April 4, 2024
আমি থাকাকালীন ওদের ক্ষমতা নেই যে বাংলার মানুষের গায়ে হাত দেবে : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জলপাইগুড়ির মালের মাল আদর্শ বিদ্যাভবনের মাঠে জনসভা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ওনার বক্তব্যের কিছু অংশ:
এখানে বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিআইএম আছে। সঙ্গে একটি মুসলিমদের পার্টি হয়েছে। যেমন হায়দরাবাদে এআইএমএম করে বেড়াচ্ছিল, (এরা সেরকমই করে পশ্চিমবঙ্গে)। এদের কাজ হচ্ছে, বিজেপির থেকে টাকা নিয়ে সংখ্যালঘু ভোটকে ভাগ করে দেওয়া। যাতে তৃণমূল জিততে না পারে, আমি হাতজোড় করে বলব, আপনারা এখানে শান্তিতে আছেন। আপনাদের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের। কেউ ওই চক্রান্তে জড়াবেন না।
কোচবিহারে আমাদের প্রার্থী একটা হিরে। কথা কম বলে। কাজ বেশি করে।
জনগণের কাছে আর্জি, আমার মুখটা মনে করে ভোটটা দেবেন। আর ভোট দিয়েই বলবেন জয় বাংলা।
বলছে যে ইডির টাকা গরিব জনগণকে দেব। আমি বলছি যে দিয়েছ সেই টাকা? আর কত টাকা করে দেবে? ২১ টাকা করে পাবেন। ২১ টাকা করে চাই নাকি বাংলাকে বাঁচাবেন? ২১ টাকা করে চাই নাকি দেশকে বাঁচাবেন?
আপনি কেউটে সাপকেও বিশ্বাস করতে পারেন। সাপুড়েরা পোষ মানাতে পারেন। কিন্তু জীবনে বিজেপি পার্টিকে বিশ্বাস করতে পারবেন না।
পরিযায়ী শ্রমিকদের বলছি যে ভোটটা দিয়ে যাবেন। নাহলে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দিয়ে দেবে। আমরা ২৮ লাখ পরিযায়ী শ্রমিকের তালিকা তৈরি করেছি। বিপদের সময় তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করি আমরা।
চা বাগান বন্ধ করে দিয়েছে। চিন্তা করবেন না। আমরা মন-প্রাণ দিয়ে রক্ষা করব। মানুষের দাম দিই। মানুষের অধিকার কেড়ে নিই না।
এখানে এসে কুমিরের কান্না কাঁদবেন। ওঁদের জিজ্ঞাসা করবেন যে রাজ্য সরকার যে আবাস যোজনার জন্য ১১ লাখ নাম পাঠিয়েছিল, সেটার কী হল? ১০০ দিনের কাজের টাকার কী হল?
আমি থাকাকালীন ওদের ক্ষমতা নেই যে বাংলার মানুষের গায়ে হাত দেবে। ভোটের আগে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) করছে। মনে রাখবেন যে সিএএ হল মাছের মাথা। আর মাছের ল্যাজা হল এনআরসি। কোনও সিএএ হবে না। কোনও এনআরসি হবে না।
এখানে একজন বাবু আছে। আমাদের দল থেকে তাড়িয়ে দিয়েছি। আমাদের দলে ছিল আপদ। বিজেপির সম্পদ হয়ে গিয়েছি। আমি শুনেছি যে সেন্ট্রাল গভর্নমেন্টের পুলিশের টুপি পরে বেড়ায়।