শিক্ষক এবং এক হাজারের বেশি পার্শ্বশিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে

নবম শ্রেণীর পড়ুয়ারা আগামী এক দেড় মাসের মধ্যে সবুজ সাথীর সাইকেল পেয়ে যাবে। আরও ২০ লক্ষ সাইকেল তৈরি করা হয়েছে

দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে আগামী দু’-একদিনের মধ্যে ১০ হাজার টাকা করে ঢুকে যাবে। তারা ওই টাকায় ট্যাব বা স্মার্ট ফোন কিনতে পারবে। পুরুলিয়ায় প্রায় ১২ হাজার ছেলে মেয়ে আছে যারা উচ্চমাধ্যমিক ও মাদ্রাসায় পড়ে। তারা প্রত্যেকে ওই টাকা পাবে।

প্রাণিমিত্র, আশা থেকে আইসিডিএস সবাইকে সুবিধা দেওয়া হয়েছে

অযোধ্যা পাহাড়কে কেন্দ্র করে ট্যুরিজম সার্কিট গড়ে তোলা হয়েছে। পুরুলিয়া জেলায় কত সিনেমা ও সিরিয়ালের শ্যুটিং হচ্ছে। পুরুলিয়ায় আরও প্রচুর সংখ্যক হোটেল তৈরি হোক। পুরুলিয়াতেই পর্যটনে বিনিয়োগ আসুক।

পুরুলিয়ায় কুর্মি, মাহাত সম্প্রদায়ের জন্য আলাদা বোর্ড তৈরি করা হয়েছে। মানভূম কালচারাল অ্যাকাডেমিও তৈরি করা হয়েছে

পাঁচতারা হোটেল থেকে খাবার এনে, দলিতদের সরিয়ে দিয়ে তাদের বাড়িতে খাবার খাওয়ার নাটক করছে। দলিতের ঘরে নাকি খাচ্ছে, ওদিকে বোতলে হিমালয়ের মিনারেল ওয়াটার। আমরা কিন্তু সরকারের তৈরি ৬ টাকা বোতলের জল খাই। আর ওরা কাঁসার থালায় ফাইভ স্টার হোটেল থেকে খাবার আনিয়ে খেয়ে পগার পার

খাবার খাওয়ার আগে টাকা দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিলেও, টাকা না দিয়েই পালিয়ে যায়। দলের কর্মীদের বলব, ওদের খাওয়ার টাকা না হয় গরিব মানুষদের আমরাই টাকা দিয়ে দেব। দরকার পড়লে নিজেদের মাইনে থেকে টাকা দেব

রাজনীতিতে তিন ধরনের লোক থাকে, একজনরা লোভী, আর এক জনরা ভোগী আর এক ধরনের লোক আছেন, যাঁরা ত্যাগী। আপনারাই হলেন ত্যাগী। ত্যাগীদের বাড়িতে গিয়েই এ বার ভোট চাইছে। আমি বলছি, টাকা দিতে এলে নিয়ে নেবেন। মাংস কিনে খাবেন। ওটা আপনাদেরই টাকা। কিন্তু ভোট দেবেন না

সংখ্যালঘুদের ভাগাভাগি করে ভোট কাটতে চাইছে বিজেপি। না হলে জেলে ঢোকানোর হুমকিও দিচ্ছে

হরিয়ানা, পঞ্জাব, দিল্লিতে রাস্তায় পড়ে থেকে লড়াই করছেন কৃষকরা। সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামে এই কৃষকদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লডা়ই করেছিলাম। কৃষকরা আমাদের গর্ব। সেই কৃষকদের সঙ্গে এমন আচরণ

পুলওয়ামা বেরিয়ে গিয়েছে। আগামী দিনে আরও অনেক কিছু বেরোবে

বিজেপির কারাগার, ভেঙে করো চুরমার

মা-বোনেরা প্রস্তুত হন। আপনারা ছেলেকে মারতে এলে, আপনাদের ধমকাতে এলে, হাতা-খুন্তি নিয়ে এগিয়ে যাবেন। দু’টো থাপ্পড় কষিয়ে দেবেন। বাংলাকে বিক্রি হতে দেবেন না, বাংলাকে পরাজিত করতে চায় বিজেপি, বাংলাকে বিক্রি হতে দেব না আমরা। বিজেপি-র কাছে মাথা বিক্রি করব না

রোজ রোজ শাড়ি বদলানো যায়, কিন্তু রোজ রোজ চরিত্র এবং আদর্শ বদলানো যায় না

লোভী আর ভোগীরাই দল ত্যাগ করছে, এঁদের দলবদলে আপদ বিদায় হচ্ছে