উন্নয়ন ও দায়িত্ব-কর্তব্য

দীর্ঘ সংগ্রামের পর বাংলায় পরিবর্তন এসেছিল। জনতার সমুদ্রে ভর দিয়ে জননেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের হাত ধরে বাংলায় এক নতুন সূর্য উঠেছিল সেদিন। আর এই সূর্যোদয়ের পেছনে ছিল কয়েক হাজার তৃনমূল নেতা- কর্মীর আত্মবলিদান।

গনতন্ত্রের পথ ধরে যে বাংলা সেদিন নেত্রী হাতে পেয়েছিলেন তা ছিল পুরোপুরি নিঃস্ব-রিক্ত। ৩৪ বছরের অনুন্নয়নের ধাক্কায়  ঝাঁঝড়া হয়ে গিয়েছিল বাংলার স্বপ্ন। প্রায় ২ কোটি বেকার, কেন্দ্রের ঘরে প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ রেখে বাংলা থেকে বিদায় নিয়েছিল বামফ্রন্ট। কোষাগার ছিল পুরোপুরি শুন্য।ঠিকাদাররাজ, দালালরাজ থেকে শুরু করে বেআইনি কর্মকান্ডের গর্ভগৃহ হয়ে উঠেছিল সরকারি অফিসগুলি। দিনের শেষে সরকারি দফতরে মিছিল-আন্দোলন কর্মসূচি পাওনা ছিল রাজ্যবাসীর। অধিকাংশ কারখানার গেটে তখন তালা ঝুলছে, শ্রমিক-মহল্লায় হাহাকার। গরিব কৃষকের জমি কেড়ে নিয়ে শিল্পপতিদের কার্যত জলের দরে দিয়ে দিয়েছিল আলিমুদ্দিনের শাসকরা। শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতির বিষবাষ্প সুকোলমতি পড়ুয়াদের মেধা-বুদ্ধি-বৃত্তিকে পুরোপুরি অকেজো করে দিয়েছিল। উন্নয়ন ভুলে গিয়ে শুধুমাত্র ভোট লুঠ করে ক্ষমতায় বসেছিলেন চেচেস্কুর উত্তরসূরিরা।

সিঙ্গুর, নন্দিগ্রাম শুধু নয়, নেতাইয়ের মতো কলঙ্কজনক ঘটনা ঘটিয়ে একের পর এক গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছিল সিপিএম নেতারা। জমি বাঁচাতে গিয়ে তাপসী মালিকের মতো অনেক নারীর সম্ভ্রমের পাশাপাশি প্রাণও গিয়েছে। কয়েক ডজন শিশু-কিশোর হারিয়ে গিয়েছে নন্দীগ্রামের লড়াইয়ের সাক্ষী হলদি নদীর জলে।সেদিনের স্মৃতি মনে পড়লে আজও আঁতকে উঠতে হয়। নেত্রীর নির্দেশে আমাদের মতো সৈনিকরা তখন দিনরাত এক করে মানুষকে সঙ্গে নিয়ে জুলুমবাজির সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছিলাম। এই দীর্ঘ সংগ্রামে বেশ কয়েকবার নেত্রীর জীবন বিপন্ন হয়েছে। কোনওক্রমে প্রানে বেঁচে গিয়েছিলেন আমাদের সকলের প্রিয় জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিঙ্গুরের বিডিও অফিসে রাতের অন্ধকারে আলো নিভিয়ে দিয়ে পুলিশের রাইফেলের কুঁদো দিয়ে গুঁতিয়ে নেত্রীকের হত্যার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে বাম সরকারের পুলিশ। যত তাঁর উপর আঘাত এসেছে ততই আরও জোরদার আন্দোলন করে মানুষের দাবিকে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালিয়েছেন।

এভাবেই একদিন মানুষকে সঙ্গে নিয়ে গণতন্ত্রের বেদিমূলে অর্ঘ্য দিয়ে সরকারে পৌঁছে দিয়েছেন জননেত্রী। কিন্তু দায়িত্ব নিয়েই মহাকরণে বসে দেখতে পেয়েছেন বাম জমানার রেখে যাওয়া প্রশাসনে তখন শুধুই দলবাজি। কর্মসংস্কৃতির পুরোপুরি বিসর্জন হয়ে গিয়েছে রাজনীতির গঙ্গায়। পুলিশ এবং প্রশাসনের কর্তা-ব্যক্তিরা সাধারণ মানুষের পরিবর্তে লাল পার্টির নেতাদের অঙ্গুলিহেলনে ওঠাবসা করেছিলেন।মানুষের উপকার দুরের কথা নুন্যতম দায়িত্ব ও কর্তব্য ভুলে গিয়েচগিলেন প্রশাসনিক ব্যক্তিত্বরা। সব মিলিয়ে সেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভয়াবহ- ভগ্নদশা অবস্থায় বাংলাকে পেয়েছিলেন তা বোধ করি বিশবের অন্য কোনও প্রশাসক পেলে দায়িত্ব নিতেন না। কিন্তু মানুষের উন্নয়নে ২৪ ঘন্টা কাজ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ অগ্নিকন্যা রীতিমতো চ্যালেঞ্জ নিয়ে বাংলার প্রশাসনিক দায়িত্ব নিয়েছিলেন। আর এই দায়িত্ব তাঁকে যে বিশবসভায় বাংলাকে পৌঁছে দেওয়ার শপথ নিতে সাহায্য করেছে তাঁর প্রমাণ কন্যাশ্রী এখন বিশ্বশ্রী। গর্বিত বাংলা,গর্বিত আমি তাঁর সরকারের একজন সহকর্মী হয়ে কাজ করার সুযোগ পেয়ে। অবশ্যই গর্বিত বাংলার তৃনমূল কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীরা, যারা সরকারের নানা প্রকল্প ও পরিষেবাকে জনতার কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন। জেলায় জেলায় নানা চক্রান্ত ও বিরোধিদের ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত সমস্ত প্রকল্প এবং পরিষেবা সাধারণ মানুষের জন্য বাস্তবায়িত করে চলেছেন।

