February 12, 2025
এই বাজেটে আমার একটা ‘ভিশন’ রয়েছে, সেটা হল কর্মসংস্থান : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

তৃতীয় মেয়াদে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, তাঁর কাজের অভিমুখ হবে শিল্পায়ন এবং কর্মসংস্থান। গত সপ্তাহে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকে বিনিয়োগ, শিল্পায়ন এবং কর্মসংস্থানের বার্তা দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার রাজ্য বাজেট পেশের পরে সাংবাদিক বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ওনার বক্তব্যের কিছু অংশ:
এই বাজেটে আমার একটা ‘ভিশন’ রয়েছে। সেটা হল কর্মসংস্থান
ডেউচা-পাঁচামিতে যে পরিমাণ কয়লা মিলবে, তাতে আগামী ১০০ বছর বিদ্যুৎ উৎপাদনে আমাদের কোনও চিন্তা থাকবে না
রাজারহাটে সিলিকন ভ্যালির আদলে যে তথ্যপ্রযুক্তি প্রকল্প গড়ে উঠছে, সেখানে প্রাথমিক ভাবে স্থির করা হয়েছিল ১০০ একর জমি লাগবে। কিন্তু এখন তা ২০০ একরে পৌঁছে গিয়েছে। ওই তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে সরাসরি ৭৫ হাজার কর্মসংস্থান হবে
বানতলা চর্মনগরীতে ইতিমধ্যেই পাঁচ লক্ষ মানুষ কাজ করছেন।যে পরিমাণ বিনিয়োগ সেখানে আসছে, তাতে অচিরেই আরও আড়াই লক্ষ কর্মসংস্থান হবে
রাস্তার কাজ হতে হতে যাবে। পাশাপাশিই চাকরিও হতে হতে যাবে
গ্রামীণ মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হবে। পাশাপাশিই শহরের অর্থনীতিও পুষ্ট হবে। আমরা মেলবন্ধন করতে চাই
আমাদের ছেলেমেয়েরা বাইরে গেলে তাঁদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়। বাংলার যোগ্যতাকে সম্মান দেওয়া হয় না
কেন দিল্লি একটা নাম চাপিয়ে দেবে, সেই চাপে প্রকল্পের নামকরণ করতে হবে? বাংলার কি ঐতিহ্য নষ্ট হয়ে যাবে? বাংলার কি নিজস্ব ভাষা নেই? নাকি বাংলার কোনও সংস্কৃতি নেই? আমরা তো এখানে হিন্দি, উর্দু, নেপালি, অলচিকি – সব ভাষাকে সম্মান দিই। সব ভাষাকে স্বীকৃতি দিই
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ২ কোটি ২১ লক্ষ মা-বোনেরা পায়। তাতে প্রচুর টাকা খরচ হয়। ৫০ হাজার কোটি টাকা।আমাদের দেখাদেখি টুকলি করে কিছু রাজ্যে বিজেপি জেতার জন্য যেটা করেছে, অনেক রাজ্য আবার বন্ধও করে দিয়েছে। তাদের মধ্যে অনেক রেস্ট্রিকশন আছে। বাইক থাকলে পাবে না। বছরে আড়াই লক্ষ টাকা আয় করলে পাবে না। কিন্তু আমাদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ইউনিভার্সাল। একটা পরিবারের কেউ রূপশ্রী পায়, কন্যাশ্রী পায়, কিষান ভাতা পায় আবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারও পায়