Latest News

February 2, 2018

Bengal creates record man-days in NREGA

Bengal creates record man-days in NREGA

The Bengal Government has created a record by reaching last year’s record in creating the number of man-days, with respect to job creation through the Mahatma Gandhi National Rural Employment Guarantee Act (MGNREGA), three months early. As a result, the state is for another record this financial year. It is a Central scheme but the responsibility of implementation is with the states, and Bengal is the leading state in India.

The number for financial year 2016-17 was 21 crore. According to available data, in only the first nine months of 2017-18, that is, from April to December 2017, the state not only reached 21 crore but added another 3 crore to create a total of 24 crore man-days. As a comparison, the Central Government’s target set for Bengal for the entire fiscal was 23 crore man-days.

Senior officials of the State Government are expecting the number to touch 30 crore by March 2018, therefore beating last financial year’s figure by 9 crore, which is an increase by 42.86 per cent.

In Bengal, 52 crore people are employed under different projects with respect to the 100 Days’ Work Scheme, as MGNREGA is also known, being a scheme where each rural family can get work for a maximum of 100 days per year.

Last financial year, the Centre had paid the state Rs 5,200 crore as payment for the workers. This year, according to official working on the project, the payment is expected to cross Rs 6,000 crore.

All these facts and figures point to the fact that under Chief Minister Mamata Banerjee, the rural economy of Bengal is at its brightest.

 

শ্রমদিবস সৃষ্টিতে গত আর্থিক বছরের সংখ্যাকে ছাপিয়ে নজির গড়ল রাজ্য

শ্রমদিবস তৈরিতে গতবারের সংখ্যাকে তিন মাস আগেই ছাপিয়ে গেল রাজ্য। গত আর্থিক বছরে অর্থাৎ ২০১৬-১৭ সালে রাজ্যে শ্রমদিবস তৈরি হয়েছিল ২১ কোটি। আর চলতি আর্থিক বছরে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যে হিসেব মিলেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর—এই ন’মাসে রাজ্য সরকার তা শুধু ছাপিয়েই যায়নি, আরও বাড়তি তিন কোটি শ্রমদিবস সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে।

সব মিলিয়ে ২৪ কোটি শ্রমদিবস তৈরি হয়েছে এই সময়কালে। আর্থিক বছর শেষে তা ৩০ কোটিতে দাঁড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে। যা কার্যত নজির হিসেবেই চিহ্নিত হতে চলেছে।

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক ১০০ দিনের কাজে মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি অ্যাক্ট (এমজিনারেগা) প্রকল্পে রাজ্যকে ২৩ কোটি শ্রমদিবস তৈরির লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছিল। বছর শেষ হওয়ার তিন মাস আগেই সেই লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে গিয়েছে রাজ্য। ফলে এই ইস্যুতে পশ্চিমবঙ্গ অন্য সব রাজ্যকে সহজেই টেক্কা দিতে পারবে বলে মনে করছেন পঞ্চায়েত দপ্তরের কর্তারা।

বর্তমানে রাজ্যে ১০০ দিনের কাজে ৫২ লক্ষ মানুষ যুক্ত রয়েছেন। এঁদের সকলেরই জব কার্ড রয়েছে। কাজের পরে প্রতি মাসে এই শ্রমিকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা চলে যায়। গত আর্থিক বছরে ১০০ দিনের প্রকল্পে ৫,২০০ কোটি টাকার কাজ হয়েছে। সেই টাকা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে সময়ে টাকা না আসায় সমস্যায় পড়তে হয়েছে শ্রমিকদের। তবে গত বছর বেশ কিছু টাকা বকেয়া ছিল। রাজ্য সরকার সেই টাকা মিটিয়ে দিয়েছিল। পঞ্চায়েত দপ্তরের কর্তাদের অনুমান, এ বছর ইতিমধ্যেই যে কাজ হয়েছে, তাতে মজুরির পরিমাণ ৬ হাজার কোটি টাকাকে ছাপিয়ে যাবে। শ্রমদিবস তৈরিতে গত কয়েক বছর ধরেই পশ্চিমবঙ্গ অন্যান্য রাজ্যকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। ফলে রাজ্য সরকার পুরস্কারও পেয়েছে।

১০০ দিনের কাজে নতুন নতুন ভাবনার মাধ্যমে সম্পদ সৃষ্টির পথে এগিয়েছে রাজ্য সরকার। শুধু রাস্তা তৈরি বা পুকুর কাটার কাজ নয়, বিভিন্ন ফল উৎপাদন করেও তাক লাগিয়ে দিয়েছে রাজ্য।

কেন্দ্রের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা রাজ্যে এসে কাজের বহর দেখে খুশি হয়ে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়ে গিয়েছেন। রাজ্যের পঞ্চায়েত দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিবকে তাঁরা সেকথা জানিয়েও গিয়েছেন। উল্লেখ্য, দিল্লি থেকে প্রতিনিধি দল মাঝেমধ্যেই ১০০ দিনের কাজ খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসে। তারা যে নির্দেশিকা তৈরি করে দিয়েছে, সেই মতো কাজ হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখেন তাঁরা।

১০০ দিনের কাজকে একেবারে তৃণমূল স্তরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য পঞ্চায়েত দপ্তরের কমিশনারের নেতৃত্বে একটি টিম তৈরি করে দিয়েছেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী। সেই টিম জেলায় জেলায় ঘুরে কাজের অগ্রগতি যাচাই করে।

পঞ্চায়েতমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকারের লক্ষ্য, মানুষ যেন বেশি বেশি কাজ পান। নানা ক্ষেত্রে যেন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়। আসলে গ্রামের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি করাই সরকারের উদ্দেশ্য। সে কারণেই শ্রমদিবস সৃষ্টিতে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার শ্রমদিবস সৃষ্টিতে আমাদের রাজ্যের কোটা কমিয়ে দিলেও আমরা অনেক আগেই লক্ষ্যমাত্রাকে ছাপিয়ে গিয়েছি।

গত আর্থিক বছরে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক ১০০ দিনের কাজে শ্রমদিবস সৃষ্টিতে লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছিল ১৮ কোটি। আমাদের রাজ্য তা ছাপিয়ে করেছিল ২১ কোটি। বর্তমান আর্থিক বছরে তারা লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেয় ২৩ কোটি। ডিসেম্বর মাসেই সেই লক্ষ্যমাত্রাকে অতিক্রম করেছে রাজ্য সরকার। শুধু অতিক্রমই নয়, তাকে ছাপিয়ে ২৪ কোটিতে গিয়ে পৌঁছেছে। হাতে এখনও তিন মাস সময় রয়েছে, ফলে শেষ পর্যন্ত তা ৩০ কোটিতে গিয়ে ঠেকবে বলে মনে করা হচ্ছে।

Source: Bartaman