May 2, 2016
Will not allow the division of Bengal: Didi at Coochbehar

On the first day of her campaign in Coochbehar district, Mamata Benerjee today addressed rallies at Tufanganj, Baneshwar and Coochbehar town. During her speech at Tufanganj, she slammed the BJP for playing divisive politics in the district and said she will never allow the division of Bengal.
Didi also said that the State has not yet received financial freedom. “We increased our revenue but Centre has taken away our money to pay off debt incurred by the CPI(M),” she said. She also slammed the Centre for stopping the funds for schemes like ICDS.
On the developmental wave that has swept Bengal in the last four and half years, she said, “Thirty three lakh girls have been empowered through Kanyashree. We have given scholarships to 26 lakh SC/ST students under Sikshashree scheme and over 11 crore minority students have received scholarships. We are providing rice at Rs 2/kg to people,” she said.
“We are providing 30% subsidy to self help groups, we have started insurance schemes for them. 25 lakh students have received Sabuj Sathi cycles, 15 lakh more will be distributed by June-July,” she added.
Slamming the opportunistic alliance of CPI(M) and Congress, the Trinamool Chairperson said, “We do not need an alliance with BJP, CPI(M) or Congress. People are with the Trinamool”.
বাংলাকে ভাগ হতে দেব না : কোচবিহারে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
কোচবিহারের প্রথম দিনে তুফানগঞ্জের নির্বাচনী প্রচারসভা থেকে তিনি বলেন যে এই জেলার প্রায় ৯৫% মানুষের কাছে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে গেছে।
দিদি বলেন রাজনৈতিক স্বাধীনতা পেলেও আজ পর্যন্ত তৃণমূল অর্থনৈতিক স্বাধীনতা পায়নি।“ আমরা আমাদের আয় দ্বিগুন করেছি এই সাড়ে চার বছরে, কিন্তু সেই টাকা সিপিএমের দেনা শোধ করতেই চলে যাচ্ছে”।
গত সাড়ে চার বছরের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে তিনি বলেন, মেয়েরা দেশের সম্পদ। কন্যাশ্রীর মাধ্যমে মেয়েদের আমরা আজ নিজের পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করেছি। ৩৩ লক্ষ মেয়ে কন্যাশ্রী প্রকল্পের আওতায় এসেছে। শিক্ষাশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে ২৬ লক্ষ তপশিলি জাতি উপজাতি ছাত্রছাত্রীদের স্কলারশিপ দেওয়া হয়েছে। ১১ কোটির বেশি সংখ্যালঘু ছেলেমেয়েদের বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। রাজ্যের ৯ কোটি মানুষের মধ্যে ৮ কোটি মানুষকে আমরা ২টাকা কেজি দরে চাল দিচ্ছি খাদ্য সাথী প্রকল্পের আওতায়।
তৃণমূল নেত্রী বলেন, “আইসিডিএস প্রকল্পের টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র আমরা নিজেদের তহবিল থেকে টাকা দিয়ে সেই প্রকল্প চালু রেখেছে রাজ্য সরকার। ২৫ লক্ষ ছেলেমেয়েদের সবুজ সাথী সাইকেল পেয়েছে। বর্তমানে বাংলার সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা পাওয়া যায়। ২টি মেডিকেল কলেজ চালু হয়েছে কোচবিহারে”।
তিনি আরও বলেন ছিটমহলবাসীরা এখন তাদের পরিচয়পত্র পেয়েছেন। হিন্দি, উর্দু, নেপালি, অল চিকি ও রাজবংশি ভাষাকে মর্যাদা দিয়েছে রাজ্য সরকার।
নেত্রী বলেন, আমি উত্তরবঙ্গ থেকে আমার নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছিলাম আর আগামীকাল এই উত্তর বঙ্গেই আমার প্রচার শেষ করব। তিনি মানুষের কাছে আবেদন করে বলেন, “ইতিমধ্যেই যা নির্বাচন হয়েছে আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে গেছি, আমাদের সরকারকে আরও শক্তিশালী করতে আমাদের আরও সমর্থন প্রয়োজন”।
দিদি বলেন, কোচবিহার এতদিন ধরে অবহেলিত হয়েছে, কেউ কখনো এখানকার মানুষের সমস্যার সমাধান করেননি। বিরোধীরা যতই চেষ্টা করুক আমরা কিছুতেই বাংলাকে ভাগ হতে দেব না। আমরা কোচবিহারে হিংসা নয় শান্তি চাই। দার্জিলিং, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি আমার হৃদয়ের অংশ, আমরা এখানে বিভেদের রাজনীতি বরদাস্ত করব না। তৃণমূল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করে।
বিরোধীদের কড়া ভাষায় আক্রমণ করে তিনি বলেন, বিজেপি জানে যে ওরা জিততে পারবে না তাই ওরা হিংসা আর বিভেদের রাজনীতি শুরু করেছে। তৃণমূলের জোটের প্রয়োজন হয় না, কারণ তৃণমূলের জোট মানুষের সঙ্গে। সিপিএম আর কংগ্রেস মিলে এখন কংরেড হয়ে গেছে। ওরা নিজেদের নীতি ও আদর্শকে আজ বিসর্জন দিয়ে একে অপরের কাছে নিজেদের বিক্রি করে দিয়েছে।