কিন্তু কেন তিনি এমন একটা সবদিক থেকে দেউলিয়া সরকারের দায়িত্ব নিলেন? কীভাবে ও কোন পথে কেন্দ্রীয় সরকারের লাগাতার বঞ্চনা এবং পক্ষপাতিত্ব উপেক্ষা করে এভাবে বিপুল উন্নয়নে কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছেন? বিদেশের প্রতিনিধিরা যখন কলকাতায় আমাদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন, তখন সকলেরই এই দুটি প্রশ্ন অবধারিত করে থাকেন। দিন কয়েক আগে কলকাতার মার্কিন দুতাবাসের এক শীর্ষ আধিকারিক আমার কাছে জানতে চেয়েছিলেন, মাত্র তিন মিনিটে রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে দাঁড়িয়ে কীভাবে কন্যাশ্রী প্রকল্পের সাফল্য তুলে ধরলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী? বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার শীর্ষকর্তারা কলকাতায় এসে অবাক বিস্ময়ে অনুসন্ধান করেছেন কোন জাদুমন্ত্র বলে ন্যায্যমূল্যের দোকানে এত বিপুল ছাড় দিয়ে ওষুধ বিক্রি হচ্ছে। বলতে পারেন, এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিরাকেল। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভাবনী শক্তির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে কেউ যে পারবে না, তা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছেন দেশ- বিদেশের নানা সামাজিক প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিত্বরা।

বাংলার প্রশাসনের দায়িত্ব নিয়ে জননেত্রী দেখেছিলেন সামাজিক প্রকল্প ও পরিষাবার ক্ষেত্রে বিপুল শুন্যতা। রেশন দোকানের নাম করে যে সমস্ত ডিলাররা চাল-গম সংগ্রহ করতেন,তাঁর অধিকাংশই গ্রামের মানুষের কাছে পৌঁছাত না। গড়িব মানুষের নাম করে সরকারি তহবিল থেকে কোটি কোটি টাকা ঘুরপথে পৌঁছে যেত সিপীম-এর পার্টি অফিসগুলিতে। স্কুল-কলেজে শিক্ষকদের একটা বড় অংশই শিক্ষাঙ্গনকে রাজনীতির ক্রিড়াঙ্গনে পরিনত করেছিলেন। মাসের পর মাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে না এলেও বেতন নিয়ে চলে যেতেন একদল রাজনীতি-সর্বসব লালপার্টির নেতারা। হাসপাতালে রোগী ভর্তি হতে এসে দালালচক্রের হাতে সমস্ত খুইয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন। এমন অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একের পর এক সামাজিক প্রকল্প চালু করার পাশাপাশি বিপুল কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলেন।

এতদিন বাংলার মানুষ জানতেন যে মুখ্যমন্ত্রী মানে মহাকরণের অলিন্দে থাকা একটা ক্ষমতাশালী মানুষ। স্বাধীনতার পর কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রতি মাসে জেলায় জেলায় ঘুরে উন্নয়ন নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেছেন, এমন নজির শুধু দেশ কেন, গোটা বিশ্বে নেই। অথচ তৃনমূল নেত্রী গত ছ’বছরের বেশি সময় সেটাই অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে করে চলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তাঁর প্রথম সফর ছিল জঙ্গলমহল। এরপর পাহাড়, সুন্দরবন সর্বত্রই ঘুরে ঘুরে সরেজমিনে উন্নয়নের নানা প্রকল্পের বাস্তবায়নের দেখেছেন তিনি। পরখ করেছেন প্রতিট প্রকল্পের সরকারি ব্যয়ের খুঁটিনাটি। আসলে জনগণের প্রতিটি পাইপয়সার হিসাব অত্যন্ত নিখুঁতভাবে দেখে রাখতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বস্তুত এই কারণে তিনি প্রায়ই বলেন “আমি জনগণের পাহারাদার।” শুধু উন্নয়ন নয়, দুর্গাপুজো থেকে মহরম, ইদ থেকে বড়দিন, নববর্ষ থেকে নিউইয়ার, উৎসবে যখন বাংলার কোটি কোটি মানুষ মগ্ণ থাকেন, তখন প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে কড়া নজরদারি চালিয়ে যান জনতার নেত্রী।

অশান্তির ঘুর্ণিঝড় বিধ্বস্ত করে দিয়েছিল জঙ্গলমহল। ফেরালেন শান্তি। সঙ্গে সঙ্গে বিপথে যাওয়া জঙ্গলমহলের যুবকদের জীবনে এনে দিলেন কর্মসংস্থানের অক্সিজেন। এখানেই শেষ নয়, সমস্ত আদিবাসীদের জন্য দু’টাকা কিলো চাল-আটা চালু করলেন। সবুজ সাথী সাইকেল থেকে শুরু করে কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, মাতাশ্রী-র মতো নানা প্রকল্প আজ শুধু বাংলায় নয়, গোটা দেশেই বিভিন্ন রাজ্য অনুকরণ করছে। কন্যাশ্রী প্রকল্প শুধুমাত্র নারীশিক্ষায় আলো আনেনি, বাল্যবিবাহ থেকে শুরু করে নারী পাচার অনেকটাই বন্ধ করে দিয়েছে আমাদের রাজ্যে। আর সেই কারণেই রাষ্ট্রসংঘ কন্যাশ্রী প্রকল্পের প্রবক্তা বাংলার নবরুপকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে বিশ্বসম্মান তুলে দিয়েছে। বাংলা হয়েছে সত্যি সত্যি বিশ্ববাংলা।

