সাম্প্রতিক খবর

নভেম্বর ৪, ২০২৫

বাংলার ক্ষমতা দিল্লির মাটিতে জমিদারদের দেখাব : অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

বাংলার ক্ষমতা দিল্লির মাটিতে জমিদারদের দেখাব : অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) প্রক্রিয়া নিয়ে বাংলার জনগণের ‘আতঙ্কের’ প্রতিবাদে মঙ্গলবার কলকাতার রাজপথে মহা মিছিলের আয়োজন করে তৃণমূল কংগ্রেস।

মঙ্গলবার দুপুর ২টো নাগাদ রেড রোডে বিআর আম্বেদকরের মূর্তির সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়। মিছিল এগিয়ে যায় রানি রাসমণি রোড হয়ে কেসি দাস মোড়, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের দিকে।বিভিন্ন ধর্মের গুরু-সন্ন্যাসী থেকে শুরু করে টেলি-টলি তারকা, খেলোয়াড়েরাও পা মেলালেন এই মিছিলে। ভিড়ও হয়েছিল চোখে পড়ার মতো। প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার পথ পেরিয়ে মিছিল শেষ হয় জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির সামনে। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িরর পাশেই বাঁধা হয়েছিল মঞ্চ। মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন মতুয়া সম্প্রদায়েরও একদল মানুষও, যারা নিজস্ব বাদ্যযন্ত্র সহযোগে মিছিলে হাঁটেন।

মিছিল শেষে নেত্রীর আগেই বক্তৃতা রাখেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলছেন, “এসআইআর ঘোষণা করার পর সাতদিনে ৭ সহ নাগরিকদের হারিয়েছি। তাঁদের পরিবারকে সমবেদনা জানাই। দুদিনের ব্যবধানে যদি আমরা এত বড় মিছিল করতে পারি, আগামী ২ মাসের মধ্যে দিল্লিতে গিয়েও মিছিল করতে পারে তৃণমূল। আমাদের ধমকে-চমকে ভাষণ দিয়ে কোনও লাভ নেই।”

তাঁর কথায়, “আমরা দিল্লির কাছে বশ্যতা স্বীকার করব না। ১০০ দিনের মামলায় বাংলার মানুষের জয় হয়েছে। সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। সবার ভোটার তালিকায় নাম ছিল। যাকে খুশি বাংলাদেশি বলে ডিপোর্ট করে দিচ্ছে। আগামিদিনে তৃণমূল দিল্লি যাবে। বাংলার ক্ষমতা সবাইকে দেখিয়ে আসবে। আগে মানুষ ভোট দিয়ে সরকার নির্বাচিত করছে। আজ মোদী সরকার পছন্দের ভোটার বেছে দিচ্ছে।”

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তাঁর প্রশ্ন, “লালকৃষ্ণ আদবানীর তো করাচিতে জন্ম হয়েছিল, তাহলে তিনি ভোট দিতে পারবেন না?”

মতুয়াদের বাদ যাওয়া প্রসঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি, “‘মতুয়া, রাজবংশী, সংখ্যালঘু সহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের কোনও প্রকৃত ভোটারের নাম কাটতে পারবে না বিজেপি। তার আগে আমার মৃতদেহের উপর দিয়ে যেত হবে।আবেগ নিয়ে ওরা ছেলেখেলা করে, ধর্ম নিয়ে ওরা রাজনীতি করে।”

তিনি সতর্ক করে বলেন, “কোনও প্ররোচনা বা ষড়যন্ত্রে পা দিয়ে বিজেপির সিএএ ক্যাম্পে যাবেন না। তাহলে আপনার নাম কেটে যাবে। আপনার ভোটাধিকার রক্ষার স্বার্থে তৃণমূল পাশে আছে। ২০২৬ সালের নির্বাচন কেবল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চতুর্থবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী করার লড়াই নয়। এটা বিজেপিকে শূন্যে নামিয়ে আনার লড়াই। তাহলে ওরা আর বাংলার মানুষের বিরুদ্ধে চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র করার সাহস পাবে না।”