March 28, 2021
বাংলায় দাঙ্গা হয় না, এখানে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা আমরা দিয়েছি: চণ্ডীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ চণ্ডীপুরে প্রথম জনসভা করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তাঁর বক্তব্যের কিছু অংশ:
- নন্দীগ্রামে ভূমি আন্দোলনের সময় চণ্ডীপুরে আমায় আটকে রাখা হয়েছিল। আজ যারা বড় বড় কথা বলছে তাদের আমি তখন ওখানে পাইনি। সেদিন দিল্লি থেকে এক নেতা ফোন করে বললেন আমার জন্য পেট্রোল বোমা রাখা আছে, আমায় মেরে ফেলবে বলে
- এখানে অনেক মন্দির আছে, চারদিকে অনেক ইতিহাস ছড়িয়ে আছে। এটা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির আশ্রয়
- দীঘা তমলুক রেল লাইন আমি করে দিয়েছিলাম যা চণ্ডীপুরের ওপর দিয়ে যায়
- জল স্বপ্ন প্রকল্পের আওতায় ১৪৮৮ কোটি টাকার জল প্রকল্পের কাজ হচ্ছে, এর ফলে ৭০ হাজার গ্রামীণ মানুষের কাছে পানীয় জল পৌঁছে যাবে
- চণ্ডীপুরে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। আরো উন্নয়ন হবে।
- ভোট পর্যন্ত আমি নন্দীগ্রামে আছি, আমাদের সরকার যা যা বলেছে সব কাজ করেছে। কন্যাশ্রী, সবুজশ্রী, স্বাস্থ্য সাথী, স্মার্ট ফোন সব দেওয়া হচ্ছে, বিজেপি এলে সব বন্ধ হয়ে যাবে, সবকিছু লুটেপুটে খাবে
- কালকে একটা ভোট হয়েছে। ৩০টি আসনে ভোট হয়েছে। আমাকে যদি জিজ্ঞাসা করেন, আপনি বলুন ক’টা আসন পাবেন? আমি কি ভোটের মেশিনের মধ্যে ঢুকতে যাব? আমি কী করে জানব কটা আসন পাব? মানুষ ভোট দিয়েছেন মানুষ বুঝবেন। হ্যাঁ, আমি আন্দাজে বলতে পারি। ৮৪ শতাংশ যখন ভোট হয়েছে তখন মা-বোনেরা, ভাই-বোনেরা, শ্রমিক-কৃষক আমাদের পক্ষে ভোট দিয়েছেন।
- বিজেপি-র এক নেতা আজ বলেছেন ৩০টার মধ্যে ২৬-টা হামকো মিলেগা (আমরা পাব)। ২৬টা কেন? ৩০-এ ৩০ বলুন না! তিরিশ মে তিরিশই মিলেগা (তিরিশটার মধ্যে তিরিশটাই পাব)। তব গোল্লা জাদা হোগা না (তা হলে তো গোল্লা বেশি হবে)! রস ছাড়া, রসগোল্লা খাবে! ৩০-এর মধ্যে নাকি ২৬ পাবে
- আমি বললাম, আর ৪টে বাকি রাখলেন কেন? সিপিএম আর কংগ্রেসের জন্য? আমি একটাও বলব না। কারণ আমি জানি মানুষ আমাদের দিয়েছেন। আমি মানুষকে সংখ্যা বলতে দেব
- সেন্ট্রাল পুলিশ দিয়ে কেন মেরেছে? এ কাজ করা করেছে আমি জানি না। উত্তরপ্রদেশ থেকে ৩০ জন গুন্ডা এনেছিল তাদের ধরিয়ে দিয়েছে মেয়েরা। ওই ৩০ জন বহিরাগত। ওরা অনেক মা বোন কে ভোট দিতে দেয়নি
- সেন্ট্রাল পুলিশ বলেছে মাস্ক পড়েন নি তাই ভোট দিতে দেবে না
- বাংলায় আসছে সেই সব খরচ আমরা দিই আর লাঠি মারছে আমাদের? এতো সাহস ওদের! কার নির্দেশে করেছে আমার এসবই জানি, ভোট দিতে না দিলে বিদ্রোহ করবেন মা বোনেরা
- একটা মা বোনেদের গায়ে হাত পরলে হাতা খুন্তি নিয়ে তেড়ে যাবেন। কাউকে ভোট দিতে না দিলে বিক্ষোভ করবেন। আমি জানি মা বোনে দের সাহস আছে। এজেন্ট যদি পালিয়ে যাও, আমি কিন্তু সবটা জানি। আমার কাছে গ্রাউন্ডের খবর আছে। আমার জানা আছে কোন এজেন্ট টাকা নিচ্ছে।
- পরশুদিন কন্টাই তে টাকা ছড়াচ্ছিল, হাতেনাতে ধরেছে। ওদের অ্যারেস্ট করা উচিত ছিল। ওটা কার টাকা! এত পেট্রোল পাম্প, ট্রলার লঞ্চ কি করে এলো? এতকো-অপারেটিভ ব্যাংকের টাকা কি করে এলো?আজ এদের দেখে বুঝলাম, কত বড় ক্রিমিন্যাল কার্যকলাপ করতে পারে, আমার ভুল আমি মেদিনীপুরকে বেশি ভালোবাসা দিয়েছিলাম