দেশের এক অস্থির সময়ের মধ্যে দিয়ে আমরা এগিয়ে চলেছি। মানুষে মানুষে ভেদাভেদ তৈরি করে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্পে শ্বাসরোধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে আমাদের। সামাজিক সম্প্রীতি আজ মরুভূমিতে পরিণত হতে চলেছে। দেশে চরম অসহিষ্ণুতা গ্রাস করতে চলেছে। এমন প্রেক্ষাপটে দেশবাসীর কাছে একটাই মরূদ্যান- বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, মা-মাটি-মানুষের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লি থেকে পাটনা, সর্বত্রই তাঁকে সামনে রেখেই দেশের সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শপথ নিচ্ছেন। স্বভাবতই বাংলার তৃনমূল কর্মীদের দায়িত্ব পড়েছে মা-মাটি-মানুষের নেত্রীর উপর। তাই একদিকে যেমন নেত্রীর চালু করা সমসত প্রকল্প ও পরিষেবা আরও বেশি করে জনতার কাছে পৌঁছে দিতে হবে, অন্যদিকে সাম্প্রদায়িকতা-বিরোধী লড়াইকে আরও জোরদার করতে হবে। দলকে করতে হবে আরও শক্তিশালী। দলীয় কর্মিদের মনে রাখতে হবে, দলীয় সংগঠন যত শক্তিশালী হবে, নেত্রীর হাত ততই মজবুত হবে। আর দেশের নেতৃত্ব দিতে আরও সহজ এবং সাবলীল পথ হয়ে উঠবে আমাদের প্রিয় নেত্রীর। মনে রাখতে হবে, সেদিন আর বেশি দূরে নেই, যেদিন মা-মাটি মানুষের নেত্রীর হাত ধরেই বিভাজনের রাজনীতিকে গুড়িয়ে দিয়ে দেশে মুক্তির নতুন সূর্য উঠবে। নতুন ভারত গড়ে উঠবে, স্বপ্ন সফল হবে মা-মাটি মানুষের।

সামনে জোর লড়াই

বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে বহু চাপান -উতোর পার করে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে সংঘবদ্ধ করে ২০১১-র ২০মে বাংলার ক্ষমতায় এলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়. সেই ঐতিহাসিক বিধানসভানির্বাচনে ২৭ দিনে ১৮৭ টি জনসভার মধ্যে দিয়ে বাংলার মানুষের কাছে পৌঁছান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সেই রাজনৈতিক সন্ধিক্ষণে বাংলায় সঠিক পরিস্থিতির বাতাবরণকে সামনে রেখে মানুষেরকাছে আবেদন করেছিলেন বাংলার পরিবর্তনের।রাজনৈতিক সন্ত্রাস,অরাজকতা ,অনুন্নয়নের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে উন্নয়নের বাংলা গড়ে তোলার সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে বাংলার মানুষ মমতাবন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলার কান্ডারি হিসাবে চিহ্নিত করলেন।
রাজনৈতিক সন্ত্রাস,অরাজকতা ,অনুন্নয়নের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে উন্নয়নের বাংলা গড়ে তোলার সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলার কান্ডারি হিসাবে চিহ্নিতকরলেন।

বাংলার মানুষের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে উন্নয়নের কর্মসূচি নিয়ে রাজ্যজুড়ে কন্যাশ্রী  ,যুবশ্রী,খাদ্যসাথী,সবুজসাথী,জলধরো-জলভরোর মতো বিভিন্ন কর্মযজ্ঞের মধ্যে দিয়ে বাংলার মানুষের কাছেপোঁছানোর চেষ্টা করলেন।শুধু প্রকল্প রুপায়নের মধ্যে দিয়ে বাংলার মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করলেন । শুধু প্রকল্প রুপায়নের মধ্যে দিয়ে বাংলার মানুষ সুফল পেতে শুরু করল ।

প্রথম পর্যায়ে ১১৬ টি প্রশাসনিক বৈঠক করে সচিবালয়ের মন্ত্রীবর্গ থেকে শুরু করে আধিকারিকদের নিয়ে বাংলার গ্রামে গ্রামে পৌঁছে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সর্বস্তরের মানুষকে তার পাওনা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করলেন। মানুষের কাছে পৌঁছাতে শুরু করল মা-মাটি-মানুষের সরকারের বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা , খাদ্য সাথীর মতো প্রকল্পের সুবিধা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কর্মকাণ্ড মানুষ উপলব্ধি করেছে বলেই ২০১৬ র নির্বাচনে যথাযোগ্য মর্যাদা দিয়েছে। আমরা মনে করি সংসদীয় গণতন্ত্রে কোন নির্বাচন এলে যে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় এসেছে রাজ্যের সাফল্য বা ব্যর্থতা সেই সরকারের ওপর নির্ভর করে। তাঁর উপরেই নির্বাচনে অংশ নেয় সরকার। কিন্তু আমরা প্রত্যক্ষ করলাম, ২০১৬ সালে গণতান্ত্রিক রীতিনীতি উপেক্ষা করে বিরোধী দলগুলির সঙ্গে কিছু সংবাদমাধ্যমের যোগসাজশে একদিকে মুখ্যমন্ত্রীকে হেয় করা ও তাঁর কর্মসূচিগুলিতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা যার মুখ্য নায়ক ছিল কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন শাসকদল। কিন্তু আমরা বাংলার মানুষকে কুর্নিশ করি, কারণ সাত দফা নির্বাচনে তাপপ্রবাহ (৪১ ডিগ্রী) উপেক্ষা করে মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দু হাট তুলে আশীর্বাদ করেছেন। আশীর্বাদ এমন জায়গায় পৌঁছালো যে, ২০১১ র ১৮৭ টি আসনকে অতিক্রম করে ২০১৬ তে তা ২১১ টি আসনে নিয়ে গিয়ে কেন্দ্রের শাসকদলের মুখে ঝামা ঘষে দিয়েছিল। তার পর আবারও উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ অব্যাহত।

একের পর এক মনিষীর আত্নমবলিদানে ভারত স্বাধীন হয়েছে ১৯৪৭ এর ১৫ আগস্ট। তার পর সর্বজন শ্রদ্ধেয় ডঃ বি আর আম্বেদকার দায়িত্ব নিলেন সংবিধান কমিটির। যার ফল মানুষ পেল ১৯৫০ সালে। ভারতবর্ষের সংবিধান ভারতবর্ষকে সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং সংবিধান মোতাবেক মানুষ পাঁচ বছর অন্তর তাদের মতামতের ভিত্তিতে ভারতের সরকার তৈরি করে। সংবিধান মোতাবেক প্রথম নির্বাচন হয় ১৯৫২ সালে। ১, ২ করতে করতে ১৬ তম নির্বাচন হল ২০১৪ সালে। সেই নির্বাচনে ভারতবর্ষের মানুষ বিজেপির নানান রকম প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে আশাগ্রস্ত হয়ে ভারতবর্ষের ক্ষমতায় আসীন করে। দুর্ভাগ্য ভারতের মানুষের। তবে তারা উপলব্ধি করেছে এই সরকার ও রাজনৈতিক দলের একমাত্র উদ্দেশ্য নানা অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতা তৈরি করার পাশাপাশি দেশের রাজনৈতিক দলগুলিকে বিপর্যস্ত করা। একদিকে মানুষের পাওনা থেকে তাকে বঞ্চিত করে, নোটবন্দি, স্বল্প সঞ্চয়ের সুদের হার হ্রাস, ব্যাঙ্কে নাআন বাধ্যবাধকতা তৈরির মত নানা জনবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়ে অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। ধর্মের সুড়সুড়ি দিয়ে জাতিতে জাতিতে সংঘর্ষ ঘটিয়ে সামাজিক বিভাজন ঘটানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে, যা সংবিধান বহির্ভূত। আগ্রাসী ভূমিকা নিয়েছে এই রাজনৈতিক দল।

