Latest News

February 10, 2014

আয়ের সুযোগ বাড়াতে চালু হল রাজ্যের প্রথম কমিউনিটি কলেজ

আয়ের সুযোগ বাড়াতে চালু হল রাজ্যের প্রথম কমিউনিটি কলেজ

প্রথাগত শিক্ষার পাশাপাশি পড়ুয়াদের রোজগারের সুযোগের সম্ভাবনা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে আসানসোলে চালু হল ‘কমিউনিটি কলেজ’। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক ও রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতরের যৌথ উদ্যোগে শনিবার আসানসোল বিবি কলেজে এই কলেজের উদ্বোধন হয়। শহরে এরকম একটি কলেজ চালু হওয়ায় খুশি এলাকার বণিক মহল ও উদ্যোগপতিরা।

শিল্পাঞ্চলের বেকার যুবক-যুবতীদের এখানে বৃত্তিমূলক ও পেশা সহায়ক পাঠ্যক্রম পড়ানো হবে। তিন বছরের পাঠ্যক্রম শেষে পড়ুয়ারা স্নাতক ডিগ্রি পাবেন। তা সরকারি ও বেসরকারি শিল্প সংস্থায় চাকরি পেতে তাদের সাহায্য করবে। স্বরোজগার প্রকল্প শুরুর ক্ষেত্রেও বাড়তি সুবিধা পাওয়া যাবে।

দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই ধরনের কলেজ আগেই হয়েছে। এ রাজ্যে এই উদ্যোগ এখানেই প্রথম হল। এ রাজ্যে ছ`টি ডিগ্রি কলেজ ও সাতটি পলিটেকনিক কলেজে প্রাথমিক ভাবে এই পাঠ্যক্রম পড়ানো হবে। কী রকম সাড়া মিলছে, তা দেখে আগামী দিনে আরও কিছু কলেজে শুরু হবে। কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী মলয় ঘটক জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইচ্ছেতেই এখন কলেজগুলিতে এই ধরনের উদ্যোগ হচ্ছে।

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩৫টি কলেজের মধ্যে একমাত্র বিবি কলেজই এই পাঠ্যক্রম পড়ানোর সুযোগ পেয়েছে। এই পাঠ্যক্রমের নাম `ব্যাচেলর অব ভোকেশনাল` (বি ভোক)। প্রথমে দু`টি বিষয় পড়ানো হবে ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি এবং অর্গানিক ফার্মিং অ্যান্ড ফুড প্রসেসিং।

`বি ভোক`-এর সুবিধা

  • রাজ্যে ৬টি ডিগ্রি ও ৭টি পলিটেকনিক কলেজে চালু হবে এই ধরনের পাঠ্যক্রম।
  • আসানসোলের কলেজে আপাতত দু`টি বিষয় পড়ানো হবে।
  • তিন বছরের পাঠ্যক্রম।
  • দৈনিক বেতন ৫০ টাকা।
  • ইউজিসি ইতিমধ্যে মঞ্জুর করেছে প্রায় তিন কোটি টাকা।
  • পড়া শেষে তিন মাস নানা শিল্প সংস্থায় প্রশিক্ষণের সুযোগ। মিলবে মাসিক হাজার টাকা ভাতা।

এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ইতিমধ্যে প্রায় তিন কোটি টাকা অনুমোদন করেছে। দু`টি পাঠ্যক্রমে মোট ৬০টি আসন আছে। মাসিক ৫০ টাকা বেতন দিয়ে পড়তে হবে।

যে সব ছাত্রছাত্রী স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করার সময়ে নানা কারণে পড়া ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন, তাঁরাও এই পাঠ্যক্রমে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন। পড়াশোনার শেষে প্রত্যেকেই তিন মাসের জন্য বিভিন্ন শিল্প সংস্থায় প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবেন। সেই সময়ে পড়ুয়ারা মাসিক এক হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন। অমলেশবাবু জানান, এই শিল্পাঞ্চলে একাধিক সরকারি ও বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠান আছে যেখানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীর দরকার হয়। তাই এই পড়ুয়াদের পেলে শিল্প সংস্থাগুলিরও নিয়োগ করা সম্ভব হবে।