- আমার দোষ আমি বুঝতে পারিনি। দুধ কলা দিয়ে কালসাপ পুষেছিলাম। আমি আজ জানলাম এরা কত ডেঞ্জারাস। বাইরে গুন্ডা নিয়ে আসে
- এজেন্ট যারা হবে, মনে রাখবেন -৩০টা করে ভোট দেখে নেবেন। তারপর দু’বার অন অফ করে তারপর ভোট চালু করবেন। EVM খারাপ হলে চলে যাবেন না। ওরা এটাই চায়। নতুন মেশিন এলে ভোট দিয়ে তারপর যাবেন। VVPAT মিলিয়ে নেবেন। কাউন্টিং এর দিন কেউ অন্য কারো খাবার খাবেন না। ভোট বাক্স পাহারা দিতে হবে
- ভোট হয়ে গেলে এক মাস ধরে পাহারা দিতে হবে, কেউ কিছু দিলে খাবে না, অন্য জেলা নয় শুধু এই জেলায় এসব হওয়ার সুযোগ বেশি কারণ এখানে আমরা কয়েকটা গদ্দার পুষেছি
- কৃষকবন্ধুরা মনে রাখবেন, এখন একর প্রতি ৫ হাজার টাকা পান, তা ৬ হাজার হয়েছে। আমাদের সরকার থাকলে তা ১০ হাজার হয়ে যাবে। মা-বোনেদের ৫০০ টাকা করে হাত খরচ দেব। তফসিলি বন্ধুদের ১০০০ টাকা করে দেব
- আগামী দিনে আরও ১০ লক্ষ মেয়েকে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর আওতায় নিয়ে আসব। ৭০ শতাংশ আপনারা মেটাবেন। বাকি টাকা আমরা দেব
- আমরা ক্ষুদ্র শিল্পে দেড় কোটি চাকরি দিয়েছি। সারা ভারতে বেকারত্ব বেড়েছে। বাংলায় ৪০% কমেছে
- পরিযায়ী শ্রমিকদের বলবো এসে ভোট দিয়ে যেতে, নয়তো কোন দিন NRC-NPR করে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেবে
- হায়দ্রাবাদ থেকে একটা দল এসে সংখ্যালঘুদের ভোট ভাগ করছে। দিল্লি, ইউপি, গুজরাটের দাঙ্গার সময় কোথায় ছিল
- বাংলায় দাঙ্গা হয় না , এখানে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা আমরা দিয়েছি। বাংলা সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করে। বহিরাগতদের সমর্থন করবেন না
- জনগণ সাবধান, বিজেপির হাতে স্টেনগান
- উত্তরপ্রদেশে মহিলারা নির্যাতিতা, ভয়ে বাড়ি থেকে বের হতে পারে না। দলিতদের উপর অত্যাচার হয়। বাংলায় সব ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায়ের মানুষ সম্প্রীতিতে থাকেন
- খেলা হবে। ভোট-টা কিন্তু দিতে হবে মা-বোনেরা। মানবিকতাকে জোড়াই আমাদের কাজ। তাই-চাই একটা ভোট। মা-বোনেরা বেঁধে জোট, জোড়া ফুলের সব ভোট। ভোট দিতে অবশ্যই মাস্ক পড়ে যাবেন, নয়তো ওরা ফেরত পাঠিয়ে দেবে
- ১ তারিখে একটা করে ভোট দেবেন, আর বিজেপি-কে মাঠের বাইরে বার করে দেবেন। একেবারে বোল্ড আউট করে দেবন
- মোদী বলেছিল সবাইকে ১৫ লক্ষ টাকা দেবে, দিয়েছে?
- গ্যাসের দাম ৯৫০ টাকা! চাল দিচ্ছি বিনা পয়সায়, গ্যাসের দাম আকাশছোঁয়া! বুঝুন, আমাদের দাবি, বিজেপিকে বিনা পয়সায় গ্যাস দিতে হবে উজ্জ্বলা হাওয়া! সব টাকা খেয়ে নিয়েছে
- সিপিএমের হার্মাদ রাজারা নন্দীগ্রাম সিঙ্গুর করেছিল আজ তারাই বিজেপির বড় ওস্তাদ। আর গদ্দার মীরজাফর তো আছেই
- আমি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আবেদন করব, কারো কথা শুনে মা বোনেদের গায়ে হাত তুলবেন না। আপনারা কেন গ্রামে গ্রামে গিয়ে বলছেন বিজেপিকে ভোট দিতে। আপনারা উত্তরপ্রদেশ থেকে এসেছেন, এটা বাংলা। এখানে যোগীর ভোট হয় না। এখানে মোদি-শা’র ভোট হয় না