বাংলা সহ ভারতের রাজনৈতিক লড়াইয়ে তাই ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দলগুলি জোটবদ্ধ হওয়ার প্রচেষ্টা শুরু করেছে। কোথাও কোথাও খামতি যদি মনে হয়, তাতেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখেই সংবদ্ধ দলগুলি আগামিদিনে গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ ভূমিকা নেবে। আর তৃণমূল নেত্রীর প্রতিবাদী কণ্ঠ সোচ্চার বলেই তিনি পেরেছেন ২১ জুলাই দলের মহতি সভা থেকে সাম্প্রদায়িকতা ভারত ছাড়োর ডাক দিতে। সেখান থেকে মেদিনীপুরের সভায়। সেখান থেকে আওয়াজ তুলে ভারতের সমস্ত প্রান্তে পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করলেন। নির্যাতন যত বেশি হবে এই আওয়াজ তত তীব্র হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংকল্প বাংলার মানুষের সমর্থন নিশ্চিতভাবে আগামিদিনে ভারতবর্ষ ব্যাপী ছড়িয়ে দেবে এই আওয়াজ – সাম্প্রদাকিতা ভারত ছাড়ো।

এই সম্পর্কে বলা যায়, ভারতের সর্বস্তরের মানুষের সমর্থন নিয়ে সাম্প্রদাকিতা ভারত ছাড়ো স্লোগান দিয়ে মানুষ ২০১৯ এ লোকসভায় হাজির হবে। এবং আমত্রা নিসচিত ২০১৯ এ সর্বস্তরের, সর্বজাতের, সর্বপেশার মানুষ সংগবদ্ধ হয়ে সাম্প্রদায়িকতাকে হটিয়ে ধর্মনিরপেক্ষ সরকার গঠন করবে, নেতৃত্বে অবশ্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই আমাদের ভূমিকা আরও কঠিন। লড়াই আরও শক্ত মনে হলেও পথ প্রশস্ত। আগামি দিনের সর্বস্তরের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে মানুষের পাশে থেকে সার্বিক উন্নয়ন, আমাদের এই কর্তব্য পালন করে যেতে হবে। সবরকমভাবে বাংলার মানুষ অত্যন্ত সক্রিয়। তারা উপলব্ধি করেন তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার ৯ কোটি মানুষের মধ্যে সাড়ে ৬ কোটি ভোটার আর আড়াই কোটি পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে খাদ্যসাথীর মত প্রকল্প নিয়তে পারে না। মানুষ তার উন্নয়নের ছোঁয়া পান। আমাদের তৈরি হতে হবে সাম্প্রদায়িকতা হটিয়ে ধর্মনিরপেক্ষ সরকারের দিকে।

Delhi’s So-Called National Media and Its Irrelevant Obsessions

Indian politics has changed, but the national media hasn’t quite realised it. Actually, it would be a travesty to call a bunch of Delhi-based channels and newspapers – some of which sell barely a few thousand copies – the ‘national media’. They are the Delhi media and yet they have given themselves national status. Regional-language papers and channels, whether in Bengali or Gujarati, Tamil or Hindi, may sell millions more and be watched by millions more but they will never be considered ‘national’. Like the ‘regional parties,’ they are forever consigned to second-rate status in the Delhi media caste system.

The Rajya Sabha has 233 elected members, of which around fifty per cent belong to the BJP and the Congress. Fifty per cent% of the House is made up of the non-BJP non-Congress parties, many who often act in concert. For example, anti-Dalit atrocities in Gujarat and elsewhere were raised by the Bahujan Samaj Party (BSP), Trinamool and other parties. I recall the attempt to make Aadhaar compulsory for claiming government benefits and availing public services – an imposition that is contrary to earlier commitments by the government and the advice of the courts -was protested against by the Samajwadi Party (SP), the Biju Janata Dal (BJD) and the Trinamool Congress (AITC).

Issues of public importance are taken up by the opposition when Parliament is in session. Often these subjects are first raised by comparatively smaller parties not always by the Congress, who have by far the most number of opposition MPs in the Rajya Sabha. The media, almost by reflex action, reports it, however, as a Congress versus BJP battle. Generally speaking, regional parties – fifty per cent of the Rajya Sabha as I said – are given scant coverage. The one exception among the smaller parties is the Aam Aadmi Party (AAP). Good for them. I suspect they get more than a fair share of media coverage because they are based in the capital. If AAP were a Bengaluru based party phenomenon or a Mumbai-based party, it would have received the same neglect. For Delhi’s media supremacists, there is no India beyond the capital, or at best Gurgaon and Noida.

This may sound like a churlish complaint. It is not, and Trinamool is certainly not pleading for column inches and prime-time space. The fact is that this is a snapshot of inadequate knowledge and awareness of political and social issues and the churning in the country by a media permanently stationed in Central Hall. I got a taste of this during the 2016 West Bengal election, when Delhi-based journalists were making wild predictions without setting foot in the state and without speaking to anybody other than BJP and Congress and occasionally CPI(M) fat cats who were and are Delhi fixtures.

Doesn’t India deserve better? Doesn’t the media industry, now so rich and well-endowed, aspire to higher standards? Isn’t there a credibility gap? Does the media have interest in understanding how policy is shaped and legislation is negotiated in Parliament? Can this be done without engaging with and understanding what I term the ‘middle bloc’ – the state parties that occupy the largest space in the Upper House, between the BJP and the Congress?

The media is overwhelmed by the same one dozen personalities and politicians from the two big parties that it interacts with everyday. The ‘special briefings’ too come from the same folks. What is even more dangerous is that some glam television anchors are becoming self-obsessed. Do you recall the bizarre sight of an anchor on News Channel A interviewing an anchor from News Channel B about the conduct and views of an anchor from News Channel C? I was aghast.

This is delusional. Who the hell is interested, in this country of a billion people, if a couple of senior journalists have a personality clash or even an argument on principles? It can form the subject of a panel discussion at the India International Centre or Press Club, but how is it prime-time news? The messenger cannot become the message. The media cannot be interviewing each other and reporting on each other. That is what we did when we produced college magazines.

I know much has been said in the past about ‘nationalist’ and ‘anti-national’ media. This is a tiresome debate. Much more important than this squabble about ‘nationalist’ and ‘anti-national’ is the question of what the Delhi-based media considers ‘national’ and what it considers ‘regional’. We very easily give these titles and names to media outlets, to politicians and to economic, social and political grievances and concerns. So a short-lived Delhi-Gurgaon flood, which causes only traffic jams, is a ‘national story’. And a week-long flood in West Bengal or Assam, which displaces thousands and kills fifty, is a small-time ‘regional’ story. I rest my case.

Mamata Banerjee inaugurates several community Durga Puja pandals

Chief Minister Mamata Banerjee inaugurated several community Durga Pujas this week. She started inaugurating from the day before Mahalaya.

The Chief Minister inaugurated Ekdalia Evergreen, Hindustan Park, Behala Natun Dal, Ajay Sanhati, Naktala Udayan Sangha, Jodhpur Park 95 Pally, Ahiritola Durgotsav, Santoshpur Sarbajonin, Sreebhumi Sporting Club and several other pandals.

Like every year, this year too she drew the eyes of Ma Durga – called ‘chokkhudan’ (‘gifting the eyes’) in Bengali, which is a crucial ritual of Durga Puja – at Chetla Agrani Club.

The Chief Minister has appealed to the Puja committees to maintain tight security at the pandals so that people can enjoy the sights and sounds in an orderly and peaceful manner.

 

 

 

বিভিন্ন পুজো মণ্ডপের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী

এই সপ্তাহে বিভিন্ন পুজো প্যান্ডেলের উদ্বোধন করেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মহালয়ার আগের দিন থেকে পুজো উদ্বোধনে ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
একডালিয়া এভারগ্রিন, হিন্দুস্তান পার্ক, বেহালা নতুন দল, অজয় সংহতি, নাকতলা উদয়ন সংঘ, যোধপুর পার্ক ৯৫পল্লী, ঐতিহ্যবাহী আহিরিটোলা দুর্গোৎসব, সন্তোষপুর সর্বজনীন, শ্রীভুমি স্পোর্টিং ক্লাব সহ আরও অনেক পুজোর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী।

প্রতি বছরের মত, এবারও তিনি চেতলা অগ্রণী ক্লাবে মা দুর্গার চক্ষুদান করেন।

উৎসবের দিনগুলোতে পুজো প্যান্ডেলগুলিতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা, শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য পুজো কমিটিগুলোকে বিশেষ আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

 

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্বোধন করা কিছু প্রতিমার ছবি দেওয়া হলো, বর্ণানুক্রমিক ভাবে সাজানো (ওনার ফেসবুক পেজ থেকে সংগৃহীত)

 

41 Pally (4)

41 Pally

95 Pally (4)

95 Pally

ABANTI 3

Abanti

Ahiritola (1)

Ahiritola

BABUBAGAN 2

Babubagan

Ballygaunge Culture (1)

Ballygunge Cultural Association

Barisha Club (1)

Barisha Club

BOKULBAGA 1

Bakulbagan

Bosepukur (2) - Copy

Bosepukur Sitalamandir

Chetla Agroni (3)

Chetla Agrani

Ekdalia Evergreen

Ekdalia Evergreen

garia hat hindusthan club 1_Ed

Hindustan Club

Hindusthan Park (1)

Hindustan Park

jodhpur park 3

Jodhpur Park

Kalighat Milan Sangha

Kalighat Milan Sangha

Naktala Udayan Sangha (1) - Copy

Naktala Udayan Sangha

Samaj Sebi (2)

Samajsebi

Shelimpur Palli 18

Selimpur Pally

Shiv Mandir (4)

Shiv Mandir

Sreebhumi (3) - Copy

Sreebhumi Sporting

Tridhara (2)

Tridhara Sammilani

Bengal Tourism Department launches mobile app for Durga Puja

The Bengal Tourism Department has brought out an app on the occasion of Durga Puja, named Sharadotsav. The app is available on Android devices.

The app has four primary sections – ‘Puja in Map’, ‘Nearby Pujas’, ‘Zone-wise Puja’ and ‘Emergency Contacts’.

The ‘Puja in Map’ section has the important well-known Durga Puja pandals marked on a map of Kolkata. The ‘Zone-wise Puja’ section has a list of the famous Durga Puja pandals in Bengal divided into seven groups – North Central Kolkata, Port Area, South Suburban and South West, South and South East, Heritage Puja, Siliguri and Other Puja – along with pictures.

The ‘Emergency Contacts’ section information on blood banks, fire stations, hospitals, the metro rail and police stations.

You can download the app from the Google Play store.

 

নতুন অ্যাপ আনছে পর্যটন দপ্তর – থাকছে দুর্গা পুজোর বিভিন্ন তথ্য

পুজোর ভিড়ে মানুষ যাতে হারিয়ে না যায় সেইজন্য এবার একটি নতুন মোবাইল অ্যাপ চালু করছে পর্যটন দপ্তর। শুধু রাজ্যের মানুষ নয়, শারদোৎসব দেখাতে আসা ভিন রাজ্য বা বিদেশি পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে এই অ্যাপ। অ্যাপটির নাম ‘SARADOTSAV’।

গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে ‘SHARADOTSAV’ লিখলেই কলকাতার দুর্গাপুজো দেখার প্রয়োজনীয় সব তথ্যবাহী এই অ্যাপ পাওয়া যাবে। রাজ্যের অন্য শহরের পুজোর তথ্যও মিলবে এই অ্যাপে। এই অ্যাপে পুজোর নানা পাশাপাশি রাজ্যের নানা দ্রষ্টব্য স্থানের তথ্যও পাওয়া যাবে। পুজো দেখার ফাঁকে সেগুলিও দেখে নিতে পারবেন পর্যটকরা।

এছাড়া এই অ্যাপে থাকছে রাজ্যের বিখ্যাত পুজোগুলির তথ্য, পুজোর নির্ঘণ্ট, বনেদি বাড়ির পুজোর ইতিহাস। কোন পথে গেলে পছন্দের পুজো দেখা যাবে, তাও জানিয়ে দেওয়া হবে ম্যাপের মাধ্যমে। পুজোর মণ্ডপ লাগোয়া রেল, মেট্রো, বাসস্টপের দুরত্বও জানা যাবে। পাশাপাশি নিকটবর্তী রেস্তোরাঁ, পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র, থানা, হাসপাতাল বা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঠিকানা, ব্যাঙ্কের এটিএম, পাবলিক টয়লেটের তথ্য মিলবে।

এখানেই শেষ নয়, কোন পুজোর উদ্বোধন কবে তাও জানা যাবে। অ্যাপের মাধ্যমেই বুক করা যাবে বিসর্জন দেখার জন্য লঞ্চের টিকিট। এছাড়াও এতে রয়েছে বারোয়ারির খুঁটি পুজো থেকে দুর্গা পুজোর মণ্ডপের নানা ছবি। রয়েছে বাংলা শিল্প সংস্কৃতির নানা তথ্য। এর মাধ্যমে ট্যুরিস্ট লজগুলিও বুকিং করা যাবে। তাঁর প্রয়োজনীয় লিঙ্কও দেওয়া রয়েছে এখানে।

অ্যাপ্ ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন

 

Kolkata Police’s Utsav App to help pandal-hoppers during Durga Puja

With smartphones becoming ubiquitous, apps for various purposes are the norm. Keeping this in mind, Kolkata Police created the Utsav App a few years back to help pandal-hoppers during Durga Puja.

The Utsav App becomes one of the most popular apps during the Durga Puja days. It acts as a comprehensive guide to the pandals. This year, the existing features of the app have been enhanced and some new features have been added too.

All the 350 major pujas of Kolkata have been covered – for each, there is a route guide, a detailed storyline, including information on the theme, contact numbers and addresses, and pictures. Since the app links the puja pandals with an online map, one can get turn-by-turn navigation to these destinations.

One can also upload photos and rate and review the pujas. Using the app, a user can check-in and share their status on Facebook.

This year a new section has been added to the app, which the police are expecting to be of major help. Pandal-hoppers will be able to gauge the rush and time required to reach the top 20 puja pandals in Kolkata.

According to a senior official of Kolkata Police, the app will provide an estimated time of arrival (ETA) from the last person in the queue to the pandals of these pujas.

One can also check the nearest pay-and-use toilets, police stations, hospitals and restaurants. Another important section of the app is where photograph and information about a missing child can be uploaded for the police to track and find.

The app also incorporates a ‘Chat and Adda’ feature through which users can find new friends and chat with them.

Click here to download the app from the Google Play store 

 

হাতে অ্যাপ, উৎসবে বন্ধু পুলিশ

 

কোন পথে পুজো? বলে দেবে উৎসব-অ্যাপ। ডাউনলো়ড করা যায় বন্ধু-অ্যাপও!
কলকাতা পুলিশের উদ্যোগে তৈরি এই দুই অ্যাপ হাতে থাকলেই কেল্লাফতে। পথ হারানোর জো নেই। পুজোর মণ্ডপের রাস্তা, ম্যাপ থেকে শুরু করে আশপাশে কোথায় গাড়ি পার্ক করা যাবে, কোথায় খাবারের দোকান— বলে দেবে অ্যাপ।

গত কয়েক বছরের মতো এ বার পুজোতেও এ ভাবেই নাগরিকদের পাশে থাকবে কলকাতা পুলিশ। শহরের দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্ব, উত্তর, মধ্য বন্দর এলাকা থেকে শুরু করে দক্ষিণ-পশ্চিম এবং দক্ষিণ শহরতলির বড় বড় পুজোর রুট-ম্যাপ থাকছে তাদের উৎসব অ্যাপে। শুধু কি ঠাকুর দেখা? থাকছে আরও অনেক কিছুই। অ্যাপ খুললেই জানা যাবে কোন এলাকায় রয়েছে কোন রেস্তোঁরা। পুজোর শহর সাফ রাখতে সুলভ শৌচাগারগুলির খবরও রয়েছে সেই অ্যাপে।

তবে যাঁরা এই সব অ্যাপ ডাউনলোড করার মতো স্মার্ট ফোন ব্যবহার করেন না, তাঁদের কথাও মাথায় রেখেছে পুলিশ। তৈরি হয়েছে লিফলেট। পুজোর মণ্ডপের খুঁটিনাটি ছাড়াও সেখানে বাংলা এবং ইংরাজিতে লেখা থাকছে শৌচাগারের তথ্য।

উৎসব অ্যাপ ছাড়াও কলকাতা পুলিশের দৈনন্দিন ‘বন্ধু অ্যাপ’ থাকলেও একই সুবিধা পাবেন সাধারণ মানুষ।

Source: DNA

For Singur, Durga Puja 2017 would be special indeed

For the residents of Singur, the 2017 Durga Puja would be special. After a long struggle, they have at last got back their land, taken away forcibly in 2006 for setting up industry by the Left Front Government.

Chief Minister Mamata Banerjee has been instrumental in the successful culmination of the Singur Movement. A few months back, after the Supreme Court’s final verdict, Mamata Banerjee had herself felicitated the people involved in the struggle and family members of those killed and affected during the violence unleashed on Singur. She had also sown the first seeds for the new crops with her own hand.

And now, Singur is going to witness its first Durga Puja festival after a momentous victory. A long and hard-fought struggle, laced with the blood and tears of hundreds of people, has come to an end. It’s time for celebration now. And celebrate they will.

Potato, onion, maize, paddy and other crops have been harvested. With the money earned from selling the crops, the people are making preparations for grand festivities – buying clothes and fire-crackers, building colourful pandals, creating idols decked up in finery, and so much more.

The good times have returned. And with the people of Singur too in spirit is the whole of Bengal, celebrating the revival of a people’s hopes and aspirations.

ফিরে পাওয়া জমির প্রথম ফসল দিয়ে ফের পুজোয় মেতে উঠেছে সিঙ্গুরবাসী

 

গ্রামের মানুষের ত্যাগ আর প্রার্থনায় সাড়া দিয়েছেন মা। টানা দশ বছর ধরে অবস্থান, ধর্না, অনশন ও আদালতে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে ঘরের লক্ষ্মী অর্থাৎ জমি ফিরে পেয়েছেন অনিচ্ছুকসহ সমস্ত চাষিরা। হারানো জমির পাশাপাশি পেয়েছেন ক্ষতিপূরণের টাকাও। আদালতের রায়ের পর কেড়ে নেওয়া জমি হাতে পেয়ে আগের মতোই সোনার ফসল ঘরে তুলেছেন চাষিরা। এবছর প্রথম উৎপাদিত সেই ফসল দিয়ে মাতৃ আরাধনার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন সিঙ্গুরের বেড়াবেড়ি গ্রামের মানুষ। ইতিমধ্যেই গ্রামের শীতলামাতা শক্তি সংঘের উদ্যোগে একটি কাল্পনিক মন্দিরের আদলে মণ্ডপ গড়ে তোলার কাজ চলছে। টাটাদের কারখানার জন্য জমি দখলের আগের দিনগুলোর মতোই পুজোর কটা দিন নতুন পোশাকে নিজেদের সাজিয়ে আনন্দোৎসবে মেতে ওঠার প্রস্তুতি নিচ্ছে সিঙ্গুর।

বেড়াবেড়ি গ্রামে প্রায় ২৬০টি পরিবারের বসবাস। জমি অধিগ্রহণের আগে ধুমধাম করে এখানে থিমের দুর্গাপুজো হত। ২০০৬ সালে পুজোর আগেই সিঙ্গুরে টাটাদের জন্য জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়। পুজোর আগেই আন্দোলনের সময়ে ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে বিডিও অফিসে আলো নিভিয়ে দিয়ে নির্বিচারে লাঠিপেটা করে পুলিশ। পুজোর আগে জমি হাতছাড়া হওয়ায় গ্রামের মানুষের সব অভিমান গিয়ে পড়েছিল মা দুর্গার উপরে। তাই জমি ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত পুজো করবেন না বলে শপথ নিয়েছিলেন সিঙ্গুরের বেড়াবেড়ি গ্রামের অনিচ্ছুক চাষিরা। সেই শপথ বজায় রেখে পুজোর সময়ে নতুন পোশাক, ঢাকের কাঠি, আলোর রোশনাই ও আতসবাজি থেকে নিজেদের সরিয়ে রেখেছিলেন গ্রামের মানুষ।

বেড়াবেড়ি দুর্গাপুজো কমিটির অন্যতম সদস্য তথা জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ মানিক দাস বলেন, জমি জোর করে নেওয়ার পর প্রথমে অভিমানে পুজো বন্ধ করে দিয়েছিলাম। কিন্তু, পরে দু’বছর ধরে অনাড়ম্বরভাবে পুজো করে মায়ের কাছে জমি ফেরত পাওয়ার আবেদন করেছি। গ্রামের মানুষের সেই আবেদনে মা সাড়া দিয়েছেন। জমি ফেরত পাওয়ার পর আলু, সরষে, ধান, পিয়াজসহ বিভিন্ন ধরনের ফসল আমরা ঘরে তুলেছি। তাই এবার আমরা ফিরে পাওয়া জমিতে ফলানো সোনার ফসল দিয়েই মায়ের পুজোর প্রস্তুতি নিচ্ছি। পুজো কমিটির সভাপতি সহদেব দাস বলেন, আন্দোলনের আগে আমরা যেভাবে পুজো করতাম, এবার গ্রামে উৎসবের সেই মেজাজ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। গ্রামের বাসিন্দা পারমিতা দাস বলেন, মা আমাদের কাতর মিনতিতে সাড়া দিয়েছেন বলেই আমরা জমির পাশাপাশি ক্ষতিপূরণের টাকাও পেয়েছি। তাই ফিরে পাওয়া জমির প্রথম ফসল দিয়ে পুজো দেওয়ার জন্য টাকা তুলে রেখেছি।

Bengal Govt brings special food distribution scheme for the festive season

The Bengal Government has brought good news for the people of the state. The Food and Supplies Department has announced a special distribution scheme on the occasion of the major festivals of Durga Puja, Diwali and Chhat Puja.

According to the scheme drawn up, beneficiaries and families receiving special benefits from the State Government would receive the following additionally:

• 1 litre mustard oil at Rs 91.50 per litre
• 1 litre rice bran oil at Rs 79.50 per litre
• 500 gram subsidised flour (maida) at Rs 22 per kilogram
• 500 gram subsidised sugar at Rs 38.50 per kilogram

The distribution would be carried out in two phases, in accordance with the dates of the festivals – from September 15 to 27, and from October 11 to 25.

Further information can be had at:

• www.wbpds.com (West Bengal Public Distribution System website)
• Phone numbers: 1967 and 18003455505 (8 am to 8 pm for the latter)
• All block offices of district or subdivisional food inspectors

 

উৎসবের দিনগুলিতে বিশেষ ফুড প্যাকেজ রাজ্য সরকারের

রাজ্যবাসীদের জন্য সুখবর নিয়ে এল সরকার। খাদ্য সরবরাহ দপ্তর ঘোষণা করেছে উৎসবের সময় স্পেশ্যাল ফুড প্যাকেজ দেবে রাজ্য সরকার। এই প্যাকেজ চলবে দুর্গা পুজো থেকে ছট পুজো পর্যন্ত।

উপভোক্তারা এই অতিরিক্ত সুবিধা পাবেন:

১. ১ লিটার সর্ষের তেল ৯১.৫ টাকায়
২. ১ লিটার রাইস ব্র্যান তেল ৭৯.৫ টাকায়
৩. ৫০০ গ্রাম ভর্তুকি দেওয়া ময়দা ২২ টাকা কিলো দরে
৪. ৫০০ গ্রাম ভর্তুকি দেওয়া চিনি ৩৮.৫০ টাকা কিলো দরে

সেপ্টেম্বরের ১৫ থেকে ২৭ তারিখ ও অক্টোবরের ১১ থেকে ২৫ তারিখ দুই পর্যায়ে পাওয়া যাবে এই পরিষেবা।

আরও বিশদে জানতে ক্লিক করুন www.wbpds.com. কিংবা যোগাযোগ করুন এই নম্বরে – 1967, 18003455505 (সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা)

Housing societies recycling organic waste to get tax discount

Kolkata Municipal Corporation (KMC) is chalking up plans to give discount on the property tax payable by housing societies if they recycle their organic waste into fertilizer.

The fertilizer could be used by the housing societies for the trees and plants within their campuses. The money saved by the corporation in not having to pick up garbage from such societies would be adjusted against their housing taxes, and hence the discount.

This was stated recently by a senior KMC official at a seminar organised by a leading real estate developers’ organisation.

In this connection, the official stated that the KMC is also planning to generate power from organic waste. Another senior KMC official present at the seminar explained how the KMC has brought in changes in the building laws to make a certain amount of greenery mandatory.

আবাসনের জৈব বর্জ্যকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করলে ছাড় মিলবে সম্পত্তি করে

আবাসনের জৈব বর্জ্যকে আবাসিকরা পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তুলতে পারলে সম্পত্তি করে ছাড় দেওয়ার কথা ভাবছে কলকাতা পুরসভা। এই কথা জানিয়েছেন পুরসভার কঠিন বর্জ্য উপস্থাপনা বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য দেবব্রত মজুমদার।

এই কর্মসূচির অংশ হিসাবে আয়োজক সংস্থা যে প্রকল্প আনতে চলেছে, তাতেও বলা হয়েছে, জৈব এবং অজৈব বর্জ্যকে আলাদা আলাদা ডাস্টবিনে ফেলার কথা। তারপর জৈব বর্জ্য থেকে সার প্রস্তুত করে তা গাছের গোড়ায় দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। পুরসভাকে যদি কোনও বড় আবাসন থেকে প্রতিদিন বর্জ্য তুলতে না হয়, তাহলে যে খরচ বাঁচবে, তা থেকেই সম্পত্তি কর ছাড়ের ব্যবস্থা করা যেতে পারে বলে আশ্বস্ত করেন মেয়র পারিষদ।

এই প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভা যে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং সার উৎপাদনের কথা ভাবছে, সেই কথাও জানান মেয়র পারিষদ।

Source: Bartaman

Jago Bangla’s Festive Edition 2017 is a literary treat for all

The Jago Bangla Festive Edition 2017 is a literary treat for the all.

The cover of the festive edition of Jago Bangla has been designed by the party Chairperson Mamata Banerjee, like every year. The magazine begins with her poem – Maa and also features her article ‘Kandarir Kalam’.

Several senior party leaders – Subrata Bakshi, Partha Chatterjee, Sudip Bandopadhyay, Derek O’Brien, Subrata Mukherjee, Sovandeb Chatterjee, Suvendu Adhikari, Sovan Chatterjee, Aroop Biswas, Firhad Hakim, Purnendu Bose and Abhishek Banerjee – have penned articles in this year’s edition among others.

Besides political columns, this year’s edition contains a play by Bratya Bose, paintings by Suvaprasanna and Jogen Chowdhury, a touch of history by Sukhendu Sekhar Roy alongside articles by economist Abhirup Sarkar, academician Nrisingha Prasad Bhaduri, Gautam Brahma and others.

The fiction section contains stories penned by noted writers like Sirshendu Mukherjee, Tapan Bandapadhyay, Sekhar Bose and Amar Mitra while the poetry section features poems by noted poets like Nirendranath Chakraborty, Joy Goswami, Subodh Sarkar and Srijata.

You can collect the hard copy of the festive edition from Jago Bangla stalls at Puja pandals across the State. You can read it online here.

জাগো বাংলা উৎসব সংখ্যা ১৪২৪: একনজরে

প্রতি বছরের মতো এবছরেও জাগো বাংলা উৎসব সংখ্যা ১৪২৪ প্রকাশিত হল মহালয়ার পুণ্যলগ্নে, তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

এবারও বইটির প্রচ্ছদটি এঁকেছেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘কাণ্ডারির কলম’ শীর্ষক মূল প্রচ্ছদের লেখাটিও লিখেছেন তিনিই; এছাড়া তাঁর লেখা ‘মা’ নামক একটি কবিতা রয়েছে এই সংখ্যাটির শুরুতেই।

বিভিন্ন বিষয়ে কলম ধরেছেন আরও নেতা নেত্রীরা: সুব্রত বক্সি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, পূর্ণেন্দু বসু, শুভেন্দু অধিকারী, অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম, শোভন চট্টোপাধ্যায়, ইন্দ্রনীল সেন ও ডেরেক ও’ব্রায়েন প্রমুখ।

এছাড়াও নানা বিষয় বিশ্লেষণ করেছেন নির্বেদ রায়, প্রবীর ঘোষাল, মানস ভূঁইয়া, গৌরীশঙ্কর দত্ত ও আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বইটিতে থাকছে রাজ্য সরকারের উন্নয়নের কথা, নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার, নাটক, এছাড়াও বিভিন্ন বিষয়।

শুধু এই নয়, বহু বিশিষ্ট লেখকের লেখাও থাকছে এখানে, যেমন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, তপন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, জয় গোস্বামী, সুবোধ সরকার ছাড়াও বহু কবি লিখেছেন অসাধারন কিছু কবিতা।

সব মিলিয়ে প্রতিবারের মত জাগো বাংলার এই উৎসব সংখ্যাটিও এককথায় আনপুটডাউনেবেল।

সারা রাজ্যে যে কোনো পুজো প্যান্ডেলে জাগো বাংলার স্টলগুলি থেকে সহজেই এই বইটি সংগ্রহ করা যাবে। অনলাইনেও পড়তে পারেন আপনি এই উৎসব সংখ্যা। ক্লিক করুন এখানে।